বাঁশ
বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভবনটির ছাদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির জীর্ণ দশা হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে অফিস করছেন বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি ইউনিটে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিতীয় তলার ওই অংশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর করেছেন।
বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কর্মকর্তারা ওই ভবনে এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে সেজন্য তিন তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদের নিচের অংশে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফাটল ধরা ছাদ থেকে বালি ঝরে পড়ছে অনবরত। ঝুঁকি নিয়ে ভবনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তরা কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ জানান, বর্তমানে ভবনটিতে বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তরা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম করছে। এছাড়া ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ রাজস্ব আদায়ের প্রধান বাণিজ্যিক ভবনটি আজ জরাজীর্ণ। আতঙ্কের মধ্যে ভবনে প্রবেশ করে কাজ করতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। শুরু থেকে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালা মেরে রাখা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
১ বছর আগে
বাঁশঝাড়ে ঝুলছিল বৃদ্ধের লাশ!
বগুড়ার কাহালুতে বাঁশঝাড় থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার পিলকুঞ্জ ফকিরপাড়া গ্রামের ওই বাঁশঝাড় থেকে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মকবুল হোসেন (৯০) ওই গ্রামের মৃত জোহর উদ্দিনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধ মকবুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। শনিবার সকাল ১০টায় ফকিরপাড়া উজ্জলের বাঁশঝাড়ে গাছের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় তার লাশ দেখে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়ের হোসেন সবুজ জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমবার হোসেন জানান, বৃদ্ধের ছেলেরা জানিয়েছেন পেটের ব্যথার কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও বিষয়টি পরিস্কার হওয়ার জন্য ইউডি মামলা নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে যুবকের ঝুলন্ত লাশ
২ বছর আগে
বাঁশের শো-পিস দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে চান কুমিল্লার শাহ্ জামাল
বাঁশের তৈরি নান্দনিক জিনিসপত্রের জন্য খ্যাতি ছিল কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম আনন্দপুরে। আর এই কারণে প্রায় দশ বছর আগে এই গ্রামে বিদেশিদের আনাগোনা ছিল। শুধু বিদেশি পর্যটক নয়, বিদেশি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আনন্দপুরের যোগাযোগ ছিল।
জানা গেছে, বাঁশের জিনিসপত্র তৈরি শিল্পের সঙ্গে আনন্দপুর ও আশেপাশের গ্রামের প্রায় তিনশতাধিক পরিবার যুক্ত ছিল। বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রির ধুম পড়ে যেতো। এসব গ্রামে দূর-দূরান্তের মানুষ ভিড় করতেন। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ছিলও বেশ। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আনন্দপুরের সেই আনন্দঘন আবহ ম্লান হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকলেও দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তির অভাবে এ শিল্পের উৎপাদন কমে গেছে। বর্তমানে মাত্র ১১টি পরিবার এই শিল্পের সাথে যুক্ত আছে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তাদের মধ্যে একজন শাহ্ জামাল। তিনি কুমিল্লা আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসের স্বত্বাধিকারী। তার প্রয়াত বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেমের হাত ধরেই বুড়িচংয়ে এ শিল্প বিস্তার লাভ করে। এই শিল্পকে বাঁচাতে শাহ্ জামাল এখনও সংগ্রাম করছেন। তিনি আবারও আনন্দপুরের বাঁশের শো-পিস ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে দিতে চান।
২ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঁশ দিয়ে ফেরিঘাটের রাস্তা নির্মাণ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মনতলা-সিতারামপুর ঘাটে ফেরি চলাচলের জন্য সম্প্রতি খনন কাজ চলছে। এরই প্রেক্ষিতে দুই পারে ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য বাঁশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের প্রচেষ্টায় মনতলা-সিতারামপুর ফেরি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বাঁশ দিয়ে় রাস্তা নির্মাণের ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় তাজুল ইসলাম বলেন, এভাবে রাস্ত নির্মাণ করলে মাস দুয়েকের মধ্যেই ভেঙে যাবে। আমরা চাই কাজগুলো যেন আরও ভালো ভাবে হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, দুপারের রাস্তা আরো উঁচু করতে হবে। অন্যথায় রাস্তা় টেকসই হবে না। ঢালাই এর মাধ্যমে রাস্তাটি করলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক চাপায় ভ্যান চালক নিহত
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, নদী পাড়ে আরসিসি ঢালাই করা যায় না, অথবা করাও সম্ভব না। সারাদেশে নদীর পাড়ে় বিআইডব্লিউটিএ যত ফেরিঘাট নির্মাণ করে, তা বালি দিয়ে় ডেস দিয়ে় এভাবে কাজ করা হয়। মূলত নরম মাটিতে বাঁশ গুলো ব্যবহার করলে অতিরিক্ত লোড নিতে পারে। অর্থাৎ রডের মত কাজ করে। এভাবেই নদীর পাড়ে ফেরিঘাট এর কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়।
৩ বছর আগে