৪ সন্তান
শেবাচিম হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন মুক্তা আক্তার পুতুল।
আরও পড়ুন: বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
তিনি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় তিনি প্রসব বেদনা শুরু হলে শেবাচিম হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে - সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।
এদিকে মা সুস্থ থাকলেও নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন বলেন, চারটি বাচ্চারই ওজন কম। অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর শরীরে যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। এখনও কোনো শিশু শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব জানিয়েছেন, তবে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বাহ্যিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় তাদের স্বজনেরা সবাই খুশি।
সন্তানদের নানী মায়া বেগম জানান, ১০ বছর আগে তার মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়েছে। গেল রমজানে দেশে থাকলেও বর্তমানে মুক্তার স্বামী সিদ্দিকুর রহমান বাহারাইন আছেন। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
১ বছর আগে
বিয়ের ১০ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন মৌসুমী!
দিনাজপুরে ১০ বছর নিঃসন্তান থাকার পর অবশেষে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন মৌসুমী বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে জেলার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে তিন ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মা ও চার শিশু সুস্থ রয়েছে।
প্রসূতি মৌসুমী জেলার বিরল উপজেলার ভান্ডার গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতালের এ্যানেসথিটক্স বিভাগের প্রধান ডা. রিপন কুমার দাস সহ বিভাগের অন্যান্যদের সহায়তায় সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেন গাইনোকোলোজি বিভাগের প্রধান ডা. ইসরাত শারমিন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরজু শামিমা রহমান এবং পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক টিমসহ অন্যান্যরা। মাত্র ২০ মিনিটের চেষ্টায় নিরাপদে একে একে চার ভাইবোনকে সফলভাবে পৃথিবীতে বের করে আনেন তারা। এসময় প্রসূতির জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন নবজাতকদের ফুপা জাহানুর আলম, ফুপাতো ভাই রুহুল আমিন এবং চাচা মুন্না।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, একসঙ্গে চার জনের সিজারিয়ান জন্ম এই হাসপাতালের প্রথম ঘটনা। ওজনে কম, রক্ত স্বল্পতা, অক্সিজেনের ঘাটতি এবং পরিণত সময়ের কিছুটা আগে আগাম প্রসবের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে চার ভাই বোন। ইউকিউবেটরে নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎসাসহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে চার ভাই বোনকে। এদের মধ্যে তিনজন ছেলে অন্যজন মেয়ে।
কোন রকম জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে অপারেশন করতে পারায় খুশি চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
এদিকে বিয়ের দশ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তান পেয়ে আনন্দে ভাসছেন শরিফুল-মৌসুমি দম্পতির দুই পরিবারের স্বজনদের পাশাপাশি পাড়া পড়শিরা। তবে সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর চিকিৎসার পেছনে ওষুধের যোগান দিতে দিতে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন তিনি। আর্থিক অনটনের কারণে সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন তিনি।
ভান্ডার গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক শরিফুল ইসলাম এবং মৌসুমী দম্পতির দশ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। দুই বছরের মাথায় তাদের প্রথম মেয়ে সন্তান অপরিণত সময়ে ভূমিষ্ট হওয়ার কারণে মারা গিয়েছিল। আট বছরের চেষ্টা এবং চিকিৎসায় একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলো এ দম্পতি।
অন্যদিকে, নবজাতকদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমান উৎসুক মানুষেরা।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস: দিনাজপুরে নানা কর্মসূচি পালন
২ বছর আগে
একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া
যশোরে সাত বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে চার সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া (৩০)।যশোর শহরের কুইন্স হসপিটালে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
বর্তমানে ওই চার নবজাতক ও তাদের মা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চার সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
লাক্সমিয়ার স্বজনরা জানান, ২০১৪ সালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে আবুল বাশারের সাথে একই উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামের ইমামুল খার মেয়ে লাক্সমিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। অনেকদিন এই দম্পতির কোন সন্তান না হওয়ায় উভয় পরিবারে মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। এক সময় সন্তানের প্রত্যাশায় তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অবশেষে হতাশার সকল অবসান ঘটিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের বেসরকারি ক্লিনিক কুইন্স হসপিটালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন লাক্সমিয়া।
আরও পড়ুন: একসাথে চার সন্তান প্রসব করলেন নোয়াখালীর বৃষ্টি
যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তার তার সিজার করেন। এদিকে, চার সন্তানের জন্মের খবরে হাসপাতালে হৈ চৈ পড়ে যায়।
৩ বছর আগে