বাইচ
কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরে ২৪ বছর পর গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাইচ ঘিরে জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছে ধরলার দুই তীর। নৌকা খেলাকে ঘিরে বসেছে হরেক রকমের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান। দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। দর্শকদের এই উপচে পড়া ভীড়ে ধরলার দুই তীর হয়ে উঠে জনসমুদ্র।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ধরলা নদীতে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি মহিষ ও দ্বিতীয় পুরস্কার একটি গরু ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে একটি ফ্রিজ উপহার দেন আয়োজকরা।
ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলার ছোট বড় মিলে ২২টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারির ঝাড় এলাকার ৭১ এর সৈনিক এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার উড়ালচণ্ডী নামে নৌকাটি।
১১ দিনব্যাপী এ খেলায় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সাত ভাই এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, উড়ালচণ্ডী, ফুলবাড়ি উপজেলার বাংলা বাজার এন্টারপ্রাইজ, দশ বন্ধু, মামা ভাগ্নে, হলোখানা ইউনিয়নের দশের দোয়া ও একতা,গাজী সৈনিক, রৌমারী ও জামালপুর, গাইবান্দার তুফান তরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৭১ এর সৈনিকসহ অন্যান্য নৌকা।
আরও পড়ুন: তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘নৌকা বাইচ’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
করোনা মহামারি পরিস্থিতির জন্য বিগত দুই বছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তাই ভাদ্রের প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে এসেছেন নদীর দুই পাড়ের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তারা তীরবর্তী ভবনের ছাদ, বিভিন্ন ঘাট ও নৌযানের ওপর বসে প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। আবার কেউ কেউ নৌকা ভাড়া নিয়ে পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।
তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার শিমরাইল কান্দি গাঁওগ্রাম পয়েন্ট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে পৌর এলাকার মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পর্যন্ত (প্রায় দেড় কিলোমিটার) গিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ হয়।
প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি নৌকা অংশ নেয়। এরমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের ছয়টি করে এবং কিশোরগঞ্জের একটি নৌকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
প্রথম চারটি ধাপে ১৩টি নৌকা প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। প্রত্যেকটি ধাপ থেকে একটি করে বিজয়ীসহ চারটি নৌকা চুড়ান্ত প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়।
বিকাল আড়াইটায় তিতাসের শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম পয়েন্টে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উদ্বোধনের পর রং-বেরঙের বাহারি পোশাক পরিহিত প্রতিযোগী নৌকা বাইচের মাঝিদল তাদের সুসজ্জিত নৌকা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এসময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।
এ সময় বাইচ নির্বিঘ্ন করতে নদীতে জেলা পুলিশ ও নৌ পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়।
প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্টে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারী নৌকাকে এক রাখ টাকা, ২য় অধিকারী নৌকাকে ৬০ হাজার টাকা ও ৩য় অধিকারী নৌকাকে ৩০ হাজার টাকা পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া বাকি অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক দলকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
নৌকা বাইচে সহযোগীতায় ছিলেন দারাজ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানী লিমিটেড ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
২ বছর আগে
সিলেটে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
সিলেট, ৩ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- সিলেট সদর উপজেলার ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এলাকার চেঙ্গের খাল নদীতে বৃহস্পতিবার এক ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আনন্দে মেতেছিল এলাকাবাসী। বাইচের নৌকার মাঝি-মাল্লারা নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তুলে এলাকা। বিপুল সংখ্যক মানুষ ছোট ছোট নৌকা নিয়ে, কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন নৌকা বাইচ। বাইচে অংশ নিয়ে এলাকার মানুষদের আনন্দ দিতে পেরে খুশি মাঝি-মাল্লারা।
প্রতিযোগিতায় ১০টি নৌকার মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলার 'ছাতার খাই' নৌকা প্রথম হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে ১৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আর দ্বিতীয় হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার 'লেংগুরা'। তৃতীয় হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলার ‘দক্ষিণ কাঞ্চন’।
প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ছিল একটি গরু, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ছাগল এবং তৃতীয় পুরস্কার ছিল একটি এলইডি টিভি।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ চুনু মিয়ার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিল্লাত আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতার পদত্যাগ
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া।
৩ বছর আগে