বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান এর স্মরণে এক আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে মো. খুরশিদ আলম এর কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘তবলার তেরে তেকে তাক’ ও ‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোন দিন নয়’ শিরোনামে দুটি একক সংগীত; কণ্ঠশিল্পী স্মরণের কন্ঠে ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’ ও ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’; পান্থ কানাই এর কণ্ঠে ‘ওরে নীল দরিয়া’ ও ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’; রন্টি দাস এর কণ্ঠে ‘মনে বড় আশা ছিল‘ ও ‘কাল তো ছিলাম ভালো’ এবং সম্রাট এর কণ্ঠে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ ও ‘জীবনের গল্প আছে বাকী অল্প’ শিরোনামে সংগীত পরিবেশন করে আলম খানকে স্মরণ করেন শিল্পীরা।
যন্ত্রশিল্পী হিসেবে তবলায় ছিলেন-মিলন ভট্রাচার্য, কিবোর্ডে- রুপতনু, গিটারে-সেলিম হায়দার, বাঁশীতে- মো. মনিরুজ্জামান এবং প্যাডে-ছিলেন পুলক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিনাত জাহান মুন্নি।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সংগীত বিভাগের পরিচালক আফতাব উদ্দিন হাবলু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হাদি, বিশিষ্ট সুরকার শেখ সাদি খান, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক জাহাঙ্গীর হায়াত খান রুমু, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং প্রয়াত আলম খানের পুত্র আরমান খান ও আদনান খান।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দশম সহজিয়া উৎসবে তারকা সমাবেশ