গ্রন্থাগার
লালবাগ থানায় দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার
বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমছে। ভার্চুয়াল দুনিয়ার ব্যস্ততায় বইয়ের পাতার গন্ধের স্মৃতি এখন অনেকের কাছেই অতীত। তাই এই অভ্যাস যেন মানুষের মধ্যে আবারও ফিরে আসে সেই প্রয়াস থেকে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ বছর তৈরি করা হয়েছে গ্রন্থাগার।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ ইউএনবিকে জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ থানায় যারা আসেন তাদের অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টা যেন তারা বই পড়ার মাধ্যমে ব্যয় করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই গ্রন্থাগারটি করা।
আরও পড়ুন:হলিউডের মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসানের গল্প
শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীদের জন্যেও এই গ্রন্থাগার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বসে বই পড়ার সুযোগের পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসায় বই নিয়ে যেতে পারেন।
গ্রন্থাগার নিয়ে এম এম মুর্শেদ বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন এতো ব্যস্ত যে বই পড়ার অভ্যাস দূর হয়ে যাচ্ছে। সেই চিন্তা থেকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের সহযোগিতায় গ্রন্থাগারের উদ্যোগটি নেয়া। আমরা চেষ্টা করছি এখানে বইয়ের সংগ্রহ আরও বাড়াতে।’
রাজধানীর বেড়ি বাঁধ রাস্তার পাশেই লালবাগ থানার নতুন ভবন। দৃষ্টিনন্দন এই থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে গ্রন্থাগারটি তৈরি হয়েছে। সেখানে প্রবেশ করতেই বাম পাশে চোখে পড়বে পুরো দেয়ালজুড়ে বইয়ের সমাহার।
গ্রন্থাগারে সংগ্রহে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকগুলো বই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন উপন্যাস, ছোটগল্প, আইনবিষয়ক বই, গোয়েন্দা গল্পসহ নানা ধরনের সংগ্রহ। মূলত বিভিন্ন বয়সের পাঠকদের কথা চিন্তা করে গ্রন্থাগারটি সাজানো হয়েছে।
গ্রন্থাগারে আসা একজন পাঠক ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মূলত একটি জিডি করার জন্য থানায় এসেছি। কিছুক্ষণ যেহেতু অপেক্ষা করতে হবে তাই লাইব্রেরিতে আসা। বেশ নান্দনিক উদ্যোগ লেগেছে আমার কাছে। কয়েকটি পছন্দের বই পেলাম এখানে সেগুলোর একটি পড়ে সময় কেটে গেল। এমন উদ্যোগ দেশের প্রতিটি থানায় করা গেলে আরও ভালো হবে মনে করি।’
থানার কর্মকর্তাদের অনেকেরই রয়েছে বই পড়ার অভ্যাস। কিন্তু কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার অভ্যাসটা হয় না অনেকের। তাই সুযোগ হলে পছন্দের বইটি বাসায় নিয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন:এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
২ বছর আগে
৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হল
করোনা টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ নেয়ার শর্তে ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলগুলো পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।
শনিবার ঢাবির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় সেমিনার কক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাবির প্রো উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘আত্মহত্যা’ কেন বাড়ছে
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আইডি এবং টিকার কমপক্ষে একটি ডোজের প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন থাকবে, যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হবে।
টিকা পাওয়ার পর আবাসিক হলগুলো প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যায়ক্রমে খোলা হবে।
সিন্ডিকেট বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ভিড় করা যাবে না এবং তথাকথিত 'গণ রুম' রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী টিকা কর্মসূচির আওতায় আসার পর সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ ঠিক করা হবে।
৩ বছর আগে