ইউএস
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিনিধিদলের বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গে বৈঠক করলেন শেখ হাসিনা-শি
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কবোস এবং রাষ্ট্রদূত অতুল কেশপের নেতৃত্বে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ইক্যুইটি, এভিয়েশন, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেডিকেয়ার এবং অন্যান্য প্রধান খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলটি চার দিনের সফরে বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছে।
বৈঠকে উভয়পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্যের দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ-সুবিধা এবং এসব খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
তারা পরবর্তী দুই বছরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। একটি শক্তিশালী উপ-আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ গড়ে তোলাসহ বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতির সুবিধা কাজে লাগানোর বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে মোমেনের বৈঠক ৭ সেপ্টেম্বর
হাসিনা-ম্যাক্রোঁর বৈঠকে সম্ভাব্য আলোচনার শীর্ষে বাণিজ্য-জলবায়ু-অভিবাসন
১ বছর আগে
মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
দেশের পর এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত 'হাওয়া'। বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে 'হাওয়া' মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ স্থান করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে সিনেমাটির পরিবেশক সংস্থা।
গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩টি ও কানাডার ১৩টি হলে মুক্তি পায় সিনেমাটি। বাংলাদেশের মতো সেখানেও আলোচিত 'হাওয়া'।
উওর আমেরিকায় সিনেমাটির পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র প্রেসিডেন্ট মো. অলিউল্লাহ সজীব বলেন, 'হাওয়া' হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা, যেটি মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'কানাডা ও আমেরিকার বাংলাদেশের সিনেমার দর্শকদের আগ্রহে বক্স অফিসে একটি ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত দেখেছিলাম আমরা। সে ঝড় যে এত বড় হবে তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে। এই আনন্দের ক্ষণে আমি প্রথমেই টিম ‘হাওয়া’ এবং টিম ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ’কে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার দর্শকদের জানাই কৃতজ্ঞতা।'
তিনি জানান, ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন দুই লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার। যার মধ্যে কানাডায় ৮৬ হাজার ৩১২ ডলার, আমেরিকায় আয় করেছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৪৯ ডলার।
আরও পড়ুন:মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এবার বিশেষ জুরি পুরস্কার পেল ‘আদিম’
‘হাওয়া’ হল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা উত্তর আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছে। চঞ্চল ও জয়া আহসান অভিনীত ২০১৮ সালের চলচ্চিত্র 'দেবী'র লাইফটাইম গ্রস বক্স অফিস আয় ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৪১৪ ডলার। 'দেবী'র এই সম্পূর্ণ আয়ের রেকর্ড 'হাওয়া' মাত্র তিন দিনেই অতিক্রম করেছে। 'হাওয়া'র তিন দিনের আয় এক লাখ ৫৯ হাজার ৭৫২ ডলার।’
এক বেদে (জিপসি) নারীকে অনুসরণ করে, যাকে একটি মাছ ধরার নৌকায় উদ্ধার করা হয় এবং আশ্রয় দেয়া হয়, জাদু বাস্তবতার স্টাইলে ‘হাওয়া‘র গল্প এগিয়ে যায়।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সোহেল মণ্ডল, সুমন আনোয়ারসহ অনেকেই।
আরও পড়ুন:এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘পরাণ’
‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর
২ বছর আগে
আফগানিস্তানে ছাড়তে পারেনি শতাধিক মার্কিন নাগরিক!
মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া এবং তালেবানদের আফগান দখলের ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল কম-বেশি দুই শ’ মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন। কিন্তু মার্কিন পুনর্বাসন এবং উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো বলছে, বাইডেন প্রশাসনের এমন দাবি ভিত্তিহীন।
তাদের মতে, প্রশাসন শুধুমাত্র কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার জন্য তালিকাভুক্তদের কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য দূতাবাসে রেজিস্ট্রেশন না করতে পারা, আমেরিকার গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রাপ্ত এবং মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের কথা তাদের হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগোর কাজন ভ্যালি স্কুলের মুখপাত্র হাওয়ার্ড শ্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হলেও, গ্রিন কার্ড প্রাপ্ত মানুষেরা বহু বছর ধরে আমেরিকায়া বসবাস করছে, তারা কর দিচ্ছে, আমাদের কমিউনিটির অংশ উঠেছে। তাদের অনেকের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাদের ব্যাপারে কেউ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কাবুল ছাড়ল শেষ মার্কিন বিমান, দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি
আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী তাদের পরিবারসহ আফগানিস্তানে আটকে পড়েছে। তারা আফগানিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, আটকে পড়া এক শ’ থেকে দুই শ’ মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান করছে এবং তালেবানদের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী আফগান নাগরিক এবং বিগত ২০ বছরে যেসকল আফগান কর্মকর্তারা মার্কিন প্রশাসনকে সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকে’ও উদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
কিন্তু এই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী উপস্থিতি ছাড়া এই উদ্ধার কাজ কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বর্তমানে আফগানিস্তন থেকে বের হবার একমাত্র পথ কাবুল বিমান বন্দর তালেবানদের দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএসকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা
আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য দরিস মাতসুই। তিনি কয়েকটি পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলেও, তালেবানদের বাঁধার কারণে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তারা ফিরে আসতে পারেনি।
ডিজিটাল ডানক্রিকসহ উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো বলছে, আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া শুধু মার্কিন নাগরিকের সংখ্যাই পাঁচ শতাধিক। আর মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের আফগান পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করলে, এই এক হাজারে কাছাকাছি চলে যাবে।
৩ বছর আগে