বঙ্গবন্ধু টানেল
বঙ্গবন্ধু টানেলের পরিত্যক্ত ওয়্যার হাউজে আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের পরিত্যক্ত কনস্ট্রাকশন ওয়্যার হাউজে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার (১০ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তের কনস্ট্রাকশন স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টানেলের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক এবং টানেলের টোল ম্যানেজার মো. বেলায়েত হোসেন।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
টানেল কর্তৃপক্ষের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বঙ্গবন্ধু মূল টানেলের বাইরে আনোয়ারা প্রান্তে, যেখানে পরিত্যক্ত গুদাম রয়েছে সেখানে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিক আমাদের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ওখানে টানেলের কাজ করার পর কিছু কাঠ ও পরিত্যক্ত সরঞ্জাম ছিল।
এখন সব নিরাপদে রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৯ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু টানেলে ট্রাকের ধাক্কায় নিরাপত্তাকর্মী নিহত
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে ট্রাকের ধাক্কায় এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের সিকিরিটি পোস্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. পারভেজ (৩০) আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া মাহাতা গ্রামের মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে। তার পরিবারে তার স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। সে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ আনোয়ারা কোরিয়ান ইপিজেডের ইয়াং ওয়ান সু- ফ্যাক্টরিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাভারে ডাকাতদের গুলিতে নিরাপত্তাকর্মী নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারভেজ ভোরে নিজ বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত একটি ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
আনোয়ারা থানার সেকেন্ড অফিসার মো. কাউসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ৎ
আরও পড়ুন: চোরের হামলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী নিহত
১০ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু টানেলের কাছে বাস উল্টে নিহত ১
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গাস্থ বঙ্গবন্ধু টানেলের কাছে টার্নিং এর মুখে যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজনের মৃত্যু হয়েছেন। এসময় বাসটির অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল দিকে টানেলের ৩০০ গজ দূরে ওয়াই জংশনের পূর্ব পাশে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাসটি উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে গাড়ি রেস, ৭ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা
নিহত আবুল হোসেন (৩৫) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী মরমঘোনা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বাসটি বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় একজন বাসযাত্রীর মৃত্যু হয় এবং ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। তাদের নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে রেকার দিয়ে বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, আহত বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে আগ্রাবাদ শিশু হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে রেস: ৫টি গাড়ি জব্দ, আটক ২
বঙ্গবন্ধু টানেলে বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৩ জন আহত
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল: প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে টোল আদায় ২৫ লাখ টাকা
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রের্কড গাড়ি পার হয়েছে। এদিন ৭ হাজার ছোট-বড় গাড়ি টানেল অতিক্রম করে। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফাত ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ শুক্রবার রাত ৮ টা পর্যন্ত ৭ হাজার গাড়ি টোল প্লাজায় এন্ট্রি হয়েছে। যেখান থেকে টোল আদায় হয়েছে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা।’
এদিকে টানেল উদ্বোধনের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি ও ভাড়া গাড়িতে টানেল পরিদর্শন করেন। যানবাহনের চাপ বাড়ার ফলে বঙ্গবন্ধু টানেলের উভয় প্রান্ত, বাইরে ও ভেতরে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
আরও পড়ুন: হরতালের কারণে প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল কম
ঘুরতে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টোল প্লাজায় টোল নিতে সময় লাগায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাড়ে তিন মিনিটের টানেল পাড় হতে সময় লেগেছে আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট। টানেলের উভয় প্রান্তে অন্তত ৫ কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়।
টানেলের টোল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ছুটির দিনে সবাই টানেল ও তার আশেপাশের এলাকা ঘুরতে এসেছেন। এতে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যান চলাচল বেড়েছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল: দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় ৭.১ লাখ টাকা
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেলে গাড়ি রেস, ৭ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে প্রাইভেটকার নিয়ে রেসে মেতে উঠা সাতটি গাড়ির বিরুদ্ধে সিএমপির কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেছে টানেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: হরতালের কারণে প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল কম
বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিএমপি বন্দর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্র্যাফিক) তানভীর রিফা বলেন, টানেলের ভেতর সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারে। কিন্তু রেসে অংশ নেওয়া গাড়িগুলো তার চেয়ে অনেক বেশি গতিতে চালিয়েছে। যা টানেলের রুলস ব্রেক করেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তাই কতৃপক্ষ মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল: দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় ৭.১ লাখ টাকা
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল: দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় ৭.১ লাখ টাকা
চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পার হয়েছে মোট ৩ হাজার ২০৫টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭ লাখ ১ হাজার ৩৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল বিভাগের পরিচালক বেলায়েত হোসেন সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।
এর আগে রবিবার (২৯ অক্টোবর) যানবাহন চালু হওয়ায় প্রথম দিনে ২৪ ঘণ্টায় টানেলের ভেতর দিয়ে ৫ হাজার ৪২৯টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনায় বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে টানেলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু টানেলে চলছে ১২ ক্যাটাগরির যানবাহন। এজন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চলাচল করতে পারবে না মোটরসাইকেল বা তিন চাকার যান।
আরও পড়ুন: হরতালের কারণে প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল কম
উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বহরে ছিল ২১টি গাড়ি। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরের ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সাগর উপকূল ঘিরে শিল্পের নতুন দুয়ার খুলে গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল: ৭ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা টোল আদায়
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল: ৭ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা টোল আদায়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল রবিবার (২৯ অক্টোবর) খুলে দেওয়ার পর থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল দিয়ে চলাচলকারী ৪৯৮টি যানবাহন থেকে সাত ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা টোল আদায় করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
টোল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন জানান, টানেল খোলার পর থেকে ৪৯৮টি যানবাহন চলাচল করেছে। রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ টাকা।
রবিবার সকাল ৬টায় সুড়ঙ্গটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: দ্বিতীয় দিনে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার টোল আদায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার টানেল উদ্বোধন করেছেন।
বিরোধী দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী চলমান হরতালের কারণে যানবাহন চলাচল কম ছিল।
মুন্সীগঞ্জের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা প্রথম যাত্রী হিসেবে সকাল ৬টায় টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল পরিশোধ করেন এবং মাত্র তিন মিনিটে তা অতিক্রম করেন।
টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে প্রথম টোল পরিশোধ করেন চট্টগ্রামের দুলাল সিকদার।
বেলয়েত বলেন, ‘সকালে সুড়ঙ্গটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে যান চলাচল কম থাকলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে পারে। কিন্তু হরতাল না হলে আরও যানবাহন আসত।’
টোল আদায়ের জন্য আনোয়ারা প্রান্তে ১৪টি বাক্স স্থাপন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, টানেলটি ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের পর প্রথম বছরে প্রতিদিন ১৭ হাজার ৩৭৪টি যানবাহন টানেল পার হবে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২১৮টি ভারী যানবাহন। ২০২৫ সালে প্রতিদিন চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা হবে ২৮ হাজার ৩০৫টি।
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে মোট ১২ ক্যাটাগরির যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
টানেলের যানবাহন চলাচলের জন্য সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুড়ঙ্গে মোটরসাইকেল বা থ্রি হুইলার ঢুকতে দেওয়া হবে না।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ২১ টি গাড়ির মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল অতিক্রম করেন এবং ৪ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক চালু হলো ইলেকট্রনিক টোল আদায় ব্যবস্থা
৬ষ্ঠ দিনে পদ্মা সেতু থেকে রেকর্ড ৩.১৬ কোটি টাকা টোল আদায়
১ বছর আগে
হরতালের কারণে প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল কম
যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে টানেলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে যান চলাচলের প্রথম দিনেই বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতালের কারণে কম গাড়ি চলাচল করছে।
জানা গেছে, টানেল অতিক্রম করার জন্য ভোর থেকে অপেক্ষা করতে থাকে বেশ কিছু যান। ৬টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে পতেঙ্গা প্রান্তে টোল দেন দুলাল সিকদার।
২৫০ টাকা টোল দিয়ে প্রথম টানেলে মাইক্রোবাস নিয়ে প্রবেশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনায় বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রথম যাত্রীবাহী বাস হিসেবে টোল দেয় বিডি বাস লাভার গ্রুপের একটি বাস। আনোয়ারা প্রান্তে ভোর ৬টায় প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা। এরপর টোল দেন সাতকানিয়ার চালক শফিক আলম।
টানেলে প্রবেশের জন্য উভয় প্রান্তে অপেক্ষায় ছিল প্রায় শতাধিক গাড়ি। তবে পতেঙ্গা প্রান্তের চেয়ে আনোয়ারা প্রান্তে গাড়ির চাপ বেশি বলে জানা গেছে।
টোল আদায়ে আনোয়ারা প্রান্তে ১৪টি বক্স বসানো হয়েছে। টানেলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারবে। সেতু বিভাগের মতে, চালুর পর প্রথম বছরে প্রতিদিন এই টানেল পার হতে পারবে ১৭ হাজার ৩৭৪টি গাড়ি। যার মধ্যে ৩ হাজার ২১৮টি ভারী যান। ২০২৫ সালে প্রতিদিন পার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮ হাজার ৩০৫টিতে।
বঙ্গবন্ধু টানেলে চলতে পারবে ১২ ক্যাটাগরির যানবাহন। এজন্য সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চলাচল করতে পারবে না মোটরসাইকেল বা তিন চাকার যান।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বহরে ছিল ২১টি গাড়ি। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরের ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সাগর উপকূল ঘিরে শিল্পের নতুন সম্ভাবনা আশা জাগাচ্ছে।
বেলায়েত হোসেন নামে এক টোল ম্যানেজার জানান, সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় টানেল। প্রথম এক ঘণ্টায় একটু বেশি যানবাহন ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল বাড়তে পারে। তবে হরতাল না থাকলে আরও বেশি যানবাহন হতো হলে তিনি জানান।
টানেল পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সেতু বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জিপ বা পিকআপের জন্য ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের জন্য টোল ২৫০ টাকা। বাসের ৩১ আসন বা এর কম হলে টোল ৩০০ টাকা, ৩২ আসন বা তার বেশি হলে ৪০০ টাকা এবং ৩-এক্সেল বাসের জন্য টোল ৫০০ টাকা। ট্রাক-৫ টন পর্যন্ত ৪০০ টাকা, ৮ টন পর্যন্ত ৫০০ টাকা এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের টোল ৬০০ টাকা। মালবাহী ৩ এক্সেল ট্রেলারের টোল ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেল ট্রেলারে ১ হাজার টাকা এবং ৪ এক্সেলের বেশি প্রতি এক্সেলের জন্য ১ হাজারের সঙ্গে ২০০ টাকা যোগ করে টোল দিতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
টানেল প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভোর ৬টায় যান চলাচলের জন্য টানেল খুলে দিয়েছি। এখন থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা টানেল চালু থাকবে। গভীর রাতে যান চলাচল কমে গেলে টোলের লেন কমিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল: যা জানা দরকার
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল: পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩ মিনিট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পতেঙ্গা অংশ থেকে আনোয়ারা অংশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩ মিনিট। তবে এক্ষেত্রে গাড়ির গতিসীমা রাখতে হবে নির্ধারিত ৬০ কিলোমিটার বেগে।
এদিকে শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাড়ি বহর নিয়ে পরিদর্শন করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু কর্তৃপক্ষ, সেতু বিভাগ, প্রশাসন মিলে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
তিনি আরও বলেন, এ টানেল শুধু দুই কর্ণফুলী নদীর পাড়কে সংযুক্ত করেনি, ওয়ান সিটি টু টাউনের যে কনসেপ্ট সেটাও বাস্তবায়িত হয়েছে। এই টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, টানেলের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও। টানেলে ১০০টির বেশি অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চলবে।
হারুনুর রশিদ বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এই টানেলের ব্যবস্থাপনা চলবে। স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড এ এলাকায় থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশও।
তিনি বলেন, গাড়ির গতিবেগ নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার বছর ৭ মাসে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ হয়েছে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ।
নদীর তলদেশে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। পাশাপাশি সংযুক্ত করা হয়েছে দুটি টিউব। টানেলের বাইরে অ্যাপ্রোচ সড়ক থাকছে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭২৬০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোলের হার চূড়ান্ত
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭২৬০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তাতে দেশের জিডিপিতে বছরে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে টানেলটি।
আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেলটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারা প্রান্তে ইপিজেড মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।পরদিন ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইউএনবিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল নির্মাণকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ বা ‘এক নগর দুই শহর’-এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
সেতুমন্ত্রী বলেন, দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে এ পথে। নদীর মধ্য ভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ সড়কটি অবস্থান করবে মাটি থেকে ১৫০ ফুট গভীরে। এর নির্মাণকাজ শেষ করে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। এই সুড়ঙ্গ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে আগলে রেখেছে যে কর্ণফুলী, তার বুক চিরে তৈরি হয়েছে ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ। দেশের এ প্রবেশদ্বারে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি আরও মজবুত করতে আলাদা শক্তি জোগাবে এই টানেল। বাণিজ্যিক এই রাজধানীতে আরও স্থাপন হবে নতুন নতুন শিল্প ও কলকারখানা, পরিধি বাড়বে আমদানি-রপ্তানির, গতি পাবে অর্থনীতি। সমৃদ্ধির অধিগম্যতায় প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম।
কাদের বলেন, টানেলটি চালুর পর চট্টগ্রাম মূল শহরের সঙ্গে সাগর ও বিমানবন্দরেরও দূরত্ব কমে আসবে। অর্থনীতির গতিপথ আরও গতিশীল করতে এই টানেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এই উপজেলায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আমানত শাহ সেতু হয়ে যেতে অনেক সময় লাগত। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হয়ে যেতে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের সে পথ তিন মিনিটেই যাওয়া যাবে। এতে বাঁচবে খরচ ও সময়।
২৯ অক্টোবর থেকে উন্মুক্ত
২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পরদিন ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য টানেল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, এটা কোনো সাধারণ ব্রিজ বা কালভার্ট নয়, এটা টানেল। থ্রি হুইলার, মোটরসাইকেল কোনোভাবেই টানেলে প্রবেশ করতে পারবে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে। সেখান থেকে সবকিছু মনিটর হবে। এফ এম রেডিওতে যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় বা তথ্য জানানো হয়, এখানেও সার্বক্ষণিকভাবে সেটা থাকবে। বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট্রি দেওয়া হবে।’ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত টোল হার ২৯ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল টোল
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য গত আগস্টে টোল হার চূড়ান্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে হলে ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), জিপ ও পিকআপকে দিতে হবে ২০০ টাকা করে। আর মাইক্রোবাসের জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৩০০ এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের জন্য ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
টানেলে দিয়ে যেতে হলে ৫ টন পর্যন্ত ট্রাককে ৪০০ টাকা, ৫ দশমিক ১ টন থেকে ৮ টনের ট্রাককে ৫০০, ৮ দশমিক ১ টন থেকে ১১ টনের ট্রাককে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলবিশিষ্ট ট্রাক-ট্রেইলরের টোল চূড়ান্ত করা হয়েছে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রাক-ট্রেইলরকে দিতে হবে ১০০০ টাকা। এর বেশি ওজনের ট্রাক-ট্রেইলরকে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে অতিরিক্ত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে