ঢামেক হাসপাতাল
ওষুধ ঘাটতি-সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ঢামেক হাসপাতালে
ওষুধ সংকটসহ ‘ব্যাপক’ অনিয়ম রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত রোগীরা প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
অধিকাংশ সময়ই হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকে। ওয়ার্ডগুলোতে অতিরিক্ত রোগীর কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
বিভিন্ন বিভাগের প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে: অস্বচ্ছ পরিবেশ, নিম্নমানের খাবার, জনবলের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হাসপাতালের করিডোর ও মেঝেতে রোগীর ভিড়।
রোগীদের অভিযোগ দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে স্বীকার করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান।
আরও পড়ুন: অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ঢামেক হাসপাতাল
তিনি বলেন, 'আমরা এসব সমস্যা সম্পর্কে জানি এবং এগুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
তবে,বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ওষুধের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি অন্যতম বড় সমস্যা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী জানান, হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, 'অধিকাংশ প্রয়োজনীয় ওষুধই এখানে পাওয়া যায় না। বাইরের ফার্মেসি থেকে বেশি দামে এগুলো কেনা ছাড়া আমাদের উপায় থাকে না।’
হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে বলা হয় ওষুধ নেই, অথচ বাইরের ফার্মেসিগুলোতে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। একারণে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দেয়।
গ্রাম থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা এক নারীকে দেখা যায় পাশের একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যেতে। তার সঙ্গে আরেক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তার আত্মীয় নন।
তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় বা রোগীদের ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কমিশন পাচ্ছেন কি না-জানতে চাইলে তিনি দ্রুত উত্তর এড়িয়ে যান।
ওষুধের ঘাটতির বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান বলেন,সরবরাহের ঘাটতির কারণে সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না করলে আমরা কী করতে পারি? অনেক আইটেম আমাদের দরকার, অথচ সরবরাহ করা হচ্ছে না।’
এছাড়া কিছু সংখ্যক রোগী অভিযোগ করেছেন, তারা কয়েক দিন ধরে মাত্র এক ধরনের ওষুধ পাচ্ছেন। রোগীদের প্রায়ই বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এ কারণে রোগীদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি হচ্ছে।
ওষুধ ঘাটতির প্রধান কারণ হিসেবে বাজেট ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন একজন হাসপাতাল কর্মী।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে আমরা ওষুধ পাচ্ছি না। বাজেটের ঘাটতির কারণে সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ সবসময় সম্ভব হয় না। সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে বাজেট বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে হবে।’
তবে, বর্তমান বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
আরও পড়ুন: ঢামেক ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগ পুরোদমে চালু
সিন্ডিকেট ও ঘুষের অভিযোগ
হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঘুষ ও দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। একারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে উঠেছে।
হাসপাতালের কর্মচারী ও ওয়ার্ড সহকারীরা হুইলচেয়ার সরবরাহ এবং বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন রোগী। এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ রোগীদের খরচ বাড়িয়ে তুলছে।
হাসপাতালে দেখা গেল, এক রোগীকে সহযোগিতা করছিলেন এক একজন অনিবন্ধিত কর্মী। এই সহযোগিতার জন্য তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কাউকে জোর করি না আমাদের টাকা দিতে, কিন্তু যদি তারা দেয়, তাহলে তা আমাদের সহায়ক হয়।’
এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপের কথা স্বীকার করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যার সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
পরিচালক বলেন, ‘দুই পক্ষই এ সমস্যার জন্য দায়ী। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েকজনকে বরখাস্ত করেছি এবং এমন কার্যকলাপ বন্ধে কাজ করছি। যদিও সম্পূর্ণ নির্মূল এখনো সম্ভব হয়নি।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, স্বাস্থ্যখাতে সিন্ডিকেটের ব্যাপক প্রভাব নিয়ে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
এসব সিন্ডিকেটকে "জীবন নিয়ে ছিনিমিনি" বলেও আখ্যা দেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ (পাওয়ার তারিখ শেষ) ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে মুনাফা অর্জনের অভিযোগ তোলেন।
এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে এবং গরিব রোগীদের এই ধরনের শোষণমূলক কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের সংকট
বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ওষুধের সরবরাহ দীর্ঘদিন ধরে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
২০২০ সালে একটি জরিপে জানা যায় যে ৭২ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি নিয়মিত। এটি রোগীদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের বাধা তৈরি করছে।
ওষুধের ঘাটতির জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী। এর মধ্যে বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা, সীমিত স্বাস্থ্য বিমা এবং বহিরাগত রোগীর সংখ্যা অত্যধিক হওয়া।
জনস্বাস্থ্য খাতে গত ১২ বছরে দেশের জিডিপির ১ শতাংশের এরও কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে অপ্রতুল। স্বাস্থ্যবিমা না থাকার কারণে অধিকাংশ রোগী নিজ খরচে চিকিৎসা করতে বাধ্য হন। এ কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ বাড়ায়।
এ ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে ছিল কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ভ্যাকসিন, সিরিঞ্জ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
তাছাড়া, সরকার জনস্বাস্থ্য খাতকে ব্যাপকভাবে ভর্তুকি দেয়, তবে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই ভর্তুকি প্রায়ই অপ্রতুল।
২০১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসা সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও কিছু সমস্যার কথা উঠে আসে।
গবেষণাটি হাসপাতাল শপের কর্মীদের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছিল। এতে দেখা যায়, অর্ধেকেরও বেশি ওষুধ ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে কেনা হয় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ওষুধ সরাসরি কেনা ও দান হিসেবে আসে।
তবে, হাসপাতালের ফার্মেসিতে সঠিক সংরক্ষণের সুবিধার অভাব রয়েছে। সেখানে কোনো এয়ার কন্ডিশনিং বা রেফ্রিজারেশন সুবিধা নেই।
ব্যবস্থা গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ, স্টোরেজ সুবিধা এবং প্রশিক্ষণ উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভবিষ্যতের দৃষ্টি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগজনক চিত্র উপস্থাপন করে।
যদিও পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে, রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও ব্যাপক সংস্কার, বাড়তি তহবিল এবং স্বচ্ছতার জন্য আহ্বান জানান। তাহলে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১ সপ্তাহ আগে
অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ঢামেক হাসপাতাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত চাপের কারণে রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তির পরই তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের সম্মুখীন হন।
আসন সংকটের কারণে অনেক রোগীকে জনাকীর্ণ করিডোর ও ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান ক্রমবর্ধমান সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, চলমান এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
চিকিৎসায় বিলম্ব ও ওষুধের অভাব
ময়মনসিংহে এক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া আলাল উদ্দিন ৪ অক্টোবর থেকে করিডোরে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু এখনও বিছানা পাননি।
তার ভাই জালাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় নার্সদের পাওয়া যায় না, এমনকি ডাক্তারদেরও খুঁজে পাওয়া কঠিন।’
আরেক রোগী ২৪ বছর বয়সি জাহিদ হাসান ২ অক্টোবর ভর্তি হয়েছেন। তিনিও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা জাহিদের বাবা জানান, ‘প্রেসক্রাইব করা একটি ইনজেকশন এখনও দেওয়া হয়নি, বলা হচ্ছে সেটি স্টকে নেই, যদিও হাসপাতালের ফার্মেসিতে তালিকাভুক্ত।’
ওষুধের অভাবে অনেক রোগী বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিচ্ছন্নতার অভাব
হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে পরিচ্ছন্নতার মান বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা।
তবে অপরিচ্ছন্নতার জন্য লোকজনের আচরণও দায়ী বলে মনে করেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘শৌচাগারগুলোর পাইপলাইনে প্রায়ই অপ্রয়োজনীয় বস্তু আটকে যায় এবং পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া প্রতিটি শৌচাগার প্রায় ১০ জন লোক ব্যবহার করেন, তাই সঠিক স্যানিটেশন বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’
হাসপাতালের রান্নাঘরেও দেখা গেছে নানা রকম সমস্যা। যেখানে রান্না করা হচ্ছে, তার আশপাশে বর্জ্য জমে রয়েছে। খাদ্যদ্রব্যগুলো ঢেকে রাখা হয়নি। এগুলো রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছে।
জনবল সংকট ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা
পরিচালকের মতে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। তিনি বলেন, ‘জনবল না বাড়ালে এরকম অব্যবস্থাপনা চলতেই থাকবে।’
এছাড়াও, প্রতিদিনের জন্য রোগীপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা খাদ্য বাজেট যথেষ্ট নয় বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে খাবারের মান উন্নয়নের জন্য এটি ২০০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করেন।
দুর্নীতির কারণে আর্থিক চাপ
বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার সহায়তা মৌলিক সেবার মধ্যেই পড়ে। অথচ এর জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের ৫০-১০০ টাকা পরিমাণ বকশিস দিতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ওয়ার্ড সহকারী বলেন, ‘রোগীরা যদি আমাদের কিছু দেন, তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে সহায়ক হয়।’
হাসপাতালের পরিচালক এই সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কাজে জড়িতদের আমরা বরখাস্ত করেছি, তবে পুরোপুরি এই প্রথা নির্মূল করা এখনো চ্যালেঞ্জিং।’
১ সপ্তাহ আগে
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) দুই প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামের স্ই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চলছে সহিংসতা, ঢামেকে ভর্তি ২০
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে এক রোগীর স্বজনদের হামলার পরদিনই বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়।
চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ (ঢামেক) সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
গত শনিবার ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হন। হামলার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসকরা তাদের হতাশা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, হামলায় জড়িত চারজনকে আটক করে সেনা সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢামেকে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
একই সঙ্গে বিষপান করা এক রোগীকে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই রোগীর স্বজনরা জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায়।
২ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে নরসিংদীতে আহত কৃষকের মৃত্যু ঢামেক হাসপাতালে
নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহত হওয়া কৃষক আবদুর রহমান (৪৪) মারা গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ চোগা গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান। এছাড়া তিনি সহকারী কাজী হিসেবেও কাজ করতেন।
গত ২০ জুলাই নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ে সংঘর্ষে আহত হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার শ্যালক আবুল বাশার জানান, তার পেছনে গুলি লেগেছিল।
বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ১৫০ জন নিহত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিহতদের মধ্যে ছাত্র, সমাজকর্মী, পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'মার্চ ফর জাস্টিস': যশোরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
৩ মাস আগে
আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী সাধারণ নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য তার দল জয়ী হলে রাষ্ট্র পরিচালিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে উন্নীত করা হবে।
পানিসম্পদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামীতে সুযোগ পেলে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালকে উন্নত করব।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ডাক্তার, নার্স ও দক্ষ জনবল দরকার; আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য আলাদা তহবিল বরাদ্দ করেছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য সরকার বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালকে ৪০০০-৫০০০ শয্যার অতি আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী-খালের ক্ষতি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বর্তমান মেয়াদে সরকার এটা করতে পারত।
তিনি বলেন, ‘...কিন্তু করোনা মহামারি এবং ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ব্যয় এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিশাল ব্যয়ের কারণে আমরা এটা করতে পারিনি।’
তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিকাদান কর্মসূচির জন্য ভ্যাকসিন আনার জন্য সরকারের বিভিন্ন ব্যয় সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলাম, যদিও বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ এতে মারা গিয়েছিল, যার মধ্যে অনেক ধনীও ছিল। কিন্তু, এই লক্ষ্যে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ৩২ শয্যার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ শয্যার এবং ১০০ শয্যার জেলা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করেছেন এবং বড় জেলা হাসপাতালগুলোকে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করেছে।
তিনি বলেন, তারা তাদের আবাসনের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করার পাশাপাশি ৪০ হাজার নার্স এবং ২২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো যাতে কোনও অবহেলার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তারা সারাদেশে কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। কমিউনিটি সেন্টারগুলো বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ বিতরণ করছে।
তিনি বলেন, সুবিধাগুলো বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পরও ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত সরকার যারা সেগুলোতে কাজ করছেন এবং তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন; তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন বলে দাবি করে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ তারা (ইমিউনিটি ক্লিনিক) রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সকলের সেবা দেয়।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণের কল্যাণের কথা ভাবে না, বরং নিজেদের ভাগ্য তৈরিতে ব্যস্ত। তাদের মানসিকতা সংকীর্ণ।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর দুটি পৃথক ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সুবিধা স্থাপনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা চতুর্থ ধাপে ২৮টি জেলার ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যত ‘৬৫টি কমিউনিটি চক্ষু কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেন।
একই কর্মসূচি থেকে তিনি ৮০টি উন্নত স্কিম ও ৪৩০টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয়ের পুনঃখনন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যশোরের শার্শা উপজেলা, পাবনার সাথিয়া উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে বাস্তবায়িত উন্নয়ন পরিকল্পনা সমন্বিত ‘জয়যাত্রা’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
সামছুল হক (৫৫) নামে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) এক কয়েদির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন এবং তার বাবার নাম মঙ্গল খান।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধী হাজতির মৃত্যু
মঙ্গলবার দিবাগত (২ আগস্ট) রাত ২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারারক্ষীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারাগারে ওই কয়েদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, তখন কারা চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে আসে কারারক্ষীরা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
১ বছর আগে
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কারাবন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারারক্ষীরা তাকে সকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত বন্দী এস এম মহাসিন উল মুলক (৬৮) এর বাবার নাম বরকতউল্লাহ সরদার (মৃত)। তিনি কি মামলায় বন্দী ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নরায়ণগঞ্জে বাড়িতে রান্না করতে গিয়ে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
১ বছর আগে
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে
ঢাকার গুলিস্তান এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০-এ দাঁড়িয়েছে।
নিহতের নাম মুসা হায়দার (৪৫)। ৯৪ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এদিকে গতকাল ধ্বংসস্তূপ থেকে দু'জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৯ জনে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর গুলিস্তানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, অন্য তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং সংলগ্ন একটি সাততলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
১ বছর আগে
হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার ব্যক্তির ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু
রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার হওয়া অচেতন এক ব্যক্তির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার হাতিরঝিল এলাকায় ফুটপাথের পাশে অচেতন অবস্থায় পাওয়া ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ বিএনপি নেতার হাসপাতালে মৃত্যু
হাতিরঝিল থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রহমত উল্লাহ রনি জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিনি বলেন, সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, ওই ব্যক্তির পরনে কালো জ্যাকেট ও বাদামি প্যান্ট ছিল।
অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন সদস্যরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীর ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু
নাটোরে পুলিশের স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার, হাসপাতালে মৃত্যু
১ বছর আগে
ঢামেক হাসপাতালে আহত ইউআইটিএস শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ( ইউআইটিএস) এক ছাত্রী গত ১৩ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সোমবার সকালে মারা গেছেন।
নিহত অনন্যা চৌধুরী ফুল (২১) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পূর্ব বাসাবো এলাকার আবদুল্লাহর মেয়ে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে জবি শিক্ষার্থী আহত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে অনন্যা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহতের চাচাতো ভাই সৈয়দ ফরহাদ ইসলাম জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি যাওয়ার সময় একটি মিনি ট্রাকের ধাক্কায় অনন্যা রাস্তায় পড়ে যান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
২ বছর আগে