কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন: কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী!
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে ‘ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাঁটাতারে দিয়ে ঘিরে ফেলায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী শৌলমারী ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঝুকিঁ নিয়ে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। শুধু শিক্ষকরাই নন, শিক্ষার্থীসহ শৌলমারী চরে বসবাসকারী মানুষজনও এ অবস্থায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এনিয়ে তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিস্তা চরবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিস্তা নদীতে শৌলমারী চরে অবস্থিত কালিকাপুর ও শৌলমারী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যায়লের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপজেলা শহর থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। কিন্তু বিদ্যালয়ের যাওয়া একমাত্র রাস্তাটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে ‘ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। ফলে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।
এছাড়া এই রাস্তা দিয়েই মূলত চরবাসীর যোগাযোগ উপজেলার শহররের সাথে। সরকারিভাবে প্রতিবছরই রাস্তাটি মেরামত করা হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। অথচ সেই রাস্তাটিও দখলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শৌলমারী চরে শিক্ষার আলো জ্বালানোর দায়িত্বে যেসব শিক্ষক রয়েছেন তাদের প্রায় সবার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের আশপাশে। প্রতিদিন স্কুলে যেতে প্রথমে নৌকা যোগে পরে দীর্ঘ পথ হেটেঁ শৌলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছতে হয় তাদের। কিন্তু নদীর ঘাট থেকে যে রাস্তাটা সরাসরি গিয়ে স্কুলে ঠেকেছে, সেটি যে কাঁটাতারে ঘিরে ফিলবে বেসরকারি কোন কোম্পানি তা হয়তো জানা ছিল না তাদের। তাই বাধ্য হয়ে কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে স্কুল যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুন: হাতছানি দিয়ে ডাকছে রূপবতী ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’
শৌলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইতি মনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়েই স্কুলে যাওয়া আসা করছি। এখন সেই রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়েই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একজন নারী শিক্ষক হয়ে ওই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে যাতায়াত কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো মুশকিল। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।’
৩ বছর আগে