বাণিজ্যমন্ত্রী
ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই হলো।
তিনি বলেন, এই যুগান্তকারী চুক্তির ফলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট অ্যান্ড প্রটোকল’ এই শিরোনামে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে।
এছাড়া সই করা চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে।
এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে।
এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্তু কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপক্ষীয় এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টিপু মুনশি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।
চুক্তি সইয়ের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
পর্যাপ্ত মজুদ আছে, রমজানে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের কাছে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং পবিত্র রমজান মাসে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তেল, চিনি, ছোলা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ আছে। দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোয় কিছু ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, পবিত্র মাসে বেগুন, শসা, লেবু ও মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, রমজানের পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৫ দিনে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
এসব পণ্য পরিবহনের সময় চাঁদাবাজি রোধে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রমজানে সড়ক-মহাসড়কে কোনো চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতে আমদানি কিছুটা কমানো হয়েছে।
তিনি বলেন, রমজানে বাজার কড়া নজরদারি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। যারাই সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে তারা পরিণতির মুখোমুখি হবে।’
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শুল্ক ছাড় দেয়ায় চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমাতে ব্যবসায়ীরা সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, শুল্ক কমানোর ফলে চিনিতে সাড়ে চার টাকা মতো কমানো যাবে। তবে আমরা ব্যবসায়ীদের চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমানোর অনুরোধ করছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আশাকরি রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমবে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল প্রতারণাও বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রবিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এর ৬ষ্ঠ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিনির যে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে, সেই সুবিধা এখনও পাওয়া যায়নি। শুল্ক ছাড়ের চিনি কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা আশাকরি রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির যে দাম তা থেকে কেজিতে ৫ টাকা কমবে। আগামীকাল থেকে আমরা মনিটরিং করবো। ট্যারিফ কমানোর পর বাজারে কি প্রভাব পড়ছে সেটা নজর রাখা হচ্ছে।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে তেল ও চিনি যথেষ্ট পরিমাণে আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সালমান এফ রহমানের বৈঠক
ই-কমার্সের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল প্রতারণাও বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি বলেন, ই-কমার্স এর সুবিধা ভোগ করছে বাংলাদেশের মানুষ। ই-কমার্সের পরিধি অনেক বেড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল প্রতারণাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ই-কমার্সে প্রতারণা রোধে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ই-কমার্স সংক্রান্ত সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (সিসিএমএস) প্ল্যাটফর্ম এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতারণা রোধে আমরা সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (সিসিএমএস) প্ল্যাটফর্ম চালু করা হলো। আশা করা হচ্ছে, ই-কমার্সে এর সুফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া এ প্ল্যাটফর্মটি ভোক্তা, নিয়ন্ত্রক সমন্বয়ক এবং ই-কমার্স স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মানুষ ঘরে বসে নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেয়েছেন, এখনও পারছের। ই-কমার্সের পরিধি এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ই-কমার্সে মানুষের কেনা-কাটা যাতে নিরাপদ হয় এবং যে কোন অনিয়মের প্রতিকার যাতে সহজেই পাওয়া যায়, সেজন্য সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম প্ল্যাটফর্ম চালু করা হলো। স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণের আমাদের অনেক পথ পারি দিতে হবে। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। প্রয়োজন থেকেই আবিষ্কার হয়। করোনাকালীন আমাদের ই-কমার্সের খুবই প্রয়োজন ছিল। মানুষ ই-কমার্সের সেবা নিয়েছে, এর চাহিদা অনেক হয়েছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এখন মানুষের জীবন যাত্রা সহজ করেছে এবং মান বদলিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে। ৯৯৯ নম্বর এর সুবিধা এখন সবাই ভোগ করছে। ডিজিটাল হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালে স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমরা সম্মিলিত ভাবে কাজ করছি।
উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (সিসিএমএস) একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে একজন ভোক্তা ই-কমার্স সংক্রান্ত যেকোন যৌক্তিক অভিযোগ সহজে উপস্থাপন করে প্রতিকার গ্রহণ করতে পারবেন। প্ল্যাটফর্মটি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ই-কমার্স স্টেকহোল্ডার, নথি সিস্টেম এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সিসিএমএস বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণে এবং ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইকমার্স সেলের প্রধান সমন্বয়কারী মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ভারতের বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সুবির চক্রবর্তী এর নেতৃত্বে আগত ১০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী
ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুবিথধার কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। ফ্রান্সের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। ফ্রান্সের বিনিয়োগকারীরা এসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ- সুবিধা দিচ্ছে।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ওইসিডি আয়োজিত ‘প্রমোটিং এন্ড ইনাব্লিং রিসপনসিবল বিজনেস কনডাক্টর ইন দ্য গ্লোবাল ইকনোমিক’- শীর্ষক মিনিস্টারিয়াল মিটিং এ যোগদান করে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ফ্রান্সের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে টিপু মুনশী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, লেদার, মেডিকেল পণ্য, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে, এর অনেকগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এগুলোতেও বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ফ্রান্সে অবস্থিত বিজনেজ কমিউনিটি আয়োজিত অপর এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে এবং ফ্রান্সে অবস্থিত সকল প্রবাসীকে রেমিটেন্স প্রোপার চ্যানেলে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। ফ্রান্সের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেকোন জটিলতা সরকার গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করবে। এসময় ইউরো-বাংলা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এবং ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরির ফরেন অ্যান্ড ট্রেড মিনিস্টার পিটার এসজিজার্টো এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরিতে পড়া লেখার জন্য বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা সহজ করার আহ্বান জানান। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ডাবল ট্যাক্সেশন পরিহারে চুক্তি সইয়ের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মিটিং এ বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অন্য দু'জন হলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম, এমপি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় মার্কেট বেজ ইকনোমিক প্রিন্সিপাল, ওপেন, ফ্রি, ফেয়ার, রুলবেজ, মাল্টিলেটারেল ট্রেডিং সিস্টেম এবং সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ এবং মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়ে।
উল্লেখ্য, দু'দিনব্যাপী এ মিটিং এ ২৫টি দেশের মন্ত্রী, ইউএন বডি, ইইউ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাট ও কর আদায়ের পরিধি আরও প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিনে 'জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বিষয়ে সমন্বয়ের কথা বলছি। এটাই সর্বোত্তম। আমরা চাই আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আপনারা এটি করুন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মুন্সি বলেন, ২০২৬ সালে শুল্কের চাপ থাকবে। আশা করা হচ্ছে, এলডিসি তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার পর এনবিআর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। ভ্যাট ও আয়করের পরিধি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর পরিধি অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে।
‘এখন আপনারা যদি আয়কর সংগ্রহ করতে যান তবে আপনারা মানুষের কাছে অপছন্দের হয়ে উঠবেন। কেউ ট্যাক্স দিতে চায় না; সেখানেও আপনাকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি স্মার্ট বাংলাদেশ দরকার। ডিজিটালের অবসান ঘটিয়ে স্মার্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনাদের কাজগুলো স্মার্ট হতে হবে। তাই আমি বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শুনেছি এবং বিভিন্ন ধরনের অটোমেশন আসছে। আমি খুব আশাবাদী; আপনাদের কাজ আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজস্ব-বান্ধব মানসিকতা গড়ে তুলতে আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের আয়োজন করছে এনবিআর। একই সঙ্গে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে এনবিআর প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করা হয়। রাজস্ব সম্মেলন ও নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে কেউ যেন সুযোগ না নেয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে জেলাপ্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বলেছি রমজান মাস সামনে; আর আপনারা সরকারের হাত। আপনারা খেয়াল রাখবেন, কেউ যাতে সুযোগ না নেয়। শক্ত ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে বলেছি ভোক্তাদের অধিকার সচেতন করতে হবে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩ এর দ্বিতীয়দিন চতুর্থ অধিবেশনে শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে একসঙ্গে বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য প্রসারের জন্য ডিসিদের সহযোগিতার দরকার রয়েছে। কোরবানির সময় পশুর চামড়ার দাম পায় না। সে সময়টায় সতর্ক থাকবেন। ব্যবস্থা নেবেন, যাতে চামড়ার দাম নিয়ে কোন ছিনিমিনি খেলা না হয়।’
নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং নিয়ে তিনি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে ডিসিরা সতর্ক থাকবে। আপনারা (ডিসিরা) সরকারের হাত। আপনারা সরকারের সব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবেন।
বিদেশি মিশনগুলোতে কর্মাসিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাথায় আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ফুল ডিপ্লোমেটিক মিশনটাই মেনটেন করা দরকার। তারা কাজ করলে উদ্দেশ্য সফল হবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিন দিনব্যাপী ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে একসঙ্গে বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
আসন্ন রমজান মাসে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ভোক্তাগণ যদি একসঙ্গে বেশি পণ্য কেনেন, তাহলে বাজারে পণ্যের ওপর একসঙ্গে বেশি চাপ পরবে না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক পণ্য দেশে এসেছে, কিছু পণ্য পথে আছে এবং কিছু কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধার অনুরোধ: বাণিজ্যমন্ত্রী
রবিবার (২২ জানুয়ারি) রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর উদ্যোগে আয়োজিত মাসব্যাপী রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোন পণ্যের সংকট হবে না, মূল্যও বৃদ্ধি পাবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তাগণ স্বাভাবিক পরিমাণে পণ্য ক্রয় করলে কোন সমস্যা হবে না। পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বা স্বাভাবিক সময়ে কোন ব্যবসায়ী কোন ধরনের অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এসকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসকল পণ্যের আমদানিকারক, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলছে, আরও আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
এছাড়া সরকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা করছে। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আসন্ন রমজান মাসে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব পরা স্বাভাবিক। গ্যাস দিয়ে যে সব পণ্য উৎপাদন করা হয়, সে সব পণ্যের মূল্যের ওপর কিছুটা প্রভাব পরবে।
এছাড়া নতুন করে গ্যাসের দাম নির্ধারণে আলোচনা চলছে। দেশের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নিশ্চিত করা চেষ্টা চলছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ড. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ আয়োজিত মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১২০ টি স্টল রয়েছে।
এছাড়া এবারের মেলায় রয়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ গেট ও পানির ফোয়ারাসহ শিশুদের বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আর্থিক জ্ঞান এবং ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ই আবশ্যক।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, তাই জ্ঞানী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারকে টেকসই করতে চালনা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ অনুষ্ঠিত অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
টিপু মুনশি বলেন, উন্নত অর্থনীতিতে ৫০ শতাংশের বেশি টাকা পুঁজিবাজার থেকে নেয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়, যা ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। যদি ৫০ শতাংশ টাকাও পুঁজিবাজার থেকে আসে তাহলে আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হতে বাধ্য।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের স্বার্থে একটি গোষ্ঠী চতুরতার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সংজ্ঞায়িত করছে, গুজব ও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশ এত উন্নতি করেছে, এবং তারা বলছে, এটা ঠিক নয়। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নতিকে তারা আর অস্বীকার করতে পারে না। যারা এসব করছে, তারা এদেশের উন্নয়ন চায় না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন অর্থ সূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) সভাপতি আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাঈদুর রহমান এবং ঢাকা ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
খাদ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধার অনুরোধ: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এ সকল পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা প্রদানে অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভা ২২-২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পিয়ুশ গয়ালের নেতৃত্বে দু'দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অবস্থায় ভারতের কাছে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সভায় আমাদের পক্ষ থেকে এসব পণ্যের আমদানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণের কোটার কথা তুলে ধরা হয়।
তবে ভারত বলেছে, যে পরিমাণ পণ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ সেই পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে না।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
তাছাড়া, বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর ওপর ২০১৭ সাল থেকে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি দাবি ছিল দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা, সেটি নিয়ে কথা হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছিলেন ভারত থেকে উচ্চ ফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি করার বিষয়ে।
এর কারণ আমাদের দেশের রাবার খুব বেশি ভালো হয় না।
এছাড়া কারেন্সির বিষয়ে কথা হয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে বিনিময় মাধ্যম হিসাবে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের। এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারিনি, কারণ এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ লাগবে।
আমরা বলেছি আলোচনা হতে পারে। তারা রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে এটি শুরু করেছে। এটা পারব কিনা সেই হিসাবের ব্যাপারও আছে।
এছাড়াও বর্ডার হাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবগুলো আলোচনা নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট।
টিপু মুনশি বলেন, পণ্য ইম্পোর্টে যে কোটার কথা বলেছি সেখানে পরিমাণ উল্লেখ করেছিলাম। তারা বলেছে, পরিমাণ তো আমরা (বাংলাদেশ) আন্দাজ করে বলেছি, সেক্ষেত্রে সঠিক কতো পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন হবে সেটি নির্ধারণ করতে বলেছে।
আমরা একটু বেশি করেই চেয়েছিলাম।
তারা বলেছে, অতীতের ৭-৮ বছরের রেকর্ড বলে না তোমাদের (বাংলাদেশ) এতো দরকার। বাংলাদেশের জন্য রাখার পর যদি না নেয় তাহলে সেগুলো নষ্ট হবে। সেজন্য দুইপক্ষ আলোচনা করে ঠিক করতে বলেছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা প্রদানে ভারতের আপত্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা বলেছে এক থেকে দেড় মাস একটু অপেক্ষা করতে হবে। করোনার পর মেডিকেল ভিসার জন্য প্রচুর চাপ পড়েছে। সেটা দিতেই তাদের সমস্যা হচ্ছে। তারা বলছে, জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের প্রেসার কমে আসবে। তখন তারা রেগুলার ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, মাল্টিপল ভিসা, ব্যবসায়ীদের ভিসার ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম একটা সিইও ফোরাম করার বিষয়ে। আমাদের দেশের ১০টি বড় প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং তাদের দেশের ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইও নিয়ে এটি করা যেতে পারে। যেমন আমাদের দেশে প্রাণ, এফবিসিসিআই এর মতো প্রতিষ্ঠান আছে, সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। তারা (ভারত) বলছে, তাদের নামগুলো সিলেক্ট করতে একটু দেরি হচ্ছে, তারপরও তারা আশাবাদী এই দশটি নাম দিলে দুই দেশের ১০টি করে প্রতিষ্ঠানের সিইওদের নিয়ে ফোরাম গঠিত হবে।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক ইস্যুতে তারা আলোচনা করবেন। সরকারকে তারা আলোচনা করে কোন পরামর্শ থাকলে দেবেন।
সভায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন শুরুর বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বিভিন্ন দ্বি-পক্ষীয় ও আঞ্চলিক ফোরাম পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান, বিভিন্ন প্রকার শুল্ক/অশুল্ক বাধা অপসারণের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ, ভারতের পক্ষ থেকে করোনার কারণে বন্ধ থাকা বর্ডার হাটসমূহ পুনরায় চালু করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে শিগগিরই সেগুলো চালুর কার্যক্রম ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঘরে ঘরে শিক্ষিত সন্তান থাকলে মানুষের অভাব থাকবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী