সতর্কতা
দুর্যোগকালীন সময়ে যেন দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সতর্কতা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ‘দুর্যোগকালীন সময়ে একটি গোষ্ঠী খুশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব গোষ্ঠীর হয়তো দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।’
সোমবার আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
বন্যাপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলাই এখন বেশি জরুরি উল্লেখ করে হাসান আরিফ বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এরইমধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে।
বাংলাদেশে রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক এ অভিযোগের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে। সেজন্য এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে তার একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। এই সংস্কার করতে দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
নারীর ক্ষমতায়নে এলজিইডিকে সহায়ক ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের গ্রাম-বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এলজিইডি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে থাকে। গ্রামে গ্রামে চলমান কর্মযজ্ঞে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী খান ও মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৩ মাস আগে
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় সোমবার (১ জানুয়ারি) দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ইশিকাওয়া ও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলোর একটির রিখটার স্কেলের পাঠ ছিল ৭ দশমিক ৬।
সংস্থাটি ইশিকাওয়া অঞ্চলের জন্য বড় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। তবে হোনশু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের বাকি অংশের জন্য নিম্ন স্তরের সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, সুনামির সতর্কতা নেই
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
১১ মাস আগে
ভোটের আগে সীমান্তে সতর্কতা বাড়াবে বিজিবি-বিএসএফ
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় বা তার আগে নাশকতার ঝুঁকি এড়াতে অভিন্ন সীমান্তে সতর্কতা জোরদার করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কঠোর নজরদারি করতে সম্মত হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি সীমান্ত থেকে বোমা তৈরির উপকরণের কয়েকটি চালান জব্দের কথা উল্লেখ করেন।
শুক্রবার নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে তার বৈঠকে দুই দেশ সীমান্ত ও নিরাপত্তা, ব্যবসা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এবং উন্নয়ন সহযোগিতাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ‘বিস্তারিত আলোচনা’ করেছে।
উভয় পক্ষ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) উপআঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে ৭৩৯ জন গ্রেপ্তার
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: সারা দেশে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৩০ টহল দল মোতায়েন
২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ২০৮টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির জন্য প্রস্তুত থাকতে বাসিন্দাদের ক্রমাগত সতর্ক করছে মোট ৫১টি ফায়ার স্টেশন।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে, চলাকালীন ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সব ধরনের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। খুলনায় বিভাগীয় মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩টি জেলার ৫১টি ফায়ার স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে সার্চ ও রেসকিউ টিম, ফার্স্ট এইড টিম ও ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স, চেইন করাত, হাত করাত, রোটারি রেসকিউ করাত, স্প্রেডার, মেগাফোন, রাম জ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফার্স্ট এইড বক্স, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক এবং উদ্ধার সরঞ্জামসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় রাস্তাগুলোকে যান চলাচলের উপযোগী করতে ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
এসব এলাকায় জান-মালের সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্য দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস ব্যবহার করা যায়।
সব আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে উপকূলীয় ফায়ার স্টেশনেও আশ্রয় নিতে পারে। ফায়ার সার্ভিস মনিটরিং সেল, সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম এবং সব বিভাগীয় কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা খবর সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবে।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ বা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের জরুরি মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯-এ কল করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
১ বছর আগে
ভারী বৃষ্টির সময় ও পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ভয়াবহ দাবদাহে প্রাণ যখন প্রায় ওষ্ঠাগত, এক পশলা বৃষ্টি সেখানে যেন আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু বজ্রবৃষ্টি বা ভারী বর্ষণে এই বৃষ্টিই আবার হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। নিরাপদ আশ্রয়ে লুকানোর পরেও বজ্রপাতের দানবীয় গর্জনে হৃদস্পন্দন যেন প্রায় থেমে যাবার জোগার হয়। সেই সঙ্গে বন্যা ও ভূমিধ্বসের মতো তাণ্ডব লীলা ইট-পাথরে মজবুত কাঠামোকেও পরিণত করে ধ্বংসযজ্ঞে। ঝড় থামলেও হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই, কেননা এ সময় শুরু হয় মশা ও নানা কীট-পতঙ্গ জনিত রোগের ভয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সরাসরি মোকাবিলা করা অসম্ভব। কিন্তু আগে থেকে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো জানা থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে। চলুন, ভারী বৃষ্টিকালীন ও এর পরবর্তী সময়ে নিরাপদ থাকার উপায়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
ভারী বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সময় নিরাপদ থাকার উপায়
- গাড়ি চালানো অবস্থায় হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হলে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে দিন। অতিবৃষ্টিতে দিনের বেলায়ও চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এছাড়া পানি লেগে গাড়ির সামনের গ্লাস ঝাপসা হয়ে যায়, যা গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ সময় হেডলাইট জ্বালানো থাকলে অন্তত অন্য ড্রাইভাররা আপনার গাড়ি দেখতে পাবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
- গাড়ি চলমান থাকার সময় পানিতে প্লাবিত রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে। আপাত দৃষ্টে পানি যতটা দেখা যায় তার চেয়েও গভীর হতে পারে। তার নিচে ধারালো বস্তু, গর্ত এমনকি বৈদ্যুতিক তার থাকতে পারে। গর্তে বা অতিরিক্ত পানিতে আটকা পড়া যানবাহন প্রায় সময়ই অকেজো হয়ে যায়।
- বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্দেশ্য থাকবে একটা নিরাপদ স্থান দেখে গাড়ি পার্ক করা। কিন্তু তাই বলে তাড়াহুড়া করে জোরে ব্রেক চেপে ধরা যাবে না। যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে গতি একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় বৃষ্টির কারণে স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তার উপর টায়ার পিছলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে।
- গাড়ি পার্ক করার সময় বিদ্যুতের লাইনের নিচে, ইউটিলিটি খুঁটি বা সাবস্টেশনের পাশের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন। কেননা ভেজা থাকা বা দুর্যোগ জনিত কোনো ত্রুটির কারণে এগুলো বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকতে পারে। তাই এগুলোর সংস্পর্শে আসাটা বিপজ্জনক। এমনকি গাছের নিচের জায়গাগুলোও এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ডালপালা ও ধ্বংসাবশেষ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
১ বছর আগে
চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনভিত্তিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, টাইফুন সাওলার প্রভাবে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই দেশটির চার-স্তরের ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুন সাওলার জন্য চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবসা এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত রয়েছে। এমনকি স্কুলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবিচল নিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত কী করতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ চন্দ্রযান-৩: ভারতীয় মন্ত্রিসভা
টাইফুন সাওলা ঘণ্টায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ধীরে ধীরে গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের রাজ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা ত্রাণ সদর দপ্তর টাইফুন প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে ফুজিয়ান ও গুয়াংডং-এ সহায়তা কর্মী পাঠিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বলেছে, টাইফুন সাওলা শুক্রবার গুয়াংডং প্রদেশ এবং হংকং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়নের (এইচকেএসএআর) উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (স্থানীয় সময়) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাওলার পাশাপাশি টাইফুন হাইকুই ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম থেকে উত্তরের দিকে ধেয়ে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে, আর ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আরেকটি টাইফুন কিরোগি ধেয়ে আসছে।
টাইফুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে স্কুলের প্রথম দিন এবং উৎপাদন, ব্যবসা এবং পরিবহন স্থগিত করাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন অঞ্চলের সমস্ত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শেনজেন বাওআন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকল দেশয়ি ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শেনজেন টাইফুনের সতর্কতা স্তর বাড়িয়ে হলুদ স্তরে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুয়াংডং-এর খরা, প্রাদেশিক বন্যা, খরা ও টাইফুন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় তার জরুরি সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল ১-এ নিয়েছে।
টাইফুনের প্রভাব বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২১টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সব জাহাজকে সতর্ক থাকতে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলাচল করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
১ বছর আগে
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
দুই দিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত শুরু হয়েছে।
এতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে প্রশাসনের টিম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সশরীরে এবং মাইকিং করে এ সতর্কবার্তা প্রচার করছে।
টানা বর্ষণের কারণে এ নির্দেশনা জারি করেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি এড়াতে ও জানমালের ক্ষতি রক্ষায় শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ হাসানসহ প্রশাসনের লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
১ বছর আগে
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, সুনামির সতর্কতা নেই
একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে শুক্রবার টোকিও এবং পূর্ব জাপানের অন্যান্য এলাকা কেঁপে ওঠে, তবে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটি চিবা উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে ৪৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার (২৮ মাইল) গভীরতায় কেন্দ্রীভূত হয়েছিল।
চিবা ও ইবারাকি প্রিফেকচারে শক্তিশালী কম্পনের খবর পাওয়া গেছে, কিন্তু ইউএসজিএস বলেছে যে গুরুতর ক্ষতি বা প্রাণহানির সম্ভাবনা কম।
কিয়োডো নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ইবারাকির টোকাই নং ২ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
৫ মে মধ্য জাপানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, এতে অন্তত একজন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়।
জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। দেশটির উত্তর-পূর্বে ২০১১ সালের একটি বিশাল ভূমিকম্পের ফলে একটি বিধ্বংসী সুনামি হয় এবং পারমাণবিক প্ল্যান্ট গলে যায়।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা নেই
নিউজিল্যান্ডে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
১ বছর আগে
আফগানিস্তানে ভয়াবহ পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জারি জাতিসংঘের
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আফগানিস্তানের গম উৎপাদনস্থল উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আটটি প্রদেশে মরোক্কান পঙ্গপালের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করেছে। আফগানিস্তানের বৃহত্তম অনলাইন সংবাদ পরিষেবা খামা প্রেস-এর বরাতে শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাদাখশান, বাদঘিস, বাঘলান, বলখ, কুন্দুজ, সামাঙ্গন, সার-ই-পুল ও তাখার ছাড়াও আফগানিস্তানের হেরাত ও ঘোর প্রদেশে পঙ্গপালের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণ অনুসারে, তালেবানের কট্টরপন্থী শাসনের অধীনে দেশটি এমনিতেই গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। তবে ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের সম্মুখীন হবে আফগানিস্তান এবং পূর্বোক্ত জেলাগুলোতে ব্যাপক মরক্কোর পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব বিষয়টিকে আরও খারাপ করে তুলবে।
খামা প্রেসের মতে, আফগানিস্তানে এফএও প্রতিনিধি রিচার্ড ট্রেঞ্চার্ড বলেছেন যে ‘আফগানিস্তানের গমের ঝুড়িতে মরক্কোর পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব প্রবল উদ্বেগের বিষয়। মরক্কোর পঙ্গপাল গাছের ফসল, চারণভূমি এবং ৫০টি খাদ্যশস্য সহ ১৫০টিরও বেশি প্রজাতির গাছপালা খেয়ে ফেলে, যার সবকটিই আফগানিস্তানে জন্মায়। এটি কৃষক, সাধারণ মানুষ ও সমগ্র দেশের জন্য একটি বিশাল হুমকি।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা বন্ধে বিশ্ব নীরব: প্রধানমন্ত্রী
মরক্কোর পঙ্গপাল বিশ্বের সবচেয়ে খাদক উদ্ভিদ কীটগুলোর মধ্যে একটি।
এফএও’র মতে, এই বছরের সম্পূর্ণ মহামারি থেকে ৭০ লাখ থেকে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন গমের ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে অর্থনৈতিক বিশাল ধাক্কা আসতে পারে।
খামা প্রেসের মতে ট্রেনচার্ড আরও বলেন, ‘২০ ও ৪০ বছর আগে গত দুটি বড় প্রাদুর্ভাবে আফগানিস্তানের মোট বার্ষিক গম উৎপাদনের আনুমানিক ৮ এবং ২৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত তিন বছরের তুলনায় এই বছর ফসলের পূর্বাভাস সবচেয়ে ভাল, কিন্তু এই প্রাদুর্ভাব ধ্বংসের হুমকি স্বরূপ। এই প্রাদূর্ভাব চলতি বছরের শেষের দিকে এবং পরের বছরে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে।’
২০২১ সালের আগস্টের মাঝামাঝি তালেবানরা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
আফগানিস্তান বর্তমানে একটি গুরুতর মানবিক সংকটের মধ্যে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে জ্বালানি ট্যাঙ্কার টানেলে বিস্ফোরণ, নিহত ১৯
কারণ আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন অনুসারে, দেশটিতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ জরুরি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
এছাড়াও, ইউক্রেন সংকট খাদ্য খরচ বৃদ্ধির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং তা অনেক আফগানের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে যে নৃশংসতা চালিয়েছে তাতে আফগান নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলা আফগানিস্তান; খাদ্য ঘাটতিসহ অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। কারণ বিদেশি সরকারগুলো উন্নয়ন তহবিল বন্ধ করে দিচ্ছে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। যার বেশিরভাগই নারীদের ওপর তালেবানের বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের কারণে দেওয়া হচ্ছে।
২০২১ সালের আগস্টে দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের প্রস্থানের পর যেহেতু তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে এসেছে, তাই নারীদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জিমে বা পাবলিক স্পেসে কাজ করার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মর্টার বিস্ফোরণে নিহত ৪, নিখোঁজ ২০
১ বছর আগে
আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
'ঢাকায় শুক্রবার বিএনপির গণমিছিল কর্মসুচি থেকে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার ঘটনা কেন হলো এবং পুলিশের কি প্রস্তুতি ছিল'-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০-৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ।
এছাড়া তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনও লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন, আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয় নাই।'
ড. হাছান বলেন, 'তাদের (বিএনপি) রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে- দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটা কোনোভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই তারা নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়েছে।
সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীদের যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি। তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।'
বিএনপিকে মোকাবিলার প্রশ্নে তিনি বলেন, '২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি সেই পুরনো পরিস্থিতি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না।'
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে