সম্পত্তি
সম্পত্তি নিয়ে মাকে মারধর, ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীর ফুলগাজীতে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন ও ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী মা।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুরে ভুক্তভোগী জাহারা বেগম তার দুই ছেলে হোসেন ও মীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ছেলেরা তাকে মারধর করে ঘর থেকেও বের করে দিয়েছেন। একই ঘটনায় জাহারা বেগমের বড় ছেলে প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শাহেদা আক্তারকে মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
এ ঘটনা ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মা জাহারা বেগম তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহেদা আক্তারের দেবর বেলাল হোসেন তার স্বামীর কেনা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দেওয়ায় ভাইয়ের স্ত্রী শাহেদা আক্তারের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
একই ঘটনায় মা জাহারা বেগম বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন পক্ষে কথা বলায় বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন ও তাদের স্ত্রীরা মিলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
স্থানীয়রা জানয়, জয়নাল আবেদীন তার আপন চাচা মুসলিম মিয়ার কাছ থেকে তার বসতঘরের সামনের সম্পত্তি কেনেন। জয়নালেনের কেনা সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল করে দালান নির্মাণের জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনেন তার মেঝ ও ছোট ভাই।
এদিকে দালান নির্মাণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার ভাই বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন তাদের মায়ের থাকার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী জাহারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন। সম্পত্তি বণ্টনকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই সম্পত্তির জেরে আমার মেঝ ছেলে ও ছোট ছেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার থাকার ঘরে তালা দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার ভাই আজিজ উল্লাহ মানিকের সহযোগিতায় তারা একাধিকবার আমি ও আমার বড় ছেলের বৌয়ের ওপর হামলা চালায়। আমি আলাদতে তাদের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার মুসলিম মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের জায়গা জোর করে দখল করে বেলাল দালান নির্মাণ করার জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনে। এ সময় বেলাল আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা জয়নালের বউয়ের ওপর ও হাত তুলে এবং জাহারার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।’
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘শুধুমাত্র আমার মা ও বড় ভাইয়ের কারণে আমাদের সম্পত্তি বণ্টনে করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মা আমার নামে মামলা পর্যন্ত করেন। ইতোপূর্বেও আমার নামে মামলা করায় আমি ১৮ মাস জেল হাজতে ছিলাম। ‘আমি কিছু করিনি। এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি যতটুকু পাব বড় ভাই ততটুকু পাবে। আইন অনুযায়ী আমিন এনে মাপ করার পর যা পাবে, আমরা সে কথাই বলেছি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
মায়ের ওপর হামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমি আমার নিরাপত্তার স্বার্থে বলেছি ঝামেলা মিটে যাওয়া পর্যন্ত বড় ভাইয়ের ঘরে থাকতে। মায়ের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। যার পক্ষপাতিত্ব করছে তার কাছে থাকতে বলেছি।’
ফুলগাজী থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মায়ের ঘরটির তালা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে দুই পক্ষের আলোচনা আছে ঈদের পর আগামী ১০ এপ্রিল দুই পক্ষের সঙ্গে সামাজিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
১৬ মিনিট আগে
বেগমপাড়ার সম্পত্তি উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় কানাডীয় হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জনগণের কাছ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ দিয়ে বেগমপাড়ায় সম্পত্তি কেনা হয়েছে। সেই সম্পত্তি উদ্ধারে আপনাদের সহায়তা দরকার—এগুলো সবাই আমাদের জনগণের সম্পত্তি।
ইউনূস বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ, সহযোগী ও অলিগার্করা হাজার হাজার কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে লুট করেছে। সেই অর্থের একটা অংশ কানাডায় পাচার করেছে এবং টরোন্টোর কুখ্যাত বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছে।
আরও পড়ুন: একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
পাচারকারীদের শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময়ে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন কানাডীয় হাইকমিশনার, কানাডা সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডার সরকার চিহ্নিত ব্যক্তিদের পাচার করা অর্থ জব্দ এবং তা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ‘প্রক্রিয়া’ চালু রেখেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে সহযোগিতা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করে অজিত সিং বলেন, আপনারা যে মহৎ কাজ করছেন, আমরা তা সমর্থন করি। এরইমধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা জানতে আগ্রহী, আরও কীভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।
কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে কানাডার একজন মন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা আরও বেশি কানাডীয় বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে।
কানাডার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আপনাদের দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই এবং আমরা চাই কানাডীয় কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।
আরও পড়ুন: অনলাইনে মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে। তাই ঢাকায় কানাডার একটি ভিসা অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
৪৯ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের আদেশ
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহির ও তার পরিবারের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সম্পদ ক্রোক (জব্দ) ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে বলে আবেদনে বলা হয়।
আবু জাহিরের নামে ঢাকার গুলশানে অ্যাপার্টমেন্ট ও হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় বাসাসহ ৯টি স্থাবর সম্পত্তির অর্জন মূল্য দেখানো হয়েছে তিন কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকা। স্ত্রী আলেয়া আক্তারের নামে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের নামে ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩০০ ও মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ৬ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ। এছাড়া আবু জাহিরের ১ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার ৭০৬ টাকা মূল্যের একটি জিপ ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মেয়ে মুক্তির নামে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬২ টাকা, আবু জাহির ও ভাই আল আমিনের যৌথ নামে ২৬ লাখ ১১ হাজার ১১৪ টাকা ও আল আমিনের নামে ২৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
শেয়ার বাজারে ছেলে ইফাত জামিলের ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, মেয়ে মুক্তির ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে (বর্তমান মেট লাইফ) আবু জাহিরের ১৯ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪ টাকা ও ভাই বদরুলের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকার বিমা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
দুদক আদালতকে জানিয়েছে যে, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৯ স্থাবর ২টি যানবাহন ৪টি ব্যাংক হিসাব, ২টি শেয়ার একাউন্ট ৯টি বীমা পলিসি ১৭টি অস্থাবর সম্পতি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টয় লিপ্ত বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। অভিযোগ নিস্পত্তির আগে বর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করা জরুরি।
দুদকের হবিগঞ্জের পিপি শামসুল হক আবু জাহিরের সম্পদ ক্রোক ও জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
৬২ দিন আগে
সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
সম্পত্তির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা জাহানারা বেগমকে তালাবদ্ধ ঘরে ৩ মাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকা থেকে জাহানারাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। জাহানারা বেগম (৭০) গোর্কণঘাটের মৃত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তির লোভে জাহানারাকে তিন মাস একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন তার ছেলে-মেয়েরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসময় তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা চান।
ওই নারীর সন্তানদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, ‘সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরে বন্দি করে রাখে। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেওই নারীর কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: যশোরে ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
২২১ দিন আগে
বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারের তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তা জব্দের আবেদন করে দুদক।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র।
এ ছাড়াও, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।
পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গা জুড়ে ডুপ্লেক্স, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
৩০৩ দিন আগে
সরকারের সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার আছে: মোমেন
সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘কোন অভিপ্রায় নেই’। তবে সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকারের নামে কেউ যদি সম্পত্তি ধ্বংস করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং মানুষ হত্যা করে, তাহলে তাদের সম্পত্তি ও মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের চলাফেরা নিশ্চিতের অধিকার সরকারের রয়েছে।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ‘বাংলাদেশ: রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোমেন জানান, এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে কী আছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তবে তিনি বলেন, তারা কারো মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চান না। ‘আমরা খুব সংবেদনশীল। সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডব্লিউ সোমবার বলেছে, বাংলাদেশ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছে। তাই দেশটির কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলগুলির ওপর দমন-পীড়ন এবং ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা হামলা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র যা নির্বাচন পরিচালনা করতে এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করতে সক্ষম। কিন্তু এর আগের নির্বাচনগুলিতে সহিংসতা, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হামলা ও গ্রেপ্তারের সাম্প্রতিক ঘটনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশুভ সুর তৈরি করেছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮৯৭ দিন আগে
সম্পত্তির জন্য মাকে গুলি করে হত্যা!
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সম্পত্তির জন্য মাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাইনুদ্দিন মইনুল (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা সদরের সামজার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন আকতার (৫৫) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, বাবা শামসুল আলমের রেখে যাওয়া সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া লাগে মইনুলে। ঝগড়ার একপর্যায়ে দুপুরে মাকে মাথায় গুলি করে মইনুল। পরে প্রতিবেশিরা এসে জেসমিন আকতারকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রামে মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহতপটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি ছেলের পিস্তলের গুলিতে মা জেসমিন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।’তিনি বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০টি কার্তুজ ও একটি এয়ারগান জব্দ করে। তবে অভিযুক্ত মইনুল পালিয়ে যাওয়ায় ধরা যায়নি। তাকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।’
অভিযুক্ত মইনুলের নামে কয়েকটি মামলা আছে বলেও পুলিশ জানায়।জানা গেছে, নিহত জেসমিন কিছুদিন পর মেয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। মইনুলের সন্দেহ ছিল সব সম্পত্তি বিক্রি করে মা বিদেশে পাড়ি দিতে চাচ্ছেন। তার বাবা শামসুল আলম মাস্টার দীর্ঘদিন পৌর মেয়র ছিলেন। গত ১৩ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তার বাবা। তার বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
৯৫২ দিন আগে
পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, কারণ এটি জনগণের টাকায় নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বড়াই করছেন। আমরা বলতে চাই পদ্মা সেতু আপনাদের একার নয় এবং এটি আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।’
সোমবার পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এই সমাবেশে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ ও করদাতাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষ জানতে চায় পদ্মা সেতু নির্মাণে আপনি মানুষের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন এবং কত খরচ করেছেন। তারা আরও জানতে চায়, আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে কত টাকা পকেটস্থ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য যে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়েছিল তা পরিশোধ করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে কত টাকা ব্যয় করতে হবে তাও জনগণ জানতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দিনমজুর শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা এখন কঠিন।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের রোষানল এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিজের বাসভবনে আবদ্ধ রয়েছেন। ‘আপনি মানুষকে ভয় পান। এইজন্য আপনি মানুষের সামনে আসেন না।’
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস ও জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে ফখরুল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
১০৩৭ দিন আগে
তেঁতুলতলা মাঠ এখন পুলিশের সম্পত্তি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠ পুলিশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি এখন তাদের সম্পত্তি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে মাঠটিকে রক্ষার দাবি নিয়ে আসা কয়েকজন পরিবেশকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এই জায়গাটি এখন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অধীনে।’
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় তেঁতুলতলা মাঠের পরিবর্তে বিকল্প স্থানে থানা নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খেলার মাঠে দেয়াল নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মেয়র বা অন্য কেউ ভালো জায়গার ব্যবস্থা করতে পারলে থানা তৈরির অন্য ব্যবস্থা করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলবো এখন এটা পুলিশের প্রোপার্টি। যেহতু একটি আবেদন আসছে, এর প্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা ভাবনা করবো কি করা যায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘থানার নির্মাণ কাজ চলবে কি চলবে না তা পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত যেহেতু এটা পুলিশকে দেয়া হয়েছে, এটা পুলিশেরই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
থানা নির্মাণ ও মাঠের চারদিকে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করতে ব্যবস্থা নিতে সচিবালয়ে আসেন পরিবেশকর্মীরা।
বৈঠক শেষে মানবাধিকারকর্মী ও ‘নিজেরা করি’-এর সমন্বয়ক খুশি কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে যে কাজটি হচ্ছে সে জিনিসটা আমরা চাচ্ছিলাম বন্ধ করার জন্য।’
পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘খেলার মাঠটির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ফিল করছেন। কিন্তু উনারা ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি সেটা তো সরকারি ট্রেজারিতেই আছে। ওই এলাকায় আরও পরিত্যক্ত জায়গা আছে।’
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়ায় তেঁতুলতলা মাঠ অধিগ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি
১০৬৩ দিন আগে
সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবার আঙুল কেটে নিলো ছেলে!
মাগুরা সদর উপজেলায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবা শহীদুল হকের চার আঙুল কেটে দেয়ার অভিযোগে উঠেছে ছেলে হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শহীদুল হক (৭০) ওই গ্রামেই বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে থাকেন। তার ছোট ছেলে হানিফ বিয়ের পর পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বসবাস শুরু করে। সংসার আলাদা হওয়ার পর সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই বাবার সাথে কথাকাটাকাটি করতেন হানিফ। এছাড়া তার নামে সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে হানিফ। এসময় শহীদুল হকের হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নবজাতকের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ পলাতক রয়েছেন।
শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবা। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে বাবাকে আঘাত করতে থাকে। এতে বাবার হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলের সফল প্রতিস্থাপন
ওসি মঞ্জুরুল আলম জানান, গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে। মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
১২১৯ দিন আগে