সাইদা মুনা তাসনিম
লন্ডনে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২২-এ ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন
লন্ডনে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২২-এ ‘মুজিবের বাংলাদেশ’- থিমভিত্তিক বর্ণাঢ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম লন্ডনে তিন দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২২’-এ ‘মুজিবের বাংলাদেশ’- থিমভিত্তিক বর্ণাঢ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’- স্থাপন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে এবারের মেলায় ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ নামে স্থাপিত প্যাভিলিয়নের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারের মাধ্যমে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আরও উৎসাহিত করা।”
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: লন্ডনের কাছে আরও কার্যকর ভূমিকা চায় ঢাকা
হাইকমিশনার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহেই ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট-এ অংশ নিচ্ছে এবং এর ফলে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ট্যুরিজম অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ মিলিয়ন পর্যটক প্রতি বছর বাংলাদেশে যাচ্ছেন, যা আগে ছিলো মাত্র ১ মিলিয়ন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে বর্তমানে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এই শিল্পের অবদান ৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে পর্যটক আরও বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পর্যটকদের ইকো ট্যুরিজমে এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোয় আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন পর্যটন রোড শো করবে।”
লন্ডনের এক্সেল সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ের ১০ টি শীর্ষস্থানীয় ট্যুর অপারেটর অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ প্রদর্শন এবং তাদের বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজের প্রচার করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেলায় আগত বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির শিল্পীদের লোকনৃত্য ও বাংলাদেশের ঐতিয্যবাহী বিভিন্ন ধরনের পিঠা উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে তথ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১ বছর আগে
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত,। আমাদের জাতি একটি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ।তিনি আমাদের দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। ’
সাইদা মুনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুহিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য বৈশ্বিক সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
হাইকমিশনার বলেন, দেশের একজন বিচক্ষণ অর্থমন্ত্রী ও সফল অর্থনীতিবিদ মুহিত বাংলাদেশের সংসদে রেকর্ড সংখ্যক জাতীয় বাজেট পেশ করেছিলেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মুহিতের অসংখ্য প্রকাশনা আজকের সরকারী কর্মচারী এবং একাডেমিয়াকে গাইড করে চলেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতির নেতৃস্থানীয় পৃষ্ঠপোষক মুহিতের আলোকিত চেতনা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রয়াত এ এম এ মুহিতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।’
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যের ‘রেড লিস্ট’ থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার
করোনা সংক্রমণ কমে আসায় যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেশের তালিকা (রেড-লিস্ট) থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার হচ্ছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও সাতটি দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা (রেড-লিস্ট) থেকে সরে আসছে। দেশগুলো হলো তুরস্ক, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মিশর, শ্রীলঙ্কা ওমান এবং কেনিয়া।
এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আর ১০ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে অস্ট্রেলিয়া পাশে আছে: হাইকমিশনার
মোমেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এটা ভালো খবর। সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় আমি দেশটির সরকারকে রেড লিস্ট থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম।’
তিনি যুক্তরাজ্য সরকারকে বলেন, বাংলাদেশকে রেড লিস্টে রাখার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়, কারণ দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদেশ সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা কৃতজ্ঞ।’
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যকর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে এই ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ ব্যবস্থার পর্যালোচনায় বাংলাদেশ সবুজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: বরিস জনসনের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর মতবিনিময়
৩ বছর আগে