সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিহার ও সবার অধিকার রক্ষার আহ্বান ইইউ'র
বাংলাদেশে উপাসনালয় এবং ধর্মীয়, জাতিগত ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন প্রধানরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইইউ দূতাবাসের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ মিশন প্রধানরা খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ভারত
তারা জরুরি ভিত্তিতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিহার এবং সব বাংলাদেশির মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ছাত্র আন্দোলন ও অন্যান্যদের প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
৪ মাস আগে
দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় আটক ১৪
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শনিবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
জ্যৈষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা উষা রঙ্গনানির বরাত দিয়ে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া নিউজ এজেন্সি জানায়, শনিবার রাতে ঘটনার পর অন্যদের মধ্যে দাঙ্গা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রঙ্গনানি বলেন, এ ঘটনায় আট পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির বস্তিতে আগুন লেগে ৭ জনের মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার রাতে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হিন্দু দেবতা হনুমানের জন্ম উদযাপনের একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রার সময় হিন্দু ও মুসলিম দলের সদস্যরা একে অপরের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তবে কী কারণে এই সহিংসতা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০২০ সালে নয়াদিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তেজনায় বড় আকারের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৫৩ জন মারা যাওয়ার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা।
আরও পড়ুন: দিল্লির হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ১২ করোনা রোগীর মৃত্যু
দিল্লির পুলিশ কমিশনার শনিবার রাতে এক টুইটবার্তায় বলেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পর আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শহরে শান্তি (বজায় রাখার) আবেদন করেছেন এবং এ ঘটনার নিন্দা করেছেন।
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
দেশে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন নাগরিক সমাজ।
দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
'সম্প্রীতি বাংলাদেশ' এর আয়োজনে সোমবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত হন এবং দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সাত দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
এ সময় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে সুশীল সমাজের কর্মীরা দেশ থেকে ‘মৌলবাদের নির্মূলে’ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানান।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছি।’
রবিবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে এ ঘটনাগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো যারা করছেন এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কারো ইন্ধনেই করছেন।’
কারা এ ঘটনার পেছনে আছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অনুমান করে নেন কারা করতে পারে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ এলে আমরা প্রকাশ করবো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এই ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা আরও পরিষ্কার করে বলতে পারবো। কুমিল্লার ঘটনায় আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি দেখছে। আমরা একটি নির্ভুল তদন্তের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনা আপনাদের শিগগিরই জানাবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের লোক ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই ঘটনানো হয়েছে। এটা যেই করেছেন বা কার ইন্ধনে করেছেন তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। আমরা প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।’
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনায় তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুধু কুমিল্লায় নয়, রামুতে, নাসিমনগরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা করে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিই মূল উদ্দেশ্য। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কোনো দিন স্থান দেইনি। সবাই একত্রিত হয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে দূর করেছিল। তাছাড়া এ ঘটনায় আমরা অনেক কিছু দেখছি, অনেক কিছু অনুমান করছি। এখন শুধু প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকায় চারজন প্রাণ হারিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজারে ছোট ছোট ঘটনা ঘটেছে। হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীতে প্রাণহানির ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
দেশের বাইরের কারো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকেরই তো অভাব নেই। দেশের বাইরে থেকে কলকাঠি কেউ নাড়ছে কি না সেগুলোও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এর মধ্যে ফেসবুকে অনেক কিছু শুনেছেন, আমরা সবগুলো আমলে নিয়ে বিশ্লেষণ করে আপনাদের শিগগিরই জানাব।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার তাদের এজেন্সি দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কিছু বলেন যেগুলো তথ্যভিত্তিক নয়, উদ্দেশ্যমূলক, এগুলো বলার জন্য বলেন।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে