পদ
জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
চলতি মাসের সংসদীয় নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যেই দলের বর্তমান প্রধান ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি দল থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন দলের এমন নেতাদের সঙ্গে গুলশানে নিজ বাসভবনে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন রওশন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ
এতে বলা হয়, 'দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চলমান সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও জিএম কাদেরের ভাবি রওশন জানান, দলের নেতা-কর্মী ও অনুসারীদের অনুরোধে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বও নিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাজী মামুনুর রশীদ দলের পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
রওশন এরশাদ বলেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক দলের মারাত্মক ক্ষতি করেছেন। তবে দলের আর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে কারণেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব নেতাকে বহিষ্কার ও পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করা হবে এবং সঠিক সময়ে দলের জাতীয় কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তবে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, রওশনের এই ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিয়ে তারা অন্তত বিরক্ত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
তিনি বলেন, 'আমাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই পার্টির চেয়ারম্যান হওয়া বা কাউকে কোনো পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।’
চুন্নু বলেন, রওশন এর আগে তিনবার জিএম কাদেরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং পরে তার ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি না। এর কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে তার (রওশন) সেই ক্ষমতা নেই।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
১০ মাস আগে
গণফোরামের সভাপতির পদ ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ড. কামাল
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের প্রায় ৩০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা গণফোরামের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ তিনি আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন না।
তবে ড. কামাল এখন থেকে দলের ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় সম্মেলনে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আলতাফ হোসেন এ ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদ ছেড়ে দিচ্ছি। গণফোরামের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
পরে গণফোরাম নেতা নুরুজ্জামান ড. কামালের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় গণফোরাম সভাপতির দায়িত্ব সক্রিয়ভাবে পালন করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় আমি সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও গণফোরামের সভাপতির পদ ত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।’
ড. কামাল আরও বলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।
তিনি গণফোরামকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
বিশেষ কাউন্সিলে মফিজুল ইসলাম খানকে গণফোরামের নতুন সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
এছাড়া দলীয় সনদ সংশোধন করে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি পদ সৃষ্টি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ড. কামাল আওয়ামী লীগকে ত্যাগ করে ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের সভাপতির পদে ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর গণফোরামে বিভক্তি দেখা দেয়। এর নেতাদের একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল।
চলতি মাসের শেষের দিকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপেও খেলবেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘তামিম অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
বোর্ড সভাপতির বাসভবনে রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরি হওয়ায় বাংলাদেশি ক্রিকেটে দিনের নাটকীয়তা যোগ হয়। সারা দিন ধরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তামিমের ভাগ্যের জন্য দেশের ক্রিকেট মহল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল।
নাজমুল আরও বলেন, ‘দলের সর্বোত্তম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তামিম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে তার ইনজুরির জন্য বিশ্রামে রয়েছেন। পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরতে চান। আমরা আশা করছি তিনি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে প্রস্তুত হবেন।’
ওয়ানডে দলের পরবর্তী অধিনায়কের নাম এখনো ঘোষণা করেনি বোর্ড। নাজমুল বলেন, নতুন অধিনায়ক নিয়োগের আগে তারা বোর্ড ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলবেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন যে তামিম ২০ আগস্ট পর্যন্ত পুরোদমে অনুশীলন করতে পারবেন না। ফলস্বরূপ, তিনি এশিয়া কাপ মিস করবেন, কারণ বাংলাদেশ দলের নির্ধারিত সময়সূচি রয়েছে। ২৬ আগস্ট টুর্নামেন্টের জন্য রওনা হবেন।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ’: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
নাটকীয় সংবাদ সম্মেলনের আগে তামিম বোর্ড সভাপতি, বোর্ডের মেডিকেল টিমের সদস্যরা এবং বোর্ড সভাপতি নিজেই বৈঠক করেন।
বৈঠকে তামিম অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে চান কিনা, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার ভালো বোঝাপড়া ছিল কিনা এবং তার ইনজুরি সামলানোর পরিকল্পনা কী ছিল তা সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে আমার যাত্রা ছিল দুর্দান্ত। ‘ফলাফল বলছে এখন অধিনায়ক হিসেবে খেলাটা আমার জন্য খুবই স্বার্থপর হবে।’
তামিমকে নিয়ে আলোচনা জুলাইয়ের শুরুতে তার আকস্মিক অবসরের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত শুধু দেশের ক্রিকেট অঙ্গনকে নাড়া দেয়নি বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এবং তিনি এতে হস্তক্ষেপ করেছেন। তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর, তামিম প্রকাশ করেন যে ‘তিনি সরকার প্রধানকে না বলতে পারেননি’ এবং বাংলাদেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
বোর্ড সভাপতির কঠোর সমালোচনার জবাবে তামিম প্রাথমিকভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা শেষ হোম সিরিজে পুরোপুরি ফিট না হওয়া সত্ত্বেও প্রথম আফগানিস্তান ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্তের কারণে উদ্ভূত হয়েছিল। চট্টগ্রামে ওই ম্যাচের আগে তামিম জানিয়েছিলেন যে তিনি তার ইনজুরির অবস্থা মূল্যায়ন করতে খেলবেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও খেলতে বদ্ধপরিকর তামিম
বোর্ড সভাপতি, একদিন পর একটি বাংলা দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে জোর দিয়েছিলেন যে একজন অধিনায়ক আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার ফিটনেস মূল্যায়ন করতে পারেন না। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে প্রধান কোচ তামিমের মন্তব্যকে হালকাভাবে নেননি, এই বলে যে, ‘এটি ঘরোয়া ক্রিকেট নয়।’
তামিম ৩৭টি ম্যাচে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দিয়ে ২১টিতে বিজয়ী হয়েছেন। তার নেতৃত্বে, টাইগাররা বিশ্বকাপ সুপার লিগের মাধ্যমে এই বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। তামিম সফলভাবে তার ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে পারলে বিশ্বকাপে খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ দলের অংশ হতে পারেন।
তামিম বলেন, ‘আমি দুঃখ পাব। ‘কিন্তু সবার স্বপ্ন একই। দলের কথা উঠলে আমাদের ব্যক্তিত্বকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। দলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: গণভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তামিম
১ বছর আগে
বিএসএমএমইউ কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদ পেতে জালিয়াতির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চাকরির মেয়াদ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে জালিয়াতি ও অসঙ্গতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে দাখিলকৃত নথি অনুযায়ী, ডা. আতিকুর বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী এবং পরে পূর্ণ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
বিএসএমএমইউতে চাকরি স্থায়ী করতে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম হাসপাতালে বিল জালিয়াতির চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
ডক্টর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মঙ্গলবার ইউএনবিকে ফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদনে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে কোনো অনিয়ম নেই।
রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. আতিকুরকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছিল।
তিনি ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য পুনরায় নিযুক্ত হন।
১৯৬৯ সালে জন্ম নেওয়া আতিকুর ১৯৯৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিসিন ও সার্জারিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ডাক্তারের মেডিসিন ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ান থেকে তার এফসিসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি: ৭ কনটেইনার পণ্য জব্দ
১ বছর আগে
রাঙাকে জাতীয় পার্টির সব পদ থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সংবিধানের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গৃহীত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা এখনও সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ পদে আছেন।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার সময়েই এমন অপসারণের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ আকস্মিক ২৬ নভেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন।
এর একদিন পর জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে সংসদের প্রধান বিরোধী নেতা করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
২ সেপ্টেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।
দলটির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পদচ্যুত করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
২০২০ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙাকে পদ থেকে সরিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ওই পদে মনোনয়ন দেন।
এরপর বাবলু মারা গেলে গত বছরের ১০ অক্টোবর দলের কো চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
২ বছর আগে
জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা মেয়াদ শেষে পদে থাকতে পারবে না
মন্ত্রিসভার অনুমোদিত জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০২১-এর খসড়া অনুসারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কোনো অজুহাতে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে পদে থাকতে পারবেন না।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যুক্ত হন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হলে তাদের পদ ছাড়তে হবে। পরবর্তী কাউন্সিল (পরিষদ) গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংস্থা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করবে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন,সভায় প্রস্তাবিত আইনটি পেশ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধিত) আইন ২০২১-এর মতো একই রকম পরিবর্তন আনা হয়েছে এই আইনে। কারণ কিছু স্থানীয় প্রতিনিধি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিভিন্ন অজুহাত ও আইনি জটিলতার সুযোগে ১৪-১৫ বছর তাদের পদে বহাল থাকে।
তিনি আরও বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) জেলা পরিষদের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
চাকরি: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ
পিডিবি - বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে আগ্রহী প্রার্থীদের। ৩১ জন নেবে পিডিবি ২টি পদে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন করা যাবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
পদের বিবরণ ও বেতন স্কেল:
১. বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী পরিচালক (হিসাব/অর্থ/অডিট/বাণিজ্যিক পরিচালন) পদে নিয়োগ।
পদসংখ্যা: ১১।
বেতন স্কেল: ২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা। এ ছাড়া প্রচলিত অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
বাণিজ্যে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর। কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগের নিচে ফল হলে আবেদন করতে পারবেন না । বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে।
২. বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে হিসাবরক্ষক পদে নিয়োগ।
পদসংখ্যা: ২০।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
এ ছাড়া প্রচলিত অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
বাণিজ্যে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর। তবে কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগের নিচে ফল হলে আবেদন করতে পারবেন না ।
চাকরির ধরন: স্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
কর্মস্থল: যেকোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও আরও জানতে ভিজিট করুন www.bpdb.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।
আবেদন ফি: টেলিটক সিমের মাধ্যমে আবেদন ফি ৬০০ টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ।
৩ বছর আগে