পোশাক কারখানা
কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ভূমিকম্প আতঙ্কে দ্রুত বের হওয়ার সময় আহত ৩০
কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় শনিবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের সময় ভবন থেকে দ্রুত বের হতে যেয়ে পোশাক কারখানার ১৭ শ্রমিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ভূমিকম্পের সময় একটি পোশাক কারখানার ১৭ শ্রমিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা জানান, মীরশ্বানি এলাকার একটি পোশাক কারখানার ১৭ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
এদিকে অন্য এক স্থানে ভবন থেকে বের হওয়ার সময় কলেজের শিক্ষার্থীসহ আরও ৩ জন আহত হন।
আহতদের বেশিরভাগকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুরে সকালে জেলা শহরে ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবন থেকে বের হওয়ার সময় ১০ জন আহত হয়েছেন।
তবে তাদের সবাই সামান্য আহত হয়েছেন বলে চাঁদপুর জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প আঘাত হানে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হয়, যা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউগিনির নিউ আয়ারল্যান্ডে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৪৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৪৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়া, সাভার, মিরপুর, গাজীপুরসহ দেশের কিছু স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে টানা ১২ দিন আন্দোলন শেষে রবিবার থেকে কাজে ফিরেছেন ঢাকা ও আশপাশের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: অবরোধ: সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারে ২২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
গাজীপুরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রদল নেতা রিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বিভিন্ন ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেলার সফিপুর ও কোনাবাড়ীর একাধিক পোশাক কারখানায় কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হোসেনের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে 'চাঞ্চল্যকর' তথ্য পাওয়ার দাবি সিটিটিসি’র
তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিকে পুঁজি করে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তার নেতৃত্বে এসব অপরাধ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের চৌকস টিম অনুসন্ধান করে গতকাল তাকে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করায় উদ্বিগ্ন ইইউ
গাজীপুরে পোশাক কারখানা খোলা, ফের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
কয়েক দিনের বিক্ষোভের পর গাজীপুরের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন শনিবার সকালে। অপ্রীতিকর ঘটনা ও সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তবে শনিবার সকালে সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার বেতন বাড়ানোর দাবিতে কিছু শ্রমিক আবারও বিক্ষোভ শুরু করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে পোশাককর্মী নিহত
এসময় শ্রমিকদের ছুড়া ইটের আঘাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর সাব-জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদ, পরিদর্শক আবদুর নুরসহ কয়েকজন আহত হন।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদ বলেন, আমরা প্রথমে শ্রমিকদের বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিদর্শক আবদুর নুর ও আমি রক্তাক্ত হই।
গাজীপুর-২ শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, গাজীপুরে শ্রমিকদের সহিংসতা ঠেকাতে ৩ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। শ্রমিক অসন্তোষ ও সহিংসতার পর শনিবার সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ চলছে। গত কয়েকদিনের সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের ও বেশ কয়েকজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা। সে সময় বেশ কিছু এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুর; কারখানায় ও শপিংমলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ অবস্থায় শিল্প এলাকার অধিকাংশ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পরে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে সরকার, মালিক, বিজিএমইএ, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আলোচনায় বসেন। গঠন করা হয় মজুরি বোর্ড, যেখানে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে নভেম্বর মাসে ঘোষণা ও ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শনিবার থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সিদ্ধান্ত মেনে গাজীপুরে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপ
ঢাকা ও গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি মোতায়েন
গার্মেন্টস সেক্টরে চলমান শ্রমিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, আশুলিয়া, সাভার, মিরপুর, রামপুরা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, গাজীপুর, কোনাবাড়ীতে সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ন্যূনতম মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে পোশাককর্মী নিহত
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বিক্ষোভ চলাকালে সোমবার গাজীপুরের মালেকের বাড়িস্থ ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কোম্পানির ইলেকট্রিশিয়ান রাসেল হাওলাদার (২২) মারা গেছেন।
আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, ‘পুলিশের গুলিতে’ রাসেল মারা গেছেন।
এদিকে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
অস্থিরতার পর অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন
গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ: শ্রমিক নিহত
গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা
গাজীপুরের গাছা এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে টি আর জেড পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই খবর জানা যায়।
কারখানা কর্তৃপক্ষের নোটিশ থেকে জানা যায়, কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বেআইনি ও অবৈধভাবে ধর্মঘট করে ফ্যাক্টরির ভেতরে মারাত্মক ভাঙচুর ও বিপুল পরিমাণ মালামালের ক্ষয়ক্ষতি করেন।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
এমন ক্ষতিগ্রস্ত ফ্যাক্টরির কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব নয়। তাই সোমবার থেকে কারখানাটি অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, সকালে কাজ করতে গিয়ে কারখানায় বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। এর আগে রবিবারও তারা বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নামে। রাতে বেতনের কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে মালিকপক্ষ কারখানায় নোটিশ লাগিয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়।
কারখানার এডমিন ম্যানেজার বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার পরও রাতের বেলায় ভাঙচুর করে কারখানায় ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে। এই অবস্থায় কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয় বলে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল হক বলেন, রবিবার বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ওভারটাইমসহ কিছু বকেয়া রয়েছে, তাও পরিশোধ করার কথা রয়েছে। তবে রবিবার রাতে কারখানায় অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণে মালিকপক্ষ বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
তৈরি পোশাক কারখানায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ নেতৃত্বে এগিয়ে বাংলাদেশ
ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
দুর্ঘটনা এড়াতে ৮৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানাকে নজরদারির আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা: অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এ সময় ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে এখনও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা রয়েছে। ১ হাজার ৮৮৭টি কারখানা আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং ৩৫০টি কারখানাকে নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
তিনি বলেন, ৬৫৯টি কারখানা রিমেডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং মোট ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসসি ও আরসিসি'র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে মোট কারখানার প্রায় ২৩ শতাংশ বা ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো পরিদর্শনের আওতায় নেই। এসব কারখানাকে কীভাবে নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ৮৫৬টি কারখানা ব্যবসা করছে এবং রপ্তানিও চলছে, কিন্তু সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না।
নজরদারিবিহীন কারখানার এই সংখ্যা বাড়তে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে তা মোট কারখানার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এসব কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর দায় নেবে না। আমরা চাই সব কারখানাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি করুক।’
২০২৩ সালে রানা প্লাজা ধসের দশম বার্ষিকী। এই দুর্যোগপরবর্তী দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি সিপিডির।
বিশেষ করে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠন এবং তাদের পরিচালিত কার্যক্রম কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তদারকির জন্য জোরালো দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন
চট্টগ্রাম নগরীতে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় কেডিএস গ্রুপের মালিকানাধীন একটি পোশাক কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাংলাদেশি নিহত
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বাহার উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাহার উদ্দিন জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। কালুঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের একঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, কারখানায় থাকা অনেক পোশাক পুড়ে গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪, আহত ৭
লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০ দোকান
নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প এলাকায় পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার ইউএনবিকে জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফকির অ্যাপারেলস লিমিটেডে আগুন লাগে।
তিনি আরও জানান যে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজীপুর হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৩৩টি দোকান পুড়ে ছাই
খুলনার সোনাডাঙায় কাগজের গোডাউনে আগুন ১ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে
তৈরি পোশাক কারখানায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ নেতৃত্বে এগিয়ে বাংলাদেশ
তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের কারখানাগুলো সবুজ কারখানার মানদণ্ডে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত বাংলাদেশে এ ধরনের কারখানার সংখ্যা এখন ১৮৭টি।
চট্টগ্রামভিত্তিক কেডিএস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেডিএস আইডিআর সর্বশেষ নতুন প্রজন্মের এই কারখানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান যে ১ ফেব্রুয়ারি তারা ১০০ এর মধ্যে ৮৪ স্কোর নিয়ে প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ ১০০ গ্রিন ফ্যাক্টরি ইউনিটের মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশের। আর সেরা ১০ জনের মধ্যে আটজন এখান থেকেই এসেছেন।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
২০২৩ সালে চারটি কারখানা ইউনিট ইতোমধ্যে এলইইডি সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
নরসিংদীর পাঁচদোনার আমানত শাহ ফেব্রিক্স ইউএসজিবিসি থেকে এ বছরের প্রথম এলইইডি সার্টিফিকেট পেয়েছে।
ইউএসজিবিসি অনুসারে, বাংলাদেশের ১৮৭টি গ্রিন-সার্টিফাইড কারখানার মধ্যে ৬৩টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১০টি গোল্ড-রেটেড, ১০টি সিলভার-রেটেড ও চারটি গ্রিন-সার্টিফাইড।
ইউএসজিবিসি বেশ কয়েকটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে কারখানাগুলোকে সার্টিফিকেশন দিয়ে সম্মানিত করে।
মানদণ্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- বিদ্যুৎ, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম,এরপর যথাক্রমে গোল্ড ও সিলভার সার্টিফিকেশন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ