মাগুরা সদর উপজেলায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবা শহীদুল হকের চার আঙুল কেটে দেয়ার অভিযোগে উঠেছে ছেলে হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শহীদুল হক (৭০) ওই গ্রামেই বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে থাকেন। তার ছোট ছেলে হানিফ বিয়ের পর পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বসবাস শুরু করে। সংসার আলাদা হওয়ার পর সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই বাবার সাথে কথাকাটাকাটি করতেন হানিফ। এছাড়া তার নামে সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে হানিফ। এসময় শহীদুল হকের হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নবজাতকের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ পলাতক রয়েছেন।
শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবা। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে বাবাকে আঘাত করতে থাকে। এতে বাবার হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলের সফল প্রতিস্থাপন
ওসি মঞ্জুরুল আলম জানান, গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে। মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।