বিআরটি
খুলে দেওয়া হলো বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ
কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত একটি ফ্লাইওভারের ময়মনসিংহ মুখী দুইটি লেন।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। কমেছে সড়ক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ।
আরও পড়ুন: আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে ফ্লাইওভারের দুইটি লেন উন্মুক্ত করার পর স্বাভাবিক গতিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে এসব যানবাহন বিকল্প পথে নাওজোড় হয়ে চলাচল করত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী দুইটি লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমেছে।
বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী রাসেল রানা জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী লেনও খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দুইটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত নির্মাণ।
এদিকে ৬ বছরে কাজ শেষ করার থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রকল্প ব্যায়। সময় ফুরিয়ে গেলেও কাজ এখনো ফুরোয়নি।
যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
বিআরটি গার্ডার ট্র্যাজেডি: দুর্ঘটনার ১২ কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত সংস্থা
গত মাসে উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর জন্য চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটিকে দায়ী করা হয় ।
রবিবার সচিবালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী এ তথ্য জানান।
তদন্ত সংস্থা দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ করপোরেশন বা সিজিজিসিকে দায়ী করেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
পৃথকভাবে, তদন্ত সংস্থা দুর্ঘটনার পিছনে বারোটি পরিস্থিতিগত কারণ নির্দেশ করেছে। এগুলি নিম্নরূপ:
১. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো দিনের বেলা গার্ডারটি স্থানান্তর করছিল, যা দুর্ঘটনার পিছনে প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি।
২. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো পূর্বানুমতি না নিয়েই সরকারি ছুটি উপেক্ষা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৩. ক্রেনটি একজন সহকারী অপারেটর বা ক্রেনের প্রধান অপারেটরের সাহায্যকারী দ্বারা চালিত হয়েছিল।
৪. এমনকি অপারেটরের কোন লাইসেন্স ছিল না।
৫. একটি ভাঙা রাস্তায় ক্রেনটিকে চালাতে দেখা গেছে। ৬. ক্রেনে কোন ডিজিটাল মনিটর ছিল না।
৭. শ্রমিকরা কাজের জন্য কোনো পূর্বানুমোদন নেয়নি।
৮. কোন নির্দিষ্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ছিল না।
৯. ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কর্মীদের অযোগ্যতা।
১০. নিরাপত্তা প্রকৌশলীর অভাব।
১১. কোন জরুরি পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা ছিল না।
১২. ওই দিন যারা কাজ করতে দেখা গেছে তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়নি।
দুর্ঘটনার কয়েকদিন পর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, সরকারি তদন্তে ট্র্যাজেডির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
তদন্ত সংস্থা চুক্তি অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়াসহ কিছু সুপারিশও প্রদান করেছে। এগুলি হলো-নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য পূর্বানুমতি নিন; প্রকৌশলী, পরামর্শক, পুলিশ, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক সংক্রান্ত কাজের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে; গার্ডারের মতো ভারী জিনিসগুলি স্থানান্তর করা উচিত সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পর রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত; জরুরি ঘটনায় ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্প এলাকায় স্ট্যান্ডবাই ক্ষমতার ক্রেন বা রেকার, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি ডাক্তার রাখতে হবে।
কমিটি পূর্ব সম্মতি অনুযায়ী দুর্ঘটনায় আহতদের খরচ বহন করার পরামর্শ দিয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন।
ঘটনার পরদিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ছয় সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মর্মান্তিক ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অবহেলার কারণে মৃত্যুর এফআইআরে কারও নাম নেই। তবে ক্রেন অপারেটর এবং প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ কো. লিমিটেডের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
২ বছর আগে
গার্ডার দুর্ঘটনা: চালকসহ ১০ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়সহ (২৫) দশজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিদের আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আল-আমিন, রাকিব ও জুলফিকারকে দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসীন গাজী।
শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিনজনকে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্রাজেডি: ক্রেন চালকসহ গ্রেপ্তার ৯
এছাড়া রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), মো. ইফতেখার হোসেন (৩৯), আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), রুহুল আমিন মৃধা (৩৩) ও মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে (২৯) সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে বিচারক তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: গার্ডার দুর্ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
উত্তরায় গার্ডার ট্রাজেডি: ক্রেন চালকসহ গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় বুধবার ক্রেনের চালকসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদরদপ্তরের (মিডিয়া উইং) এএসপি ইমরান খান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এলিট ফোর্স চালকের সহকারী, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের একজন নিরাপত্তা প্রহরীসহ ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে মোট নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন-হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: গার্ডার দুর্ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
গার্ডার দুর্ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেট কারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহতের প্রত্যেকের জন্য এক কোটি করে মোট পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, রোড অ্যান্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খানের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদেশে উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে জনগণের নিরাপত্তার জন্য বিআরটি কর্তৃপক্ষ গত পাঁচ বছরে কী কী ব্যবস্থা/পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে এই রিটের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গত ১৫ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের দুই শিশুসহ নিহত পাঁচ যাত্রী নিহত হন। গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা যান। নিহতরা হলেন— রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), ফাহিমা, জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। আহত নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়ামনি (২১) উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জনগণের চলাফেরায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে বুধবার রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
এছাড়া একই ঘটনায় আজ সকালে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও আইন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেন। রিটে দুই শিশুসহ নিহত পাঁচ যাত্রীর প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রোড অ্যান্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। এ রিট আবেদনটির ওপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
২ বছর আগে
উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উত্তরা বিআরটি গার্ডার দুর্ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন। এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
‘দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করেন, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কীভাবে এটি করলেন। একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে’, প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন-হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলে রেল যোগাযোগ চালু
২ বছর আগে
উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডির তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিটি মঙ্গলবার সকালে প্রথামিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে। আগামী দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
২ বছর আগে
উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহত ফাহিমা ও ঝর্ণার ভাই আফরান মন্ডলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান।
ওসি বলেন, ‘মামলায় বাদী ক্রেন অপারেটর এবং সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।’
এ দুর্ঘটনার জন্য ক্রেন অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের অবহেলা দায়ী কি না তা পুলিশ তদন্ত করবে।
এর আগে সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
২ বছর আগে
বিআরটি প্রকল্প পরিদর্শনে গাজীপুরে ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পটি জনগণের জন্য অনেক বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির কারণ হয়েছে। সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বস্থার কারণে বর্ষাকালে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আমি আশা করি এই ভোগান্তির শেষ বর্ষা এটাই।’
তিনি জানান, সড়কের নিচের দিকে যেহেতু আর কাজ নেই, তাই ভোগান্তির দ্রুত অবসান হবে বলে আশা করছি। শুক্রবার সকালে টঙ্গীর চেরাগ আলী মার্কেট এলাকায় প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু
প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৬৩ ভাগ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহু প্রত্যাশিত মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের সঙ্গে ২০২২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিআরটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক চান কাদের
জনসাধারণের ভোগান্তির প্রতি সহমর্মীত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনও নির্মাণকাজের একটু ভোগান্তি আছে। এই প্রকল্পেও আপনাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এই ভোগান্তির শেষ হয়ে আসছে।’ এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিন ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
৩ বছর আগে