স্মার্ট কার্ড
টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্য দূর হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মালিবাগে দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ এবং চলতি মাসের চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে উল্লেখ করে কার্ড পেতে কার্ডধারীদের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তার চেয়েও বেশি মানুষকে সরকার ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডিম ও আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিমের একটি চালান দেশে আসার পর সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে দেশের উৎপাদনে উপর। এখন পেঁয়াজের শেষ সময়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করে থাকি। কিন্তু ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রথমে ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে। এর কিছুদিন পরেই প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আট শো ডলার নির্ধারণ করে। যাতে করে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে দাম বেশি।
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরেও চালান আসতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলাম বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সনদ নিতে হবে। এসব শর্ত পূরণে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় দেশে চালান আসতে দেরি হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে এবং মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে এবং আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
১ বছর আগে
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
অতি গুরুত্বপূর্ণ নথি হওয়া সত্ত্বেও কাগজের ড্রাইভিং লাইসেন্স তোলা নিয়ে ছিলো হাজারও ঝামেলা। গ্রাহকদের অনেকবার দ্বারস্থ হতে হতো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএর।দেশের ডিজিটালকরণ কার্যক্রম অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলোর মত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিকেও সহজ করতে শুরু করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ডের মত ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্যও প্রস্তুত করা হয়েছে স্মার্ট কার্ড। এই বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সারা দেশ জুড়ে গাড়ি চালনায় বৈধতার স্বীকৃতি দিবে। চলুন, এই স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড পাওয়ার উপায় জেনে নেওয়া যাক।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স কী
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে এর তদারকের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিআরটিএর নতুন পরিষেবা স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স।
এই স্মার্ট কার্ডে একজন গাড়ি চালকের জীবন বৃত্তান্ত সহ গাড়ি চালনার সব তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। এর মাধ্যমে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় চালকের বৈধতা যাচাইয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের তদারকের কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
২০১৬ সালে এই কার্যক্রম শুরু হলেও স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি নিয়ে ছিলো সমূহ জটিলতা। পূর্বে বিএসপি (বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল) পোর্টালে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আলাদা ভাবে আবেদন করতে হতো।
কিন্তু ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এই দুটিকে একত্রীত করে একটি কম্বাইন্ড অনলাইন ফর্ম চালু করা হয়। শুধু তাই নয়, আবেদন পদ্ধতি এবং স্মার্ট কার্ড প্রদান আরও সহজতর করার জন্য এসময় আরও কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।
চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেই বিধিমালা।
বিআরটিএর নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর সুবিধাগুলো
১) নতুন নিয়মে আবেদনকারীকে ৩ থেকে ৪ বারের পরিবর্তে শুধুমাত্র একবার পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয়। আর এই একদিনেই লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টও সম্পন্ন করা হয়।
২) বিএসপি পোর্টালে নিবন্ধনকারীগণ ঘরে বসেই অনলাইন ভেরিফিকেশন বেজড কিউআর কোড সম্বলিত লার্নার লাইসেন্স পেয়ে যান। এটি মুলত স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সারা দেশে মোটরযান চালনার অস্থায়ী অনুমতিপত্র।
৩) এছাড়াও এই পোর্টালের সেবার মধ্যে আছে লাইসেন্স ফি প্রদান, পরীক্ষার ফল জানা, স্মার্ট কার্ড আবেদন দাখিল, এবং আবেদনপত্র বা স্মার্ট কার্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস জানার সুবিধা।
৪) ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর এই স্মার্ট কার্ড প্রতিটি গ্রাহকের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্তগুলোই এই আবেদনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ গাড়ি চালনার জন্য আবেদনকারীর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা থাকতে হবে। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২১ বছর এবং অপেশাদারের বেলায় ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সী হতে হবে।
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো-
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য যে কাগজপত্র প্রয়োজন, তার অধিকাংশই এই আবেদনের ক্ষেত্রেও দরকার। অর্থাৎ-
১) আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩০০/৩০০ পিক্সেল)
২) রেজিষ্টার্ড ডাক্তারের নিকট থেকে সংগৃহীত মেডিকেল সনদপত্র
৩) আবেদনকারীর এনআইডি
৪) আবেদনকারীর গ্যাস/বিদ্যুৎ/পানি যে কোন ১টি (আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা তার এনআইডি থেকে ভিন্ন হলে, বর্তমান ঠিকানার ১টি ইউটিলিটি বিল)
৫) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অতিরিক্ত নথি হিসেবে লাগবে
১) লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসের প্রমাণপত্র
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য এই লিঙ্কগুলো দেখুন-
http://www.brta.gov.bd/site/page/511a7af4-20c8-4450-b4a6-5f92dde1b23f/-
http://www.brta.gov.bd/site/page/4258fc8f-8aec-4895-b11d-a0b33b489af2/-
উল্লেখ্য, এই নথিগুলো অনলাইন আবেদনের পূর্বেই স্ক্যান করে প্রস্তুত রাখতে হবে। পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যান করা ফাইল ১৫০ কেবি(কিলোবাইট), আর বাকি সবগুলো ফাইলের সাইজ ৬০০ কেবির বেশি হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
অনলাইনে বিআরটিএর নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর আবেদন পদ্ধতি
অনলাইনে আবেদনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে বিএসপি পোর্টালে (https://bsp.brta.gov.bd/)।
আবেদনের জন্য প্রথমেই নিবন্ধনের মাধ্যমে এই পোর্টালের অধীনে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এই অ্যাকাউন্টে ড্রাইভিং সম্পর্কিত গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য জমা থাকবে। চলুন, ধাপে ধাপে এই আবেদন প্রক্রিয়াটি জেনে নেয়া যাক-
নিবন্ধন
প্রথমে বিএসপি পোর্টালের একদম উপরে ডানদিকে ‘নিবন্ধন’ মেনুতে ক্লিক করতে হবে। পুরো নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য গ্রাহকের জন্ম তারিখ, এনআইডি এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
মোবাইল নাম্বারে আসা ওটিপি (ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড)- এর মাধ্যমে মোবাইল নাম্বারটি যাচাই করে নিতে হবে। তারপর পাসওয়ার্ড নির্ধারণের মাধ্যমে শেষ হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
এখন প্রদত্ত মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে বিএসপি পোর্টালে। যারা ইতিপূর্বে নিবন্ধন করেছেন, তারা এই সাইটের ‘প্রবেশ করুন’ মেনুতে যেয়ে লগইন করে সরাসরি নিজেদের অ্যাকাউন্টে চলে যেতে পারবেন।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
লগইনের পরপরই আসবে গ্রাহক ড্যাশবোর্ড। এর বামদিকে প্রদর্শিত মেনুগুলো থেকে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’- এর সাবমেনু ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন’-এ ক্লিক করতে হবে।
এবার যে নতুন পেজটি আসবে, তাতে আবেদনের পূর্বশর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট দেখানো হবে। ‘এখানে ক্লিক করুন’ লিঙ্ক থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এই ফর্মের ভিত্তিতে রেজিস্টার্ড ডাক্তার বা মেডিকেল অফিসারের নিকট থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
উপরন্তু, পেজে উল্লেখিত শর্তগুলো মেনে ‘আমি সম্মত’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
আরও পড়ুন: ভুয়া এনআইডি-ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, আটক ৫
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য
এই ধাপের মাধ্যমেই শুরু হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ৫টি ধাপ সমন্বিত আবেদন প্রক্রিয়া। যেহেতু পূর্বে একবার এনআইডি সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাই এখানে সে অনুসারে প্রাথমিক তথ্যাবলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে। তারপর ২য় ধাপে যাওয়ার জন্য ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্য
এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভাষা, ধরণ, মোটরযানের শ্রেণি, আবেদনকারির ধরণ বাছাই করতে হবে। শিক্ষানবিশ বা লার্নার এবং স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়টি এখানেই নির্ধারণ করতে হবে আবেদনের ধরণ নির্বাচনের মাধ্যমে।
তারপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করলে তথ্য সফলভাবে সংরক্ষিত হয়েছে- এই মর্মে একটি পপআপ বার্তা আসবে। তাতে ‘ওকে’ করে পরের ধাপে যেতে হবে।
আবেদনকারির প্রাথমিক তথ্য
এখানে কিছু তথ্যাদি এনআইডি অনুসারে আগে থেকে প্রদর্শিত থাকবে। কিছু তথ্য টাইপ করে লিখতে বলা হবে। তন্মধ্যে লাল তারকা চিহ্নিত বক্সগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এনআইডির বাইরে আবশ্যিক তথ্য হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের গ্রুপ, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা এবং দ্বৈত নাগরিকত্ত আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে। এরপর ‘নেক্সট’- এ ক্লিক করে পূর্বের ন্যায় পপআপ বার্তায় ‘ওকে’ করতে হবে।
ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য
এই ধাপে আবেদনকারির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সহ জরুরি যোগাযোগের তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এনআইডিতে থাকা স্থায়ী ঠিকানা বামদিকে বাংলায় প্রদর্শিত থাকবে, আর ডানদিকে সেগুলো ইংরেজিতে লিখতে হবে।
বর্তমান ঠিকানা যদি এখনও অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে ডান দিকে একইভাবে ইংরেজিতে লিখতে হবে। তা না হলে ‘না’ বাটনে ক্লিক করে পরিবর্তিত বর্তমান ঠিকানা বাম পাশে বাংলায় আর ডান পাশে ইংরেজিতে টাইপ করে লিখে দিতে হবে। তারপর সেই আগের মত ‘নেক্সট’ এবং ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
সংযুক্তি ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ তথ্য
এই শেষ ধাপে আগে থেকে সংগ্রহে রাখা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপিগুলো সংযুক্ত করতে হবে। ‘চুজ ফাইল’-এ ক্লিক করে সফলভাবে আপলোড করার পর ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করলে ফাইলগুলো সংযুক্ত হয়ে যাবে। ‘দেখুন’ বাটনে ক্লিক করে তা একবার দেখে নেয়া যেতে পারে।
ডাকযোগে কার্ড প্রেরণের জন্য ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্দিষ্ট করা থাকবে। তবে গ্রাহক কার্ড প্রাপ্তির জন্য নিজের সুবিধা মত স্থায়ী বা বর্তমান যে কোন ঠিকানা বাছাই করতে পারেন। এমনকি এর বাইরে অন্য জায়গাও তিনি ঠিক করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ‘আদার্স’ নির্বাচন করে পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করে দিতে হবে।
সবশেষে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করার পর শেষ বারের মত তথ্য যাচাই করতে বলা হবে। এখানে কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন হলে আবেদনকারি প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করে নিতে পারবেন। আর সব কিছু ঠিক থাকলে ‘ফি জমা’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ফি জমা
এখানে মনে রাখা জরুরি যে, এখানে শুধুমাত্র লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
পুরো আবেদনটি প্রথমে এক নজরে দেখানো হবে। সব ঠিক থাকলে ‘ফি জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘পেমেন্ট কনফারমেশন’ পেজে যেতে হবে। এখানে মোবাইল নাম্বার সহ ফি জমা দেয়ার মাধ্যম উল্লেখ করার পর পেমেন্ট শর্তাবলির পাশের বক্সটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। তারপর ‘নিশ্চিত’ বাটনে ক্লিক করলে ফি সফলভাবে জমা হওয়ার একটি পেজ প্রদর্শিত হবে।
এখানে ‘প্রিন্ট লার্নার’ বাটনে ক্লিক করলে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ‘হেয়ার’ বাটনে ক্লিক করলে মানি রিসিপ্ট প্রিন্ট হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর জন্য আবেদন
অনলাইন আবেদনের এই অংশে আসার পূর্বে অবশ্যই ড্রাইভিং- এ দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিএসপি পোর্টালে গ্রাহক ড্যাশবোর্ডে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন’ মেনুতে ক্লিক করলে দেখা যাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ হওয়ার বার্তাটি। এছাড়া আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারেও জানানো হবে পরীক্ষার ফলাফল।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তি
‘দেখুন ও পরবর্তী ধাপ’ বাটনে ক্লিক করলে সংযুক্তির পেজটি প্রদর্শিত হবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের সময় সংযুক্ত নথিগুলো এখানে আগে থেকেই সংযুক্ত দেখাবে।
আলাদা ভাবে আপলোড করতে হবে পাস লার্নার; তথা ড্রাইভিং দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা উত্তীর্ণের প্রমাণপত্র। এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথির সংযুক্ত করা যেতে পারে।
ফি পরিশোধ
ব্যাংকের মাধ্যমে ফি দিতে হলে ‘ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা’ আর অনলাইনে দিতে হলে ‘অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফি জমা’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনের ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট পেজে ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করে পরিশোধ সম্পন্ন করতে হবে।
আর ব্যাংকের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রদত্ত মানি রিসিপ্টে উল্লেখিত ই-ট্র্যাকিং নাম্বারটি সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর তা ‘ই-ট্র্যাকিং নম্বর প্রবেশ করুন’ ঘরে লিখে ‘ই-ট্র্যাকিং নম্বর যাচাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরিশোধের যাবতীয় তথ্য এক নজরে প্রদর্শন করা হবে। তারপর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করলেই চূড়ান্ত ভাবে সম্পন্ন হবে ফি পরিশোধ।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন দাখিল করা শেষ। এখন এটি বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত হলে ড্যাশবোর্ডে ই-পেপার লাইসেন্স ফর্ম প্রদর্শন করা হবে। এটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও স্মার্ট কার্ড আসার আগ পর্যন্ত লাইসেন্সের সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হবে ড্যাশবোর্ডে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতির সার্বিক কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে ড্যাশবোর্ডে তা প্রদর্শন করা হবে। পরিশেষে আবেদনে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডটি।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শুধুমাত্র বিএসপি পোর্টালের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে। যে কোনও একটি মোটরযানের জন্য ফি ৫১৮ টাকা, আর দুইটি মোটরযানের জন্য ফি ৭৪৮ টাকা।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের সময় ১০ বছর মেয়াদী অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য দিতে হবে ৪ হাজার ৫৫৭ টাকা। আর ৫ বছর মেয়াদের পেশাদার লাইসেন্সের জন্য খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৮৩২ টাকা।
শেষাংশ
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় প্রথম সতর্কতা হলো প্রতিটি তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া। কোনও ভুয়া তথ্য দেওয়া হলে লার্নার এবং স্মার্ট কার্ড উভয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্যদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত, দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি আমলে নিতে হবে। কেননা অকৃতকার্য হলে আবার নতুন করে পরীক্ষার জন্য তারিখ চেয়ে আবেদন করতে হবে। তাই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড হাতে পেতে হলে এই বিষয়গুলোতে সতর্কতা অবলম্বন বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
১ বছর আগে
স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)।
এবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের চেষ্টায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এ কার্ড সিস্টেম চালু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে কার্ড তৈরির জন্য সকল ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল ও দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান বলেন, এই স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি ব্যবহার করে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ লাইব্রেরিতে চেক ইন, চেক আউট, সেলফ বুক ইস্যু, সেলফ বুক রিটার্ন, অটো গেট পাশ, বুক হোল্ডিং ইত্যাদি সুবিধা পাবেন।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটলাইজেশনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন, ডি-নথির বাস্তবায়ন, আবাসিক হলের সিট বুকিং, অ্যাপ ব্যবহার করে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের রুম বুকিং, অনলাইনে চাকরির আবেদন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট ক্লাস রুম, প্রশিক্ষণ কক্ষ, ল্যাব উল্লেখযোগ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিলাইজেশনের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।
ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিলক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তা বাস্তবায়নে সকল পর্যায় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে সব দিক থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার মূল চাবিকাঠি হলো ডিজিটাল সংযোগ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এই উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
১ বছর আগে
টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিম্নআয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে টিসিটির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের পাইলটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে লেখা সকল কার্ড কিউআর কোড সম্বলিত স্মার্ট কার্ডে রুপান্তর করা হবে। যার কাজ চলমান রয়েছে। এসব কার্ড স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তিত করলে অসঙ্গতিগুলো দূর করা সহজ হবে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় টিসিবি আয়োজিত সারাদেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের টিসিবি পণ বিক্রয় কার্যক্রম এবং উত্তরা এলাকায় টিসিবি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, আমরা সবাই জানি করোনা মহাসংকটের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষদের মধ্যে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নতসহ অনেক দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের বেশি ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্ববাজার বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে দেশের এককোটি পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে একবার দিলেও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় বার দেওয়া হচ্ছে এবং আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বিতরণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন তাদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করেন। সেজন্যই তিনি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী অর্থাৎ প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন সদস্য হলেও প্রাই পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ মানুষকে সাশ্রয়ী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্ত প্রধানমন্ত্রী তা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তা বাস্তবায়ন করছি।
কার্ডধারীর সংখ্যা এককোটির বেশি করার চিন্তা সরকারের আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন যে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে এছাড়াও কিছু সংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা অর্থাৎ যারা বাদ পড়েছেন আমাদের নিকট আসছে তবে সংখ্যা খুব বেশি নয়। তারপরও আমরা বিশেষ বিবেচনায় বাদ পড়া মানুষকে পণ্য দিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পণ্য মজুদের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুদ আছে। বিগত কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এ বছর আমরা সরবরাহ ও বিতরণে শক্ত অবস্থানে আছি।
পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত এরপরেও বাজারে দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাজারে সব পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। এ বিষয়ে একটা মিস কনসেপসন আছে যে মূল্য বৃদ্ধি মানেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্ত। ব্রয়লার মুরগি, মাংস ও মাছসহ কিছু পণ্য অন্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি, যাতে দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে রাখা সম্ভব হয়।
টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে টিসিবি পণ্যে সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে উত্তরা এলাকায় আজকে এই সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধন করা হলো। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে পণ্য মজুদ করে কার্ডধারীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডি্য়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মালিকদেরকে মালিকানা সংক্রান্ত স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ কার্ডের মধ্যে মালিকের ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)’ আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি মালিকদের একটি আলাদা কার্ড থাকবে। যার নাম হবে সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ (ভূমি মালিকানার সনদ)। একজন ব্যক্তির কতটুকু জমি আছে, তার আদ্যপান্ত উল্লেখ থাকবে কার্ডটিতে এবং তা অটো (স্বয়ংক্রিয়ভাবে) হালনাগাদ হবে।
তিনি আরও বলেন, এক ব্যক্তির ২০ কাঠা জমি আছে, সেখান থেকে পাঁচ কাঠা তিনি বিক্রি করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হয়ে যাবে। কার্ড দেয়ার জন্য কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরেই দেয়া হবে এটি। একজন জমি মালিকের কি আছে, না-আছে, তা এতে থাকবে।
আরও পড়ুন: ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোতে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে এখনও মানুষকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্তু তা সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। অভিযোগগুলো শোনার জন্য আমরা কল সেন্টার করেছি। তা আরও হালনাগাদ করা হচ্ছে। কল সেন্টারে বিদেশ থেকেও ফোন করে সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আমরা হয়রানির জায়গাটা কমিয়ে এনেছি।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন: ওয়ান স্টপ সার্ভিস শিল্প স্থাপনে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত জটিলতা দূর করবে: ভূমিমন্ত্রী
আ.লীগের প্রতি বরাবরই দুর্বলতা আছে পুলিশের: ভূমিমন্ত্রী
২ বছর আগে
কৃষকদের ডিজিটাল আইডি ও স্মার্ট কার্ড দিবে সরকার
প্রকৃত কৃষকদের কাছে প্রণোদনা ও অন্যান্য সেবা দ্রুত পৌঁছে দিতে তাদের জন্য ডিজিটাল আইডি ও স্মার্ট কার্ড প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার একনেক সভায় তোলা হবে।
এ জন্য পাঁচ কোটি কৃষকদের মধ্য থেকে এক কোটি ৬২ লাখ কৃষককে ডিজিটাল প্রোফাইল দেয়া হবে। এক কোটি ৯২ লাখ কৃষককে স্মার্ট কৃষি কার্ড দেয়া হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মী ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ এক কোটি ৬২ লাখ কৃষকের সঙ্গে ডিজিটালভাবে যোগাযোগ করবেন এবং এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী তথ্য বিনিময় ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি প্রকল্পের আওতায় এসব উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রকল্পটির প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ১০৭ দশমিক ৯২ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: গোদাগাড়ীতে টমেটো চাষে কৃষকের রঙিন হাসি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি শাখার দায়িত্বে থাকা একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকদের প্রণোদনা দিলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়া অনেক কৃষক ১০ টাকার কৃষি কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এ জন্য প্রাথমিকভাবে লাখো কৃষককে কৃষি কার্ড দেয়া হবে। এরপর সারাদেশের কৃষকদের ধাপে ধাপে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটালভাবে শস্য জমি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ৯টি জেলায় স্মার্ট কৃষি কার্ড দেয়া হবে।
জেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ।
২ বছর আগে
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরও সচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ শত পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক এ সাইলোগুলো হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াকরণ হবে। কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি একনেকে ৩০টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য শস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।’
আরও পড়ুন: চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
আসন্ন নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জনতার আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফলভোগী সকলেই। এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছৌঁয়া লাগেনি। অথচ বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পায় না।
৩ বছর আগে
কেমন হবে আমাদের মেট্রোরেল?
দেশ আজ উন্নতির হাইওয়েতে। অনেক স্বপ্নিল প্রকল্পের মাঝে মেট্রো রেলও একটি। কাজ শুরু হয়ে গেছে। ধুলাবালি, কাদা, রাস্তা কাটাকাটির দুঃসহ ট্রাফিক জ্যামের মাঝে ও আশায় বুক বেঁধে আছি কবে এক নিমেষে ফার্মগেট,মতিঝিল চলে যাবো। পরিপাটি পরিচ্ছন, ধুমপান ও খাওয়া দাওয়া বিহীন ট্রেনের কামরায় বসে গন্তব্যে যাচ্ছি। মিষ্টি সুরে বলবে “পরবর্তী ষ্টেশন আগারগাঁও, দরজা বাম দিকে খুলবে, দরজা বন্ধ হচ্ছে ইত্যাদি”। স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট টিকেট সিস্টেম কত কিছুই না দেখবে এদেশের জনগন। আহ সেদিন আসিবে কবে?
সুদিন আসছে। রেল গাড়ির ট্রায়াল রান শুরু হয়ে গেছে। পূর্ণাঙ্গ চালু হতে বছর দুয়েক সময় লাগবে।
দুই দশকের ও কম সময়ের আগে যখন দিল্লি যাই তখন দেখি মেট্রো রেলের কাজ চলছে। দিল্লির লোকদের স্বপ্ন পর্ব চলছিলো। কিন্তু কলকাতা এদিকে এক ধাপ এগিয়ে ছিল। কলকাতায় পুরোদমে মেট্রো রেল চালু ছিল। লক্ষ্য করলাম কলকাতার কোচ গুলো চেন্নাই এর তৈরি আর দিল্লির জন্য জাপানি কোচের অর্ডার দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় রাজধানী ও প্রাদেশিক রাজধানীর একটা পার্থক্য থাকবেনা? যাক তা দেখা আমার বিষয় নয়।
২০১৭ সালে দিল্লি গিয়েছিলাম। বিমান বন্দর থেকে নিউ দিল্লি ষ্টেশন পর্যন্ত যথাযথ সুন্দর পরিপাটি মেট্রো রেলের দেখা পেলাম। পরবর্তী গন্তব্য গুলোতে যেতে টের পেলাম এটা কোন রেল। লোকজনের ভিড়, ধাক্কা ধাক্কি, মাথায় মালপত্র নিয়ে গায়ের উপর পড়ে যাওয়া কি এক বিচ্ছিরি কারবার। নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা। যাত্রীদের পোশাক আশাক, ঘামের গন্ধ, পান ও জর্দার সুবাস সব মিলিয়ে মেট্রো রেলের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। এতো লোক সংখ্যার শহরে আদর্শ মেট্রো রেল কিভাবে কাজ করবে। কোচ গুলির অনেক সিস্টেম কাজ করে না। মিষ্টি গলায় যাত্রীদের জন্য ঘোষণা আসে না।
কর্তৃপক্ষকে দোষ দেবার সুযোগ কই? মেট্রো রেলের সব কিছুই তারা ঠিক মত করেছে। কিন্তু পরিকল্পনাবিদরা ভাবেননি যে ভবিষ্যতে লোক সংখ্যা কি দাড়াবে? অশিক্ষিত জনগনের জন্য আধুনিক সিস্টেম নির্ভর মেট্রো রেল কতটুকু সুবিধাজনক ভাবে কাজ করবে। দিল্লি পৃথিবীর এক নম্বর নোংরা শহর। পরিচ্ছন্ন মেট্রো রেল এর সাথে সাথে এর আরোহীদের সাফ সুতরা করার কোন পরিকল্পনা ছিল কি? নিরাপত্তার নামে ষ্টেশন গুলোতে চেকিং ও মালপত্র স্ক্যানিং এর দীর্ঘ লাইন বিরক্তিকর ও বিব্রতকর। অনেক লাগেজের সাইজ এতো বড় যে স্ক্যানিং মেশিনে ঢোকে না। কলকাতা যাওয়া হয়নি। সেখানকার মেট্রো রেল দিল্লির মত কিনা জানি না।
আমরা সব কিছুতেই বিশ্বের এক নম্বর। আমাদের পরিকল্পনাবিদরা নিশ্চয় এসব দিক বিবেচনায় রেখেছেন যে আগামী দিনের জনসংখা ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমাদের কি রকম মেট্রো রেল হওয়া উচিৎ। এটা কি সিঙ্গাপুর জাপানের আদলে আদর্শিক কিছু নাকি মস্কোর মেট্রো রেলের ন্যায় শক্তিশালী ও কার্যকর একটা মেট্রো রেল হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তবে নির্মাণকালীন সময়ের দুর্ভোগ (যা শুরু হয়ে গেছে) কাটিয়ে যদি বেঁচে থাকি তাহলেই মেট্রো রেল দেখতে পাবো। অপেক্ষায় থাকলাম।
লেখক: কলামিস্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ
নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
৩ বছর আগে
বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘ডিজিটাল সনদ’ পাবেন: মন্ত্রী
দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
তিনি বলেন, ডিজিটাল সনদ একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে ইউনিয়ন নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একযোগে বিতরণ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ নূরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসনামল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রায় ১০ হাজার সনদ যাচাই বাছাই করে বাতিল করা হয়েছে। ‘প্রকৃতপক্ষে, দেশে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়া হবে।
৩ বছর আগে