নির্বাচনী সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষ কাউলিয়া ইউনিয়নে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত মেম্বার প্রার্থীর ভাই জাকির হোসেন মোল্লা (৫০) মারা গেছেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল হাকিমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার কুরকী গ্রামের মৃত বারেক মোল্লার ছেলে এবং খাষ কাউলিয়া ইউপি’র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর মোল্লার বড় ভাই।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার খাষ কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুরকী ভোট কেন্দ্রে মেম্বর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা (টিউবওয়েল) ও আব্দুল হাকিমের (ফুটবল) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর মোল্লার বড় ভাই জাকির হোসেন মোল্লাসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় জাকিরকে রাতেই ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। এ মৃত্যুর খবর পেয়ে ৩টার দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল হাকিমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের লাশ টাঙ্গাইল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে চৌহালী আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
এদিকে এই উপজেলার সাত ইউপি’র নির্বাচনে চারটিতে আওয়ামী লীগ ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে আ.লীগের আবুল কালাম নৌকা প্রতীকে ছয় হাজার ২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৫৪ ভোট। খাষ কাউলিয়ায় আওয়ামী লীগের আবু সাঈদ বিদ্যুৎ নৌকা প্রতীকে সাত হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী গণি মোল্লা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৮৬২ ভোট। স্থল ইউনিয়নে আ.লীগের নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পাঁচ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১০ ভোট। সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৯৫ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল সরকার উদয় মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৮ ভোট। খাষ পুকুরিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুল আনারস প্রতীকে ৩৯০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাই নূরী পেয়েছেন দুই হাজার ৪২৭ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু দাউদ নৌকা দুই হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা: সিলেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
উমারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ঘোড়া প্রতীকে ছয় হাজার ৯৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আনারস প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৬৫৮ ভোট। এখানে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক নৌকা প্রতীকে তিন হাজার ২১২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। ঘোরজান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রমজান আলী ঘোড়া প্রতীকে চার হাজার ৫৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আক্তারুজ্জামান সরকার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩২১ভোট।
২ বছর আগে
পাবনায় নির্বাচনী সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত, আহত ২৫
পাবনা সদর উপজেলা ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টায়র দিকে উপজেলার কোলাদি চারা বটতলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াছিন আলী (৩৫) সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শার্শায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
পাবনা থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহামুদ খানের সমর্থক ও নৌকা প্রতীকের আবু সাঈদ খানের সমর্থকদের মধ্যে পোস্টার লাগানো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়াছিনকে পাবনা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
আহতদের মধ্যে ৯ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবসায়ী নিহত
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় আহত ইয়াছিন নামের একজন রাজশাহী নেয়ার পথে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পযন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
মাগুরায় নির্বাচনী সংঘর্ষে নিহত ৪
মাগুরা সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় এ সংঘর্ষের ঘটান ঘটে।
নিহতরা হলেন মেম্বার প্রার্থী সবুর মোলা (৫০), তার বড় ভাই কবির মোল্লা (৫৫) এবং তার চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান (৫০) ও ইমরান আলী (৩২)।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে জগদল গ্রামে মেম্বার পদে এলাকার সবুর মোল্লা ও নজরুল ইসলামের একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে গত দুই তিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ বিকালে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।
পড়ুন: দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে: হুইপ সাঈদ
তিনি জানান, আহত ৩০ জনের মধ্যে ৯ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
পড়ুন: স্থানীয় সরকার নির্বাচন ত্বরান্বিত করতেই পৌর নির্বাচন আইন সংস্কার
১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরতে শিগগিরই সংসদে বিল পেশ: মুরাদ
৩ বছর আগে