চাহিদা
চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানি করতে কয়েকটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি।
বুধবার (৫ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, স্থানীয় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।
সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ৭৫৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৭৩ ডলার। এছাড়া সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই ৭৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে। যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৪৭ ডলার।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি না করে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ: সিপিডি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্থাটি স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা বাল্ক মসুর ডাল ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সরবরাহ করবে। যার প্রতি কেজির দর পড়বে ৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন ব্যাগযুক্ত গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। যার প্রতি টনের দাম পড়বে ৪২২ দশমিক ৬২৫ ডলার।
১৭ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে ফ্যামিলি কার্ড চালু করবে। যার মাধ্যমে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের জন্য কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি কাজ করতে চাই। আমার পরিকল্পনা হলো...। আমরা বাংলাদেশে পরিবারের সংখ্যা গণনা করব। আমরা রাষ্ট্র থেকে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-গণ গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, একটি পরিবারে মা বা গৃহিণীর নামের বিপরীতে পারিবারিক কার্ড দেওয়া হবে এবং এই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চলে শুরু হবে এবং পরে ধীরে ধীরে শহরাঞ্চলে প্রসারিত হবে। এই কার্ডের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে প্রতিটি পরিবার স্বস্তি পায় এবং তাদের পরিবারের সঞ্চয় কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। এভাবে কয়েক বছর চলতে পারলে গ্রামীণ পরিবারের মানুষ সচ্ছল হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একই সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই।’
তিনি গণআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশকে গড়ে তোলার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত অর্জনকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক ক্ষমতাচ্যুত হলেও স্বৈরশাসকের কিছু প্রেতাত্মা এখনো দেশে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন হলেও সব বিপদ এখনো কাটেনি। সামনে এখনও বিপদ আছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নেবে, কারণ জনগণ গত ১৭ বছর ধরে এসবের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজের সময় যাতে স্বৈরশাসক নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের প্রেতাত্মারা বসে থাকে না, তারা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রপন্থী প্রতিটি মানুষকে এখন সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশ ও জাতি গঠনে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল এ ধরনের কাজ করতে সক্ষম। কারণ নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকবে।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বিএনপি বিভক্তি চায় না বরং জাতির মধ্যে ঐক্য চায়।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি শহীদ ও নিহতদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে হয়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
তারেক ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা (বাড়ি) নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এর আগে বলেছিলেন, দেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা নেই।
তারেক বলেন, 'খালেদা জিয়ার ছেলে হিসেবে আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ আমার প্রথম ঠিকানা এবং বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
১৮০ দিন আগে
চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় মসলাজাতীয় পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৭০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। কিন্তু মাংস রান্নায় বেশি পরিমাণে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবহার হয় বলে এসব পণ্য কিনতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
তাই ঈদকে সামনে রেখে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আর এই চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি জোরদার না করায় ব্যবসায়ীরা শাস্তি না পেয়েই পার পেয়ে যায়।
কারওয়ান বাজারে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকার নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা আম্বিয়া আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে বাজারের সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার ওপর আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করছে, পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়াতে হয়েছে তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মগবাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আদার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৭০ টাকার পরিবর্তে ৯০ টাকা এবং রসুন ২৪০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে প্রতি কেজি আদা ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। তবে মানভেদে বিভিন্ন বাজারে রসুনের দামে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ছাড়াও বিভিন্ন মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে এসব পণ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। গড়ে এই ৩টি পণ্যের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন বেশি দামে কিনি, তখন ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। কারণ বাজার থেকে এসব পণ্য কেনার পর একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১০ টাকা কেজি মুনাফা না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।’
ঢাকার কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে, কারণ রাজধানীর একটি বড় অংশ তাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহার আনন্দ উপভোগ করতে নগরী ছেড়েছে।
ঢাকার কাঁচাবাজারে শুক্রবার থেকে অন্যান্য পণ্য ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
২৮১ দিন আগে
ময়মনসিংহ অঞ্চলে চাহিদার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন আড়াইগুণ
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। উৎপাদনের বিপরীতে খাদ্য চাহিদা মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ। চলতি অর্থবছরে প্রায় ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক সালমা আক্তার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরের জাতভিত্তিক ফসল উৎপাদনের অগ্রগতি ও বিভিন্ন কার্যক্রম, বিগত পাঁচ বছরে বোরো, আমন ও আউশ ধানের উৎপাদন চিত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বক্তারা বিভিন্ন কৃষিবান্ধব কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা উদাহরণ হিসেবে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষপদ্ধতি উল্লেখ করেন।
তারা আরও জানান, বস্তায় আদা চাষে জমির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকেরা আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন। এক বস্তা আদা চাষে করতে খরচ হবে মাত্র ৭০ টাকা কিন্তু লাভ হবে বস্তাপ্রতি প্রায় ২১৫ টাকা।
কর্মশালায় অন্যান্য ফসল যেমন সরিষা, মধু, ভুট্টা, রঙিন ফুলকপি, ক্যাপসিকামসহ নতুন জাতের বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য কৃষি বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন বক্তারা।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শস্যের গড় নিবিড়তা পূর্বের চেয়ে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বেড়েছে ৪ হাজার ৯৪৯ হেক্টর, আউশের আবাদ বেড়েছে ৪ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে, মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে, নারী ক্ষমতায়ন ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং নার্স সিস্টেম হতে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যবহার পূর্বের চেয়ে দুই শতাংশ বেড়েছে।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. এ সাত্তার মন্ডল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এর পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
৩৭৬ দিন আগে
গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে সহজ ও সুবিধাজনক সব প্ল্যান।
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের নতুন এ উদ্যোগ।
নানা ধরনের কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমৃদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্ল্যানগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
অবিরাম ডাটা বান্ডেলের সঙ্গে চরকি, হৈচৈ, লায়ন্সগেট, টি-স্পোর্টসসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি নতুন সাপ্তাহিক ও মাসিক ডাটা প্ল্যান এনেছে গ্রামীণফোন, যা বিনোদনের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সাপ্তাহিক ডাটা প্ল্যানে ৪০ জিবি পর্যন্ত এবং মাসিক ডাটা প্ল্যানে ২০০ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সম্পূর্ণ ডাটা ভলিউম ব্যবহারের পর ক্রয় করা প্ল্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭ দিনের প্ল্যান এবং ৩০ দিনের প্ল্যান, উভয় প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউসেজ পলিসি (২৫৬ কেবিপিএস) প্রযোজ্য হবে।
ব্যবহারবান্ধব ও ভ্যালু ফর মানি– এই প্ল্যানগুলো সহজেই কেনা যাবে। মাইজিপি, ফ্লেক্সিলোড, আইভিআর ও ইউএসএসডি– যেকোনো মাধ্যমে প্ল্যানগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে যুক্ত থাকার সুবিধা নিয়ে সাজানো ফিচার-প্যাকড এই প্ল্যানগুলো ঝামেলামুক্ত একটি সাইন-অন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে উপভোগ করা যাবে।
এ ছাড়াও গ্রাহকরা এখন গ্রামীণফোনের কম্বো ও ডাটা প্ল্যানে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেখানে প্ল্যানের মেয়াদের মধ্যে পুনরায় ক্রয় করলে বোনাস ডাটা পাবেন তারা। তাছাড়া ডাটা প্ল্যানে অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন তার পোর্টফোলিওকে আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রিমিয়াম অফারগুলো আরও বিস্তৃত করেছে। অত্যধিক সংখ্যক অপশনের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নেওয়ার ঝামেলা দূর করা হয়েছে।
এতে গ্রাহকের ইউসেজ জার্নির অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরও সহজ, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব। একইসঙ্গে গ্রাহকদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমেরই কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। আর এটি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের জন্য সহজ, উদ্ভাবনী, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের চেষ্টা করে, যা তাদের পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ করছে। অবিরাম ডাটা প্ল্যানসহ সহজ নতুন প্ল্যানগুলো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি নতুন প্ল্যানগুলো গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যেমন সবসময় রাখবে কানেক্টেড, তেমনি বিনোদনেরও সুযোগ করে দেবে। গ্রাহকরা মাসিক ডাটা ও কম্বো প্ল্যানগুলোর সঙ্গে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনোদনের জগৎ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নতুন এসব প্ল্যান নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষমতায়ন, যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
৪১৮ দিন আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরই নাগালের বাইরে ইলিশ। তবে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তারা শুকনো, নোনা (লবণ দেওয়া) ইলিশের স্বাদ নিতে পারে।
প্রতি বছর চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য ঘাটের শ্রমিকরা অবিক্রীত ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাত করেন। তারা এখন মাছ কেটে তাতে লবণ দিতে ব্যস্ত।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় শুকনো লবণাক্ত ইলিশ বা ‘নোনা ইলিশ’পাওয়া যাচ্ছে এবং এর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
মৎস্য ঘাটে মৌসুমে নরম হয়ে যাওয়ায় অনেক ইলিশ অবিক্রীত থেকে যায়। কিছু ব্যবসায়ী এগুলো অল্পদামে কিনে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে। শুকনো লবণযুক্ত মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া শ্রমিকরা মাছ থেকে আলাদা করা ডিম বিক্রি করছেন আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। গত বছর প্রতি কেজি ইলিশের ডিম বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
রমজান বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং প্রতি বছর ইলিশ মৌসুমে ময়মনসিংহ থেকে এসে এই এলাকায় থাকেন।
পাইকারি বাজার থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ৭০০-১০০০ গ্রাম ওজনের অবিক্রিত ইলিশ কিনেছেন তিনি।
এ বছর ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তিনি। এই শুকনো নোনা ইলিশ আগামী ৬ মাস খাওয়ার উপযোগী থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।
রমজানের মতো আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, চারি গাজীসহ অনেক ব্যবসায়ী একই উদ্দেশ্যে চাঁদপুরে এসেছেন।
প্রায় ১০০ জন নারী ও ১৫০ জন পুরুষ ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দৈনিক মজুরি পান তাতেই খুশি।
চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিসুর রহমান বলেন, লবণ দিয়ে ইলিশ ছয় মাস সংরক্ষণ করা যায়।
রেফ্রিজারেটরে সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইলিশের ডিমও একইভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ এখন ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত এবং তারা মুনাফা করছে।
আরও পড়ুন: মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
৫২৮ দিন আগে
ইলিশের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশ মাছের চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে সরকার নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে বরিশালের সার্কিট হাউজে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের চাহিদা পূরণ করতে সরকারিভাবে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলেদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ নদীর প্রবাহমানতা বাড়াতে এবং গতিশীল করতে ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেও জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়ার কারণে এখন মাংস বিদেশে রপ্তানিও করছে বাংলাদেশ। ফলে এই খাত থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আরও পরিকল্পনা রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬১৭ দিন আগে
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীতে বেড়েছে ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ঈদ উপলক্ষে এই পণ্যগুলোর চাহিদা এই সময়ে বেশি থাকবে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে গিয়ে ইউএনবি এমন তিনটি আইটেমের দাম খুঁজে পেয়েছে - পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজির তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে এদিন চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা তাদের কেনাকাটা শেষ করতে বিকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে,।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত পোলাও চাল বিক্রি করছি, কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি এখানে লস না, লাভ করতে এসেছি।’
একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাজারদর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গুঁড়ো দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা ও ফ্রেশ মিল্ক ৮৪০ টাকা কেজি এবং মার্কস দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বন্যা: ঢাকার কাঁচাবাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম
৬৩৪ দিন আগে
বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা নেই: মন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বর্তমানে বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের কোনো বাজার নেই। তবে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বেড়েছে।
রবিবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় নবনির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে সারাদেশে টিটিসি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার দক্ষ কৃষকদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও নিয়েছে, তবে কৃষকদের অবশ্যই তাদের দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে এবং জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরপরই বিদেশে পাঠানো যায়।
তিনি আরও বলেন, ৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাণীনগরের টিটিসিতে ৬টি ট্রেডে ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ৮৮০ জন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, প্রকল্প পরিচালক সাইফুল হক চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৬৫০ দিন আগে
তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
তীব্র তাপদাহের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা। আর তাই দামও বেড়ে গেছে। শেষ সময়ে এসে তরমুজ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে খুলনার কৃষকেরা।
জানা যায়, অন্যান্য জেলার তরমুজ এর আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন দাকোপ উপজেলার তরমুজই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়ায় তাই সবাই তাকিয়ে আছে দাকোপের তরমুজের দিকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা অনেকেই দাকোপে গিয়ে তরমুজ কিনে আনছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর খুলনায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ছয় হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, চার মাস রোদে পুড়ে হাড় ভাঙা খাটুনি করে তারা যে মুনাফা করছে, তার থেকে তিনগুণ মুনাফা করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
নগরীর কদমতলা মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার মাঝারি সাইজের তরমুজ গড়ে বিক্রি হয়েছে (১০০ পিস) ছয় হাজার টাকায়। অর্থাৎ ছোট-বড় সব তরমুজের গড় মূল্য প্রতি পিস ৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ভ্যান ও ফলের দোকানে সেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
কৃষকরা জানান, দুইভাবে তরমুজ বিক্রি হয়। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা দাকোপে এসে মাঠ থেকে সরাসরি তরমুজ কেনেন। তারাই ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যান। চলতি সপ্তাহে ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিঘা বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। একই তরমুজ গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বড় আকারের (আট কেজির ওপরে) তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকায়।
এছাড়া কিছু কৃষক নিজেই তরমুজ নিয়ে খুলনার কদমতলায় পাইকারি বিক্রি করেন। পাইকারি তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে। ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিক্রি সোমবার বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ টাকা পিস। এছাড়া বড় তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পিস।
দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের কৃষক আজগর হোসেন জানান, শুরুতে প্রতি বিঘা ৪০/৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেছিলেন। কিন্তু এখন দাম ৭০ হাজারের ওপর। এতে কৃষকেরা খুশি।
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাকসুদুন্নবী জানান, ‘সোমবার পর্যন্ত আড়াই হাজার হেক্টর জমির তরমুজ বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন ৫০০/৬০০ হেক্টর জমির তরমুজ সংগ্রহ হচ্ছে। বেশিরভাগ তরমুজই ঢাকায় যাচ্ছে। ঈদের আগেই ৮৫ শতাংশ তরমুজ বিক্রি করা হবে।’
কৃষকদের অভিযোগ, তরমুজ বিক্রিতে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে পরিবহনে চাঁদাবাজি। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক তরমুজ পরিবহনের জন্য দাকোপ থেকে বিভিন্ন রুটে যাচ্ছে। প্রায় মোড়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
৭০৩ দিন আগে