ওসি আহত
চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ আহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশ আট রাউন্ড গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
ইটের আঘাতে ওসির ডান চোখ মারাত্মক জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চোখের ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী এলাকার শশী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যুবদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এসময় অবরোধকারীরা সিএনজিসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, অবরোধের নামে বিএনপি যুবদল কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করছে খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে ওসির ডান চোখে আঘাত লাগে। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় আট রাউন্ড গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, শশী কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ব্যানারে কিছু লোক রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করে।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশের দায়িত্বরত গাড়িতে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায়। এতে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আত্মরক্ষার পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারা থানার ওসিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উনার প্রাথমিক চিকিৎসার পর শহরের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
১ বছর আগে
ফেনীতে সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ৩০
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফেনী শহরের ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন ট্রাংক রোড এলাকায় জয়কালী মন্দিরের সামনে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সে সময় একই স্থানের বড় মসজিদের সামনে কয়েকজন যুবক অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
খবর পেয়ে ফেনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এসময় থেমে থেমে পুলিশের ওপর ইটপাটকেলও নিক্ষেপ হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
বিকাল ৫ টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষের সময় ৩০টি দোকান ভাঙচুর এবং কিছু দোকানে লুটের ঘটনা ঘটে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষের পর কিছু দোকানপাট ভাঙচুরের খবর আমরা পেয়েছি, সেটা নিয়ে কাজ করছি। রাত ১১ টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে