বিশ্ববাজার
বিশ্ববাজারে অপোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোল্ডেবল স্মার্টফোন ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ
গ্লোবাল স্মার্ট প্রযুক্তি কোম্পানি অপো বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বৈশ্বিক বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোল্ডেবল স্মার্টফোন অপো ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ। এছাড়া ডিভাইসটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের অফিসিয়াল স্মার্টফোন।
উল্লেখ্য, অপো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের অফিসিয়াল গ্লোবাল পার্টনার।
অপোর গ্লোবাল মার্কেটিং ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লিউ বলেন, আমরা বিশ্ব বাজারে আমাদের নতুন স্মার্টফোন ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ নিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত।
তিনি বলেন, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের অফিসিয়াল স্মার্টফোন অপো ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ ফুটবল প্রেমীদের জন্য উপযুক্ত ডিভাইস, কারণ এই ফোন দিয়ে তারা তাদের প্রিয় ফুটবল ম্যাচ উপভোগ এবং ম্যাচের বিভিন্ন মুহূর্তের প্রাণবন্ত ছবি তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট বিংয়ের নতুন সংস্করণে থাকছে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি
অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফাররা এই ফোন ব্যবহার করে ম্যাচ চলাকালীন সাইডলাইনের খুব কাছ থেকে অনুপ্রেরণামূলক ও উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করবেন।
সেরা ছবিগুলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ওয়েবসাইটে অপো গ্যালারিতে এবং অপো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ল্যান্ডিং পেজে শেয়ার করা হবে।
ফাইন্ড এন২ চ্যাম্পিয়ন ফ্লিপ ফোন। এ জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে অপো’র বুথে এই ফোন প্রদর্শন করা হবে। ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ উন্মোচন উপলক্ষে ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে সারপ্রাইজ।
যেসব গ্রাহকরা ফোনটি কিনবেন তারা অপো ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পক্ষ থেকে পাবেন এক্সক্লুসিভ গিফট এবং র্যাফেল ড্রতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০২২-২৩ সিজনের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের টিকিট জেতার সুযোগ পাবেন।
প্রথম চীনা ব্র্যান্ড হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে অপো।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় অপো উদ্ভাবনী ডিভাইস ও প্রযুক্তির মাধ্যমে খেলাধুলার প্রতি ভক্তদের আরও আগ্রহী করে তুলতে এবং অনুপ্রেরণা জোগাতে উয়েফা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ সিজনে চ্যাম্পিয়নস লিগ চলাকালীন ফুটবল প্রেমীদের সকল ম্যাচ উপভোগ করতে এবং জাদুকরী মুহূর্তগুলো ক্যাপচার ও শেয়ার করতে অনুপ্রাণিত করবে।
অপো ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন-https://www.oppo.com/en/smartphones/series-find-n/find-n2-flip/|
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় রোবোট্যাক্সির সফল পরীক্ষা চালাল অ্যামাজনের জুক্স
দেশের বাজারে অপো’র নতুন স্মার্টফোন এ৭৭
১ বছর আগে
বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমলে সরকার হ্রাস করবে: নসরুল হামিদ
বর্তমান জ্বালানি ও গ্যাস সংকটকে সাময়িক আখ্যায়িত করে কয়েক মাস ধৈর্য ধরতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি-বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের দাম কমলে আমরা নিশ্চিতভাবে সে অনুযায়ী স্থানীয় দাম সমন্বয় করব।’
রবিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দয়া করে, এক-দুই মাস ধৈর্য ধরুন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হোন। আগামী মাসের শেষের দিকে সরকার লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসবে।’
তার দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সরকার পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে যা বিশ্ব বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘এই যুদ্ধের প্রভাব সর্বত্র এবং আমরা এর বাইরে নই’, যোগ করেন তিনি।
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্যাস কোম্পানি শেভরন যৌথভাবে ‘বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থির আন্তর্জাতিক বাজার’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এফইআরবির সভাপতি শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জ্বালানি বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মাহবুব হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম ও অধ্যাপক এম শামসুল আলম। এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ অনুষ্ঠানটির সঞ্চলনা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার প্রধানমন্ত্রীর
পেট্রোলিয়ামের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাসের সংকট ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করায় বিরোধীদল বিএনপির নিন্দা করেন নসরুল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট ছাড়া আর কিছুই করেনি। এ কারণেই তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’
বিএনপির সময়ে দিনে ১৬-১৭ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস নেয়ার জন্য পাইপলাইন নির্মাণের অনুমতির বিষয়ে ভারতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি।
তিনি বলেন, ওই গ্যাস লাইন নির্মিত হলে আমরা মিয়ানমার থেকে কম দামে গ্যাস পেতাম।
তিনি বলেন, ‘অনেক ভূতাত্ত্বিক ও বিশেষজ্ঞ আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং তারা পরামর্শ দিয়েছেন এলএনজি আমদানি করা ভালো হবে। কারণ আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে গ্যাস পেতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি সংকটের পেছনে রয়েছে দুর্নীতি, লুটপাট, আত্মঘাতী চুক্তি: বিএনপি
তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনোকোফিলিপসসহ তিনটি বিদেশি কোম্পানিকে উপকূলীয় এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য চুক্তি দেয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রীর দাবি, ‘কিন্তু একপর্যায়ে তারা গ্যাস ব্লকগুলো ছেড়ে দেয় এই বলে যে গ্যাস উৎপাদন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না। কারণ তারা কম দামে অন্যত্র গ্যাস পেয়েছে।’
জ্যেষ্ঠ জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার ১১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক বিডিংয়ের জন্য সরকার বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি এর প্রতিবেদন পাব এবং উপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হবে।’
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সাম্প্রতিক দশকে গ্যাস অনুসন্ধানে উদ্যোগের অভাবে জ্বালানি খাতের সমস্যা বর্তমানে শাখা ও উপ-শাখায় প্রসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে বিপুল পরিমাণ গ্যাস আবিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত পার্শ্ববর্তী গ্যাস ব্লক-১১ এ গ্যাস অনুসন্ধান করতে পারেনি বাংলাদেশ। কেন আমরা আমাদের এলাকায় অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হলাম এই প্রশ্নের উত্তর জরুরি।’
এম শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলপিজির মতো পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম নির্ধারণের বৈধ কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) আইনকে অমান্য করে পেট্রোলিয়ামের দাম নির্ধারণ করেছে যার কোনো জবাবদিহিতা নেই।’
২ বছর আগে
জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমেছে: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বৈশ্বিক খাদ্য মূল্য সূচক অনুযায়ী, টানা চতুর্থ মাসের মতো জুলাইয়ে খাদ্যমূল্য কমেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, তবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের তুলনায় এখনও খাদ্যমূল্য ১৩ শতাংশ বেশি।
এফএও বলেছে, ২০০৮ সালের পর গত মাসে খাদ্যমূল্য সর্বোচ্চ আট দশমিক ছয় শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর মার্চ মাসে খাদ্য সূচক সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।
এফএও বলেছে, জুলাইয়ে উদ্ভিজ্জ তেল খাদ্যশস্যের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। তবে চিনি, দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংসের দাম ততটা কমেনি।
এফএও বলেছে, খাদ্য মূল্য সূচক খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যের মাসিক পরিবর্তন পরিমাপ করে। এটি গড়ে পাঁচটি পণ্য গ্রুপ নিয়ে গঠিত। এগুলো হলো- খাদ্যশস্য, উদ্ভিজ্জ তেল, মাংস, দুগ্ধ ও চিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
সড়ক নিরাপত্তায় সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
২ বছর আগে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রন্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম অত্যধিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস এবং বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পড়ুন: বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সরকার অফিসের সময় পরিবর্তনের কথা ভাবছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় তিন লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই
২ বছর আগে
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশীয় বাজারে প্রভাব সামান্য
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমলেও স্থানীয় বাজারে এখনো দাম কমানোর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি করে বাংলাদেশ। গত এক মাসে দেশটি থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন এক হাজার ৪৬৪ মার্কিন ডলার, যা মাত্র এক মাস আগে টন প্রতি ছিল এক হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
অর্থাৎ এক মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
শুধু সয়াবিন তেল নয়, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা এখন কমতে শুরু করেছে। চাল, ভোজ্যতেল, গম, চিনি ও মসুর ডালের দাম কমছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয়ের কোনো পদক্ষেপ এখনো নেয়নি।
বিটিটিসির সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য সুখবর। তবে মার্কিন ডলারের অস্থিতিশীল বিনিময় হার পণ্য ও ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম নির্ধারক।
এদিকে পাইকারি বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
২ বছর আগে
বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে খাদ্যের দাম অনেক বেশি: সিপিডি
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক গবেষণায় জানিয়েছে, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম অনেক বেশি। একইভাবে আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, গুঁড়ো দুধ, ডিম ও মাংসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যস্ফীতিই মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়।’
রবিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ অর্থনীতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ড. ফাহমিদা ‘স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে দাম আকাশচুম্বী?’ এবং ‘পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি: নীতিগত অবস্থান কী হওয়া উচিত?’ শীর্ষক দুটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বিআইবিএমের ড. শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব, অধ্যাপক এম তামিম, সিপিডির সিনিয়র ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি, বাহ্যিক খাত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং খাত এবং সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করেন।
গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী; কিন্তু সরকারি খাতায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, সরকার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে ধ্রুবক গণনা করে। অথচ এ সময়ে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে, খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশে। এটা কিভাবে সম্ভব প্রশ্ন করেন ড. ফাহমিদা।
অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ আমদানির তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ বাড়েনি; যার ফলে ১০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে।
জাহিদ হোসেন বলেন,উদ্বৃত্ত অর্থ থাকা সত্ত্বেও সরকারের বাজেট ব্যয় বাড়ছে না। তিনি টেকসই বিনিয়োগের জন্য দেশে জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি নীতিমালার আহ্বান জানান।
এসময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্বল এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাব বিবেচনা করে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি ।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে ডিএনসিআরপির অভিযান: ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
সিপিডি বলেছে,‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সমস্ত উপলব্ধ নীতি সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। যার মধ্যে রয়েছে- অভ্যন্তরীণ এবং আমদানি উভয় স্তরেই অপরিহার্য পণ্যের ওপর শুল্ক এবং কর অব্যাহতি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি প্রসারিত করা এবং আয়কর ছাড়ের স্তর বৃদ্ধি করা’।
সিপিডি বলেছে, মুদ্রাস্ফীতিজনিত প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্য স্থিতিশীল হওয়া উচিত বলে বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরের অস্থিতিশীলতা প্রশমনে অবিলম্বে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা উচিত এবং ঋণ পুনরুদ্ধারের দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া উচিত।
বিপুল পরিমাণ আমদানি হলেও রপ্তানি বাড়েনি। কিন্তু বাস্তবের তুলনায় এটি সঠিক চিত্র নয়। নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও তীব্রভাবে বেড়েছে, সিপিডির সভায় পরিস্থিতি পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সিপিডির সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অসাধু ব্যবসায়ীরা সবসময়ই সঙ্কটাবস্থার সুবিধা নিতে সক্রিয় থাকে। তারা পণ্য মজুদ করে এবং বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তাই রমজান মাস এবং এর পরেও পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
সিপিডি বলেছে, খোলা বাজার ব্যবস্থার (ওএমএস) মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই পণ্যগুলির বিতরণ কার্যকরভাবে এবং কোনও দুর্নীতি ছাড়াই পরিচালনা করতে হবে; যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা কম দামে এই পণ্যগুলো কেনার সুযোগ পান। সরকারের উচিত দরিদ্রদের সরাসরি নগদ সহায়তা প্রদান করা, নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির জন্য সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি করা এবং কঠিন সময়ে তাদের বেঁচে থাকার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্দীপনা বৃদ্ধি করা।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে স্বস্তি টিসিবির ট্রাক
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
২ বছর আগে
বিশ্ববাজারে কুমিল্লার সবজির চাহিদা বাড়ছে
দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে যাচ্ছে কুমিল্লার সবজি। দেশের বৃহৎ সবজি আড়ৎ কুমিল্লার নিমসার বাজার থেকে প্রতিদিনই রপ্তানি হচ্ছে এ সবজি। প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে গঠিত ২০টি সমিতির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় বিদেশে রপ্তানিযোগ্য এ সবজি। এ কাজে স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
কুমিল্লার কচুর লতি, লাউ, কুমড়া, শসা, বরবটি, করল্লা, ধুন্দুল, পুঁই শাক, ডাটা, লালশাক, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারে। নিরাপদ ও বিষমুক্ত এসব সবজি রপ্তানিতে চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। এখন প্রতি মাসে গড়ে সাত টন সবজি রপ্তানি হলেও শীতকালীন সময়ে মাসে গড়ে রপ্তানি হয় ১০ টনেরও বেশি। কুমিল্লার নিমসার কাঁচা বাজারে অবস্থিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সজিব মোল্লা জানান, সেপ্টেম্বর মাসে কুমিল্লার নিমসার বাজার থেকে কচুর লতি লন্ডন ও ইতালিতে রপ্তানি হয়েছে চার হাজার ৬২০ কেজি। ইতালিতে লাউ রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ১৫ কেজি। ২২০ কেজি শসা রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। ইতালিতে মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি হয়েছে ২২০ কেজি। ৮৪ জন প্রান্তিক কৃষক থেকে এ সবজি কেনা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে ২০টি সমিতি গঠন করা হয়েছে। এ সমিতিতে রয়েছেন ৪০০ প্রান্তিক কৃষক। তারাই এ সবজি উৎপাদন ও সরবাহ করে। ফলে তারা ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারছে।
পড়ুন: অবশেষে আলোর মুখ দেখছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় ২১ হাজার ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হচ্ছে। বছরে দুই মৌসুমে মোট ৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হয়। জেলার মানুষের চাহিদা বছরে দেড় লাখ মেট্রিক টন। বাকি সবজি ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। পাশাপাশি এখান থেকে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
সম্প্রতি কুমিল্লার বরুড়া, বুড়িচংয়ের নিমসার ও চান্দিনার বরকট ইউনিয়নের পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষকের বাজার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে রপ্তানি করার জন্য আনা সবজি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রপ্তানির উপযোগী করছেন কৃষকরা।
সবজি নিয়ে আসা কোরপাইয়ে এলাকার কৃষক শহিদুল, বরকইট ইউনিয়নের পিহর গ্রামের কৃষক সাইফুলসহ অনেকে জানান, আগে সবজি হাটে নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো। বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যেত। তখন অনেক সময় লোকসানে সবজি বিক্রি করতে হতো। এখন কৃষকের বাজার হওয়ায় সবজি বিক্রির আর কোনো সমস্যা হয় না। আর এখানে দিতে হয় না কোন খাজনা। আমরাও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: মোংলায় ৮৫ শতাংশ মানুষের নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই
৩ বছর আগে