সম্পত্তি
সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
সম্পত্তির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা জাহানারা বেগমকে তালাবদ্ধ ঘরে ৩ মাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকা থেকে জাহানারাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। জাহানারা বেগম (৭০) গোর্কণঘাটের মৃত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তির লোভে জাহানারাকে তিন মাস একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন তার ছেলে-মেয়েরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসময় তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা চান।
ওই নারীর সন্তানদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, ‘সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরে বন্দি করে রাখে। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেওই নারীর কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: যশোরে ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
৪ মাস আগে
বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারের তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তা জব্দের আবেদন করে দুদক।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র।
এ ছাড়াও, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।
পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গা জুড়ে ডুপ্লেক্স, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
৬ মাস আগে
সরকারের সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার আছে: মোমেন
সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘কোন অভিপ্রায় নেই’। তবে সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকারের নামে কেউ যদি সম্পত্তি ধ্বংস করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং মানুষ হত্যা করে, তাহলে তাদের সম্পত্তি ও মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের চলাফেরা নিশ্চিতের অধিকার সরকারের রয়েছে।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ‘বাংলাদেশ: রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোমেন জানান, এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে কী আছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তবে তিনি বলেন, তারা কারো মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চান না। ‘আমরা খুব সংবেদনশীল। সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডব্লিউ সোমবার বলেছে, বাংলাদেশ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছে। তাই দেশটির কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলগুলির ওপর দমন-পীড়ন এবং ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা হামলা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র যা নির্বাচন পরিচালনা করতে এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করতে সক্ষম। কিন্তু এর আগের নির্বাচনগুলিতে সহিংসতা, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হামলা ও গ্রেপ্তারের সাম্প্রতিক ঘটনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশুভ সুর তৈরি করেছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
সম্পত্তির জন্য মাকে গুলি করে হত্যা!
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সম্পত্তির জন্য মাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাইনুদ্দিন মইনুল (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা সদরের সামজার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন আকতার (৫৫) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, বাবা শামসুল আলমের রেখে যাওয়া সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া লাগে মইনুলে। ঝগড়ার একপর্যায়ে দুপুরে মাকে মাথায় গুলি করে মইনুল। পরে প্রতিবেশিরা এসে জেসমিন আকতারকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রামে মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহতপটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি ছেলের পিস্তলের গুলিতে মা জেসমিন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।’তিনি বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০টি কার্তুজ ও একটি এয়ারগান জব্দ করে। তবে অভিযুক্ত মইনুল পালিয়ে যাওয়ায় ধরা যায়নি। তাকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।’
অভিযুক্ত মইনুলের নামে কয়েকটি মামলা আছে বলেও পুলিশ জানায়।জানা গেছে, নিহত জেসমিন কিছুদিন পর মেয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। মইনুলের সন্দেহ ছিল সব সম্পত্তি বিক্রি করে মা বিদেশে পাড়ি দিতে চাচ্ছেন। তার বাবা শামসুল আলম মাস্টার দীর্ঘদিন পৌর মেয়র ছিলেন। গত ১৩ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তার বাবা। তার বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, কারণ এটি জনগণের টাকায় নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বড়াই করছেন। আমরা বলতে চাই পদ্মা সেতু আপনাদের একার নয় এবং এটি আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।’
সোমবার পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এই সমাবেশে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ ও করদাতাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষ জানতে চায় পদ্মা সেতু নির্মাণে আপনি মানুষের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন এবং কত খরচ করেছেন। তারা আরও জানতে চায়, আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে কত টাকা পকেটস্থ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য যে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়েছিল তা পরিশোধ করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে কত টাকা ব্যয় করতে হবে তাও জনগণ জানতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দিনমজুর শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা এখন কঠিন।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের রোষানল এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিজের বাসভবনে আবদ্ধ রয়েছেন। ‘আপনি মানুষকে ভয় পান। এইজন্য আপনি মানুষের সামনে আসেন না।’
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস ও জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে ফখরুল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
তেঁতুলতলা মাঠ এখন পুলিশের সম্পত্তি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠ পুলিশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি এখন তাদের সম্পত্তি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে মাঠটিকে রক্ষার দাবি নিয়ে আসা কয়েকজন পরিবেশকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এই জায়গাটি এখন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অধীনে।’
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় তেঁতুলতলা মাঠের পরিবর্তে বিকল্প স্থানে থানা নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খেলার মাঠে দেয়াল নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মেয়র বা অন্য কেউ ভালো জায়গার ব্যবস্থা করতে পারলে থানা তৈরির অন্য ব্যবস্থা করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলবো এখন এটা পুলিশের প্রোপার্টি। যেহতু একটি আবেদন আসছে, এর প্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা ভাবনা করবো কি করা যায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘থানার নির্মাণ কাজ চলবে কি চলবে না তা পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত যেহেতু এটা পুলিশকে দেয়া হয়েছে, এটা পুলিশেরই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
থানা নির্মাণ ও মাঠের চারদিকে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করতে ব্যবস্থা নিতে সচিবালয়ে আসেন পরিবেশকর্মীরা।
বৈঠক শেষে মানবাধিকারকর্মী ও ‘নিজেরা করি’-এর সমন্বয়ক খুশি কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে যে কাজটি হচ্ছে সে জিনিসটা আমরা চাচ্ছিলাম বন্ধ করার জন্য।’
পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘খেলার মাঠটির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ফিল করছেন। কিন্তু উনারা ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি সেটা তো সরকারি ট্রেজারিতেই আছে। ওই এলাকায় আরও পরিত্যক্ত জায়গা আছে।’
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়ায় তেঁতুলতলা মাঠ অধিগ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি
২ বছর আগে
সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবার আঙুল কেটে নিলো ছেলে!
মাগুরা সদর উপজেলায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবা শহীদুল হকের চার আঙুল কেটে দেয়ার অভিযোগে উঠেছে ছেলে হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শহীদুল হক (৭০) ওই গ্রামেই বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে থাকেন। তার ছোট ছেলে হানিফ বিয়ের পর পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বসবাস শুরু করে। সংসার আলাদা হওয়ার পর সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই বাবার সাথে কথাকাটাকাটি করতেন হানিফ। এছাড়া তার নামে সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে হানিফ। এসময় শহীদুল হকের হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নবজাতকের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ পলাতক রয়েছেন।
শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবা। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে বাবাকে আঘাত করতে থাকে। এতে বাবার হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলের সফল প্রতিস্থাপন
ওসি মঞ্জুরুল আলম জানান, গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে। মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
নাটোরে স্বামীকে হাতুড়ি পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে কানিজ ফাতেমা নামে এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে বাগাতিপাড়া উপজেলার তালতলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কানিজকে আটক করে পুলিশ। নিহত বরাত আলী কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের কর্মচারী ছিলেন এবং আটক কানিজ ফাতেমা নিহত বরাত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে সম্পত্তি লিখে না দেয়ার ক্ষোভে কানিজ তার স্বামী বরাত আলীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় কানিজ তার ভাইদের সহায়তায় বরাত আলীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করলে তার মৃত্যু হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং কানিজকে আটক করে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাংবাদিক কনক সারওয়ারের বোন আটক
মীরসরাইয়ে ‘আইস’সহ তরুণী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেনসিডিলসহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আটক
৩ বছর আগে