কানাইঘাট
সিলেটের কানাইঘাটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের মা সজনা বেগমের (৩৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বাবার বাড়ির বসত ঘরের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সজনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সজনা বেগম বীরদল মাঝপাড়া গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মিলল যুবকের ঝুলন্ত লাশ
স্থানীয়রা জানান, স্বামী প্রবাসে থাকায় তাদের ৬ বছরের এক ছেলে ও ৪ বছরের এক মেয়েকে স্থানীয় এক কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষককে দিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। এই সুবাদে সজনা বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে প্রবাসী স্বামী শরিফ উদ্দিনের সঙ্গে তার মনোমালিন্য দেখা দেয়। এতে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে সপ্তাহ কিছুদিন আগে সজনা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবার ও স্বামীর বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অলক কান্তি শর্মা বলেন, সজনা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিজ ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কানাইঘাটে ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা লুট, যুবক খুন
সিলেটের কানাইঘাটে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ১৩ লাখ টাকা লুট করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা এক যুবক খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ৪র্থ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গিয়াস উদ্দিন (৩৩) ওই গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিনও (৫০) একই গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার জামাল উদ্দিন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত বাকি চারজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বাজার থেকে একই গ্রামের তার বিশ্বস্থ লোক গিয়াস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তিনি একাই তার বাড়িতে যেতে পারবেন বলে গিয়াসকে তার নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি তার বাড়ির পাশে আসামাত্র সেখানে একই গ্রামের জাহির আলীর ছেলে সিরাজুল হক, সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের শফিকুল হকের ছেলে ইমন উদ্দিন, একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে নেওয়াজ উদ্দিনসহ অপরিচিত আরও দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চা বাগান থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
এ সময় তারা এখানে কেনো দাঁড়িয়ে আছে জানতে চাইলে তারা শাহাব উদ্দিনকে বলেন, তাদের কিছু ভারতীয় মালামাল এদিকে আসছে। শাহাব উদ্দিন তখন তাদের পাশ দিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তার পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে থাকা ব্যবসার প্রায় ১৩ লাখ টাকা লুট করে তারা।
এ সময় তিনি অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনকে জাপটে ধরে চিৎকার শুরু করলে লুটকারী বাকি চারজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তখন শাহাব উদ্দিন মোবাইলে ফোন করে গিয়াসকে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য বলেন। শাহাব উদ্দিনের চিৎকারে তার ছেলেসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারী জামালকে আটক করেন।
একপর্যায়ে শাহাব উদ্দিন গিয়াসকে আবারো বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না হওয়ায় এলাকার লোকজন গিয়াসকে খুঁজতে বের হলে একই গ্রামের মৌলভী খলিলুর রহমানের বাড়ির পশ্চিম পাশের খেত থেকে গিয়াসের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি আরও বলেন, তার ধারণা গিয়াস তাকে সাহায্য করতে আসার সময় পালিয়ে যাওয়া অপর চার হামলকারীর হাতেই খুন হয়েছেন গিয়াস।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীরের বলেন, শাহাব উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে যারা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে তারাই গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে জাড়িত থাকার দায়ে জামাল উদ্দিন নামের একজনকে আমরা আটক করেছি এবং এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টাকা লুট ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর বুধবার (২৮ জুন) বিকাল ৪টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর বাদ মাগরিব নিহত গিয়াস উদ্দিনের জানাজার নামাজ বড়বন্দ বাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সিলেটে ছুরিকাঘাতে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র নিহত, আটক ২
১ বছর আগে
সিলেটের কানাইঘাটে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ শতাধিক গরুর মৃত্যু
সিলেটের কানাইঘাটে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। আরও শত শত গরু আক্রান্ত হচ্ছে। এতে গরুর মালিক ও খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার সব জায়গায় গরুর ভাইরাসজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আসন্ন কোরবানির ঈদে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসার উদ্দেশ্যে খামারে যারা গরু লালন-পালন করছেন তাদের খামারের গরুই বেশিরভাগ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভাইরাসজনিত রোগ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এখন পর্যন্ত উপজেলার পশুর হাটগুলো জমে উঠেনি। সুস্থ গরু কোরবানি দিতে পারবেন কি না এ নিয়েও অনেকে শঙ্কায় রয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক গরু মারা গেছে। এতে করে খামারিরা ও যারা বাড়িতে গরু লালন-পালন করে থাকেন তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
দিন দিন লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে গরুর দেহে। আক্রান্ত হচ্ছে শত শত গরু। কিছু এলাকায় মারাত্মক আক্রান্ত অসুস্থ গরু জবাই করে নদীতেও ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার লক্ষীপ্রাসাদ পশ্চিম, লক্ষীপ্রাসাদ পূর্ব, দিঘীরপাড় পূর্ব, সাতবাঁক, পৌরসভা এলাকায় ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বেশি বলে গরুর মালিকরা জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে জনবল কম থাকার কারণে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও কর্মচারীরা। অনেকে জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গিয়ে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না তারা।
গরুর মালিক ও খামারিরা জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে থেকে গরুর শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বসন্তের মতো বড় বড় গুটি বের হয়, গরুর পুরো শরীরের ফুলে যায়, একপর্যায়ে পঁচন ধরে গরুর চামড়ায় লালচে গর্ত দেখা দেয়, চামড়া খসে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
আক্রান্ত গরুগুলো খাবার খেতে পারে না, গলা ফুলে জিহ্বা থেকে লালা পড়ে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে বেশিরভাগ আক্রান্ত গরু মারা যায়। চিকিৎসা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরু সুস্থ হতে কয়েকমাস সময় লাগে। অনেকে সনাতন পদ্ধতিতে চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবার মাধ্যমে আক্রান্ত গরু সুস্থ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. নবনীতা সরকার তন্বী বলেন, ‘ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন রোগে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ গরু, যার কোনো চিকিৎসার সঠিক ওষুধ বা টিকা নেই। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের পক্ষ থেকে গরুর মালিক ও খামারিদের সচেতন করার জন্য উপজেলা জুড়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে গিয়ে গরুর মালিক ও খামারিদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভাও করা হয়েছে। জনবল কম থাকার পরও আক্রান্ত গরুগুলোকে সুস্থ করার জন্য যেসব ওষুধ হাসপাতালে রয়েছে সেগুলো দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ডা. নবনীতা সরকার বলেন, অসুস্থ গরুগুলো সুস্থ হতে অন্তত তিন থেকে থেকে চার মাস সময় লাগে। এ অবস্থায় গরুর মালিকদের ধৈর্য ধরার পাশাপাশি সঠিক সেবা করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সচেতনতার অভাবে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত গরু থেকে সুস্থ গরু নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। অসুস্থ গরুগুলো সুস্থ গরু থেকে আলাদা করে মশারি দিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ মশা-মাছি থেকে আক্রান্ত গরু থেকে সুস্থ গরুগুলো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বজ্রপাতে ১৪ গরুসহ প্রাণ গেল কৃষকের
১ বছর আগে
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর (পাঁচঘরি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ফাহিম আহমদ (১২) একই গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে। আহত ফাহিমের চাচাতো ভাই আল-আমিন (১৩) নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাহিম ও আল-আমিন গ্রামের জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। হঠাৎ করে বিকট শব্দে বজ্রপাত ফাহিম ও আল-আমিনের পাশে পড়লে তাদের শরীর ঝলসে যায়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
তাদের চিৎকারে মসজিদে অবস্থানরত মুসল্লি ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহিম আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা মুমূর্ষু বলে জানা গেছে।
নিহত ফাহিম আহমদের মামা কানাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ঠিকাদার হোসেন আহমদ জানান, মাগরিবের নামাজে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে তার ভাগিনা ফাহিমের মৃত্যু হয় এবং আল-আমিন গুরুতর আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমেদ। নিহত ফাহিম আহমদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
১ বছর আগে
কানাইঘাটে ১ সন্তানের মায়ের গলা কাঁটা লাশ উদ্ধার
সিলেটের কানাইঘাটে বাবার বাড়ি থেকে এক সন্তানের মায়ের গলা কাঁটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালের দিকে উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের মালিগ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
রাশিদা বেগম (২২) একই ইউনিয়নের পর্বতপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে এবং তার স্বামী হাবিব আহমদ একই গ্রামের মুজাম্মিল আলীর পুত্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস পূর্বে রাশিদা বেগমের সিজারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকে রাশিদা বেগম মাথা ব্যথা সহ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেড় মাস থেকে রাশিদা বেগম বাবার বাড়ি চলে আসে। অনেক চিকিৎসা করার পরও সে সুস্থ হয়নি। এমনকি তার নবজাতক তিন মাসের শিশু সন্তানকেও দুধ পান করাতেন না। সপ্তাহ খানিক থেকে রাশিদা বেগম খাওয়া-দাওয়া একপ্রকার ছেড়ে দেয় বলে তার মা সহ পরিবারের লোকজন জানান।
তারা বলেন- বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাশিদা বেগম ঘুম থেকে উঠলে তাকে চা- খেতে দেয়া হয়। কিন্তু রাশিদা সেই চা না খেয়ে ফেলে দেয়। সকাল ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন রাশিদা বেগমের গলা কাঁটা লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।
সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখতে পান রাশিদা বেগমের গলা কাঁটা রক্তাক্ত লাশ মাটিতে পড়ে রয়েছে ও ডান হাতের পাশে রক্তমাখা ধারালো বটি দা রয়েছে।
ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর দুপুর ১২টার দিকে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শেখ সেলিম, সিআইডি ও পিবিআই শাখার তদন্ত দল ঘটনাস্থলে এসে লাশের আলামত সংগ্রহ করেন।
কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ময়না তদন্তের জন্য রাশিদার লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে রাশিদা বেগম নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহত রাশিদা বেগমের ভাই আব্দুল মালিক বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
দরজা ভেঙে শিক্ষিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার!
২ বছর আগে
সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বুধবার নিখোঁজের একদিন পর এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নিজাম উদ্দিন (৩০) উপজেলার রাজাগঞ্জ গ্রামের মুনির আলী ছেলে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) দিলীপ চন্দ্র নাথ বলেন, মঙ্গলবার বিকালের দিকে নিজামকে রাজাগঞ্জ বাজারে দেখা যায়। কিন্তু রাতে তিনি বাড়িতে না ফিরলে তার আত্মীয়-স্বজনরা সব জায়গায় খোঁজা-খুজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
আরও পড়ুন: সাভারে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
বুধবার সকালের দিকে স্থানীয় লোকজন রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের সুরমা নদীর তীরবর্তী পারকুল গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় মাথায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজামের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে কী কারণে নিজামকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান দিলীপ।
২ বছর আগে
কানাইঘাটে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের কানাইঘাটে ফরিদ উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন, কাওছার আহমদ ও মোস্তাক আহমদ।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান।
এর আগে গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়খেওড় এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ফরিদ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফরিদ উদ্দিনের বাবা মো. রফিকুল হক কানাইঘাট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, র গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর থেকে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাওছার আহমদকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও মোস্তাক আহমদকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক বলেন, নিহত ফরিদ ও গ্রেপ্তারতিনজন একই এলাকার বাসিন্দা ও পরস্পরের আত্মীয়। এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আগেও উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা-হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, কানাইঘাটের ফরিদ উদ্দিন মোটরসাইকেলে করে গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে তার ভায়রাভাই শাহীন আহমদকে নিয়ে স্থানীয় মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বড়খেওড় এফআইবিডিবি স্কুলের সামনে আসামাত্র কয়েকজন দুর্বৃত্ত ফরিদ উদ্দিনের গতিরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদ। হামলায় শাহীন আহমদও আহত হন।
আরও পড়ুন: রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যার ভিডিও সরানোর নির্দেশ
সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
২ বছর আগে
সিলেট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ডোনা সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা পুলিশ ও বিজিবিকে বিষয়টি অবহিত করেন।
নিহতরা হচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাগুল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আসকর আলী (২৫) ও একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আরিফ হোসেন (২২)।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গুলিতে আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে দিন গড়িয়ে বুধবার দুপুরে লাশ দুটি মানুষের নজরে আসে।বিজিবি ও থানা পুলিশ সীমান্ত আইন মেনে নিহতদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছেন বলে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।নিহত আসকর ও আরিফ হুসেনের স্বজনরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় লালবাজারে যায়। এরপর তারা আর বাড়িতে ফিরেনি। সীমান্ত এলাকার অনেকে ধারণা করছেন আসকর ও আরিফ মঙ্গলবার রাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উকিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করতে পারে। এসময় তাদের গুলি করে বিএসএফ অথবা ভারতীয় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা হত্যা করে তাদের লাশ নোম্যান্স ল্যান্ড ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে ফেলে রাখতে পারে। দুপুরে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ অনেকে দেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে রেস্টুরেন্ট মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কামান্ডার নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটি বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। বিএসএফ এর গুলিতে তারা মারা গেছেন কি না তা এখনো তিনি বলতে পারবেন না। সীমান্ত আইন মেনে বিজিবি নিহতদের লাশ উদ্ধার করবে বলে জানান তিনি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, দুপুরে স্থানীয়রা নো ম্যানস ল্যান্ডে দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে জানিয়েছেন।তিনি বলেন, এলাগাগুল দরিদ্র প্রধান এলাকা। এখানকার কিছু লোক প্রায়ই সুপারিসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাই পথে নিয়ে আসতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। নিহতরাও একইভাবে ভারতে গিয়েছিল কি না তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।নিহতদের লাশ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, যেহেতু লাশগুলো নো ম্যানস ল্যান্ডে রয়েছে। তাই বিজিবির কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন এবং লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:সিলেট-তামাবিল সড়কে কার-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
ভ্যালি সিটি: পূণ্যভূমি সিলেটে বাংলাদেশের লন্ডনি পাড়া
৩ বছর আগে
কানাইঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে দাদা ও নাতির। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজ চাউরা উত্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজ চাউরা উত্তর গ্রামের মৃত ছইদ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন (৫৫) ও তার নাতি কুয়েত প্রবাসী রুহুল আমিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টির কারণে বৈদ্যুতিক সংযোগের তার ছিঁড়ে ফখর উদ্দিনের বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে যায়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে ফখর উদ্দিন বৈদ্যুতিক তার মাটিতে পড়ার বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে জানালেও পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের কেউ সাড়া দেননি। দুপুর সাড়ে ১২টায় ফখর উদ্দিনের নাতি আরিফুল ইসলাম স্কুল থেকে ফেরার পথে নিজ বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়। ঘটনা দেখতে পেয়ে ফখর উদ্দিন নাতিকে রক্ষা করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতদের উদ্ধার করার সময় একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ (৩২) আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কানাইঘাট পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস ঘেরাও ও পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা।
এ সময় স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কানাইঘাট জোনাল অফিসের ডিজিএম ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ার বিষয়টি সকাল থেকেই জানানো হলেও টনক নড়েনি বিদ্যুৎ অফিসের কারও। জোনাল অফিসের ডিজিএম’র অপসারণ দাবিসহ এ ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের প্রাণহানি
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন্ত ব্যানার্জি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
পড়ুন: শ্রীবরদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষক নিহত
৩ বছর আগে
সিলেটে বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন
সিলেটের কানাইঘাটে প্রায় দশ দিন আগে এক বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু সুলতান (১০) এখন গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর বোমার আঘাতে তার ডান হাতের একটি আঙুলের অর্ধেকাংশ পুড়ে যায়। বাকি ৪টি আঙুলও স্প্রিন্টারের আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বাম হাতের অবস্থা আরও নাজুক। বাম চোখ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে ১৭টি স্প্রিন্টার বের করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর ১০দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেনি কানাইঘাট থানা পুলিশ। শঙ্কায় রয়েছেন শিশু সুলতানের পরিবারও।
জানা গেছে, উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামের প্রবাসী ফরিদ উদ্দীনের বসতঘরে গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু সুলতান বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ফুলকি থেকে কেরানীগঞ্জের টিনশেড মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সরেজমিন ছুটে গেলেও কোন আলামত জব্দ না করেই চলে আসে। তবে ঘটনাস্থলে পৌছেঁ পুলিশ ভিডিও ধারণ করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এদিকে আহত সুলতানের বড় ভাই মাহমুদ হাসান জানান, একই গ্রামের আমিন উদ্দীনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম এবং নুর উদ্দিনের ছেলে রাসেল রবির জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করছেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার এসআই মজম্মিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিশুর মা আমাদের কোনও তথ্য দিতে পারেননি। এছাড়া বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী আহত
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু-একদিনের ভেতরেই আলামত সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত থাকবে তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
৩ বছর আগে