নাট্যকার
অভিনেতা মাসুম আজিজ লাইফ সাপোর্টে
অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজ বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘মাসুম আজিজ ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। তিনি বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।’
৩ অক্টোবর হৃদরোগজনিত সমস্যার কারণে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি করান হয় মাসুম আজিজকে। অবস্থার অবনতি বৃহস্পতিবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আইসিইউতে অভিনেতা সোহেল রানা
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত।
মঞ্চ,টেলিভিশন আর সিনেমায় খ্যাতি রয়েছে মাসুম আজিজের। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মাসুম আজিজ। প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন ১৯৮৫ সালে। দীর্ঘ কর্মজীবনে চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ।
আরও পড়ুন: অভিনেতা আমির সিরাজী লাইফ সাপোর্টে
দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা রনি সুস্থ হয়ে উঠছেন
২ বছর আগে
ওটিটি প্লাটফর্মকে রাজনীতির ইস্যু বানানোর চেষ্টা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ওটিটি প্লাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমকে গুলিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্র্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ওটিটি প্লাটফর্মকে রাজনীতির ইস্যু বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সব কিছুতে রাজনীতি নিয়ে আসাটা কখনো সমীচীন নয়।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে মতবিনিময় ও দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয়। তারপরও কেউ কেউ এ বিষয়টিকে কেন রাজনীতিতে টেনে আনেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমি আশ্চর্য হলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ওটিটি প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলিয়ে ফেলেছেন। এতো বড় দলের একজন মহাসচিব। যিনি মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি কিভাবে ওটিটি প্লাটফর্ম বিনোদন মাধ্যমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললেন সেটা দেখে আমার নিজেরও লজ্জা লেগেছে। তাকে যারা পরামর্শ দিয়েছেন তাদের উচিৎ ছিল তাকে সৎ পরামর্শ দেয়া। তারও প্রয়োজন ছিল এটি নিয়ে জেনে শুনে কথা বলা। কিন্তু এটিকে নিয়ে রাজনীতির ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেছেন সব কিছুতে রাজনীতি নিয়ে আসাটা সেটি কখনো সমীচীন নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত আছে ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিট্যাব, নাট্যকার সংঘসহ আরও একটি সংগঠনের নেতারা এখানে এসেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
অভিনেতা, নাট্যকার কায়েস চৌধুরী আর নেই
প্রখ্যাত অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্যকার কায়েস চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে তার ধানমন্ডির বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রখ্যাত এই ব্যক্তি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অ্যাক্টরস ইকুইটি বাংলাদেশের মহাসচিব আহসান হাবিব নাসিম জানান,কায়েস চৌধুরী তার নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং বাড়ি ফেরার পর তিনি মারা যান।
অভিনেতার নামাজ-ই-জানাজা আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তার ভাগ্নে সালেহীন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট নাট্যকার ড. ইনামুল হক আর নেই
কায়েস চৌধুরী প্রাথমিকভাবে টেলিভিশন অভিনয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন।
তার অকাল মৃত্যুতে অভিনেতা রওনক হাসান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, সিয়াম আহমেদ এবং পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট নাট্যকার আফসার আহমেদ আর নেই
৩ বছর আগে
বিশিষ্ট নাট্যকার ড. ইনামুল হক আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্যকার ড. ইনামুল হক মারা গেছেন। সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বাংলাদেশ অ্যাক্টর ইক্যুইটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব জানিয়েছেন, ইনামুল হকের পালস না পাওয়ায় তাঁকে রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুণী এই অভিনেতার হঠাৎ চলে যাওয়ায় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনীর একটি অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইনামুল হক। তিনি ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বাবু বিজয় কুমার মারা গেছেন
পরে ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সালে সহকারী অধ্যাপক হন। পরে ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালে তিনি যথাক্রমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হন।
এছাড়া একই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ১৫ বছর এবং প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
মোস্তফা মনোয়ারের ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ এর মাধ্যমে ১৯৬৮ সালে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পা রাখেন এই গুণী অভিনেতা। এছাড়া ‘সেইসব দিনগুলি’, ‘নির্জন সৈকত’, ‘কে বা আপন কে বা পর’সহ প্রায় ৬০টি টেলিভেশন নাটক লিখেছেন ইনামুল হক।
পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে নাটক মঞ্চায়িত ও অংশগ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদুজ্জামান রবি মারা গেছেন
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি ইনাম; দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হককে রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর শোক
অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাট্যাঙ্গনে ইনামুল হকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট নাট্যকার আফসার আহমেদ আর নেই
৩ বছর আগে