বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফ্যাসিবাদী প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম করবেন না: বিএনপি
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকাণ্ড ও অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে, কিন্তু যেকোনো সময় তারা ফিরে আসতে পারে। সেই পথ সুগম করে দেওয়া আমাদের উচিত নয়। দুঃখজনকভাবে আমরা এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছি, যার ফলে তাদের ফিরে আসার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
'সংস্কারে লেখক ও শিল্পীদের ভূমিকা' শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে ‘ইউনিক নেতৃত্ব’ দিয়েছেন তারেক রহমান: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ‘কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধ করেছিলাম তারা কেন এখন অনৈক্য সৃষ্টি করছি? বিভিন্ন জায়গা থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শুনলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে ভিন্ন দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।’
ফখরুল বলেন, জাতিকে এখন একটি মাত্র লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সংসদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমাদের বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়। ঐক্য অটুট রেখে (গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে) এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটাও আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর নিশ্চিত করতে পারিনি।’
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে জাতিকে অনুপ্রাণিত করতে লেখক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা দীর্ঘদিনের। কিন্তু হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনে তা স্পষ্ট হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি লালন করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের এটি অর্জন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সার্ক নিয়ে আলোচনা
৩ সপ্তাহ আগে
আধিপত্যবাদী শক্তিকে প্রতিহত ও গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদী শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য দলের নেতাকর্মীরা নতুন করে শপথ নিয়েছেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির কাছে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠু ও যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ৭ নভেম্বর আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করব। গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে আমরা কঠোর আন্দোলন করব।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের চেতনাকে সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেয়া পাঠ করেন মির্জা ফখরুল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের 'সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের' স্মরণে এই দিনটি পালন করা হয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিকরা যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতা গ্রহণের পথ সুগম করে।
ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বারবার ষড়যন্ত্র ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় ৬০ লাখ মানুষকে মিথ্যাভাবে জড়িয়েছে, প্রায় ৭০০ জনকে গুম করেছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আল্লাহর রহমতে ২০২৪ সালে ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তি তৃতীয়বারের মতো পরাজিত হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, গত তিন মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিঃসন্দেহে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা অনেক কিছু করেছে এবং এখনও করছে। আমরা সবাই সহযোগিতা করলে তারা জাতির সামনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
১ মাস আগে
পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন রুখে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না এবং এটি চিরতরে নির্মূল করা হবে বলে প্রত্যাশা করছে জাতি।’
আগামীতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডা. শাহাদাতকে বিএনপি ও শীর্ষ দুই নেতার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি দাবি করেন, চসিক নির্বাচনে ড. শাহাদাত জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে সেই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
নির্বাচনে কারচুপির ফলাফল পাল্টে দিয়ে ড. শাহাদাতকে যথাযোগ্য বিজয়ী ঘোষণা করায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফখরুল।
আদালতের রায় মেনে নিয়ে ডা. শাহাদাতকে দায়িত্ব দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এর আগে রবিবার সকালে চসিকের মেয়র হিসেবে শপথ নেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শপথ গ্রহণের পর ডা. শাহাদাত ফখরুলসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে গত ১ অক্টোবর চসিক নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ড. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খায়রুল আমিন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
তবে গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ড. শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করে ওই রাতেই গেজেট প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
১ মাস আগে
শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করা হবে: ফখরুল
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল এখন ঐক্যবদ্ধ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন খুব শিগগিরই আরও জোরদার করা হবে।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার এখন বিরোধী দলগুলোর প্রধান শত্রু।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে আছি। এরইমধ্যে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি... সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তাভাবনা ভিন্ন- কেউ বামপন্থী, কেউ ডানপন্থী, কেউ কট্টর বামপন্থী- কিন্তু আমরা সবাই মিলে আন্দোলনে একমত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পরাজিত করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ একটি বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তারা দলটিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সেই আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা এখনো সেই আন্দোলনে আছি এবং নিঃসন্দেহে খুব শিগগিরই তা আরও তীব্র হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবে মোদি সরকার: ফখরুল
বিএনপি চলমান আন্দোলন সফল করতে সব বাম ও ডানপন্থী দলের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'এই আন্দোলনের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, কোনো রাজনৈতিক দল এই সরকারের পক্ষে ছিল না, কেউ তাদের সমর্থন দেয়নি। এটা আন্দোলনের বড় সাফল্য। তথাকথিত (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ যায়নি।’
মির্জা ফখরুল বিরোধী দলগুলোকে কোনো হঠকারী পদক্ষেপ বা ক্ষতিকর মন্তব্য না করতে সতর্ক করে দেন, যা তাদের ঐক্য ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, 'আমি সব সময় বলি, আমাদের হঠকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ আছে। এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবাই আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা এর জন্য লড়াই করছি, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।’
যুগপৎ আন্দোলন সফলভাবে পরিচালনার জন্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই সরকার, যারা আমাদের সর্বস্ব ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি... শেষ পর্যন্ত আমরাই সফল হব। আসুন আমরা সবাই জনগণের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের সঙ্গে সংগ্রাম করি। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করতে পারি, তবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই শাসনকে অপসারণ করা।’
গণতন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে দেশ ও জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
৬ মাস আগে
আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় খুশি হওয়ার কিছু নেই: দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে খুশি না হতে দলীয় সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ।
ফখরুল বলেন, অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজের শক্তি দিয়েই বর্তমান সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ভিসা নীতির আওতায় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি নিজের ঘর নিজে সামলাতে না পারি তবে অন্য কেউ আমার জন্য এটা করে দিবে না। আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞায় অনেকেই খুশি হতে পারেন। আমি মনে করি এটি বিভ্রান্তিকর এবং আমরা সবসময় বিভ্রান্ত হচ্ছি।’
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমেরিকা এর আগেও র্যাব, এলিট ফোর্স ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কিন্তু বর্তমান সরকারের ভয়াবহ যাত্রা থামাতে পারেনি।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজের শক্তি দিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজেদের শক্তি দিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, 'উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে' জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য
৭ মাস আগে
মে দিবসে 'গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে' ঐক্যের ডাক ফখরুলের
জনগণের অধিকার আদায় ও ব্যাপক দুর্নীতি নির্মূলের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার নয়াপল্টনে এক সমাবেশে এ আহ্বান জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘সরকার ব্যাংক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা গ্রামাঞ্চলে এমনকি বিরোধী দলের লোকদের সমস্ত ব্যবসা দখল করেছে।’
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন খাতের মানুষের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই মে দিবসে আমি সকল রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শিক সংগঠন বিশেষ করে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন আমাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে আন্দোলন করি। এই মে দিবসে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
মে দিবস উপলক্ষে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দেশে একতরফা শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হচ্ছে। এবার তাদের কৌশল ভিন্ন। আগের মতো সংসদে বিল পাস করে তারা এখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে তারা এটা করতে চায়।’
গণতন্ত্রের প্রতি বিরোধীদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা অতীতে কখনো পরাজিত হইনি, ভবিষ্যতেও পরাজিত হব না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা আরও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, মে দিবস এমন এক সময়ে পালিত হচ্ছে যখন বাংলাদেশের মেহনতি মানুষ 'পৈশাচিক শাসনব্যবস্থায়' তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
বুধবার বিকালে প্রচণ্ড তাপমাত্রার মধ্যেও নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হলে নয়াপল্টন এলাকায় সড়কের একপাশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ কারণে যানচলাচল ধীরগতির হয়ে যায়।
প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করাই আ. লীগের লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল
৭ মাস আগে
নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পশ্চিমা ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার নিরপরাধ মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা কয়েকদিন আগে দেখেছেন যে গভীন জঙ্গল উল্লেখ করা একটি এলাকা থেকে কিছু সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে আসা হয়।’
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধ আছে তা দেখানোর জন্যই সরকার এটা করেছে। আর জঙ্গিদের দমন করতে শুধু তাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ জঙ্গি, তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ধ্বংস করছে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তকমা চাপিয়ে দিয়ে তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ… এটা কোন পাপ বা অপরাধ নয়। সরকার ধর্ম পালনকারীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।’
জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এবং সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন নির্ভর করছে আমরা ফ্যাসিবাদকে সরাতে পারি কি না তার ওপর।
তিনি বলেন, এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে জনগণ বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে ও জেগে উঠছে এবং এক বছরে ২২ জন মানুষ সড়কে জীবন উৎসর্গ করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে অবশ্যই ফ্যাসিবাদীদের দমন করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার একটি বাসা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ নেতাকে তুলে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর ৩টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মনে হয় ২০/২৫ বছর ধরে ওই অস্ত্রগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে ছিল এবং সেখান থেকে সেদিন আনা হয়েছিল। এই মিথ্যা প্রচারণা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। তারা মনে করে সব দেশের মানুষ বোকা, কিন্তু সবাই বোঝে যে তারা (সরকার) এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের পরিবারকে খুনি বলে অভিহিত করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল এখন কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরোধী নির্মূল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক: ফখরুল
১ বছর আগে
গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল
পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় কাজ করা গণমাধ্যমগুলো করপোরেট মিডিয়ায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে অনেক মিডিয়া দেখছি, কিন্তু তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না… দেশে কৌশলে করপোরেট মিডিয়া তৈরি করা হয়েছে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোই সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের মালিক।’
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশের গণমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় দশক' শীর্ষক এক সেমিনারে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করপোরেট মিডিয়া মালিকরা সরকার ও ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা ভোগের পাশাপাশি ব্যবসা করছেন। ব্যাংক থেকে টাকা পাচারকারীদের রক্ষা করতে এসব গণমাধ্যম করপোরেশনে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
তিনি বলেন, অদ্ভূত বিষয় হলো, এখন একটি করপোরেট গণমাধ্যম আরেকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এবং এক ব্যবসায়ী আরেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করছে। তারা সবাই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ফখরুল বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে গণতন্ত্র ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় এবং স্বাধীনতা না থাকলে গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, সর্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ আমাদের দেশকে গ্রাস করেছে এবং ফ্যাসিবাদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের প্রয়োজন জনগণকে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। আর এজন্য প্রয়োজন গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা, যা বর্তমান সরকার গত দেড় দশক ধরে সূক্ষ্মভাবে করে আসছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এখন আমাদের বলতে হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।’
তিনি বলেন, এমনকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টভাবে বলছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, এখানে নির্বাচন হয় না। এখানে মানুষের অধিকার ও মানবাধিকারকে হরণ করা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে দলের নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মানুষ বিএনপিকে 'হিন্দুবিরোধী' বলে বিশ্বাস করে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতা মজবুত করার পুরোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এর অংশ হিসেবে তারা সংবিধান পরিবর্তন করে সংসদ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
সরকার পুরো সমাজকে কলুষিত করে রাজনীতি ও দেশের সব অর্জনকে ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই অন্ধকার ঠেলে আলোর দিকে এগিয়ে যাই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, আমাদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় ১৯৭১ ও ৯০-এর দশকের মতো সাহস ও শক্তি নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।’
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল
১ বছর আগে
সরকার নির্বাচনকে ‘ফ্যাসিজম’ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার বলেছেন, সরকার নির্বাচনকে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের একমাত্র লক্ষ্য গণতন্ত্র ও বিরোধী দলগুলোকে ধ্বংস করে একদলীয় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। তারা অতীতে এটি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেই সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে সফল হতে পারেনি… নির্বাচনকে অস্ত্র হিসেবে নিয়ে এবার তারা ভিন্ন স্টাইলে এই লক্ষ্য অর্জন করছে।’
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দিচ্ছে না বলে আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চাই। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চাই। কিন্তু আপনারা (সরকার) নিজের স্টাইলে নির্বাচন করছেন এবং ফলাফল আপনাদের পক্ষে নিচ্ছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন যে তারা এখনো রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান এবং আশা করেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জনগণের দাবি মেনে নিয়ে দেশকে বাঁচাতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তারা মনে করেন এবং দেশের জনগণ বিশ্বাস করে যে নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হবে।
তিনি বলেন যে তাদের দল ও জোটের শরিকরা তাদের বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দল আগামী ১২ জুলাই (বুধবার) নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নতুন যাত্রা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৩৬টি দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে: বুলু
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন যে বর্তমান 'অবৈধ' সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে দমনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ‘মোশাররফ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, রুহুল কবির রিজভীসহ দলের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা এখন অসুস্থ। কিন্তু আমরা কাজ করছি, আন্দোলন করছি এবং মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য এই অসুস্থ অবস্থাকে নিরাময় করা এবং জাতিকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করা।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বুধবারের সমাবেশ থেকে বড় প্রত্যাশা ফখরুলের
১ বছর আগে
জাপান বুঝতে চায় বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রবিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন। উনি আমাদের সঙ্গে কার্টিসি কল(সৌজন্য সাক্ষাৎ) করতে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব অনেক পুরনো। বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্ব, দ্বিপক্ষীয়ভাবে জাপানের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবার উপরে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে। তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে, সরকারের অবকাঠামোর প্রজেক্টগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করছে।’
আমির খসরু বলেন, ‘সতুরাং জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ। দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব একটি গ্রহনযোগ্য দেশ। সেজন্য বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে, প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বাংলাদেশে সেসময়ে হয়েছে। আমাদের সময়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি যেটা শুরু করেছিলাম তারপর থেকে জাপানের সঙ্গে সস্পর্ক বাংলাদেশের অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘সেজন্য জাপান দেখতে চায় সরকার বদল হলেও সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থা, বর্তমান মানবাধিকার যেগুলো নিয়ে আজকে সবার কনসার্ন, স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা, তারা জানতে চাচ্ছে- বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে। এটা তারা বুঝার চেষ্টা করছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সুতরাং জাপান তো আলাদা কোনো দেশ না। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য।’
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
১ বছর আগে