বিয়ানীবাজার
বিয়ানীবাজারে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পুকুরে ডুবে মতিউর রহমান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের বিবিরাই গ্রামে এক পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মতিউর দেবারাই মেইনবাড়ি গ্রামের মৃত মিছির আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
৩ সপ্তাহ আগে
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে উৎপাদনে যায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা গ্যাস কূপটি।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এদেশ দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাসম্পন্ন দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনানী এলাকায় ২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, কূপটি উৎপাদন শুরু করায় জাতীয় গ্রিডে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ৮-৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন জানান, সিলেট-৮, বিয়ানীবাজার-১ ও কৈলাশটিলা ৭নং কূপ ওয়ার্কওভার করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এই তিনটি কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে গ্যাস সরবরাহ সংকট কাটাতে নতুন কূপ খনন, উৎপাদনে থাকা কূপের সংস্কার এবং পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় পেট্রোবাংলা। এরই আওতায় বিয়ানীবাজার-১ কূপটির ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু হয়। পরে বাপেক্সের ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুদ পায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
এসজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটি চার দশক আগের। ১৯৮১ সালে এ গ্যাস ফিল্ডে কূপ খনন শুরু হয়। এরপর গ্যাস ফিল্ডটি থেকে গ্যাস তোলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ২০১৪ সালে কূপটির সরবরাহ কমলে একপর্যায়ে গ্যাস উত্তোলনও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে কূপটি পুনরায় উৎপাদনে এলেও ওই বছরের শেষ নাগাদ তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
পেট্রোবাংলার গ্যাস মজুদের তথ্য অনুযায়ী, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডে ৯২ বিসিএফ (ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত) গ্যাস মজুদ রয়েছে। গ্যাসক্ষেত্রটিতে ২০৩ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত কূপটি থেকে ১১১ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যে মোট ১৬টি কূপ খনন, উন্নয়ন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার-১ কূপটিও ছিল।
এ কূপ থেকে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হয়েছিল যদিও এখন তা বেড়ে প্রায় ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে বলে জানান পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বনানীতে বুধবার ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
১ বছর আগে
সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় নিজের মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে রায়ে তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলার মৃত তাহির আলী ওরফে সুন্দর আলীর ছেলে। নিহত ছয়মুন বিবি তারই মা।
রায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এসএম পারভীন এবং রাষ্ট্রের নিয়োজিত আইনজীবী ফারজানা হাবিব চৌধুরী আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ছয়মুন বিবির সঙ্গে ছেলে কামালের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বসতঘরের পাশে ছয়মুন বিবিকে মাটিতে ফেলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ছেলে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা প্রতিবেশি ফখরুদ্দিনের স্ত্রী হেনা বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কামাল আহমদ রক্তমাখা ধারাল ছুরিসহ দৌড়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেলে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাতা সাইম উদ্দিন বাদী হয়ে সমন্ধিক কামাল আহমদকে অভিযুক্ত করে পরদিন বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ওই আদালতে দায়রা ৫৩ মূলে রেকর্ড করা হয়।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আদালতের বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে খাদে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিলেটের বিয়ানীবাজারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুভাস চন্দ্র ঘোষ নামে এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুভাস স্কয়ার ফুড কোম্পানির সেলস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলার সারপার থেকে মোটরসাইকেলে করে সুভাষ ও আরেকজন বিয়ানীবাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল রাস্তার নিচে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সুভাস চন্দ্র ঘোষ মারা যান। পথচারীরা তাকে ও মোটরসাইকেল আরোহী অপরজনকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুভাষকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর আরোহীকে সিলেটে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
দিনাজপুরে কুকুরের সঙ্গে মোটরসাইকেল ধাক্কায় নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভটভটি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ১
১ বছর আগে
সিলেট থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু
সিলেটের বিয়ানীবাজারের ১ নং কূপ থেকে জাতীয় গ্রীড সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবারহ শুরু হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর পরিত্যক্ত থাকার পর সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে এই কূপ থেকে উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ শুরু হয়। প্রথমদিন থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, সোমবার সকাল থেকেই সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা ছিলো। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আজ সারাদিন আমরা গ্যাস ফ্লো আউট করি। এরপর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ শুরু হয়।
তিনি বলেন, এরআগে রবিবার বিকালে আমরা পরীক্ষামূলক সব কাজ সম্পন্ন করি। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার (টেস্টিং) কাজও রবিবার সম্পন্ন হয়।
এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন গ্যাস গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধিন। এই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।
পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বিয়ানীবাজারের ১নং কূপ গত সেপ্টেম্বরে খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। পুণঃখনন শেষে গত ১০ নভেম্বর থেকে কূপে গ্যাসের মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
এসজিএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
দেশে গ্যাসসংকটের সময়ে এ কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ একটি আনন্দের সংবাদ উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়া পর আনুষঙ্গিক কাজ দ্রুত শেষ করে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। এর জন্য আমরা সফলভাবে কাজটি দ্রুত করতে পেরেছি। এ ছাড়া বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ চলছে। সেই জরিপ থেকে নতুন গ্যাস ফিল্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সকল কোম্পানি প্রায় ৪৬ টি কূপ খনন (ওয়ার্ক ওভার) এর মাধ্যেমে ৬১৮ মিলিয়ন গ্যাস বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
বিয়ানীবাজারের কূপ থেকে দিনে মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
১ বছর আগে
সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
জাতীয় গ্রীড সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে প্রতিদিন আরও প্রায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সোমবার থেকে সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে এই গ্যাস সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে। যা চলমান গ্যাস সঙ্কট কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বিয়ানীবাজারের ১ কূপ গত গত সেপ্টেম্বরে খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) থেকে এই কূপ হতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে জানিয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, রবিবার বিকালে আমরা পরীক্ষামূলক সব কাজ সম্পন্ন করেছি। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার (টেস্টিং) কাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য কারিগরি সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার সকাল থেকেই এ কূপ হতে সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।
এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন গ্যাস গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন। এই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।
এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। পুণঃখনন শেষে গত ১০ নভেম্বর থেকে কূপে গ্যাসের মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া: ডিএনসিসি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস
এসজিএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশে গ্যাসসংকটের সময়ে এ কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ একটি আনন্দের সংবাদ উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার পর আনুষঙ্গিক কাজ দ্রুত শেষ করে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। এর জন্য আমরা সফলভাবে কাজটি দ্রুত করতে পেরেছি। এ ছাড়া বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ চলছে। সেই জরিপ থেকে নতুন গ্যাস ফিল্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সকল কোম্পানি প্রায় ৪৬ টি কূপ খননের (ওয়ার্ক ওভার) মাধ্যেমে ৬১৮ মিলিয়ন গ্যাস বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
বিয়ানীবাজারের কূপ থেকে দিনে মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
১ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত একটি কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহখানেক।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
নাজমুল আহসান বলেন, বিয়ানীবাজারের একটি পরিত্যক্ত কূপে আমরা ওয়ার্কওভারের কাজ করছিলাম। সেখানেই কিছু গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছি। তবে সেই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা বা সেটি কি পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন কূপেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স
তিনি আরও বলেন, এখনও কূপটিতে কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। এরপর আমরা এসব বিষয় নিশ্চিত করতে পারবো।
জানা যায়, কূপের তিন হাজার ৪৫৪ মিটার গভীর থেকে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে এখন গ্যাসের চাপ রয়েছে তিন হাজার ১০০ পিএসআই।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) সূত্রে জানায়, বিয়ানীবাজার-১ কূপটির তিন হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হ। এরপর ২০১৬ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কূপটিতে নতুন করে ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) শুরু করে বাপেক্স।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
২ বছর আগে
বিয়ানীবাজারের কূপ থেকে দিনে মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপ খনন করে গ্যাসের মজুদ পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে এই কূপে গ্যাসের মজুদ থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় বাপেক্স।
এছাড়া শিগগিরই এ কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হবে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজারের এই কূপে খনন শুরু করে বাপেক্স।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা হবে: নসরুল হামিদ
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে এক নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই কূপে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খননকাজ শুরু হয়।
খনন কাজ শুরুতে ধারণা করা হয়েছিলে, এ কূপ থেকে প্রতিদিন সাত মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে খনন শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম বলেন, আরও কিছু কার্যক্রম শেষে শিগগিরই আমরা এ কূপ থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারবো। খনন শুরুর আগে ডিপিপিতে ধরা হয়েছিল এখানে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে আরও বেশিই পাওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) অধীন বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিস সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীনে আরও কূপ খননের কাজ চলছে জানিয়ে এই প্রকৌশলী বলেন, ‘এতে ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার আশা রয়েছে।’
গ্যাসের জন্য খ্যাতি রয়েছে সিলেটের। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।
এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র।
দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।
আরও পড়ুন: সংসদে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন-২০২২ বিল পাস
২ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
সিলেটের বিয়ানীবাজারে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মিলন বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন বেগম উপজেলার উত্তর দুবাগ গ্রামের শফিকুর রহমানের স্ত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার-সিলেট সড়কের মেওয়া এলাকার কাসিমুল মাদরাসার সামনে সিলেটগামী প্রাইভেট কার পথচারী নারীকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে পানি থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের চালক ও এক যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে গাড়িতে থাকা অপর যাত্রী দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান। এ সময় গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন- উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের আভঙ্গি এলাকার ছমির উদ্দিনের ছেলে ইমরুল হোসেন (৩৫) ও কাজপুর এলাকার মঈন উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (২৮)।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালক নিহত
প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মাগুরায় স্কুলছাত্রী নিহত
২ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে ২৩৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে ২৩৬ বোতল ভারতে তৈরি ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক যুবককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চারখাই বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আকমল হোসেন (৩২) বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউলগ্রামের ফখর উদ্দিন ওরফে ফারুকের পুত্র।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ বিয়ানীবাজার থানার ২নং চারখাই বাজারে চেকপোস্ট করাকালীন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চারখাই থেকে এ ফেনসিডিল উদ্ধার ও ফেনসিডিল বহনে মোটরসাইকেলসহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এসআই ফয়সাল বাদী হয়ে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ওয়ারেন্টভুক্ত ১৪ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, ফেনসিডিল জব্দ
লালমনিরহাটে ফেনসিডিল জব্দ, ২ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে