সঙ্গীত
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: সঙ্গীতের সেরা পুরস্কার বিজয়ীরা
গত ২ ফেব্রুয়ারি মহা আড়ম্বরে পর্দা নামল সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস। বিশ্বনন্দিত সঙ্গীতজ্ঞদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম এরিনা। হু সমাদৃত বার্ষিক এই উৎসবের ৬৭তম আসরে মোট ৯৪টি বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে সঙ্গীতশিল্পীদের। চলুন, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ আসরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভাগে মনোয়নপ্রাপ্ত ও বিজয়ীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভাগে মনোয়নপ্রাপ্ত ও বিজয়ীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫-এর গ্র্যামির আসরে মুকুটধারী সঙ্গীত তারকারা
আনুষ্ঠানিকভাবে মনোয়ন প্রকাশের পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বিয়ন্সে। কেননা এবার মোট ১১টি ক্যাটাগরিতে নাম আসে ইতোমধ্যে ৩২টি গ্র্যামি পুরস্কার জেতা এই তারকার। এখন পর্যন্ত তিনিই সর্বোচ্চ গ্র্যামি মনোয়নপ্রাপ্ত নারী সঙ্গীতশিল্পী।
কিন্তু বহুল কাঙ্ক্ষিত পর্ব শুরুর পর পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার জিতে নেন ৭ ক্যাটাগরিতে মনোনয়নপ্রাপ্ত র্যাপ সঙ্গীতশিল্পী কেন্ড্রিক লামার। তার ‘নট লাইক আস’ শিরোনামের একটি গানই মোট ৫টি পুরস্কারের খেতাব পেয়ে যান। এগুলো ছিল- ‘বর্ষসেরা রেকর্ড’, ‘বর্ষসেরা গান’, ‘সেরা র্যাপ গান’, ‘বেস্ট র্যাপ পারফর্মেন্স’ এবং ‘বেস্ট মিউজিক ভিডিও’।
বিয়ন্সে ছাড়াও এই বিভাগগুলোতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দ্য বিটল্স ব্যান্ড, বিলি আইলিশ, টেইলর সুইফ্ট, লেডি গাগা, ব্রুনো মার্স, ও এমিনেমের মতো শিল্পীরা।
আরো পড়ুন: ভাঙচুর, মারামারিতে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ পণ্ড
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানটি ছিল আরও বিস্ময়কর! প্রথমবারের মতো গ্র্যামির চারটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে সবগুলোই জিতে নেন সিয়েরা ফেরেল। তার ৪র্থ অ্যালবাম ‘ট্রেইল অফ ফ্লাওয়ার্স’ ‘বেস্ট আমেরিকানা অ্যালবাম’ হিসেবে ভূষিত হয়। অ্যালবামটির ‘অ্যামেরিকান ড্রিমিং’ গানটি ‘বেস্ট আমেরিকান রুট্স সং’ এবং ‘বেস্ট আমেরিকানা পারফর্ম্যান্স’ হিসেবে পুরস্কৃত হয়। একই অ্যালবামের ‘লাইটহাউজ’ শিরোনামের গানটি ঘোষিত হয় ‘বেস্ট আমেরিকান রুটস পারফর্ম্যান্স’ ক্যাটাগরিতে।
বিয়ন্সের দখলে মনোনয়নের তুলনায় পুরস্কারের সংখ্যা ছিল অনেক কম; মাত্র ৩টি। কিন্তু এই স্বল্পতা ইতোমধ্যে তার অর্জিত সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্র্যামি পুরস্কার রেকর্ডের এতটুকু হেরফের করেনি। বরং ৩৫টি গ্র্যামি ট্রফি নিয়ে তিনি এখনও নারী ও পুরুষ উভয় সঙ্গীতশিল্পীদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।
তার ৮ম অ্যালবাম ‘কাউবয় কার্টার’ ২০২৫-এর সেরা অ্যালবাম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ইতোপূর্বে সর্বাধিক পুরস্কারের রেকর্ডধারী হলেও কখনোই ‘বর্ষসেরা অ্যালবাম’-এ নাম আসেনি বিয়ন্সের। এই সফলতা এবারই প্রথম।
‘কাউবয় কার্টার’-এর জন্য তিনি ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম’ও জিতেন। এছাড়া মাইলি সাইরাসের সঙ্গে ‘টু মোস্ট ওয়ান্টেড’ গানটির জন্য তিনি ‘বেস্ট কান্ট্রি ডুয়ো/গ্রুপ পারফর্মেন্সের খেতাব পান।
আরো পড়ুন: এবার বিয়ের খবর দিলেন পড়শী
ইংলিশ সঙ্গীত শিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স-এর এবারই ছিল প্রথম গ্র্যামি যাত্রা। আর এই অভিষেকেই তিনি ৮টি মনোনয়ন থেকে ৩টি পুরস্কার দখল করে নেন। তার ৬ষ্ঠ অ্যালবাম ‘ব্র্যাট’ তাকে ‘বেস্ট ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক অ্যালবাম’ এবং ‘বেস্ট রেকর্ডিং প্যাকেজ’ জিতিয়ে দেয়। অ্যালবামটির ‘ভন ডাচ’ গানটির জন্য তিনি ‘বেস্ট ড্যান্স পপ রেকর্ডিংয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন।
৪টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়ে তিনটিই জিতে নেন সেন্ট ভিন্সেন্ট। তার ৭ম অ্যালবাম ‘অল বর্ন স্ক্রিমিং’ ‘বেস্ট অল্টারনেটিভ মিউজিক অ্যালবামের’ জন্য নির্বাচিত হন। অ্যালবামটির ‘ব্রোকেন ম্যান’ গানটি ‘সেরা রক গান’ এবং ‘ফ্লি’ গানটি ‘বেস্ট অল্টারনেটিভ মিউজিক পারফরম্যান্স’ বিভাগে পুরস্কৃত হন।
ছয়টি মনোনয়নের দুইটিতে বিজয়ী হন চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ সাবরিনা কার্পেন্টার। তার ৬ষ্ঠ অ্যালবাম ‘শর্ট অ্যান্ড সুইট’ ‘বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবামের’ পুরস্কার পায়। অ্যালবামের ‘এস্প্রেসো’ গানটি ‘বেস্ট পপ সলো পারফর্মেনেসর’ খেতাব লাভ করেন।
অ্যামেরিকান গস্পেল সঙ্গীতশিল্পী সিসি উইন্যান্স তিনটি মনোনয়নের মধ্যে জয় পান দুইটিতে। তার ‘দ্যাটস মাই কিং’ গানটি ‘বেস্ট কন্টেম্পরারি খ্রিশ্চিয়ান মিউজিক পারফর্ম্যান্স/সং’-এর খেতাব পান। আর তার ‘মোর দেন দিস’ অ্যালবামটি পুরস্কার পায় ‘বেস্ট গস্পেল অ্যালবাম’ ক্যাটাগরিতে। এতে তার অর্জিত মোট গ্র্যামি পুরস্কার সংখ্যা দাড়ায় ১৭। সেই সঙ্গে সর্বাধিক নারী গ্র্যামি জয়ীদের তালিকায় জনপ্রিয় বৃটিশ সঙ্গীতশিল্পী অ্যাডেলকে পেছনে ফেলে তিনি পঞ্চম স্থানে চলে আসেন।
আরো পড়ুন: সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি: মহারাষ্ট্র পুলিশ
সবচেয়ে বেশি মনোনয়নের দিক থেকে বিয়ন্সের পরেই চার্লি এক্সসিএক্স-এর সঙ্গে যুগ্মভাবে ছিলেন র্যাপার পোস্ট ম্যালোন। ৮টি মনোনয়নের কোনোটিই তিনি ঘরে তুলতে পারেননি। একইভাবে বিলি আইলিশকেও ৭টি বিভাগের মনোনয়ন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
একই দশা জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী টেইলর সুইফ্টেরও। ৬টিতে মনোনয়ন পেলেও সবগুলোই তার হাতছাড়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘বর্ষসেরা অ্যালবামের’ জন্য লড়েছিল তার ১১-তম অ্যালবাম ‘দ্যা টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’। গ্র্যামির ইতিহাসে ‘বছরের সেরা অ্যালবাম’ বিভাগে এ নিয়ে তিনি ৭বার মনোনীত হলেন, যেখানে পূর্বে তিনি চারবার জিতেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি গ্র্যামির একই ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক মনোনয়ন পাওয়া নারী সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার রেকর্ড করলেন।
এবারের তালিকায় অভূতপূর্ব এক সংযোজন ছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নির্মিত গান ‘ন্যাউ অ্যান্ড দেন’। এর জন্য ‘বেস্ট রক পারফর্মেন্স’ পুরস্কার জিতে বিখ্যাত ব্যান্ড দল বিটলস।
অন্যান্য শিল্পী যারা মনোনয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে চার্লি এক্সসিএক্সসহ আটজন।
কলাম্বিয়ান সঙ্গীতশিল্পী শাকিরা এবারের আসরে ‘বেস্ট ল্যাটিন পপ অ্যালবাম’ পুরস্কার লাভ করেন। এর নেপথ্যে ছিল ‘লাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ শিরোনামের তার ১২-তম অ্যালবাম। এ নিয়ে তার ৪র্থ বারের মতো গ্র্যামি জয়।
আরো পড়ুন: গান গাইতে গাইতে মঞ্চে লুটিয়ে পড়লেন সাবিনা ইয়াসমিন
এছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার গ্র্যামি বিজয়ীরা হলেন-
‘বেস্ট র্যাপ অ্যালবাম’- দোয়েচির ‘অ্যালিগেটর বাইটস নেভার হিল’
‘বেস্ট রক অ্যালবাম’- দ্য রোলিং স্টোন্সে হ্যাকনি ডায়মন্ডস
‘সেরা নতুন সঙ্গীতশিল্পী’- ‘চ্যাপেল রোয়ান’
‘বেস্ট পপ ডুয়ো/গ্রুপ পারফর্ম্যান্স’- লেডি গাগা ও ব্রুনো মার্স-এ ‘ডাই উইথ এ স্মাইল’
আরো পড়ুন: ইউটিউবে প্রকাশিত হলো তাহসান-সিঁথির ‘একা ঘর আমার’
পরিশিষ্ট
২০২৫-এর গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড-এ সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জিতেছেন র্যাপার কেন্ড্রিক লামার। সর্বাধিক মনোনয়নের মাধ্যমে সবার নজর কাড়লেও জয়ের ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে ছিলেন বিয়ন্সে। সেখানে গ্র্যামিতে প্রথম উপস্থিতিতেই মনোনয়নের সবকটি বিভাগ জিতে বাজিমাত করে দিয়েছেন সিয়েরা ফেরেল। বছর সেরা অ্যালবামের ৭বার গ্র্যামি মনোনয়ন নিয়ে একমাত্র নারী সঙ্গীতশিল্পীর রেকর্ডে পৌঁছলেন টেইলর সুইফ্ট। বিশ্বের ১ম এআই গান বিটল্সের ‘ন্যাউ অ্যান্ড দেন’ ছিল এ আসরের অন্যতম আকর্ষণ। সর্বসাকূল্যে, জমকালো আয়োজনে পুরো উদযাপনটি প্রতিফলিত করেছে সঙ্গীত শিল্পের পরিবর্তনের ধারাকে।
৩৬ দিন আগে
সঙ্গীত পরিচালক আলম খানের প্রতি শিল্পকলা একাডেমির শ্রদ্ধা
বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান এর স্মরণে এক আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে মো. খুরশিদ আলম এর কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘তবলার তেরে তেকে তাক’ ও ‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোন দিন নয়’ শিরোনামে দুটি একক সংগীত; কণ্ঠশিল্পী স্মরণের কন্ঠে ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’ ও ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’; পান্থ কানাই এর কণ্ঠে ‘ওরে নীল দরিয়া’ ও ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’; রন্টি দাস এর কণ্ঠে ‘মনে বড় আশা ছিল‘ ও ‘কাল তো ছিলাম ভালো’ এবং সম্রাট এর কণ্ঠে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ ও ‘জীবনের গল্প আছে বাকী অল্প’ শিরোনামে সংগীত পরিবেশন করে আলম খানকে স্মরণ করেন শিল্পীরা।
যন্ত্রশিল্পী হিসেবে তবলায় ছিলেন-মিলন ভট্রাচার্য, কিবোর্ডে- রুপতনু, গিটারে-সেলিম হায়দার, বাঁশীতে- মো. মনিরুজ্জামান এবং প্যাডে-ছিলেন পুলক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিনাত জাহান মুন্নি।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সংগীত বিভাগের পরিচালক আফতাব উদ্দিন হাবলু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হাদি, বিশিষ্ট সুরকার শেখ সাদি খান, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক জাহাঙ্গীর হায়াত খান রুমু, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং প্রয়াত আলম খানের পুত্র আরমান খান ও আদনান খান।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দশম সহজিয়া উৎসবে তারকা সমাবেশ
শিল্পকলায় শুরু হলো ‘জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব’
৯৬২ দিন আগে
আবারও শুরু হলো শুদ্ধসঙ্গীত উৎসব
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে শুদ্ধসঙ্গীত উৎসব। বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের ধানমন্ডি মিলনায়তনে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী এই সঙ্গীত উৎসব দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী শুদ্ধসঙ্গীত উৎসব ১৪২৮ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনের শিক্ষক মদন গোপাল দাস ও সতীন্দ্রনাথ হালদারকে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে ‘শান’এর মুক্তি পেছাল
বৃহস্পতিবার বিকালে সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টার পর্যন্ত চলা এই উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন খায়রুল আনাম শাকিল, রেজোয়ান আলী, শেখর মন্ডল ও অভিজিৎ কুন্ডুসহ বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীরা।
শুক্রবার শেষ দিন অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। এ সময় আলাউদ্দিন মিয়া, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী প্রমুখের পরিবেশনা থাকবে।
সমাপনী দ্বিতীয় অধিবেশন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে অসিত দে, অর্পিতা চক্রবর্তী ও অন্যান্য শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: বছরের শুরুতে নতুন লুক ও চমক নিয়ে আফরান নিশো
২০২০ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ছায়ানট সশরীরে সমস্ত অনুষ্ঠান সীমিত করে। এরপর থেকে তারা ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে আসছে।
১১৬২ দিন আগে
শুরু হলো রবি-গান বাংলার ‘রিদম অনলাইন’ সিজন ২
জনপ্রিয় মিউজিক্যাল শো ‘রবি রিদম অনলাইন’ এর সিজন-২ শুরু হয়েছে। গত বছর অসাধারণ সাফল্যের পর সংগীতপ্রেমীদের জন্য আবারও এ শো নিয়ে এসেছে রবি ও দেশের প্রথম সঙ্গীত চ্যানেল গান বাংলা।
সোমাবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিদম অনলাইন একটি সাপ্তাহিক সঙ্গীত অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি প্রতি শুক্রবার রাত ৯টায় রবি ও গান বাংলার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচারিত হয়। এরই মধ্যে দ্বিতীয় সিজনের পাঁচটি পর্ব লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটির পরবর্তী পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী ১ অক্টোবর রাত ৯টায়। ওই পর্বে সরাসরি পারফর্ম করবেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হাসিব।
আরও পড়ুন:অসুস্থ সঙ্গীত শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি
দ্বিতীয় সিজনে ইতোমধ্যে পারফর্ম করেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী লুইপা, মিজান, ডোরা, শামীম, ঐশী ও প্রিয়। রবি ও গান বাংলা ফেসবুক পেজে লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালে গান গাওয়ার পাশাপাশি ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের সাথে সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন শিল্পীরা।
এছাড়া রিদম অনলাইন অনুষ্ঠানের আগে রবির ফেসবুক পেজে প্রাসঙ্গিক পোস্টটিতে কমেন্ট করে দর্শকরা বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও তাদের প্রিয় গানটি শোনার জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রতিটি গানের পেছনে তাদের ব্যক্তিগত বা পেশাগত নানা গল্পও শোনাবেন দর্শকদের।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার নকীব খান করোনায় আক্রান্ত
রবি এবং গান বাংলা একত্রিত হয়ে গত বছর অনুষ্ঠানটির প্রথম সিজন চালুর মধ্য দিয়ে সঙ্গীতপ্রেমিদের জন্য ঘরে বসে বিনোদনের এক নতুন মাধ্যম তৈরি করে। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া প্রথম সিজনটি তিন মাস সম্প্রচারিত হয়। চিরকুট, বালাম, ফাহমিদা নবী, আরফিন রুমি’র মত জনপ্রিয় অনেক সংগীত শিল্পী এবং ব্যান্ড প্রথম সিজনে পারফর্ম করেছিলেন। অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় সিজনটি আরও বিনোদনে ভরপুর এবং আরও বড় আয়োজনে সম্প্রচারিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০ ব্যান্ড দল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ‘স্বাধীনতা সঙ্গীত উৎসব’
১২৬২ দিন আগে