দেবীগঞ্জ
পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে শাহনাজ পারভীন নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহনাজ পারভীন একই এলাকার আব্দুল মজিদের স্ত্রী এবং ছয় বছরের একটি মেয়ে ও চার মাস বয়সী ছেলে রযেছে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের নামাজের জন্য বাড়ির সব পুরুষ ঈদগাহে গেলে সুযোগ পেয়ে একই এলাকার বখাটে যুবক রাজু শাহানাজের বাড়িতে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে় তার বড় মেয়ের সামনে গলা কেটে পালিয়ে যান।
এ সময় তার মেয়ের কান্না ও চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহনাজের গলাকাটা লাশ দেখতে পায় এবং দেবীগঞ্জ থানা থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেয়। খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেস বলেন, লাশের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাকত রাজুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আইনগত বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৬ মাস আগে
পঞ্চগড়ে ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর সংঘর্ষে তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
বুধবার সকালে উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের কালুরহাট কাটহারী এলাকার বোদা-দেবীগঞ্জ মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বোদা পৌরসভার তিতোপাড়া গ্রামের আলমাস আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার রজব আলীর ছেলে আমিন শেখ (৪৮) এবং মোজাম্মেল হকের ছেলে আলমাস আলী (৫৫)। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত আমিন শেখের ভাই সালেকুল ইসলাম (৩৫)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে একই মোটরসাইকেলে চারজন বোদা থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের কালুরহাট-লক্ষীরহাট এলাকায় পৌঁছালে একই দিক গামী একটি কাঠবোঝাই ট্রাক্টরে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।
পরে গুরুতর আহত দুইজনকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই ট্রাক্টরটি ফেলে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
১ বছর আগে
কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
পঞ্চগড়ে কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। আহতাবস্থায় শিশুসহ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কমলাপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গৃহবধূ লায়লার (২৬) বাড়ি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার এলাকায়। সে ওই এলাকার উমেদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামীর সাথে মোবাইলে ঝগড়া করতে করতে আড়াই মাস বয়সী কোলের শিশুকে নিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন লায়লা। ট্রেনটি ছাড়ার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটনাটি ঘটনায় আকস্মিক ট্রেনটি থামিয়ে দেন ট্রেনের চালক। তারপরও ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন ওই গৃহবধূ। এসময় কোলে থাকা শিশু বেবীও রেল লাইনের উপর ছিটকে পড়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত শিশু বেবীসহ ওই গৃহবধূকে কমলাপুর রেললাইন থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আল আমিন খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. নাজমুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার তিন মিনিটের মধ্যেই এমন ঘটনাটি ঘটে। পরে চালক দ্রুতই ট্রেনটিকে থামিয়ে ফেলেন। এময় ট্রেনের স্পিড (গতি) কম ছিল এজন্য থামানো সম্ভব হয়েছে। তারপরও ওই নারী ট্রেনের ইঞ্জিন এসে ধাক্কা খান। পরে আমরা স্থানীয় লোকজনকে ডাকলে তাঁরা এসে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর সঙ্গে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাঁর স্বামীসহ স্বজনেরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসে। তার স্বামীসহ স্বজনেরা তাকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদ্দ্যেশে যায়। তবে স্বামীর সঙ্গেই ঝগড়া-ঝাঁটি করে অভিমানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
৩ বছর আগে