শেষ পর্যন্ত সবুরে ফল পাওয়া গেলো। পরীমণির জামিন হলো কোর্ট থেকে। এরকম গড়িমসি কম দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে পাবলিকের চাপ বাড়ছিল। সাথে সাথে সুশীল সমাজ ও মিডিয়া বুঝে গিয়েছিল যে এটি একটি ইস্যু। তাই জামিন না দেয়ায় খামোখা কথা হচ্ছিল। পরীমণি বিনা কারণে ‘হিরো’ হয়ে যাচ্ছিল। আর তাতে অসুবিধা না হলেও একটি অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল। এখন অন্য বিষয় নিয়ে সবার আলাপ করার সুযোগ হবে।
এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে পরীমণির ব্যাপারে সরকারে ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আম জনতা একটু একটু ক্ষুব্ধ হচ্ছিল। কারণ এত লোকের এত বড় বড় অপরাধে জামিন হয় কিন্তু এই কেসে কেন নয়? এখন এত কথা হবে না।
তবে পরীমণির বোঝা উচিত যে যাদের সাথে তার ওঠাবসা, তাদের সাথে লাগতে যাওয়া বোকামি। আর পাবলিকের স্মৃতি খুব দুর্বল, আপনাকে ভুলতে বেশি টাইম লাগবে না। সবাই খুশি তার ছাড়া পাওয়াতে কারণ আফটার অল নারী, মানুষের এমনিতেই মনটা একটু নরম থাকে যদি সে নিজে অত্যাচারী না হয়।
অন্যদের জামিন নেই
ঠিক যেই মুহূর্তে পরীমণি জামিন পাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের কথাও মনে রাখবেন যারা তার সাথে বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিলেন। তারা কিন্তু ভেতরেই আছেন। পাবলিক তাদের কথা ভুলে গেছে, তাদের জামিনের কোন দাবি ওঠেনি। জামিন পেতেও একটু কপাল লাগে, অনুসারী লাগে, আরও কত কিছু। এই সব মামলায় যারা ভেতরে তারা সবাই যেন জামিন পায়, তারপর যেন বিচার হয়।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে