কোর্ট
হিজাব নিষিদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার কর্ণাটক রাজ্যে শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ পিটিশনে বিভক্ত রায় দিয়েছেন
হিজাব হল মুসলিম নারীদের মাথার স্কার্ফ। মুসলমানরা ভারতে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
দক্ষিণ ভারতের রাজ্য সরকার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল, কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করে। রাজ্যের হাইকোর্ট কর্তৃক আদেশটি বহাল করা হয়।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও সুধাংশু ধুলিয়ার শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভক্ত রায়টি দিয়েছে। যা বৃহত্তর এক বেঞ্চকর্তৃক আবেদনগুলোর শুনানির পথ প্রশস্ত করেছে।
বিচারপতি গুপ্তা হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দিলেও বিচারপতি ধুলিয়া এক্ষেত্রে অনুমতি দেন।
বিচারপতি ধুলিয়া বলেন, ‘এটি শেষ পর্যন্ত পছন্দের বিষয় ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। আমার মনে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মেয়েশিশুদের শিক্ষা। আমি আমার বিচারকের (ভাই সম্বোধন করে) বক্তব্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে একমত নই।’
শীর্ষ আদালত ২২ সেপ্টেম্বর হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের ওপর তার আদেশ সংরক্ষণ করে।
কর্ণাটকের উডুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজ ছয়জন কিশোর ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরতে বাধা দেয়ার প্রেক্ষাপটে এই ইস্যুটি শুরু হয়৷
এই পদক্ষেপটি রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। যা রাজ্য সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ পড়ার ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্ররোচিত করে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করল নিউজিল্যান্ড
কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
২ বছর আগে
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
শেষ পর্যন্ত সবুরে ফল পাওয়া গেলো। পরীমণির জামিন হলো কোর্ট থেকে। এরকম গড়িমসি কম দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে পাবলিকের চাপ বাড়ছিল। সাথে সাথে সুশীল সমাজ ও মিডিয়া বুঝে গিয়েছিল যে এটি একটি ইস্যু। তাই জামিন না দেয়ায় খামোখা কথা হচ্ছিল। পরীমণি বিনা কারণে ‘হিরো’ হয়ে যাচ্ছিল। আর তাতে অসুবিধা না হলেও একটি অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল। এখন অন্য বিষয় নিয়ে সবার আলাপ করার সুযোগ হবে।
এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে পরীমণির ব্যাপারে সরকারে ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আম জনতা একটু একটু ক্ষুব্ধ হচ্ছিল। কারণ এত লোকের এত বড় বড় অপরাধে জামিন হয় কিন্তু এই কেসে কেন নয়? এখন এত কথা হবে না।
তবে পরীমণির বোঝা উচিত যে যাদের সাথে তার ওঠাবসা, তাদের সাথে লাগতে যাওয়া বোকামি। আর পাবলিকের স্মৃতি খুব দুর্বল, আপনাকে ভুলতে বেশি টাইম লাগবে না। সবাই খুশি তার ছাড়া পাওয়াতে কারণ আফটার অল নারী, মানুষের এমনিতেই মনটা একটু নরম থাকে যদি সে নিজে অত্যাচারী না হয়।
অন্যদের জামিন নেই
ঠিক যেই মুহূর্তে পরীমণি জামিন পাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের কথাও মনে রাখবেন যারা তার সাথে বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিলেন। তারা কিন্তু ভেতরেই আছেন। পাবলিক তাদের কথা ভুলে গেছে, তাদের জামিনের কোন দাবি ওঠেনি। জামিন পেতেও একটু কপাল লাগে, অনুসারী লাগে, আরও কত কিছু। এই সব মামলায় যারা ভেতরে তারা সবাই যেন জামিন পায়, তারপর যেন বিচার হয়।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
৩ বছর আগে