দুর্নীতি ও কাজে অবহেলার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো এ ধরনের কোনো আচরণ বা কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমাদের কর্মকর্তারা যদি তাদের আগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
‘অতীতের মতো কোনো ধরনের গড়িমসি বা আপোষের মনোভাব আমরা বরদাশত করব না। এমন কিছু দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ পেলে তা নিয়ে সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে না।’
আরও পড়ুন: হয়রানি কমাতে অনলাইন কর পদ্ধতি সংস্কারের পরিকল্পনা এনবিআরের
এ সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে কর অব্যাহতির প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে যে, ট্যাক্স-ভ্যাট অব্যাহতি ছাড়া ব্যবসা বাড়বে না। তাদের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ভ্যাট ও কর অব্যাহতি না থাকার পরও উন্নত দেশগুলো কীভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ করুন। তারপর যদি সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয় তবে সেই ব্যবসায় যান, নাহলে বাদ দিন।’
ব্যবসায়িক স্বার্থে যেকোনো মূল্যে কর অব্যাহতি আদায় করতেই হবে—এমন মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের সুশাসন। আমরা আমাদের সব ব্যবসার জন্য বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত করতে পারি না।’
খাতগুলো উন্মুক্ত করে এসব খাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ানো যায়, তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবসা খাতেই দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। এই খেলোয়াড়রা অন্যদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এই জায়গাটি আমরা উন্মুক্ত করতে পারি।’