শারদীয়
শারদীয় শুভেচ্ছা জানাল আওয়ামী লীগ
দেশবাসীকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দলের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান আওয়ামী লীগের
ফেসবুকের পোস্টটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।
অন্ধকার ভেদ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ হবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেনের জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
২ মাস আগে
২০২১ সালের ক্ষত নিয়েই কড়া নিরাপত্তায় কুমিল্লায় চলছে দুর্গোৎসব
গত বছরের সহিংসতার ক্ষত নিয়েই এ বছর কড়া নিরাপত্তায় কুমিল্লায় শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে কুমিল্লায় এ বছর কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহন করেছে প্রশাসন।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, তারা পূজা মণ্ডপগুলো সার্বক্ষণিক পাহারা দিতে আনসার সদস্য মোতায়েন করেছেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা পূজামণ্ডপে টহল দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা তারা প্রতিহত করবে।
এ বছরও নানুয়া দিঘীর পাড়ের মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর দুর্গাপূজার সময় যেখানে একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়াকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: জেলায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত
পুলিশের বিবৃতিতে জানা যায়, গত বছরের ১৩ অক্টোবর একজন মুসলিম ব্যক্তি কুমিল্লার একটি মণ্ডপে একটি মূর্তির কোলে কুরআনের একটি অনুলিপি রেখেছিলেন বলে জানা গেছে এবং আরেকজন মুসলিম ব্যক্তি ৯৯৯ হেল্পলাইনে কল করে ‘পবিত্র গ্রন্থের পবিত্রতা লঙ্ঘনের’ অভিযোগ জানায়।
গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতা মণ্ডপে আক্রমণ করে, যার ফলে পরর্তীতে জেলা ও জেলার বাইরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ায়।
এ সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনা যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে।
সহিংসতা দমন করতে পুলিশকে মুসলিম জনতার ওপর গুলি চালাতে হয়েছিল, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছিল।
গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক কুমিল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহারের সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপনের পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বৈঠক করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে- যেখান থেকে পুরো জেলার পূজা মণ্ডপের যাবতীয় তথ্য পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মন্দির ও মণ্ডপের তালিকা করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যেন গুজব ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার কেউ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ধর্মকে ব্যবহার না করতে পারে সে দিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সুতরাং, আমাদের অবশ্যই তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
এসপি বলেন, ‘কুমিল্লার যে সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে এই দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ উদযাপনের মাধ্যমে আমরা সেই প্রমাণ দিতে চাই।’
কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল জানান, এ বছর জেলায় ৭৯৪টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় এবার পূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করা হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তাপস বকশী।
তিনি বলেন,‘সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আমরা আশাবাদী। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে। যাতে তারা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে।’
কুমিল্লায় সহিংসতার ঘটনায় জেলায় ১২টি মামলা হয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মামলাগুলোর তদন্তে নিযুক্ত রয়েছে। কিন্তু তদন্তের ধীরগতিতে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ বছর শনিবার (১ অক্টোবর) সারাদেশের মন্দিরে মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা।
আগামী ৫ অক্টোবর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
বাংলাদেশের ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দু।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দুর্গাপূজা উদযাপন বিঘ্ন করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
মহাসমারোহে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
সারাদেশের সব মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শনিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
আগামী ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
রবিবার (২ অক্টোবর) মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাষ্টমী পূজা, কুমারী পূজা ও সন্ধি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মহানবমী পূজা এবং বুধবার (৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে মহালয়া উদযাপিত হয়।
ঢাকা মহানগরীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কলাবাগান, বনানী, শাখারি বাজার ও রমনা কালী মন্দিরে প্রধান পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
এ বছর রাজধানীতে ২৪১টিসহ সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ জানায়, উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুজা মণ্ডপে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী আনসার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
তিনি বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসবই নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবও।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য। আমাদের সামগ্রিক অগ্রগতিতে এই ঐতিহ্যকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি এখন একটি সার্বজনীন উৎসব।
তিনি বলেন, ‘অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয়া দুর্গোৎসবের মূল উদ্দেশ্য। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দুসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: বাগেরহাটে ৬৪২টি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দুর্গাপূজা: মৌলভীবাজারে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
২ বছর আগে
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) সারা দেশের মন্দিরে দেবী দুর্গার অবতার (বোধন) দিয়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠী। আগামী ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের শেষ হবে।
এর আগে পূজার দ্বিতীয় দিনে (মঙ্গলবার) মহাসপ্তমীর পূজা, তৃতীয় দিন (বুধবার) মহাঅষ্টমী, কুমারী ও সন্ধী পূজা এবং চতুর্থ দিন (বৃহস্পতিবার) নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পূজা পালনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা। যা গত বছর ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি।
সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূজা মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
দুর্গাপূজা: বাগরেহাটে ৬৩৩ মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে
৩ বছর আগে