সোনিয়া মেহজাবিন
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া ও তার স্বামীসহ ৩ জন একদিনের রিমান্ডে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
একই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
গত ৭ অক্টোবর সাজ্জাদ ইসলাম নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী হাতিরঝিল থানায় মামলাটি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ই-অরেঞ্জের চমকপ্রদ অফার দেখে তিনি, তার ভাই এবং এক বন্ধু গৃহস্থালি পণ্য ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ই-অরেঞ্জ পণ্য সরবরাহ না করে তাদের অর্থ আত্মসাৎ করে।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের আরেক গ্রাহক। ওই দিনই সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় আমান উল্যাহকে।
২৩ আগস্ট এ তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। কয়েকটি মামলায় বেশ কয়েক দফা তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
৩ বছর আগে
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি হলেন ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহ।
বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। একই সাথে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত বিচারক এ আদেশ দেন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালত ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ১৭ আগস্ট সকালে গুলশান থানায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জনও উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহারে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।
আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমান উল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
৩ বছর আগে