বিজয়া দশমী
রাঙামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘টিকা লাগাউনে’ উৎসব
শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘টিকা লাগাউনে’ (বড়রা ছোটদেরকে আর্শিবাদ দেয়া) উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শহরের বিভিন্ন মন্দিরের মন্ডপে দশমীর অঞ্জলী প্রদান শেষে গুর্খা সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে এই উৎসব চলে।
আর এরই ধারাবাহিকতায় রাঙ্গামাটির জেল রোডস্থ সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয় ভবনে সুর নিকেতন প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খা ও সহধর্মিনী লক্সমি মানজি গুর্খার আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘টিকা লাগাউনে’ উৎসব পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ বিজয়া দশমী
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, গুর্খা সম্প্রদায়ের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা রাম বাহাদুর রায়, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপেন কুমার ঘোষ, কাউখালী সরকারী কলেজের অধ্যাপক রিপন ঘোষ, নারী নেত্রী শিলা রায়, সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর, বিগ এইচ প্রোডাকশনের সত্ত্বাধিকারী ও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হিমাদ্রী গুর্খা মিতুলসহ গুর্খা সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
এসময় সুর নিকেতন প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর বলেন, আদিকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ শারদীয় দূর্গা উৎসেব দশমীর দিনে এই ‘টিকা লাগাউনে’ উৎসব পালন করে আসছে। এই উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সৌহাদ্য উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, গুর্খা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে চলার পথ দেখাতে হবে। যাতে করে এই নতুন প্রজন্ম গুর্খা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উৎসব ও আচার অনুষ্ঠান যথাযথ ভাবে উৎসব মুখর ভাবে পালন করতে পারে।
৩ বছর আগে
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) সারা দেশের মন্দিরে দেবী দুর্গার অবতার (বোধন) দিয়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠী। আগামী ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের শেষ হবে।
এর আগে পূজার দ্বিতীয় দিনে (মঙ্গলবার) মহাসপ্তমীর পূজা, তৃতীয় দিন (বুধবার) মহাঅষ্টমী, কুমারী ও সন্ধী পূজা এবং চতুর্থ দিন (বৃহস্পতিবার) নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পূজা পালনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা। যা গত বছর ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি।
সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূজা মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
দুর্গাপূজা: বাগরেহাটে ৬৩৩ মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে
৩ বছর আগে