পোশাক রপ্তানি
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা অর্জন করতে বাংলাদেশের ডেনিম রপ্তানি দ্বিগুণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু ডেনিম রপ্তানিতে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষস্থানে; এমনকি আমাদের অবস্থান চীনের চেয়েও উপরে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি আরও বলেন, ‘ডেনিম রপ্তানিতে বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর বিশাল অবদান রয়েছে।’
প্রধান অতিথি হিসেবে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম সংস্করণের উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ’র বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান, বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে ডেনিম ও ডেনিম সম্পর্কিত পণ্য রপ্তানি থেকে। সুতরাং, ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ডেনিম রপ্তানি বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সাসটেইনিবিলিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস করি যে ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেবে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিড সনদপ্রাপ্ত ২০৩টি সবুজ পোশাক কারখানা রয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার উপস্থিতি সাসটেইনিবিলিটির প্রতি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দূঢ় প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সেরা ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে এখন ৫৩টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘বর্তমানে বিজিএমইএ ও সরকার দেশে পোশাক শিল্প যাতে নির্বিঘ্নভাবে পরিচালিত হতে পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশে যে নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশে বিরাজমান, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আসরের সফল আয়োজন তাই প্রমাণ করে।’
এইচঅ্যান্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়ার রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, এইচঅ্যান্ডএম ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৬ শতাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কোম্পানির জন্য বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করতে এইচঅ্যান্ডএম একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি রিসাইক্লিয়ের জন্য আরও নিয়মিত পরিকল্পনা গ্রহণের উপর গুরোত্বারোপ করেন। এ ছাড়াও, উদ্ভাবনের ও নতুন কৌশলসমূহ যেগুলো পোশাক শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক সেগুলো আয়ত্ত্ব করার উপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, হ্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম গ্রিন সংক্রান্ত উদ্ভাবনের জন্য জিআইএফ এর সঙ্গে কাজ করছে।
অধিকন্তু, কার্বন নির্গমন ও পানি ব্যবহার কমাতে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও তিনি পোশাক শ্রমিকদের উচ্চ মজুরি সম্পর্কে উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানান।
মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ডেনিম শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। ডেনিম শিল্পের সেই অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আয়োজনে ১২টি দেশের মোট ৮০ টি প্রদর্শক অংশ নিচ্ছে। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া ২ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের প্রায় পাঁচ হাজার দর্শনার্থী নিবন্ধন করেছেন।
ডেনিম এক্সপোর এবারের আসরে মোট চারটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (ইকোনমিক) জোশুয়া গাকুটান; বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী ফাইয়াজ মুরশিদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি ও তুসুকা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দিপু; পুমার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শাখা ব্যবস্থাপক মঈন হায়দার চৌধুরী; মুনির আহমেদ, পরিচালক, এম অ্যান্ড জে গ্রুপ; মোহাম্মদ আনিস আগুং নুগরোহো, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ; মিস ক্যাথারিনা মায়ার, রিজিওনাল সিআরএম ম্যানেজার, ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এবং তুরস্ক, ব্লুসাইন টেকনোলজিস এজি; এবং টাকার আসানো, ওয়াইকেকে বাংলাদেশ পিটিই লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থান ও সামনের পথ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন।
'১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানব সম্পদের উন্নয়ন ও সদ্ব্যবহার’শীর্ষক সভায় আলোচনা করবেন- জিয়াউর রহমান, রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়া, এইচএন্ডএম; ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন; শরীফ জহির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনন্ত গ্রুপ; ড. শাহরিয়ার মাহমুদ, চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার, স্পিননোভা; সারওয়াত আহমেদ, সিনিয়র এডভাইজার, জিআইজেড; এবং ড. রবিচন্দ্রন এল, ডিরেক্টর - (প্রোডাক্ট ইনোভেশন/বিজনেস), আটলান্টিক কেয়ার কেমিক্যালস।
থিস উডস্ট্রা, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক, বিজিএমইএ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টিম গ্রুপ; শফিউর রহমান, কান্ট্রি ম্যানেজার, জি-স্টার র; শামস মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাশা ডেনিমস লিমিটেড এবং সাবেক সভাপতি, ডিসিসিআই; মাত্তেও উরবিনি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোকো কেমিক্যালস; এবং আন্দ্রেয়া ভেনিয়ার, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অফিসিনা+৩৯ 'ডেনিম শিল্পের টেকসই পরিবর্তন' বিষয়ক প্যানেল আলোচনা করবেন।
শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে করণী’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তাদের মধ্যে রয়েছে- আলী মুশতাক বাট, বাংলাদেশে ডেনমার্কের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর অ্যান্ড হেড অব ট্রেড মিশন; মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি, বিকেএমইএ; শহিদ উল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি, বিজিএমইএ; লুথমেলা ফরিদ, পরিচালক, প্যাসিফিক জিন্স; আদিব সাজ্জাদ, কান্ট্রি ম্যানেজার, সলভেই৮; এবং দীপক শাহ, গ্রুপ সিইও (বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম), টেক্স ফাস্টেনারস।
আরও পড়ুন: ড্রাইভারদের জন্য সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ চালু করল উবার
১ বছর আগে
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) মঙ্গলবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ দেশে পোশাক পণ্য রপ্তানি ব্যাহত করবে না, বরং পশ্চিমের আর্থিক সংকটের কারণে হ্রাস পেতে পারে।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আপনাদের সঙ্গে সর্বশেষ শিল্প পরিসংখ্যান ভাগ করছি। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক পোশাক আমদানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের একক বৃহত্তম আমদানিকারক।
ফারুক বলেন, এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক বৈশ্বিক পোশাক আমদানি মূল্যের দিক থেকে ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
তিনি বলেন, অন্যদিকে পরিমাণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আমদানি ২৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানির পরিমাণ ২৯ শতাংশ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, এর অর্থ, পরিমাণের দিক থেকে গত ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।
ফারুক বলেন, এদিকে ইউরোপ থেকে বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। এছাড়া রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রধান বাজার উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে। আর কোনো কারণে এই দুই বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে তা আমাদের শিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আমরা সর্বদা বাজার সম্প্রসারণ এবং নতুন বাজার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছি। আমরা ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এটি করে আসছি। সম্প্রতি আমরা অস্ট্রেলিয়ায় দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করেছি। সেখানে আমরা আমাদের শিল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি তুলে ধরেছি।’
বিজিএমইএ অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানিতে নতুন গতি আশা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইরাক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আশাবাদী বিজিএমইএ সভাপতি
তিনি বলেন, বিজিএমইএ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব এমনকি ইরাকের মতো আরও অনেক অপ্রচলিত বাজারের সঙ্গে কাজ করছে। নতুন বাজারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ আরও জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ১০টি কোম্পানি ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়।
১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি বিজিএমইএ’র সদস্য, দু’টি বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্য এবং ৪টি তাদের কোনোটির সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়।
এতে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক রপ্তানির নামে ঢাকা ও গাজীপুরের ১০ রপ্তানিকারকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলারের অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির গণমাধ্যমও এ বিষয়ে খবর ছড়িয়েছে। এরপর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ফারুক বলেন, ‘এই তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট।’
পোশাক কারখানাগুলোর অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তে সরকারকে আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি।
বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, পাশ্চাত্যে মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে গার্মেন্টস পণ্যের খুচরা বিক্রয় কমে যাওয়ায় দেশের রপ্তানি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়ায় রপ্তানি হ্রাসের দায় তারা নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ অন্যান্য কারখানা মালিকরা।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
১ বছর আগে
পোশাক রপ্তানির নামে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানির আড়ালে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ১০ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানান, ব্যাপক অনুসন্ধ্যানে টাকা পাচারের বিষয়টি প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব কারসাজির সঙ্গে জড়িত আছে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি সিএন্ডএফ এজেন্ট।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
রপ্তানিকারক ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-
ঢাকা সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, গুলশানের ফ্যাশন ট্রেড, ঢাকা উত্তরার এমডিএস ফ্যাশন, গাজীপুরের হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, বনানীর থ্রী স্টার ট্রেডিং, মিরপুরের ফরচুন ফ্যাশন, কচুক্ষেতের অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, গাজীপুরের পিক্সি নিটওয়্যারস লিমিটেড, ঢাকা শাহবাগের স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও খিলখেতের ইডেন স্টাইল টেক্স।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অভিনব কায়দায় রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যচালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কিন্তু কিছু বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা পরিচালনা করেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ইএক্সপি) ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে। যার বিপরীতে কোনো অর্থ দেশে ফিরে আসেনি বা সমুদয় রপ্তানি মূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
তদন্তকালে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্য চালান এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানসমূহ টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট, প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ পাচার করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল
১ বছর আগে
জুলাই-নভেম্বর: প্রধান দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন পরিচালক বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে প্রধান দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’ পেয়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল জানান, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০২২-২৩ সালের জুলাই-নভেম্বরে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯ দমমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, জার্মানি, ইউরোপের বৃহত্তম বাজার যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্পেন ও ফ্রান্সে রপ্তানিও যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশ যেমন- ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনে রপ্তানি যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে রপ্তানি বছরে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালে লেদারপণ্যের রপ্তানি হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
রুবেল বলেন, ‘এছাড়া, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় আমাদের রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ ও ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি একই সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে আমাদের রপ্তানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২২-২৩ সালের জুলাই-নভেম্বর মাসে আগের বছরের তুলনায় ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি সহ অন্যান্য অ-প্রথাগত বাজারগুলো হল মালয়েশিয়া ১০০ দশমিক ২১ শতাংশ, মেক্সিকো ৪৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভারত ৪৮ দশমিক ৭৮ দশমিক, ব্রাজিল ৪৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে রপ্তানি আয় পাঁচশ’ কোটি ছাড়াল, ডলার সংকট কেটে যাওয়ার আশা
জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে: মন্ত্রী
১ বছর আগে
নভেম্বরে রপ্তানি আয় পাঁচশ’ কোটি ছাড়াল, ডলার সংকট কেটে যাওয়ার আশা
পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধিতে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে। যা এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ আয়। কর্মকর্তাদের পরিসংখ্যান এ তথ্য তুলে ধরেছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদনে নভেম্বরের রপ্তানি আয় পাঁচ দশমিক ০৯ বিলিয়ন যা গত জুনে আগের মাসিক সর্বোচ্চ চার দশমিক ০৯৮ বিলিয়ন আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।
ইপিবি জানিয়েছে, নভেম্বরে অর্জিত পাঁচ দশমিক ০৯ বিলিয়ন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বগতি এমন এক সময়ে হলো যখন পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান ক্রেতা। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে হতাশাজনক চাহিদার সঙ্গে লড়াই করছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ডলার সংকটে ভুগছে। সেই সময়ে এই অর্জন ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকট লাঘবের আশা জাগিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
সাম্প্রতিক ইপিবি তথ্য দেখায়, ২০২৩ অর্থবছরে একটি ইতিবাচক প্রবণতায় প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এক মাসে পাঁচ বিলিয়ন বিলিয়ন অতিক্রম করেছে কারণ প্রস্তুতকারকরা, বিশেষ করে পোশাক, পশ্চিমা ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি অর্ডার এবং রপ্তানি চালান পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান ইউএনবিকে বলেছেন যে পোশাকের অর্ডার, যা গত কয়েক মাসে কমছে, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং দক্ষিণ কোরিয়া, নন-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য দেশ এবং কিছু আফ্রিকান দেশের এর মতো নতুন রপ্তানি গন্তব্য যুক্ত হওয়ার কারণে এটি একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের সরবরাহ ক্ষমতা ভালো এবং কাপড়ের দাম এখন পর্যন্ত খুবই সাশ্রয়ী হওয়ায় শীত ও ক্রিসমাস উদযাপনের সময় অর্ডার আরও বাড়বে।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন যে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও স্থগিত চালানের শিপমেন্ট পুনরায় শুরু করা এবং বৈচিত্র্যকরণের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়া বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সব ধরণের ক্রেতাদের জন্য একটি ভালো বিকল্প তৈরি করছে।
ইউরোপীয় বাণিজ্য গবেষক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ কমমূল্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোশাক রপ্তানি করছে, যার চাহিদা ইউরোপের বাজারে কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপে সাশ্রয়ী মূল্যে পোশাকের চাহিদা বেড়েছে যেখানে মূল্যস্ফীতি-আক্রান্ত ক্রেতারা চড়া দামের সঙ্গে লড়াই করছে।
রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ নিয়মিত পরিধান এবং বাড়িতে বুনন কাপড় আইটেম তৈরি করে এবং এটি ইইউ বাজারে তার রপ্তানিতে প্রাধান্য পায়।
এছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ফল, সবজি, হিমায়িত মাছ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য এবং হস্তশিল্পের রপ্তানিও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষণ দৃশ্যমান হওয়ায় ইইউ প্লাস দেশ, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য ক্রমাগত বাড়বে।
ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ রাজ্জাকের আশাবাদের উল্লেখ করে বলেছেন যে ইইউ বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রতিবছর বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে সেই ফলাফল দেখতে পাচ্ছি, যেখানে প্রথমবারের মতো রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
১ বছর আগে
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে ঘাটতি এবং পরিশোধের ভারসাম্যের ব্যবধান বাড়ার মধ্যে মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই মাসে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ছিল। এতে দেখা যায় রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার জুলাইয়ের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। মাস শেষে রপ্তানি ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রপ্তানি প্রায় এক দশমিক শুন্য বিলিয়ন কমেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, নিট এবং বোনা পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সেবা খাত থেকে বাংলাদেশ অর্থবছরে ৭ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ৬৭ শতাংশ বেশি।
সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
২ বছর আগে
ইউরোপীয় বাজারে পণ্যের ন্যায্য মূল্য চায় বাংলাদেশ
‘নিরাপদ ও সবুজ’ কারখানায় বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ইউরোপের বাজারে পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দশম যৌথ কমিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং অত্যন্ত গঠনমূলক ও মুক্ত পরিবেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অভিন্ন স্বার্থের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ইইউ পূর্বাভাসযোগ্য ও টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার গুরুত্বের ওপর সম্মত হয়েছে যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজ করে তুলবে।
এই লক্ষ্যে উভয় পক্ষ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ অনুসরণ ও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
ইইউ এর এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে বাংলাদেশের অব্যাহত সাফল্যের প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
ইইউর মতে, বাংলাদেশ সরকারের শ্রম অধিকারের মানদণ্ডের টেকসই সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে তাদের পূর্ণ সামাঞ্জস্য এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহী ইউরোপীয় কোম্পানি
শ্রম খাতে বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ এবং নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী এর ব্যাপক বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
ইইউ ও বাংলাদেশ সুশাসন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা, উন্নয়ন সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।
চলতি বছরের জুনে ঢাকায় প্রথম ইইউ-বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
২ বছর আগে
কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
কানাডার মতো সম্ভাবনাময় বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিশেষ করে হাই-এন্ড এবং বৈচিত্র্যময় পোশাক পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সম্প্রতি তিনি কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সাথে অটোয়ায় সাক্ষাৎ করে এ সহযোগিতা চান। সংস্থাটির পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিবও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক গল্পগুলো বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সামাজিক ও পরিবেশগত খাতে উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ তুলে ধরার আহ্বান জানান।
পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
তিনি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর ১২ বছরের জন্য বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে কানাডায় হাইকমিশনের প্রচেষ্টা এবং ভূমিকার ওপর জোর দেন।
ফারুক আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানাডায় বসবাসরত অনাবাসিক বাংলাদেশিদের (এনআরবি) সম্পৃক্ত করার উপায় খুঁজতে খলিলুর রহমানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর কারণে নজীরবিহীন সংকটের পর কীভাবে শিল্পটি ঘুরে দাড়াচ্ছে তা হাইকমশিনারকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৭১ কৃষকের মুখে হাসি ‘ফোটাল’ ইউসিবি
৩ বছর আগে