পাবলিক
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় একটি ‘পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করোনা এসে আমাদের বুঝিয়ে দিল জনস্বাস্থ্য বিষয়টা কত জরুরি। যখন ধাক্কা খেয়েছি তখন মনে করেছি জনস্বাস্থ্য জরুরি এখন আবার ভুলে যাচ্ছি? নাকি ডেঙ্গু নিয়ে ভাবছি? কিছু একটা ধাক্কা লাগবেই, না হলে জনস্বাস্থ্যকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।
আমেরিকায় পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম, যারা ওখানে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি খোঁজেন তাদের মধ্যে যাদের এমপিএইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ) করা আছে তাদের সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এরা তো হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করছে পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছে না। তারা উত্তর দিয়েছিল- যিনি চিকিৎসক তিনি রোগী ফোকাসড, যিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়েছেন তার দেখার দৃষ্টিকোনটা ভিন্ন। তিনি পুরো সমাজটাকে দেখেন, পুরো জনগণকে দেখেন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা, কৌশলসহ সব দিক দেখেন। পাবলিক হেলথের দৃষ্টিকোন নিয়ে চিকিসক হিসেবে যখন কাজ করবেন তখন তিনি অনেক বেশি অবদান রাখেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না, কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। আমরা দেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে সবচেয়ে ভালো করতে চাই। আমাদের সে সুযোগ রয়েছে। এখানে অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে, পাবলিক হেলথ কাউন্সিলের প্রস্তাব এসেছে, অ্যাক্রিডিটিশনের জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। যেখানে জনস্বাস্থ্য বিষয়টিকে এমনিতেই একটু পেছনে ফেলে রাখা হয় সেখানে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটা মোটেই খারাপ না। সবকিছু মিলিয়ে এ বিষয়ে পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো পাবলিক হেলথে স্পেশালাইজড। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আবার অন্যান্য বিষয়ও পড়ায়।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
ডি-নথিতে যুক্ত হলো আরও ১০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) সঙ্গে যুক্ত হলো দেশের আরও ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই নিয়ে মোট ১৮ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রম শুরু হলো।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নূরুল আলম অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসি’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এন্ড ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ডি-নথির মাধ্যমে যেকোন স্থান থেকে ফাইল নিষ্পত্তি করা যায়। ফলে কোনো ফাইল আটকে থাকছে না, বাড়ছে কাজের গতি। এতে দাপ্তরিক কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমে যাচ্ছে।
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডি নথি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শপথ নিল শিক্ষার্থীরা
এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ডি-নথির ব্যবহার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের দাপ্তরিক কাজ গতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
তিনি সবাইকে গতানুগতিক মানসিকতা পরিহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পাঠদানের বাইরে আইসিটি অবকাঠামো বিষয়ে বাস্তবজ্ঞান প্রদান এবং নিজেদের বিশ্ববদ্যিালয়ের জন্য ডি-নথির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের পরামর্শ দেন।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ইউজিসির আইনী সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ইউজিসি দেশের কলেজগুলোর শিক্ষার মান তদারকি করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া, এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠন এবং গবেষণা খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অ্যালামনাই যুক্ত করতে ইউজিসিকে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করছি। ডিজিটাল নথি বাস্তবায়ন করা গেলে ফাইলের স্তূপ কমবে, সেবা প্রত্যাশীরা স্মার্ট সেবা পাবেন এবং ভোগান্তি কমে যাবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে থাকছে না বৃত্তি পরীক্ষা
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নথি বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্ভাবন ও গবেষণায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন কর্মদক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি); খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ; ইউজিসি; এটুআই এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এন্ড ট্রেনিং বিভাগের উপপরিচালক মো. মনির উল্লাহ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে দেশের ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার মান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের নিজস্ব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির জন্য প্রাক্তন ছাত্র সমিতির (অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) মাধ্যমে তাদের নিজস্ব তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রাক্তন ছাত্র সমিতি আছে এবং এর মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের নিজস্ব তহবিল তৈরি করতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী, তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারে।
এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার ছেলে-মেয়ে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে যেসব বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে।
এ লক্ষ্যে আবারও আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরুর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে ব্যাপক অস্ত্রের ব্যবহার ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই এবং দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সরকার দেশকে ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে।
তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ধৈর্য ধরে শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, এনএসইউ
১ বছর আগে
ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা,১৩ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ গ্রহণ করেছেন। ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত যেকোনো পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম সংস্থা/প্রতিষ্ঠান।সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় মদিনাত জুমেইরাহ সম্মেলন কেন্দ্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার শিগগিরই দেশে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হবে: ভূমিমন্ত্রী
এসময় অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন জাতিসংঘ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অধীনে ই-নামজারি ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,বক্তৃতায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের সমগ্র ভূমি ব্যবস্থাপনাকে অটোমেটশন করার উদ্যোগকে আরও প্রাণবন্তভাবে সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করবে।’
উল্লেখ্য,ভূমিসেবা গ্রহীতাদের সহজে সেবা প্রদানে, নারী ও প্রতিবন্ধীদের ভূমি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অন্তর্ভুক্ত করতে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট বাস্তবায়নে, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ই-নামজারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ‘আগামীর জনসেবা উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে নব যুগের জন্য নতুন সরকারী মডেল’ প্রতিপাদ্যে ৩দিন ব্যাপী আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরাম’-এর একটি অংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ আল গেরগাওয়ি, রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রতিমন্ত্রী ওহুদ আল রুমি, জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট, পলিসি, স্ট্র্যাটেজি ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গবেষক, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং পুরস্কার বিজয়ী বিভিন্ন উদ্যোগের উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন, ২০২০ তারিখে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ী উদ্যোগের নাম ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ অর্জন করে।
২৩ জুন ২০২০ তারিখে ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস দিবস ভার্চুয়াল ইভেন্টে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ জেনমিন 'ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০' অর্জন করার জন্য বাংলাদেশ সহ বিজয়ী দেশসমূহকে অভিনন্দন জানান। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে 'ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরাম' ও ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, যা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছিল জাতিসংঘ। এই বছর ২০২১ সালে জাতিসংঘ ২০২০ ও ২০২১ সালের ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান একই সাথে দুবাইয়ে আয়োজন করল। এবার এই দুই বছরের জন্য ১৫টি দেশের ১৭টি উদ্যোগকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: শতভাগ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা: ভূমিমন্ত্রী
২ বছর আগে
পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
আগামীকালের অপেক্ষায় অনেকে। আর পছন্দ হোক আর নাই হোক বেশিরভাগ মানুষ চায় পরীমণি জামিন পাক। এখন আর তার অপরাধ বিষয় নয়। তার রিমান্ড, হাজতবাস ইত্যাদি মিলিয়ে এমন এক আবহ সৃষ্টি হয়েছে যে পাবলিকের চোখে সে এক ধরণের ভুক্তভোগী। তারা মনে করে যে তার ওপর 'অন্যায়’ করা হচ্ছে। মানুষের মন এমনই। পাবলিক কারও কষ্ট দেখলে বিশেষ করে পুলিশের হাতে সিম্প্যাথেটিক হয়ে যায়।
২. এর সাথে আছে আরও বিভিন্ন অপরাধ ও গ্রেপ্তার নিয়ে পাবলিকের ভাবনা। বড় বড় আসামি জেলের ভেতর থাকে আরামে, বিরাট বাটপার সহজেই দেশ ছাড়ে আর প্রতিদিনিই কেউ না কেউ মাফ বা অব্যাহতি পেয়ে যায় ওই অপরাধের অভিযোগ থেকে।
সময়টাও খারাপ, কারণ ইদানিং ‘বিশাল’ কয়েকজনকে ছাড় দেয়া হয়েছে। পাবলিক তাই বলছে, তাদের অপরাধের তুলনায় পরীমণি কি করেছে? এতো কেন? কিন্তু যেহেতু পাবলিকের কোনো ক্ষমতা বা প্রভাব নেই, তাই সে মনে মনে ‘জামিন’ দিয়ে দিয়েছে। আর কি করার আছে তাদের?
৩. বোট ক্লাবের ঘটনা থেকেই সব সূত্রপাত। যাদের সে ‘ক্ষতি’ করেছে , যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা ব্যক্তিগতভাবে নয় গোষ্ঠীগতভাবে আঘাত পেয়েছে, অপমান বোধ করেছে। তাই রাগটা অনেক বড়, পাল্টা আঘাত আরও বড়। পুলিশ এরই মধ্যে ইঙ্গিত করেছে যে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের ভিত্তি নেই, অতএব ঝালটা আরও বেশি তো হবেই। তার দাম চুকাতে হচ্ছে পরীমণিকে।
৪. পরিমণির জীবন-যাপন বাংলাদেশের বড়লোকদের ওপরতলার মানুষের মতোই, যেখানে নেশা, ‘অনৈতিক আচরণ’, ক্লাব আর রিসোর্ট কেন্দ্রিক জীবন বহমান। কিন্তু পরীমণি মিডল ক্লাস বড়োজোর, তার রুজি বা জীবন চলে বড়লোকের সাথে মেলা মেশায়, হিসাবের ভুল এখানে। সে উপরতলার নয়। একসাথে মদ খেলে সব মদ খোর এক হয় না, সবার সাথে লাগা যায় না। যার যে শ্রেণি সেটাই ঠিকানা। হেলেনা জাহাঙ্গীর তার ভালো উদাহরণ। পরীমিণির বিরুদ্ধে লেগেও, বোট ক্লাবের সদস্য হয়েও সে একই ধরণের মামলায় জেলেই। কারণ সে উপরতলার নয়।
৫. পাবলিক এতো কিছু বোঝে না, পরীমণির জন্য তাদের মধ্যে ‘আহা বেচারি’ বোধ কাজ করছে সবচেয়ে বেশি। সে কি হয়েছিল ভুলে গেছে, এখন রিমান্ড আর জেল দেখে দুঃখিত। তাই কি আর করবে, মনের জামিনটা দিয়েছে আদালতের জন্য অপেক্ষা না করে। তারা এইটুকুই পারে।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
পরীমণির জামিন শুনানি দ্রুত করার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
৩ বছর আগে