কোটি টাকা আত্মসাত
করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত: টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার কারাগারে
খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনা নমুনা টেস্টের দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: করোনা ফি’র আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের
জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি বাবদ মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আদায় হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ প্রকাশ কুমার দাস বাকি ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা দেননি। ওই টাকা কেন সরকারি কোষাগারে জমা দেননি তার জবাব দেয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর কৈফিয়ত তলব করা হয়। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে প্রকাশ কুমার দাস আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাইকোর্টের জামিন নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেন।
আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে প্রকাশ কুমার ১৫ দিনের জামিন নিয়ে খুলনায় আসেন। জামিন শেষে আদালতে হাজির হয়ে পুনজামিনের আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
৩ বছর আগে
কোটি টাকা আত্মসাত: হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়কসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সরকারের এক কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক তত্ত্বাবধায়কসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় ঢাকার উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
আসামিরা হলেন—কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (অবসরপ্রাপ্ত) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু হাসানুজ্জামান, ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য দপ্তরের সাবেক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) এ এইচ এম আব্দুল কুদ্দুস এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্যারাগন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদির দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা পারস্পারিক যোগসাজসে দরপত্র আহ্বানের আগে মেডিকেল যন্ত্রপাতির বাজারদর যাচাই না করে বাজার দরের চেয়ে অধিক দরে কার্যাদেশ দিয়ে সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করেন। এসব সরঞ্জামাদির মূল্য বাবদ সরকারি অতিরিক্ত এক কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাত করেন তারা।
৩ বছর আগে