রুশ রাষ্ট্রদূত
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের রূপপুর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের খবর উড়িয়ে দিলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন- এই সংবাদ নাকচ করে দিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিটস্কি।
রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে, প্রথমত এটি একটি গুজব এবং মিথ্যা গুজব। আপনাদের বোঝা উচিত। আমাদের কোম্পানি রোসাটম এরইমধ্যে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
যেখানে নির্মাণ কাজ এখনও চলছে সে অবস্থায় কীভাবে এটি করা যেতে পারে বলে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ বিলিয়ন ডলার। কল্পনা করুন, এটি একটি বড় অর্থ। যখন নির্মাণ চলমান তখন কীভাবে এত অর্থ কাউকে দেওয়া যেতে পারে? আপনাদের কি মনে হয় আমরা এতই পাগল যে কাউকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেব?’
জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে এই গুজব তৈরি করা হয় বলে জানান রুশ রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
২ মাস আগে
ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, রাশিয়ায় শেখানো হয় এমন অন্যান্য এশীয় ভাষার মধ্যে বাংলা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুকদের আকর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস বাংলাভাষী কয়েকজন কূটনীতিককে নিয়ে গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের দক্ষতা শুধু কূটনৈতিক মিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রমেই অপরিহার্য নয়, বরং বিভিন্ন প্রটোকল অনুষ্ঠানেও এর চাহিদা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
তিনি বলেন, এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণটি মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিয়েল-টাইম মোডে বাংলায় অনুবাদ করা। বর্তমানে তিনি ঢাকায় কর্মরত।
শুক্রবার(৯ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, '১০ ফেব্রুয়ারি পেশাদার ছুটি উদযাপনের এই দিনে রুশ কূটনীতিকদের কাজকে অর্থবহ ও আনন্দময় করার জন্য বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুপ্রতীম জনগণকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে’
১০ ফেব্রুয়ারি কূটনৈতিক কর্মী দিবস - একটি পেশাদার ছুটির দিন। এদিন মস্কো এবং বিদেশে অনেক মিশনে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীকে একত্রিত করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
যদিও ছুটির দিনটি বেশ সম্প্রতি ২০০২ সালেআনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করলেও তারিখের পছন্দটি বিরাট ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। কারণ এটি ১৫৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা প্রথম রাষ্ট্রদূত প্রিকাজের প্রাচীনতম নথিভুক্ত করাকে তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেছেন, এই ছুটির দিনটি রাশিয়ার কূটনৈতিক পরিষেবার ধারাবাহিকতার প্রতীক। এর পেশাদার ঐক্য এবং মহৎ পথনির্দেশক নীতি ও আদর্শ প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
তিনি বলেন, শত শত বছরের ইতিহাস জুড়ে রুশ কূটনীতিকরা যেসব দেশে সেবা প্রদান করেন, সেসব দেশের ভাষা শেখার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।
মানতিৎস্কি বলেছেন, জাতীয় ঐতিহ্য এবং অভ্যাস, আকাঙ্ক্ষা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা সর্বদা রাশিয়ান কূটনৈতিক পরিষেবার ঘোষিত মৌলিক মূল্যবোধ।
সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়ার সম্রাট পিটার দ্য গ্রেটের শাসনামলে এশীয় দেশগুলো রাশিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
বাণিজ্য ও রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ভাষাগত এবং যোগাযোগ দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন,‘এই প্রয়োজনীয়তা রাশিয়ায় প্রাসঙ্গিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ প্রাচ্য গবেষণায় গভীর শিক্ষা প্রদান করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোর ইনস্টিটিউট এবং মস্কোর এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট-পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টাল অনুষদ, ভ্লাদিভোস্টকের ফার ইস্টার্ন ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৯ মাস আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং অধিকাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন বলেই বাংলাদেশের জনগণ (বর্তমান) সরকারকে নির্বাচিত করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।’
রুশ হাইকমিশনারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আমরা বলতে চাই, তার (রাষ্ট্রদূতের) অযাচিত, অগ্রহণযোগ্য ও আওয়ামীপন্থী বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে নিজ দেশেই পরাধীন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের আশা-আকাঙ্ক্ষা অভিন্ন। ‘সেই অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’
দলটি বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ আশা করে যে, রাশিয়া, ভারত, চীন বা অন্য কোনো দেশ জনগণের প্রবল ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনকে অযাচিতভাবে সমর্থন করবে না।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। এজন্য বিএনপি রাশিয়াকে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার দৃঢ় সংকল্প ও মহান ত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।’
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির অভিযোগ 'বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা'।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সরকার নয়, ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার বলে বিরোধী দল যে বক্তব্য দিয়েছে তা কারো বিশ্বাস করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে বিএনপি বলেছে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
দলটির দাবি, জাতিকে ধোঁকা দিতে এবং শেখ হাসিনার অসাংবিধানিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তার অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সহায়তার জন্য গত ৭ জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিএনপি উল্লেখ করে, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ, সাতটি খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন বিদেশি পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নতুন ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের বঞ্চিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
৯ মাস আগে
ঢাকা-মস্কো সম্পর্কে আরও উন্নতির প্রত্যাশা রুশ রাষ্ট্রদূতের
নবনির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে ঢাকা ও মস্কোর সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে এবং জনগণের মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও মস্কো ও ঢাকার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ফলপ্রসূ হচ্ছে।
২০২৩ সালে রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বেশ কয়েকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে। যেমন সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের প্রথম বাংলাদেশ সফর; প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ এবং নভেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের শুভেচ্ছা সফর।
আরও পড়ুন: রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে রাশিয়া। বিভিন্ন কৃষি-শিল্পজাত পণ্য, বিশেষ করে গম ও সারের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারীও।’
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রাশিয়ার শস্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ টন।
তিনি বলেন, 'আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থবহ মিথস্ক্রিয়া ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে কূটনৈতিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার আগে, কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭১ সালে চলমান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাঙালি জনগণকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছিল।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এরপর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের ইতিহাসে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও উল্লেখযোগ্য অর্জনের পাশাপাশি গৌরবময় স্মৃতি রয়েছে।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাশিয়ান ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার এবং পারস্পরিক ভালোবাসা নতুন অর্জন এবং যৌথ স্বপ্নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা ও মস্কো লেনদেন-বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করছে: রুশ রাষ্ট্রদূত
৯ মাস আগে
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি আশা প্রকাশ করেছেন যে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে।
বুধবার সচিবালয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘আমি তাকে যুদ্ধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়েছিলাম: 'যুদ্ধ কারও জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে না; নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞাও কোন কল্যাণ বয়ে আনে না।' আমি তাকে বলেছিলাম যে যুদ্ধ শিগগির শেষ হলে সবার জন্য ভালো হবে।
আরও পড়ুন: দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন কাঁটাতারের বেড়া মানে না: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেছেন, ভিকেন্তেভিচ মানতিতস্কি আশা করেছেন যে শিগগির যুদ্ধ শেষ হবে।
সংবাদ আদান-প্রদানের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) এবং ইটার-তাস -এর মধ্যে ২০১৭ সালে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছিল।
হাছান আরও বলেন, রাষ্ট্রদূত এমওইউকে একটি চুক্তিতে পরিণত করার প্রস্তাব দেন।
তিনি রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক ও বাসসের মধ্যে সংবাদ বিনিময়েরও প্রস্তাব করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রুশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে রুশ সিরিজ সম্প্রচারের প্রস্তাব করেছিলেন। ‘আমি তাকে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রস্তাব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগালে তো আর গোপন থাকে না: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইউক্রেন নিয়ে কিছু বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচার পক্ষপাতমূলক: রুশ রাষ্ট্রদূত
ইউক্রেন পরিস্থিতি ও সেখানে রাশিয়ার পদক্ষেপ নিয়ে সংবাদ প্রচারে বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমের ‘পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি’র অভিযোগ তুলে তাদের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্তিতস্কি।
তিনি এটাকে ঢাকা ও মস্কোর সম্পর্ক নষ্ট করার ‘ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা’ বলেও বর্ণনা করেছেন।
রবিবার বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক, রেডিও ও টিভি প্রধানদের কাছে এক খোলা চিঠিতে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতি ও সেখানে রাশিয়ার পদক্ষেপের প্রতি কিছু বাংলাদেশি গণমাধ্যমের দৃষ্টিভঙ্গি পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করি। আর এটা যারা সর্বদা রাশিয়ান ফেডারেশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতাকে ক্ষুন্ন করতে চায় সেই শক্তির ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার ফল।’
আরও পড়ুন: বন্যা প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও বাঁধ দরকার: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত ১৯৭১ সালের কথা উল্লেখ করেন যখন বাংলাদেশিরা ভারত ও ইউএসএসআরের সক্রিয় সমর্থনে বাঙালিদের প্রতি হয়রানি, বৈষম্য ও সহিংসতা বন্ধ এবং মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার উপভোগের অবাঙালি প্রভুদের উৎখাত করে।
তিনি বলেন, ‘পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের রুশ ভাষাভাষী জনগণ আট বছর ধরে একই অধিকার পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে আসছে এবং কিয়েভ শাসনে তারা গণহত্যারও শিকার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আমার খোলা চিঠির মাধ্যমে আপনার পাঠকরা ইউক্রেনের চারপাশের বিষয়ে একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বিমান হামলায় নিহত ৩৫
সম্পাদকদের কাছে তার চিঠিটি বাংলাদেশি পাঠকদের কাছে আবারও ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এর লক্ষ্য ও কার্যক্রম ব্যাখ্যার একটি প্রচেষ্টা বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূতের মতে লক্ষ্যগুলো হলো:
১. ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষী বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা যারা আট বছর ধরে কিয়েভ সরকার দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছে;
২. নব্য ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা;
৩. ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ রোধ করা এবং
৪. ইউক্রেনে ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপন বন্ধ করা।
কার্যক্রমগুলো হলো:
১. ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ডিনাজিফাই করা (নাৎসি মতাদর্শ থেকে মুক্ত করা);
২. মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর ইউক্রেনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠা নব্য ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানো;
৩. রাশিয়ান ফেডারেশনের সীমান্তে সামরিক হুমকি দূর করা;
৪. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ ইউক্রেনের আগ্রাসী সত্তাকে নিরস্ত্র করা এবং
৫. রাশিয়ান ফেডারেশনের আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক এবং রাশিয়ান নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং শাস্তি দেয়া।
রাষ্ট্রদূত মানতিতস্কি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা করছি না। আমরা ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না। আমরা জোর করে কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা অনেকবার ব্যাখ্যা করেছি ইউক্রেনের পরিস্থিতি এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যে এটি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে ৮৫ শিশু নিহত: ইউক্রেন
২ বছর আগে
পাট খাতে রুশ বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার খাত প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাট খাতে রুশ বিনিয়োগের আহ্বান করেছেন।
বুধবার বাংলাদেশে নব নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দু’জনই বাংলাদেশের কৃষি খাতে সম্ভাবনা আবিষ্কার ও অন্যান্য খাতে সহযোগিতা প্রসারিত করতে ঐক্যমতে পৌঁছান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষার্থী, বিশেষ করে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কঠিন সময়ে যারা সহযোগিতা করেছেন এ দেশের মানুষ তাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ খুশি হবে যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ দেশ সফরে আসেন।
এ সময় রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন বিশাল ও চমকপ্রদ।
১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ ও রাশিয়া জাতিসংঘে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দুই দেশের মধ্যে হওয়া বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে তিনি জানান, সেগুলো হালনাগাদ করতে হবে এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সততা ও সাহসের সুফল পাচ্ছে দেশ: সালমান এফ রহমান
৩ বছর আগে