সতর্কতা
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালুর পূর্বে যে সতর্কতা জরুরি
বছর জুড়ে গরমের তুলনায় শীতের আধিক্য যারপরনাই কম। এরপরেও ঠান্ডা মৌসুমে একটানা বেশ কিছু দিন যাবত এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বন্ধ থাকে। এই স্বল্প বিরতির পর গ্রীষ্মের শুরুতে এসি চালু করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অন্যান্য বৈদ্যুতিক ও গৃহস্থালির যান্ত্রিক আসবাবপত্রের মতো এসিরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সেখানে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে খুটিনাটি ত্রুটির অবকাশ থাকে। বন্ধ থাকা এসির ভেতরে জমে যাওয়া ধুলোবালির স্তর ও ছত্রাকের কারণে হতে পারে শাসকষ্ট। এমনকি রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের ঝুঁকি। চলুন, উষ্ণ মৌসুমের শুরুতে স্বাস্থহানী ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে এসি ব্যবহার নিশ্চিত করতে জরুরি বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এয়ার কন্ডিশনার নিরাপদে চালানোর জন্য ১০টি করণীয়
.
ইভাপোরেটর কয়েল ও ব্লোয়ার মোটর নিরীক্ষণ
এই সরঞ্জাম দুটি থাকে এসি সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ ইউনিটে। অনেক দিন বন্ধ থাকার ফলে ইভাপোরেটর কয়েলে ময়লা জমে থাকলে তাপ স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
ব্লোয়ার মোটরে ময়লা জমলে এটি সঠিকভাবে ঘুরতে পারে না। ফলে সিস্টেমের উপর এটি অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
সামগ্রিক ভাবে এমন পরিস্থিতি এসির কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরবর্তীতে বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এসি ছাড়ার পূর্বে এই সরঞ্জামগুলো যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
ডাক্ট, ভেন্ট এবং এয়ার ফিল্টার পরীক্ষা
শীতল বায়ু ডাক্ট ও ভেন্টের মাধ্যমে ঘরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছায়। দিনের পর দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে এগুলোতে ধুলো, ময়লা বা ছাঁচ জমে যায়। এগুলো এসির বাতাসকে বিষাক্ত করে, যা অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
এয়ার ফিল্টার এসির বায়ু থেকে ধুলো, ময়লা এবং অন্যান্য কণাকে ফিল্টার করে। আর এই ফিল্টারেই ময়লা জমে যাওয়া মানে বাতাসের গুণমান কমে যাওয়া। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ময়লার আস্তর জমে ফিল্টার বন্ধ হয়ে বায়ুপ্রবাহেও বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ময়লা ফিল্টার ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচের বৃদ্ধি বাড়ায়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এগুলো অপরিষ্কার রেখে এসি ব্যবহার করা একদমি উচিত নয়।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করা
এসির বাইরের ইউনিটে থাকা এই সরঞ্চামটি তাপ স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসির দীর্ঘ সময়ের নিষ্ক্রিয়তায় এই কয়েলেও ধুলো, ময়লা বা আবর্জনা জমা হতে পারে। এর ফলে গোটা কন্ডেন্সারসহ কম্প্রেসরের উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ক্রমান্বয়ে এটি সিস্টেমের আয়ু কমিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজন পড়ে।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রাশ বা কম প্রেশারের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা নিরীক্ষণ
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত যে তরল বা গ্যাসীয় পদার্থটি এসির মধ্যে তাপ স্থানান্তরিত করে তার নাম রেফ্রিজারেন্ট। সঠিক সময়ে পরিষ্কারের দীর্ঘসূত্রিতায় রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় এসি ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চললেও ঠান্ডা বাতাস তৈরি করতে পারে না।
এমন পরিস্থিতিতে কন্ডেন্সার ও কম্প্রেসর উভয়েই অতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন হয়। এমনকি এতে অন্যান্য যন্ত্রাংশও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
রেফ্রিজারেন্ট লিকের ফলে অনেক সময় এসির অদ্ভূত শব্দ করে। তাই এসি চালানোর সময় যে কোনও অস্বাভাবিক শব্দকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
এর বাইরে রেফ্রিজারেন্ট লেভেল যাচাইয়ের কাজটি নিজে করা কঠিন। তাই এক্ষেত্রে সরাসরি পেশাদার ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হওয়া উচিত। উপরন্তু, মাত্রা কম থাকলে তা বাড়ানোর জন্যও তাদেরকেই ডাকতে হবে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
কম্প্রেসর পরীক্ষা করা
এসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটির কাজ হচ্ছে রেফ্রিজারেন্টকে সংকুচিত করে শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা। তাই এই কার্যটি সঠিক ভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা নিতান্তই জরুরি।
কম্প্রেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে বা এর মধ্যে অস্বাভাবিক শব্দ হলে বুঝতে হবে এতে সমস্যা আছে। এই সমস্যা এড়াতে কম্প্রেসরের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি, আর এর জন্য একজন পেশাদারের প্রয়োজন পড়বে।
থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যাচাই করা
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ার আরও একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র থার্মোস্ট্যাট, যেটি মূলত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য এসির একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এর কমবেশি হলে নিয়মিত ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না। তাই থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যথাযথ হওয়া জরুরি।
ভুল সেটিংস দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর দরূণ ভবিষ্যতে ঘন ঘন মেরামতেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। আর বারবার মেরামত মানেই অতিরিক্ত খরচের ধকল।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরীক্ষা
এসি সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওয়ার লাইন ও সার্কিট ব্রেকার ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরি। ভোল্টেজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তারতম্য ঘটা সিস্টেমে সঠিক বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা আরোপ করতে পারে। সার্কিট ব্রেকার পাওয়ার লাইনকে ব্যাকআপ দিতে না পারলে পুরো যন্ত্রের ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা থাকে।
প্রায় সময় ঘরের ভেতরে যন্ত্রকে পরিপাটি করে রাখা হলেও বাইরে অংশে একদমি ভ্রূক্ষেপ করা হয় না। চোখের আড়ালে থাকায় এই যন্ত্রাংশটির কথা অনেকেই এড়িয়ে যান। অথচ এর আশেপাশে অনুপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার দিকে ধাবিত করতে পারে।
তাই বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে রুটিন মেনে এই আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় যন্ত্র সংলগ্ন জায়গাগুলো পরিষ্কার করা উচিত।
প্রথমবার ফ্যান মুডে চালানো
অনেক দিন বন্ধ থাকা এসি প্রথম চালোনার সময় সরাসরি কুলিং মুডে দেওয়া উচিত নয়। কেননা এতে সিস্টেমের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটির কারণে যান্ত্রিক গোলযোগের দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
আগে ফ্যান মুডে চালিয়ে সিস্টেমের ভেতরে জমে থাকা আর্দ্রতা শুকিয়ে নিতে হবে। ফ্যান মুডে এসি শুধু সিস্টেমের আভ্যন্তরীণ ফ্যানটি চালায়। এতে ময়লা বা ছাঁচের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বাতাসের গুণমান উন্নত করে। কয়েক ঘন্টা ফ্যান মুডে রাখার পর কুলিং মুডে সুইচ করা যেতে পারে।
টেস্ট রান
গরমের শুরুতে প্রথম এসি চালুর উদ্দেশ্য হতে হবে টেস্ট রান। শীতল হওয়ার উদ্দেশ্যে এসি ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করা যাবে না। বরং এই টেস্ট রানের পুরোটা সময় মনোন্নিবেশ এসির দিকে রাখতে হবে।
সূক্ষভাবে খেয়াল করতে হবে কোনও অস্বাভাবিক শব্দ আসছে কিনা, বায়ুপ্রবাহ কিভাবে হচ্ছে, এবং সারা ঘর ঠান্ডা হতে কেমন সময় লাগছে। কোনও অসংলগ্নতা দেখা দিলে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। কোনও কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হতে হবে।
পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া
উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো ব্যাপারে যথাযথ নিশ্চিত হয়ে তবেই নিজে নিজে এসি যাচাইয়ের দিকে যাওয়া উচিত। কারিগরি বিষয়গুলোর বোঝাপড়া নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে সর্বোত্তম পন্থা হলো পেশাদারদের দ্বারস্থ হওয়া। নতুবা না বোঝার কারণে অসাবধানে যে কোনও ভুলে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
রক্ষণাবেক্ষণের পুরো সময়টাতে টেকনিশিয়ানের সাথে থেকে সব বুঝে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কি সমস্যা হয়েছিলো, কেন হয়েছিলো, এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের সমস্যা এড়াতে করণীয়সমূহ তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রথমে যে কোম্পানির নিকট থেকে এসিটি কেনা হয়েছিলো তাদেরকে কল করা উত্তম। তারা তাদের নিজস্ব পণ্যের ব্যাপারে জানে এবং একই ধরণের ত্রুটির সমাধান অন্যান্য গ্রাহকদেরও দিয়ে থাকে। তাই তাদের কাছ থেকে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ পরিষেবাটি পাওয়া যাবে। গ্যারান্টি ও পার্ট্স ওয়ারেন্টি থাকলে বিনামূল্যে সেবার ও পার্ট্স বদলে দেওয়া হবে। আর গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি না থাকলে সেবার জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত টেকনিশিয়ানরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। যন্ত্রের যে কোনও সমস্যার ব্যাপারে তারা স্বপ্রণোদিত হয়েই গ্রাহকদের যাবতীয় জিজ্ঞাসার জবাব দিয়ে থাকে।
শেষাংশ
গরমের শুরুতে এয়ার কন্ডিশনার চালনার আগে এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করা মানে নানা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাওয়া। এসির বাইরের ও ভেতরের প্রতিটি সরঞ্জাম সূক্ষ্মভাবে পরিদর্শন করা অপরিহার্য। ডাক্ট ও ভেন্ট থেকে শুরু করে কম্প্রেসার পর্যন্ত যে কোনওটিতে কিঞ্চিত ত্রুটি পরবর্তীতে সমূহ ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। সরঞ্জামগুলো পরিষ্কারের পর উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে ফ্যান মুডে চালিয়ে একবার টেস্ট রান করে দেখা। উপরুন্তু, যান্ত্রিক বিষয়াদি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উত্তম।
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
৫২ দিন আগে
রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
সন্ধ্যার পর নিকটস্থ বা দূরপাল্লার গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য আপনি বাস বা গণপরিবহন ব্যবহার করেন? রাতে বাস বা গণপরিবহনে ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সান্ধ্য বা নৈশ ভ্রমণে যানবাহনে করণীয়-বর্জনীয়
.
পরিকল্পিতভাবে ভ্রমণ করুন
পরিকল্পিতভাবে ভ্রমণ করলে যাত্রা আরামদায়ক ও নিরাপদ হয়। যদি বাস বা ট্রেনের টিকিট বুকিং করার সুযোগ থাকে, তাহলে মাঝামাঝি আসন নিন। রাতের বেলায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে জানালার পাশে বা বাসের খুব পেছনের আসন এড়িয়ে চলাই ভালো।
যদি সম্ভব হয়, পরিচিত কাউকে আপনার যাত্রার তথ্য (গন্তব্য, সম্ভাব্য পৌঁছানোর সময়) জানিয়ে রাখুন।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
নির্ভরযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করুন
নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য বাস বা যানবাহন বেছে নিন। সরকারি বা স্বীকৃত পরিবহন সংস্থার যানবাহন ব্যবহার করুন। বাস বা গাড়ির রুট ও সময়সূচি সম্পর্কে আগেই জেনে নিন।
অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিষেবা (যেমন Uber, Pathao) ব্যবহার করলে গাড়ির তথ্য যাচাই করুন।
নিজের অবস্থান গোপন রাখুন
বর্তমান যুগে অনেকেই নিজের দৈনন্দিন কার্যকলাপ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করে থাকেন। যারা সন্ধ্যার পর বা রাতে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য এটি ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। অপরিচিতদের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। যদি সম্ভব হয়, যাত্রাপথের লাইভ লোকেশন পরিবার বা বন্ধুকে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
সতর্ক থাকুন ও চারপাশ পর্যবেক্ষণ করুন
অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত কথা বলা বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন। ব্যস্ত থাকলেও মোবাইলে পুরোপুরি মনোযোগ দেবেন না, চারপাশের পরিস্থিতি লক্ষ্য রাখুন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে বা অনুভব করলে বাসচালক বা সহযাত্রীদের জানান।
ভিড় এড়িয়ে চলুন
খুব বেশি ভিড় থাকলে বা সন্দেহজনক পরিস্থিতি দেখলে সেই যানবাহনে না ওঠাই ভালো। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র যেমন মানিব্যাগ, ফোন বা ব্যাগ নিজের কাছেই রাখুন।
আত্মরক্ষায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখুন
প্রয়োজনে আত্মরক্ষার জন্য ছোটখাটো সরঞ্জাম (যেমন: পেপার স্প্রে, হুইসল, ফোল্ডিং মেটাল সেফটি রড, ইত্যাদি ) সঙ্গে রাখতে পারেন। ফোনের ব্যাটারি ও মোবাইল ডাটা চালু রাখুন, যাতে প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে পারেন।
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
জরুরি নম্বর সংরক্ষণ করুন
স্থানীয় পুলিশ, বাস সার্ভিস হেল্পলাইন ও পরিচিতজনের নম্বর সহজেই পাওয়া যায় এমন জায়গায় রাখুন। বিপদের সময় ৯৯৯ (বাংলাদেশের জরুরি সেবা) তে কল করুন।
যাত্রা পথে অপরিচিত ব্যক্তির দেয়া কিছু খাবেন না
যাত্রাকালে অনেক যাত্রী পার্শ্ববর্তী যাত্রীকে ভদ্রতার খাতিরে বা বন্ধুসুলভভাবে খাদ্য-পানীয় গ্রহণে অনুরোধ করেন। যাত্রীর ছদ্মবেশে অনেক সময় মলম পার্টির লোকেরা খাবারে বিষাক্ত কেমিকাল মিশিয়ে দেয়। এই খাবার গ্রহণের পর যাত্রীরা অচেতন হয়ে পড়লে তারা সর্বস্ব লুটে নেয়। এধরণের পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে অপরিচিত ব্যক্তির দেয়া কিছু না খাওয়া নিরাপদ।
ভ্রমণের সময় ভারসাম্য বজায় রাখুন
যদি বাস বা যানবাহন চলন্ত অবস্থায় থাকে, তবে হঠাৎ উঠে দাঁড়ানো বা নড়াচড়া করা এড়িয়ে চলুন। হাতল বা সাপোর্ট ধরে রাখুন যাতে হঠাৎ ব্রেক করলে পড়ে না যান। সম্ভব হলে হেলপারকে আপনার গন্তব্যস্থল আগেই জানিয়ে রাখুন, যাতে গাড়ি উক্তস্থানে পৌঁছালে আপনাকে ডেকে নিতে পারে।
আরো পড়ুন: তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
মোবাইল ফোন নিরাপদে রাখুন
অনেকেই বাসে বা গণপরিবহনে যাত্রাকালে মোবাইল ফোন বের করে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং করেন। এ ধরনের অভ্যাস ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে জানালার পাশে বসলে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন বের না করে নিরাপদ। সম্ভব হলে, যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফোন বের না করে, নিরাপদে পকেটে বা ব্যাগে রাখুন।
উপসংহার
ব্যক্তিগত বা জরুরি প্রয়োজনে কিংবা পেশাগত কারণে অনেকেই সন্ধ্যার পরে বা রাতের দিকে গণ পরিবহনে যাতায়াত করেন । উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করলেই রাতের ভ্রমণকে আরও নিরাপদ করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
৬৯ দিন আগে
কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান
দুর্নীতি ও কাজে অবহেলার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো এ ধরনের কোনো আচরণ বা কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমাদের কর্মকর্তারা যদি তাদের আগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
‘অতীতের মতো কোনো ধরনের গড়িমসি বা আপোষের মনোভাব আমরা বরদাশত করব না। এমন কিছু দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ পেলে তা নিয়ে সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে না।’
আরও পড়ুন: হয়রানি কমাতে অনলাইন কর পদ্ধতি সংস্কারের পরিকল্পনা এনবিআরের
এ সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে কর অব্যাহতির প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে যে, ট্যাক্স-ভ্যাট অব্যাহতি ছাড়া ব্যবসা বাড়বে না। তাদের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ভ্যাট ও কর অব্যাহতি না থাকার পরও উন্নত দেশগুলো কীভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ করুন। তারপর যদি সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয় তবে সেই ব্যবসায় যান, নাহলে বাদ দিন।’
ব্যবসায়িক স্বার্থে যেকোনো মূল্যে কর অব্যাহতি আদায় করতেই হবে—এমন মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের সুশাসন। আমরা আমাদের সব ব্যবসার জন্য বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত করতে পারি না।’
খাতগুলো উন্মুক্ত করে এসব খাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ানো যায়, তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবসা খাতেই দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। এই খেলোয়াড়রা অন্যদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এই জায়গাটি আমরা উন্মুক্ত করতে পারি।’
৯৮ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহারে সতর্কতা জারি
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে চাকরিতে নিয়োগসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজগারের লোভনীয় অফার দেওয়া হচ্ছে। এগুলো অবৈধ প্রচার ও প্রতারণা উল্লেখ করে করে এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইনে অবৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম বা লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং অনলাইনে কাজের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ ইত্যাদি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তিগুলোতে অবৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করায় এসব প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাধারণ জনগণ প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অবৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম বা লোগো ব্যবহার করে অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা অনলাইনে কাজ করে আয়ের সুযোগ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে বিজ্ঞপিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইট দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
১০৫ দিন আগে
দুর্যোগকালীন সময়ে যেন দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সতর্কতা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ‘দুর্যোগকালীন সময়ে একটি গোষ্ঠী খুশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব গোষ্ঠীর হয়তো দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।’
সোমবার আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
বন্যাপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলাই এখন বেশি জরুরি উল্লেখ করে হাসান আরিফ বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এরইমধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে।
বাংলাদেশে রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক এ অভিযোগের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে। সেজন্য এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে তার একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। এই সংস্কার করতে দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
নারীর ক্ষমতায়নে এলজিইডিকে সহায়ক ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের গ্রাম-বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এলজিইডি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে থাকে। গ্রামে গ্রামে চলমান কর্মযজ্ঞে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী খান ও মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
২৩৭ দিন আগে
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় সোমবার (১ জানুয়ারি) দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ইশিকাওয়া ও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলোর একটির রিখটার স্কেলের পাঠ ছিল ৭ দশমিক ৬।
সংস্থাটি ইশিকাওয়া অঞ্চলের জন্য বড় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। তবে হোনশু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের বাকি অংশের জন্য নিম্ন স্তরের সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, সুনামির সতর্কতা নেই
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
৪৮৯ দিন আগে
ভোটের আগে সীমান্তে সতর্কতা বাড়াবে বিজিবি-বিএসএফ
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় বা তার আগে নাশকতার ঝুঁকি এড়াতে অভিন্ন সীমান্তে সতর্কতা জোরদার করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কঠোর নজরদারি করতে সম্মত হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি সীমান্ত থেকে বোমা তৈরির উপকরণের কয়েকটি চালান জব্দের কথা উল্লেখ করেন।
শুক্রবার নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে তার বৈঠকে দুই দেশ সীমান্ত ও নিরাপত্তা, ব্যবসা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এবং উন্নয়ন সহযোগিতাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ‘বিস্তারিত আলোচনা’ করেছে।
উভয় পক্ষ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) উপআঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে ৭৩৯ জন গ্রেপ্তার
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: সারা দেশে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৩০ টহল দল মোতায়েন
২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ২০৮টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে
৫২৫ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির জন্য প্রস্তুত থাকতে বাসিন্দাদের ক্রমাগত সতর্ক করছে মোট ৫১টি ফায়ার স্টেশন।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে, চলাকালীন ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সব ধরনের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। খুলনায় বিভাগীয় মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩টি জেলার ৫১টি ফায়ার স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে সার্চ ও রেসকিউ টিম, ফার্স্ট এইড টিম ও ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স, চেইন করাত, হাত করাত, রোটারি রেসকিউ করাত, স্প্রেডার, মেগাফোন, রাম জ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফার্স্ট এইড বক্স, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক এবং উদ্ধার সরঞ্জামসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় রাস্তাগুলোকে যান চলাচলের উপযোগী করতে ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
এসব এলাকায় জান-মালের সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্য দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস ব্যবহার করা যায়।
সব আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে উপকূলীয় ফায়ার স্টেশনেও আশ্রয় নিতে পারে। ফায়ার সার্ভিস মনিটরিং সেল, সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম এবং সব বিভাগীয় কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা খবর সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবে।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ বা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের জরুরি মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯-এ কল করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
৫৩৪ দিন আগে
ভারী বৃষ্টির সময় ও পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ভয়াবহ দাবদাহে প্রাণ যখন প্রায় ওষ্ঠাগত, এক পশলা বৃষ্টি সেখানে যেন আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু বজ্রবৃষ্টি বা ভারী বর্ষণে এই বৃষ্টিই আবার হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। নিরাপদ আশ্রয়ে লুকানোর পরেও বজ্রপাতের দানবীয় গর্জনে হৃদস্পন্দন যেন প্রায় থেমে যাবার জোগার হয়। সেই সঙ্গে বন্যা ও ভূমিধ্বসের মতো তাণ্ডব লীলা ইট-পাথরে মজবুত কাঠামোকেও পরিণত করে ধ্বংসযজ্ঞে। ঝড় থামলেও হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই, কেননা এ সময় শুরু হয় মশা ও নানা কীট-পতঙ্গ জনিত রোগের ভয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সরাসরি মোকাবিলা করা অসম্ভব। কিন্তু আগে থেকে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো জানা থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে। চলুন, ভারী বৃষ্টিকালীন ও এর পরবর্তী সময়ে নিরাপদ থাকার উপায়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
ভারী বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সময় নিরাপদ থাকার উপায়
- গাড়ি চালানো অবস্থায় হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হলে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে দিন। অতিবৃষ্টিতে দিনের বেলায়ও চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এছাড়া পানি লেগে গাড়ির সামনের গ্লাস ঝাপসা হয়ে যায়, যা গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ সময় হেডলাইট জ্বালানো থাকলে অন্তত অন্য ড্রাইভাররা আপনার গাড়ি দেখতে পাবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
- গাড়ি চলমান থাকার সময় পানিতে প্লাবিত রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে। আপাত দৃষ্টে পানি যতটা দেখা যায় তার চেয়েও গভীর হতে পারে। তার নিচে ধারালো বস্তু, গর্ত এমনকি বৈদ্যুতিক তার থাকতে পারে। গর্তে বা অতিরিক্ত পানিতে আটকা পড়া যানবাহন প্রায় সময়ই অকেজো হয়ে যায়।
- বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্দেশ্য থাকবে একটা নিরাপদ স্থান দেখে গাড়ি পার্ক করা। কিন্তু তাই বলে তাড়াহুড়া করে জোরে ব্রেক চেপে ধরা যাবে না। যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে গতি একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় বৃষ্টির কারণে স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তার উপর টায়ার পিছলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে।
- গাড়ি পার্ক করার সময় বিদ্যুতের লাইনের নিচে, ইউটিলিটি খুঁটি বা সাবস্টেশনের পাশের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন। কেননা ভেজা থাকা বা দুর্যোগ জনিত কোনো ত্রুটির কারণে এগুলো বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকতে পারে। তাই এগুলোর সংস্পর্শে আসাটা বিপজ্জনক। এমনকি গাছের নিচের জায়গাগুলোও এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ডালপালা ও ধ্বংসাবশেষ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
৫৮৮ দিন আগে
চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনভিত্তিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, টাইফুন সাওলার প্রভাবে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই দেশটির চার-স্তরের ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুন সাওলার জন্য চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবসা এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত রয়েছে। এমনকি স্কুলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবিচল নিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত কী করতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ চন্দ্রযান-৩: ভারতীয় মন্ত্রিসভা
টাইফুন সাওলা ঘণ্টায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ধীরে ধীরে গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের রাজ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা ত্রাণ সদর দপ্তর টাইফুন প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে ফুজিয়ান ও গুয়াংডং-এ সহায়তা কর্মী পাঠিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বলেছে, টাইফুন সাওলা শুক্রবার গুয়াংডং প্রদেশ এবং হংকং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়নের (এইচকেএসএআর) উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (স্থানীয় সময়) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাওলার পাশাপাশি টাইফুন হাইকুই ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম থেকে উত্তরের দিকে ধেয়ে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে, আর ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আরেকটি টাইফুন কিরোগি ধেয়ে আসছে।
টাইফুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে স্কুলের প্রথম দিন এবং উৎপাদন, ব্যবসা এবং পরিবহন স্থগিত করাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন অঞ্চলের সমস্ত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শেনজেন বাওআন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকল দেশয়ি ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শেনজেন টাইফুনের সতর্কতা স্তর বাড়িয়ে হলুদ স্তরে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুয়াংডং-এর খরা, প্রাদেশিক বন্যা, খরা ও টাইফুন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় তার জরুরি সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল ১-এ নিয়েছে।
টাইফুনের প্রভাব বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২১টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সব জাহাজকে সতর্ক থাকতে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলাচল করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
৬১১ দিন আগে