বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পশ্চিমা ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার নিরপরাধ মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা কয়েকদিন আগে দেখেছেন যে গভীন জঙ্গল উল্লেখ করা একটি এলাকা থেকে কিছু সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে আসা হয়।’
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধ আছে তা দেখানোর জন্যই সরকার এটা করেছে। আর জঙ্গিদের দমন করতে শুধু তাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ জঙ্গি, তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ধ্বংস করছে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তকমা চাপিয়ে দিয়ে তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ… এটা কোন পাপ বা অপরাধ নয়। সরকার ধর্ম পালনকারীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।’
জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এবং সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন নির্ভর করছে আমরা ফ্যাসিবাদকে সরাতে পারি কি না তার ওপর।
তিনি বলেন, এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে জনগণ বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে ও জেগে উঠছে এবং এক বছরে ২২ জন মানুষ সড়কে জীবন উৎসর্গ করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে অবশ্যই ফ্যাসিবাদীদের দমন করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার একটি বাসা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ নেতাকে তুলে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর ৩টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মনে হয় ২০/২৫ বছর ধরে ওই অস্ত্রগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে ছিল এবং সেখান থেকে সেদিন আনা হয়েছিল। এই মিথ্যা প্রচারণা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। তারা মনে করে সব দেশের মানুষ বোকা, কিন্তু সবাই বোঝে যে তারা (সরকার) এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের পরিবারকে খুনি বলে অভিহিত করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল এখন কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরোধী নির্মূল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক: ফখরুল
গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল
পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় কাজ করা গণমাধ্যমগুলো করপোরেট মিডিয়ায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে অনেক মিডিয়া দেখছি, কিন্তু তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না… দেশে কৌশলে করপোরেট মিডিয়া তৈরি করা হয়েছে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোই সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের মালিক।’
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশের গণমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় দশক' শীর্ষক এক সেমিনারে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করপোরেট মিডিয়া মালিকরা সরকার ও ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা ভোগের পাশাপাশি ব্যবসা করছেন। ব্যাংক থেকে টাকা পাচারকারীদের রক্ষা করতে এসব গণমাধ্যম করপোরেশনে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
তিনি বলেন, অদ্ভূত বিষয় হলো, এখন একটি করপোরেট গণমাধ্যম আরেকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এবং এক ব্যবসায়ী আরেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করছে। তারা সবাই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ফখরুল বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে গণতন্ত্র ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় এবং স্বাধীনতা না থাকলে গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, সর্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ আমাদের দেশকে গ্রাস করেছে এবং ফ্যাসিবাদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের প্রয়োজন জনগণকে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। আর এজন্য প্রয়োজন গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা, যা বর্তমান সরকার গত দেড় দশক ধরে সূক্ষ্মভাবে করে আসছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এখন আমাদের বলতে হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।’
তিনি বলেন, এমনকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টভাবে বলছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, এখানে নির্বাচন হয় না। এখানে মানুষের অধিকার ও মানবাধিকারকে হরণ করা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে দলের নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মানুষ বিএনপিকে 'হিন্দুবিরোধী' বলে বিশ্বাস করে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতা মজবুত করার পুরোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এর অংশ হিসেবে তারা সংবিধান পরিবর্তন করে সংসদ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
সরকার পুরো সমাজকে কলুষিত করে রাজনীতি ও দেশের সব অর্জনকে ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই অন্ধকার ঠেলে আলোর দিকে এগিয়ে যাই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, আমাদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় ১৯৭১ ও ৯০-এর দশকের মতো সাহস ও শক্তি নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।’
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল
সরকার নির্বাচনকে ‘ফ্যাসিজম’ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার বলেছেন, সরকার নির্বাচনকে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের একমাত্র লক্ষ্য গণতন্ত্র ও বিরোধী দলগুলোকে ধ্বংস করে একদলীয় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। তারা অতীতে এটি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেই সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে সফল হতে পারেনি… নির্বাচনকে অস্ত্র হিসেবে নিয়ে এবার তারা ভিন্ন স্টাইলে এই লক্ষ্য অর্জন করছে।’
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দিচ্ছে না বলে আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চাই। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চাই। কিন্তু আপনারা (সরকার) নিজের স্টাইলে নির্বাচন করছেন এবং ফলাফল আপনাদের পক্ষে নিচ্ছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন যে তারা এখনো রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান এবং আশা করেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জনগণের দাবি মেনে নিয়ে দেশকে বাঁচাতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তারা মনে করেন এবং দেশের জনগণ বিশ্বাস করে যে নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হবে।
তিনি বলেন যে তাদের দল ও জোটের শরিকরা তাদের বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দল আগামী ১২ জুলাই (বুধবার) নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নতুন যাত্রা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৩৬টি দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে: বুলু
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন যে বর্তমান 'অবৈধ' সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে দমনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ‘মোশাররফ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, রুহুল কবির রিজভীসহ দলের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা এখন অসুস্থ। কিন্তু আমরা কাজ করছি, আন্দোলন করছি এবং মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য এই অসুস্থ অবস্থাকে নিরাময় করা এবং জাতিকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করা।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বুধবারের সমাবেশ থেকে বড় প্রত্যাশা ফখরুলের
জাপান বুঝতে চায় বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রবিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন। উনি আমাদের সঙ্গে কার্টিসি কল(সৌজন্য সাক্ষাৎ) করতে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব অনেক পুরনো। বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্ব, দ্বিপক্ষীয়ভাবে জাপানের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবার উপরে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে। তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে, সরকারের অবকাঠামোর প্রজেক্টগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করছে।’
আমির খসরু বলেন, ‘সতুরাং জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ। দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব একটি গ্রহনযোগ্য দেশ। সেজন্য বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে, প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বাংলাদেশে সেসময়ে হয়েছে। আমাদের সময়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি যেটা শুরু করেছিলাম তারপর থেকে জাপানের সঙ্গে সস্পর্ক বাংলাদেশের অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘সেজন্য জাপান দেখতে চায় সরকার বদল হলেও সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থা, বর্তমান মানবাধিকার যেগুলো নিয়ে আজকে সবার কনসার্ন, স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা, তারা জানতে চাচ্ছে- বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে। এটা তারা বুঝার চেষ্টা করছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সুতরাং জাপান তো আলাদা কোনো দেশ না। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য।’
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
মির্জা ফখরুল আবারও করোনায় আক্রান্ত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তৃতীয়বারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন বলে বিএনপি মহাসচিবের কোভিড টেস্ট করা হয় এবং ফলাফল পজিটিভ আসে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
তবে ফখরুলের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান জাহিদ।
তিনি বলেন, বিএনপির এই নেতার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমেরও কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের চারটি ডোজ নিয়েছেন।
২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুল ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: জেএসডি সভাপতি আবদুর রব হাসপাতালে ভর্তি
জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ‘এবারের ঈদ আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও কঠিন ছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন, অন্যদিকে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ এবারের ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। তাই, তারা দুর্দশা ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
ফখরুল আরও বলেন, এবারের ঈদের বাজার মোটেই গতি পায়নি, কারণ সব পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা পুরোপুরি কমে গেছে। যখন দামের স্তর বৃদ্ধি পায়, তখন একই পরিমাণ অর্থ স্পষ্টতই কম কিনতে সক্ষম হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীকে 'ঈদ মোবারক' জানিয়েছেন।
সকাল ১১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহায়তায় জনগণকে একটি ধারণা দিতে চায় যে দেশ ও অর্থনীতি ভালো পথে চলছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশে একটি চরম অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে খুব শিগগিরই দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাবে। কিন্তু এই সরকার জোর করে মিথ্যা ও ভুল প্রচারণা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।
আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে দেশের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। তারা এবারও সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে, যা এমন একটি সরকার তৈরি করবে যা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভাগ করে নেবে এবং এভাবে জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফকিরাপুলের সন্দ্বীপ ভবনে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব সকালে বক্তৃতা করে বলেছেন, তদন্ত হলে না-কি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে সরকারের কারা কারা যুক্ত তা বেরিয়ে আসতে পারে। এ রকম একটি দায়িত্বহীন, কান্ডজ্ঞানহীন কথা বিএনপির মতো দলের মহাসচিবের কাছে আশা করা যায় না।'
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দু:খজনক। প্রধানমন্ত্রী এটি সার্বক্ষণিক মনিটর করেছেন এবং ইতোমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে এ ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসন এবং নিরাপদ স্থায়ী কাঠামোর বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের সদস্যরা বিপদাপন্নদের পাশে দাঁড়িয়েছে।'
সিজেএফডি’র সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, মাহফুজুর রহমান মিতা এবং সাইমুম সরওয়ার কমল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে: হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো ছিলেন প্রধান নায়ক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো ছিলেন প্রধান নায়ক। কোকো একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন, যিনি নিজে খেলাধুলা করতেন এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার বনানী কবরস্থানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘আজ (২৪ জানুয়ারি) আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। দুর্ভাগ্যবশত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তার মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক-এগারোর ঘটনার পরে কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারপর তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানো হয়। রাজনীতিতে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই দায়ী।’
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
তিনি বলেন যে আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রধান নায়ক। তিনি ক্রিকেটকে সংগঠিত, প্রতিষ্ঠিত ও এর মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে অবদান রেখেছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি কীভাবে তাকে করুণ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে এবং বিদেশে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়েই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
ফখরুল স্মরণ করেন যে সরকারবিরোধী তীব্র আন্দোলনের মধ্যে কোকোর মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে দেশে আনা হয়েছিল, যখন তার মা খালেদা জিয়াকে গুলশানে তার কার্যালয়ে বন্দি করে রাখা হয়।
তিনি বলেন, কিন্তু লাখ লাখ মানুষ সেদিন রাজপথে নেমে বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার জানাজায় অংশ নেন… জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস তা প্রমাণ করেছে। জিয়ার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক।
আরও পড়ুন: ‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
তিনি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। কোকোকে খালেদা জিয়ার আদরের ছেলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাকে হারিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। তিনি এখনও গৃহবন্দি ও আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি এবং বর্তমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত আমাদের ১৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসী এখন কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা সফল হব ও চলমান আন্দোলনে বিজয়ী হব এবং বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকাল ৮টায় বনানীতে কোকোর কবর প্রাঙ্গণে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ফখরুলসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি কোকো ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। ২৭ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোকো’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে সোমবার
লকডাউনে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নিয়েছে সরকার, অভিযোগ ফখরুলের
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউনে সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন।
'তারা (সরকার) আমাদের দলের, সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তারা লকডাউনকে কেন্দ্র করে একটি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে।'
আরও পড়ুন: মূল্য বৃদ্ধির জন্য দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে বিএনপি
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার লকডাউনের সুযোগ নিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। 'চলমান ক্র্যাকডাউনের কারণে এখন সারা দেশে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থাকতে পারবেন না।'
তিনি গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা ‘মিথ্যা’ অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফখরুল বিরোধী দলগুলোর জন্য গণতান্ত্রিক স্থান নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, 'অন্যথায়, আপনাকে অবশ্যই এটির জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে, এবং আপনাকে কোনো একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।'
আরও পড়ুন: উপসর্গ ছাড়াই খালেদার করোনা শনাক্ত: বিএনপি
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যবহার করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে।
'হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সহিংসতা ও পুলিশেরসাথে সংঘাতকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চাটগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এসব মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ১৬৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। 'তাদের মধ্যে একজন পাবনায় গ্রেপ্তারের পরে মারা যান।'
এছাড়া, ফখরুল বলেন, জামিনে তাদের মুক্তির পথে বাধা তৈরি করতে পুলিশ নিপুণ রায় চৌধুরী ও রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপির নেতাদেরগ্রেপ্তার করে নতুন মামলায় জড়িত করছে।
তিনি বলেছিলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। 'আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দমনমূলক আচরণের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে কেননা তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা এই পবিত্র রমজান মাসেও এই জাতীয় জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত।'
আরও পড়ুন: হেফাজতকে উসকে দিচ্ছে বিএনপি: হানিফ
ফখরুল বলেছিলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে একটি স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 'এ কারণেই তারা কেবল বিএনপি ও বাম জোটকেই দমন করছে না, হেফাজত ও ইসলামিক দলগুলোসহ অন্যান্য দলগুলোকেও দমন করে যাচ্ছে। তারা সকলের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠস্বর শোনা না যায়।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা সরকারেরও নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা সরকারেরও নেই।