টিপু মুনশি
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এতদিন ডিমে বেশি মুনাফা করেছে। দেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের চাহিদা আছে। মাত্র ৬১ হাজার ডিম আমদানির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ডিমের মূল্য কমে আসে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্য দূর হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মালিবাগে দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ এবং চলতি মাসের চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে উল্লেখ করে কার্ড পেতে কার্ডধারীদের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তার চেয়েও বেশি মানুষকে সরকার ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডিম ও আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিমের একটি চালান দেশে আসার পর সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে দেশের উৎপাদনে উপর। এখন পেঁয়াজের শেষ সময়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করে থাকি। কিন্তু ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রথমে ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে। এর কিছুদিন পরেই প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আট শো ডলার নির্ধারণ করে। যাতে করে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে দাম বেশি।
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরেও চালান আসতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলাম বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সনদ নিতে হবে। এসব শর্ত পূরণে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় দেশে চালান আসতে দেরি হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে এবং মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে এবং আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও রপ্তানি আয় বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। লাল ‘ফিতার দৌরাত্ম্য’ এই শব্দ দুটি ভুলে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত রপ্তানি উন্নয়ন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ডেনিমে প্রথম ও তৈরি পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি আমাদের মতো দেশের জন্য কত গৌরব ও অহংকারের তা সবাই বুঝি। সেবা নিশ্চিত করতে হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। এই শব্দ আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। সেবাদানের ক্ষেত্রে হয়রানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দায়িত্বে অবহেলা করে টেবিলে কাজ ফেলে রাখা উচিত নয়। যেদিনের কাজ সেদিনই করতে হবে। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনাময় খাত আছে। দেশে রপ্তানিযোগ্য বৈচিত্র্যময় নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে। এগুলো কাজে লাগানোর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।
এ ছাড়া নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ১২ হাজার ডলার দিয়ে রপ্তানির যাত্রা শুরু। তা এখন প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভিয়েতনাম আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নিয়ে যদি ২৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারে তাহলে আমরা কেন ৬০ বা ৭০ বিলিয়ন ডলারে পড়ে থাকব। আমরা পারব কারণ আমাদের সে সামর্থ্য আছে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।
এসময়, ‘রপ্তানি উন্নয়ন ভবন’ নামের পরিবর্তে ‘রপ্তানি ভবন’ রাখার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন টিপু মুনশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনুন: টিপু মুনশি
১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শুধু পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার(৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্সী বলেন, আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে এবং দেশের শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যবৈচিত্র্য আনতে পারে এবং আরও অনেক দেশ বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘(এভাবে) সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল ব্যবসায়ীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২৮টি ক্যাটাগরিতে ৭৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রফি দিয়েছে ইপিবি।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন-চার দিনের মধ্যে আমদানি করা ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিপণনের অক্টোবর মাসের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত বলে রপ্তানিকারক দেশের সরকারের দেওয়া সনদ দাখিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে এর আগে ডিম আমদানি হয়নি এবং এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাস থেকে টিসিবির তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানি করা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ১ কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১ কোটি পরিবারের কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠ টিসিবি আয়োজিত ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সব দেশেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। বিশেষ করে তেল, চিনিসহ অন্যান্য আমদানি করা পণ্যের।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই এসব পণ্যের দাম বাড়ে। ভোজ্যতেল ও চিনির প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। মসুর ডাল আমদানি করতে হয়। এজন্য এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়।
টিসিবির কার্ড বাড়ানো যাবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, কার্ড পাওয়া বা দেওয়ার মতো যোগ্য মানুষ পাওয়া যায় তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা ১ কোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
তিনি আরও বলেন, ১ কোটি পরিবার কার্ড মানে প্রায় ৫ কোটি উপকারভোগী। কারণ একজন কার্ডধারীর পরিবারে গড়ে ৫ জন থাকলেও সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ কোটি হবে।
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল ৫০ লাখ কার্ড করার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন সংখ্যাটি ১ কোটি করতে। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ১ কোটি পরিবার কার্ড করেছি।
অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান এবং টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা তেল-ডাল-চিনির সঙ্গে ৫ কেজি চালও পাবেন
জুলাই থেকে ১ কোটি টিসিবি কার্ডধারী পরিবার পাবে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল
প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে: মন্ত্রী
ডিমের দাম না কমলে সরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ডিম আমদানির অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমের দাম নির্ধারণ করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’
রবিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা শহরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
তিনি বলেন, ‘ডিম আমদানি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত নয়। ডিম আমদানির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত পেলেই ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’
চিনির দাম নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘চিনিবোঝাই জাহাজ আসতে দেরি বা খালাসসংক্রান্ত জটিলতার কারণে চাহিদা মেটাতে আমরা স্থানীয় বাজার থেকে চিনি সংগ্রহ করছি।’
কোটার মাধ্যমে ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি মাসে তিনি ভারতে যাচ্ছেন এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ভোক্তাদের অধিকতর সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ ছায়া সংসদের আয়োজন করে যৌথভাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু আইন দিয়ে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভোক্তাদের যেমন তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে তেমনি ব্যবসায়ীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় দিতে হবে। মূল্যবোধের অবক্ষয় নয় বরং জাগরণ দরকার। দাম না কমালে আমদানি করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিলেই দাম কমে। রমজান মাস এলেই পণ্যের দাম বাড়ে। এগুলো পরিহার করতে হবে। ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অনেকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনির প্রায় চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এগুলো ছাড়াও যে কোনো পণ্য আমদানি করা হলে ব্যবসায়ীদের মুনাফা রেখেই ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও দেখা যায় অতি মুনাফার লোভে কিছু ব্যবসায়ী বেশি দামে পণ্য বিক্রয় করে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে দমন করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, খাদ্য সংকট হবে এই চিন্তা করে অতিরিক্ত মজুদ করা ঠিক নয়। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এইটা করেন থাকেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় দেশে সব পণ্যে পর্যাপ্ত আছে। কৃষি বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশ অনেক পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কোনো পণ্যের সংকট পড়লে সরকার আমদানি করে থাকে। সরকার সবসময় চেষ্টা করে যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আবার ভোক্তারাও যেন সহজে পণ্য ভোগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে খাদ্য পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে এর প্রভাব পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এটা শুধু আমাদের দেশে নয় বিশ্বের সব দেশেই বেড়েছে।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন নিম্নবিত্ত মানুষের কষ্টের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। সারাদেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারীদের মাঝে তেল, ডাল ও চালসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সরকার বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম বা মুরগি অথবা পেঁয়াজ কিংবা কাঁচা মরিচের দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। এগুলোর উৎপাদন, চাহিদা অন্য দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকে। সরকার এসব পণ্যের যে দাম নির্ধারণ করে দেয় সে অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে কি না- তা ভোক্তা অধিকার তদারকি করে থাকেন। কিন্তু যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করার জন্য যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন সে পরিমাণ জনবল তাদের নেই। আমরা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এই দপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকা দরকার। নিজস্ব কর্মকর্তাদের অথবা যারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন এধরনের কর্মকর্তাদের ভোক্তা অধিদপ্তরে পদায়ন করা যায় বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো ৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে দেওয়া হবে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’: বাণিজ্যমন্ত্রী
মক পার্লামেন্টে স্পিকার ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
প্রথমদিনে ‘শুধু আইন দিয়ে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়‘ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে ইডেন মহিলা কলেজ এবং বিপক্ষে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে ইডেন মহিলা কলেজ বিজয় লাভ করে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণায় সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদক এবং অভ্যন্তরীণ স্বাদু পানির মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এছাড়া উচ্চ মানের ওষুধ, জেনেরিক ওষুধ, অনন্য পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, আসবাবপত্র, খেলনা এবং ইলেকট্রনিক পণ্যসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন হচ্ছে দেশে। এসব পণ্য আমদানির জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেলের উদ্বোধন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতি অঞ্চল নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশভিত্তিক আলাদা অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ইতোমধ্যে দুই দফা বৈঠক করেছে এবং খুব শিগগিরই তৃতীয় বৈঠকে বসবে। ঢাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ইউনাইটেড কিংডম ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগের অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়মিত সংলাপ আমাদের যৌথ মূল্যবোধ এবং মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগকে আরও শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ডেভেলপিং কান্ট্রি ট্রেডিং স্কিম-ডিসিটিএস এর অধীনে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা দীর্ঘতম সম্ভাব্য সময় পর্যন্ত আমাদের ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধার স্থিতি অব্যাহত রাখতে চাই। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশ উত্তরণের পর পরবর্তী আরও ছয় বছর শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে পাশে থাকারও আহ্বান জানান।
এসময় সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোন তার দেশ বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশিাপশি এভিয়েশন, শিক্ষা এবং প্রতিরক্ষার বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার চমৎকার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস ছাড়াও বাংলাদেশী পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বাজার বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশে তার দেশের ব্যবসায়ীরা নানা ধরণের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে মোকাবেলা করছেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং সেগুলো সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান। নির্দিষ্ট করে সমস্যার কথা জানালে সেগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি শনিবার বলেছেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটকে দমনের চেষ্টা চলছে।
শনিবার খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে রোটারি ক্লাবের ‘ডিস্ট্রিক্ট ইয়াং লঞ্চিং’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করতে না পারে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সক্রিয়, ফলে সময় লাগছে; কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করছে এবং তারা মানুষকে সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, রোটারি ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর মো. আশরাফুজ্জামান নান্নু, জোনাল ইভেন্ট চেয়ার এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর