বিয়ানীবাজার
বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত, আটক ১
সিলেটে প্রতিবেশীদের হামলায় একরাম আলী (৫৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে গাড়ি রাখার স্থান নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন একরাম আলী।
একরাম আলী ইউনিয়ন দফাদার ছালেহ আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ট্রাকের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
এদিকে তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী হামলাকারীদের বাড়ি ঘেরাও করে একজনকে আটক করেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পচিালনা করা হচ্ছে।’
৬ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে ফাহিম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র জনতা। সে পৌরসভার দক্ষিণ ফতেহপুর দাসগ্রাম এলাকার সফিক উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পৌরশহরের পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র জনতা।
আটক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম আহমদ (২৫) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দায়ের করা একটি হত্যা মামলার আসামি। পরে সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার চেষ্টাকালে ফাহিম আহমদকে স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করেন। এক পর্যায়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ফাহিম সরকার পতনের পর বিয়ানীবাজার থানা প্রাঙ্গণে গুলিতে নিহত ময়নুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২৬ নম্বর আসামি। নিহতের স্ত্রী শিরিন বেগম ওই মামলার বাদী।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ পাইনি। খেলার মাঠ থেকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে আমাদের থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার আসামি। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
৮ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে ‘ঠিকানা’র ধারেকাছে যান না মুক্তিযোদ্ধারা
কয়েক বছর আগে বিয়ানীবাজারে নির্মিত হয়েছে আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। তিনতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণের পর থেকেই অনেকটা পরিত্যক্ত। কমপ্লেক্সটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে এটি মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রমের চেয়ে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে বলে বিরোধী রাজনীতিক নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অঘোষিত কার্যালয় হিসেবে এই ভবনটি ব্যবহারের কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। অতি রাজনীতিকরণের ফলে বিয়ানীবাজার পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিজস্ব ঠিকানায় বসতে অনীহা প্রকাশ করতেন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: সরকারি সুবিধাবঞ্চিত গেজেটের ১৩৯৯ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
তাছাড়া নির্বাচন না হওয়ায় বিগত সাড়ে ৭ বছর থেকে অকার্যকর হয়ে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের ক্যাম্পাস মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবন। নির্বাচিত কমিটি না থাকায় উপজেলা সংসদের নেই কোনো কার্যক্রম। প্রশাসনিকসহ যতটুকু কার্যক্রম রয়েছে তাও চলছে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে।
বিয়ানীবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিসে প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ায় অধিকাংশ সময় তালাবদ্ধ থাকে কার্যালয়। ফলে এক সময়ের জমজমাট এই সংগঠনটি ক্রমেই অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে।
নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধারা না আসায় এবং কোনো কার্যক্রম না থাকায় অনেকটা ভুতুড়ে প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। ভবনের অধিকাংশ রুমের দরজা-জানালা ভাঙা।
সরেজমিনে বুধবার প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করেও কার্যালয়ের আশপাশে দেখা মেলেনি একজন মুক্তিযোদ্ধারও। কোনোদিন হাতেগোনা দুই-এক মুক্তিযোদ্ধা এলেও তাদের পরামর্শ দেওয়ারও কেউ নেই।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৩ মে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর নির্বাচন নিয়ে আর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্র বলছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পুননির্ধাারণ করে জামুকা অধ্যাদেশ তৈরি করা হচ্ছে। অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বড় পরিসরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু করা হবে দেশজুড়ে। এই কাজে মাঠপর্যায়ে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে।
আরও পড়ুন: ৩৬ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের আগুন
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে সক্রিয় করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই ভবনটি সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের। তাদের জন্য ভবনের দরজা সবসময় খোলা।’
তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এই ভবন ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
১৫ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠছেন ‘শেষ ঠিকানা’র কারিগররা
কোনো মুসল্লির মৃত্যু হলে মৃতের গোসল, কাফন, জানাজা, লাশ বহন ও দাফন করা অপর মুসলমানের জন্য অবশ্যক হয়ে যায়। কেউ মারা গেলে যত দ্রুত সম্ভব এই কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়।
সিলেটের বিয়ানীবাজারে কারও মৃত্যুর খবর পেলেই তড়িঘড়ি করে খুন্তি-কোদাল, দা, চাকু, স্কেল ও করাতসহ কবর খোঁড়ার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে যান ১০-১২ জন তরুণে একটি দল। কবর খোঁড়ার পর মৃত ব্যক্তির পরিবারের কারও কাছ থেকে নেন না কোনোরকম পারিশ্রমিক বা যাতায়াত খরচ।
এলাকার সবার কাছে বিশেষ সম্মানের পাত্র তারা। পরিচিতি পেয়েছেন ‘শেষ ঠিকানার কারিগর’ হিসেবে। কবর খোঁড়ার নিখুঁত, সুদক্ষ ও সুনিপুণ কারিগর হিসেবে তারা সর্বত্র পরিচিতি পেয়েছেন। এমন আত্মিক কাজে তৃপ্ত হয়ে তারা বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কসবা-খাসা গ্রামে গড়ে তুলেছেন ‘শেষ ঠিকানা’ নামের একটি সংগঠন।
বর্তমানে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৫০-এর কাছাকাছি। এক দিনে একাধিক কবর খোঁড়ার প্রয়োজন হলে তারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে যান। মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে বাঁশ কাটা, কবর খোঁড়া শেষ করে দাফন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন তারা।
সংগঠনের ডায়েরিতে লেখা তথ্য অনুযায়ী, তারা এ পর্যন্ত ৪ হাজারের ওপর কবর খুঁড়েছেন। শুধু দুই গ্রামেই নয়, পৌরশহরে কোথাও মৃত্যুর খবর শুনলেও ছুটে যান সংগঠনটির সদস্যরা।
নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারের জন্য সংগঠনের সদস্যদের নিয়মিত চাঁদায় তারা মাইক সেট কিনেছেন। দূর-দূরান্তে যেতে এখন একটি অটোরিকশাও কেনার স্বপ্ন তাদের।
গ্রামবাসী জানায়, শেষ ঠিকানার সদস্যরা এই অঞ্চলের মানুষর হৃদয় জয় করেছেন। তারা দৈনন্দিন কাজ ফেলে মৃত মানুষকে চিরশয্যায় শায়িত করার কাজ করছেন। চাহিদাবিহীন এই সংগঠনের সদস্যদের নীতি-নৈতিকতা এলাকার সবাইকে মুগ্ধ করে।
৩৯ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে ৪ ইউপি চেয়ারম্যানকে নোটিশ, বরখাস্তের প্রক্রিয়া
সিলেটের বিয়ানীবাজারের ৪ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
এরা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহবাবুর রহমান খান শিশু, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জেলার নেতা চারখাইয়ের হোসেন মুরাদ চৌধুরী; উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেওলার মো. জহুর উদ্দিন এবং সহ-প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাথিউরার মো. আমান উদ্দিন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমে অসহযোগিতা, ইউপি কার্যালয়ে অনুপস্থিতি, মাসিক উন্নয়ন সভায় গরহাজির, একাধিক মামলায় পলাতক থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তারা ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যানরা মামলায় পলাতক থাকার কারণে তৃণমূলের সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একাধিক মামলা হলে তারা অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। এ কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
অবশ্য চারখাইয়ের চেয়ারম্যান একটি হত্যা মামলায় কারাবাস শেষে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে বিধি-মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আলোকে উপজেলা প্রশাসন ওই চেয়ারম্যানদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী, ইউএনও কারণ দর্শানো ব্যাতিরেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করার অধিকার কেউ রাখেন না।
বিয়ানীবাজার ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
১১৯ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে আ.লীগ নেতা আশরাফুল গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার তিলপারা নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছবেদ আলি জানান, শুক্রবার রাতে র্যাব- ৯ এর একটি দল বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা নামক স্থান থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে, বিয়ানীবাজার থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এখন তাকে সিআইডিতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর বিকালে একদল লোক বিয়ানীবাজার থানায় হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলা আশরাফুল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি মামলার বাদি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
১৩৩ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পুকুরে ডুবে মতিউর রহমান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের বিবিরাই গ্রামে এক পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মতিউর দেবারাই মেইনবাড়ি গ্রামের মৃত মিছির আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১৮৮ দিন আগে
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে উৎপাদনে যায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা গ্যাস কূপটি।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এদেশ দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাসম্পন্ন দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনানী এলাকায় ২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, কূপটি উৎপাদন শুরু করায় জাতীয় গ্রিডে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ৮-৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন জানান, সিলেট-৮, বিয়ানীবাজার-১ ও কৈলাশটিলা ৭নং কূপ ওয়ার্কওভার করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এই তিনটি কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে গ্যাস সরবরাহ সংকট কাটাতে নতুন কূপ খনন, উৎপাদনে থাকা কূপের সংস্কার এবং পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় পেট্রোবাংলা। এরই আওতায় বিয়ানীবাজার-১ কূপটির ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু হয়। পরে বাপেক্সের ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুদ পায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
এসজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটি চার দশক আগের। ১৯৮১ সালে এ গ্যাস ফিল্ডে কূপ খনন শুরু হয়। এরপর গ্যাস ফিল্ডটি থেকে গ্যাস তোলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ২০১৪ সালে কূপটির সরবরাহ কমলে একপর্যায়ে গ্যাস উত্তোলনও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে কূপটি পুনরায় উৎপাদনে এলেও ওই বছরের শেষ নাগাদ তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
পেট্রোবাংলার গ্যাস মজুদের তথ্য অনুযায়ী, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডে ৯২ বিসিএফ (ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত) গ্যাস মজুদ রয়েছে। গ্যাসক্ষেত্রটিতে ২০৩ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত কূপটি থেকে ১১১ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যে মোট ১৬টি কূপ খনন, উন্নয়ন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার-১ কূপটিও ছিল।
এ কূপ থেকে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হয়েছিল যদিও এখন তা বেড়ে প্রায় ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে বলে জানান পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বনানীতে বুধবার ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
৫৩৬ দিন আগে
সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় নিজের মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে রায়ে তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলার মৃত তাহির আলী ওরফে সুন্দর আলীর ছেলে। নিহত ছয়মুন বিবি তারই মা।
রায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এসএম পারভীন এবং রাষ্ট্রের নিয়োজিত আইনজীবী ফারজানা হাবিব চৌধুরী আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ছয়মুন বিবির সঙ্গে ছেলে কামালের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বসতঘরের পাশে ছয়মুন বিবিকে মাটিতে ফেলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ছেলে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা প্রতিবেশি ফখরুদ্দিনের স্ত্রী হেনা বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কামাল আহমদ রক্তমাখা ধারাল ছুরিসহ দৌড়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেলে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাতা সাইম উদ্দিন বাদী হয়ে সমন্ধিক কামাল আহমদকে অভিযুক্ত করে পরদিন বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ওই আদালতে দায়রা ৫৩ মূলে রেকর্ড করা হয়।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আদালতের বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
৬০৩ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে খাদে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিলেটের বিয়ানীবাজারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুভাস চন্দ্র ঘোষ নামে এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুভাস স্কয়ার ফুড কোম্পানির সেলস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলার সারপার থেকে মোটরসাইকেলে করে সুভাষ ও আরেকজন বিয়ানীবাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল রাস্তার নিচে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সুভাস চন্দ্র ঘোষ মারা যান। পথচারীরা তাকে ও মোটরসাইকেল আরোহী অপরজনকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুভাষকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর আরোহীকে সিলেটে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
দিনাজপুরে কুকুরের সঙ্গে মোটরসাইকেল ধাক্কায় নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভটভটি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ১
৮৭৬ দিন আগে