শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, কোথাও যদি কোনো নিয়মের ব্যত্যয় দেখি, তাহলে সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন শিক্ষক কর্মকর্তা বা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হোন যাদের এটি দেখভাল করার কথা ছিল কিংবা যারা এটা দেখছেন তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, এক সপ্তাহে সংক্রমণ সাতে নেমে এসেছে। আমরা গত ২৬ আগস্ট যখন বৈঠক করেছি, তখনই সংক্রমণের হারে যে নিম্নগামী ট্রেন্ড দেখেছিলাম, তার উপর ভিত্তি করে আমরা ধরে নিয়েছিলাম ১১ সেপ্টেম্বরে মধ্যে সংক্রমণের হারটি পাঁচ না হোক কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেই। এটাও ঠিক যে করোনার সাথে আমাদের অনেক দিন বসবাস করতে হবে। সেই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমরা এই সময়টাকে যথার্থ সময় মনে করেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কোনও আশঙ্কা দেখা যায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে আমাদের তো সুযোগ রয়েছে শ্রেণি কক্ষে না রাখার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন শুধু করোনা নয়, এখন ডেঙ্গুর সিজন চলছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই থাকবে। এই সময় ডেঙ্গু মশার কামড় ভয়াবহ। সে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছে পুরো হাতা জামা, ফুল প্যান্ট বা পায়জামা পরলে ভালো। অভিভাবকদের সেটা বলবো। যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে, ততদনি ডেঙ্গু থেকেও শিক্ষার্থীদের বাঁচিয়ে রাখাটাও আমাদের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের ওপর এই সময় কড়াকড়ি না করাই ভালো। আবার অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা গত দেড় বছরে অনেক বড় হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সব অভিভাবকের পক্ষে স্কুল ইউনিফর্ম হয়ত এখনই তৈরি করে দেয়া নাও হতে পারে। সে কারণে আমাদের প্রথমে কিছুটা ছাড় দিতেই হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিদিনের চেকলিস্ট করে দিয়েছি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চেকলিস্ট করে প্রতিবেদন বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের কাছে পাঠাবে। এটি বাধ্যতামূলক। আমাদের জন প্রতিনিধিরা আছেন, সুশীল সমাজের লোকজন, গণ্যমান্য লোকজন আছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বিঘ্ন না করে সবাই মিলে যদি তদারকি করেন, অভিভাবকরা যাতে ভিড় না করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় আমাদের একটি কন্টোল রুম আছে। এগুলো প্রচারও করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালযয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যলয়ের সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। মধ্য অক্টোবরে খোলার কথা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠক করবো। আমরা করতে পারিনি। এই সপ্তাহের মধ্যে করে ফেলবো।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
টিউশন ফি আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাসিক বেতন তারা নিতে পারবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেয়া আছে কী কী নেয়া যাবে। তারা নিতে পারবে। যদি কোনও শিক্ষার্থীর পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা বা অন্যকোনোভাবে ছাড় দেয়া যায়। যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পড়ছে তাদের ওপর তো প্রতিষ্ঠান অবমানবিক হতে পারে না। একই সাথে শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভর করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রতিষ্ঠান চলে। কাজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছুটা হলেও আদায় করতে হবে।
৩ বছর আগে