মাঝি
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নৌকার মাঝি নিহত
কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোখলেছ মিয়া (৪৮) নামে এক নৌকার মাঝি নিহত হয়েছে।
রবিবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ইটনা উপজেলার মৃগার ইউনিয়নের উজান-রাজিবপুর হাওরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু
নিহত মোখলেছ মিয়া মৃগা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ পুর গ্রামের মৃত গোলজার মিয়ার ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মোখলেছ মিয়া স্টিলের বড় নৌকা নিয়ে ধান কিনতে রাজিবপুর গ্রামে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে জড়িয়ে যান। এতে, তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সায়েম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রব্বানী এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আহত ৩০
মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
৩ মাস আগে
সুনামগঞ্জে সেতুর নিচে মিলল মাঝির লাশ
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে আবু সুফিয়ান নামে এক মাঝির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ফহেতপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ারচর সেতুর নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিহত আবু সুফিয়ান উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন খিরধরপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে। এক সন্তানের জনক সুফিয়ান নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের বাবা আলী আহমদ বলেন, আবু সুফিয়ান রবিবার রাত ৮টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু আলীপুরে নৌকায় না যাওয়াতে রাতে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। সকালে রঙ্গিয়ারচর সেতুর নিচে ছেলের লাশ দেখে লোকজন বাড়িতে খবর পাঠায়। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে!
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আমহেদ বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ভোর ৬টায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে আসি। নিহত আবু সুফিয়ান পেশায় নৌকার মাঝি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনার তীর থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই বিষয়টি সামনে রেখে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। তবে এখনো কাউকে আটক দেখানো হয়নি।
ওসি বলেন, ইতোমধ্যে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মনপুরায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে মাঝি নিখোঁজ
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আগানগর খেয়াঘাট থেকে নৌকা নিয়ে মিটফোর্ড ঘাটে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আব্দুর রশিদ (৬৫) পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার সোহাগদল এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।
কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দুজন নারী ও একজন পুরুষকে পার করার সময় মাঝ নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী নৌপুলিশকে খবর দেয়।
বরিশুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মাঝির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্রবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চালাবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা নদী থেকে স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ইটনার ধনু নদীতে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বলদা ফেরিঘাটের পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে তার হাওরে ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত মুসলিম মিয়া (৫০) সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মনডাল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ থেকে পাথরবোঝাই একটি বাল্কহেড (স্টিলের নৌকা) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার তারা বাজার যাওয়ার পথে ইটনার বলদা ফেরিঘাট এলাকায় ধনু নদীর পাড়ে আটকে পড়ে। পরে, বাল্কহেডটি ছাড়ানোর সময় হঠাৎ বৈঠার আঘাতে মাঝি মুসলিম মিয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। সেই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে ইটনা ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের ডুবরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে বুধবার আবারো অভিযান শুরু করলে হাওরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় মুসলিম মাঝির লাশ উদ্ধার হয়।
ইটনা ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, নিহত মুসলিম মিয়ার লাশ দুইদিনের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর পুলিশের কাছে মুসলিম মিয়ার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চুয়েট গেটের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ইটনা হাওরে নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পরও উদ্ধার হয়নি মাঝি
কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরে নৌ দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ মুসলিম মিয়া (৫০) নামে এক মাঝি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পরও উদ্ধার হয়নি।
গত সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলার ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলদা ফেরিঘাট এলাকা এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ থেকে পাথর বোঝাই একটি বাল্কহেড (স্টিলের নৌকা) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার তারা বাজার যাওয়ার পথে, ইটনার বলদা ফেরিঘাট এলাকায় ধনু নদীর পাড়ে আটকে পড়ে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
বাল্কহেডটি ছাড়াতে অন্য একটি নৌকার সাহায্য নেন তারা। এসময়, বাল্কহেডটি ছাড়ানোর সময় বৈঠার আঘাতে মাঝি মুসলিম মিয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে, রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে ইটনা ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ডুবরি দল। মঙ্গলবার সারাদিন দু’টি ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মাঝির সন্ধান পায়নি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
নিখোঁজ মাঝি মোহাম্মদ মুসলিম মিয়া সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মন্ডল মিয়ার ছেলে।
ইটনা ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, গতকাল (সোমবার) রাত থেকে আমাদের দু’টি ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি, এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্যাম্পের এক ব্লক মাঝি (কমিউনিটি লিডার) নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয় ক্যাম্পের হেড মাঝি।শনিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার বালুখালী ১৯ নম্বর ক্যাম্পে ১৮/এ ব্লকে এই ঘটনা ঘটে।
উখিয়া ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ শনিবার রাত ৮টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
তিনি জানান, উখিয়া বালুখালী ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৮ ব্লক এ তে ১৫/২০ জনের একদল দুষ্কৃতকারী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের হেড মাঝি মো. আনোয়ার এবং ব্লক মাঝি মৌলভী মো ইউনুসের ওপর হামলা চালায়। এসময় মাঝিরা স্হানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলেছিল। দুষ্কৃতকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনকেই উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্হানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও এপিবিএন পুলিশ তাদের দুজনকে পার্শ্ববর্তী আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইউনুসকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর গুরুতর আহত হেড মাঝি আনোয়ারকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।
এএসপি ফারুক জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কলপাড় থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু, আটক ৫
২ বছর আগে
মেঘনায় পণ্যবাহী ট্রলারডুবি, মাঝি নিখোঁজ
চাঁদপুরে মেঘনায় একটি পণ্যবাহী ট্রলার ডুবে মাঝি নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর থেকে শরিয়তপুরের ডামুডা যাওয়ার সময় ট্রলারটি ডুবে যায়।
নিখোঁজ দেলোয়ার হোসেন প্রধানীয়ার (৩৫) বাড়ি শরিয়তপুরের তারাবুনিয়া।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, মেঘনা-ডাকাতিয়ার মোহনায় প্রচন্ড ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়ে পণ্যবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারের চারজনের মধ্যে তিনজন সাঁতরে অন্য নৌকার সাহায্যে প্রাণে বেঁচে গেছে। কিন্তু ট্রলারের মাঝি দেলোয়ার হোসেন প্রধানীয়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ধারণা।
আরও পড়ুন: ট্রলারডুবি: ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠালো ভারতীয় কোস্টগার্ড
ট্রলারের বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও ব্যবসায়ী হারুণ অর রশিদ জানান, এ ট্রলারে মুদী পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ছিল। যেমন মাছের খাদ্য (একশ বস্তা), তেলের ব্যারেল, সয়াবিন, হার্ডওয়ারের মালামাল, বিস্কুট, চানাচুর, ধানের বস্তা, পলিব্যাগ ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ‘সকালে শহরের ট্রাকঘাট থেকে আমরা যাত্রা করি। মোহনায় এসে পৌঁছালে মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে সৃষ্ট ঘূর্ণিপাকে আচমকা এটি ডুবে যায়। আমরা তিনজন কোন রকমে অন্য নৌকার সাহায্যে বাইচ্চা গেলেও ড্রাইভার এখনও নিখোঁজ রয়েছে।’
ওসি কামরুজ্জামান আরও জানান, এ ব্যাপারে নৌ থানায় মামলা হয়েছে।নিখোঁজ দেলোয়ারকে নদীতে খোঁজা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুই জেলের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
২ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মো. আমিন ও মো. জাফর নামের আরও দুই রোহিঙ্গা মাঝি।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
নিহত আবুল কালাম উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট ব্লক বি-৫ এর বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতে পাচারকালে ৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ১
এসপি নাইমুল জানান, রবিবার ভোরে কুতুপালং ক্যাম্প-২ ব্লক বি-৫ এ ঘটনা ঘটে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্যাম্পে দুপক্ষের সংর্ঘষ হয়। খবর পেয়ে বালুরমাঠ পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম পাঠানো হয়। পুলিশ আবুল কালামকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এসপি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাসপোর্ট বানাতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক
ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আরও ৭১৮ রোহিঙ্গার যাত্রা
২ বছর আগে
১ বছর আগে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির লাশ উদ্ধার, আটক ৩
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক বছর আগে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির লাশ পরিত্যক্ত একজনের বাড়ির মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার সিহাব কায়সার খান।
আটকরা হলেন- উখিয়া হাকিমপাড়া ক্যাম্প-১৪, ব্লক-ই/৩ এর মো. সালামের ছেলে মো. ইসলাম (২২), একই এলাকার কাশেমের ছেলে আবদুল মোন্নাফ (২৬) এবং মো. সালামের ছেলে মো. ইলিয়াস (২৮)।
আরও পড়ুন: অষ্টম ধাপে ভাসানচর পৌঁছেছে ৫৫২ রোহিঙ্গা
এসপি সিহাব কায়সার জানান, উখিয়ার হাকিমপাড়া ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেইড পরিচালনা করে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে- এ বছর জানুয়ারি মাসে চাকমারকুল ক্যাম্প-২১, সি/৪ ব্লক এর মৃত মোছা আলীর ছেলে ও (সাবেক এম ব্লক) এর সাব-মাঝি সৈয়দ আমীনকে (৪০) আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অপহরণ করে ক্যাম্প-১৪ তে নিয়ে আসে তারা। অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ২০/২৫ জন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারী মিলে তাকে হত্যা করে ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুকের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখে।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্প-১৪ এর সিআইসিসহ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ইয়াকুব মাঝির ঘর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশের পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে অপহৃত মৃত সৈয়দ আমীনের স্ত্রী হাসান বশর 'তার স্বামীর লাশ বলে' শনাক্ত করেন।
টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্ত আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ৮ এপিবিএন এর এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ৩ সন্তানসহ রোহিঙ্গা বাবার বিষপান, দুই জনের মৃত্যু
কক্সবাজারে অপহৃত আরেক ছাত্র উদ্ধার, আটক আরও ২ রোহিঙ্গা
২ বছর আগে
২২ মাঝিসহ চার বাংলাদেশি ট্রলার আটক করল মিয়ানমার
টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারকালে সেন্টমার্টিনের অদূর থেকে মাঝিমাল্লাসহ চারটি বাংলাদেশি ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিক থেকে দুই দফায় মাছ ধরার ট্রলারসহ ২২ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ জানান, তার দ্বীপের চারটি ট্রলারসহ ২২ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন।
স্থানীয় জেলেরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের মালিকাধীন চারটি মাছ ধরার ট্রলারে করে ২২ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ শিকারে যান। সকালে দ্বীপের পূর্বদিকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওইগুলো ট্রলারসহ ২২ জন মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তীরে এসে জনপ্রতিনিধিসহ ট্রলার মালিকদের বিষয়টি জানান।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, পিরোজপুরে নিরাপদ আশ্রয়ে মাছ ধরার ট্রলার
এ বিষয়ে ট্রলার মালিক মো. আজিম জানান, সকালে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকে এপারে ঢুকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা তার মাছ ধরার ট্রলারটি ধরে নিয়ে যায়। ট্রলারে ছয়জন মাঝিমাল্লা ছিল। এছাড়া আরও তিনটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি বিজিবি ও কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছেন।
সেন্টমার্টিন স্টেশনের কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তারা কি রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, 'মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি ব্যবস্থা নিবে। এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মনপুরায় ট্রলারে জাহাজের ধাক্কা, ২ জেলের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩ জেলের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে