পূজা মন্ডপ
কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে কোরআন শরীর অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন মূল হোতা ইকবাল হোসেনকে আজ দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে নিয়ে কুমিল্লায় আসে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার সুগন্ধ্যা বীচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, ৬টায় কক্সবাজার থেকে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশি পাহারায় ইকবালকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে আনা হয়। ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজছিল। কক্সবাজার তার অবস্থান নিশ্চিত হবার পর কুমিল্লা পুলিশ কক্সবাজার পুলিশকে জানালে তারা ইকবালকে গ্রেপ্তার করে।
এর আরগ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটিয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নেই। এখন সব নিয়ন্ত্রণে আছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনার দিন রাতে মাজার মসজিদে তিন বার গেছেন এই লোক। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সুনিশ্চিত যে, মসজিদে থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে তিনি এখানে রেখেছেন। প্ল্যান মাফিক করেছেন, কার নির্দেশে করেছে। কারো প্ররোচনায় হয়তো করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বলা যাবে মোটিভটা কী ছিল? সাজানো ঘটনা থাকতে পারে। জিজ্ঞেস করা হলে সব জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
৩ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনায় আরও এক যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় পূজা মন্ডপের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগে কুমিল্লা শহর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নাম গোলাম মাওলা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ দল সন্ধ্যায় কুমিল্লা শহরের নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোলাম মাওলাকে গ্রেপ্তার করে।
কোতোয়ালি থানায় করা চারটি ভিন্ন ভিন্ন মামলায় গতকাল থেকে কুমিল্লায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি তিনি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং উস্কানিদাতা হিসেবে কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব প্রধানসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে সেটি আমাদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এটি কিভাবে হয়েছে সেটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ইতোমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে সারাদেশে এটা চলে যায়। সে প্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি হৃদয় বিদারক কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দেখলাম চারজন নিষ্পাপ মানুষ নিহত হলো। সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘটনা একের পর এক ঘটছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী এবং যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারারাত কাজ করেছেন। এখানেও আমরা বসেছিলাম যে করণীয় কি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মনে হয়েছে এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোনো স্বার্থান্বেশী মহলের কাজ।
এ সময় তিনি জানান, কুমিল্লায় সন্দেহ ভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ আলাপের মাধ্যমে মনে করছি, অবশ্যই এটি তদন্ত সাপেক্ষ, আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই। আমরা মনে করছি, এটা কোনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো স্বার্থান্বেশী মহল, কোনো চক্রান্তকারী-ষড়যন্ত্রকারীর কর্ম এটা। এটা আমরা তদন্ত শেষে সব জানাতে পারবো। এ জায়গায় আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছি। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, যারা ধর্মকর্ম করে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন যেটা আমাদের দেশে আছে সেটা নষ্ট করার একটি প্রক্রিয়া বলেই আমরা মনে করছি। এ ধরনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন বা চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
যে সব জায়গায় এ ঘটনা ঘটছে যদি কেউ এতে উস্কানি দেন বা জড়িত থেকে ষড়যন্ত্র করেন তাকেও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত সভায় আমরা বলেছিলাম, পূজামন্ডপে সিসিটিভি বসাতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে ভলান্টিয়ার থাকবে। অনেক মন্ডপেই তা করা হয় নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
সব মন্ডপ যেন সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসেন এবং তাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার তারা যেনো নিয়োগ করেন। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সে আহ্বান করছি। সবাই যেন ধৈর্য সহকারে শান্তি বজায় রাখে। কোনো উস্কানিতে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয়।’
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয় সেগুলো যাতে কেউ না ছড়ায়। আমরা কোনো পূজামন্ডপ বন্ধের নির্দেশনা দেই নি। যারা গুজব ছড়িয়ে অপচেষ্টা করছেন তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সারাদেশেও অনেকেই যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল তাদের কয়েকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ভাংচুর হয়েছে, কয়েক জায়গায় হিন্দু বাড়িতে আক্রমণের প্রচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে।
এ সময় বিসর্জনের আগ পর্যন্ত সকল ধর্মের মানুষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা: চট্টগ্রামে ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৩ বছর আগে