শৃঙ্খলা
রাজনৈতিক নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২৫২ উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কোনো বিষয় নেই, বরং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ উপপরিদর্শককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে।
তিনি আরও বলেন, তবে শৃঙ্খলায় কী কী বিষয় আমার জানা নেই। এ বিষয়ে সারদা একাডেমি বলতে পারবে। তারাই মূলত সিদ্ধান্তটা নিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন বা কর্মসূচির বিষয়গুলো রাস্তা আটকিয়ে না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার পরামর্শ এসেছে। পাশাপাশি দাবি-দাওয়াগুলো লিখিত আকারে সরকারের কাছে দেওয়া এবং সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি করে দেওয়া, যারা এগুলো রিসিভ করবে এবং ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন,‘বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে বিগত একমাসে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। আমরা এই খাতে নিয়ম নীতি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ’
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা লুটপাট ও পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করার জন্য নতুন করে ষাট হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে বাজার ছাড়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে দেশের মানুষ। এই অতুলনীয় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে চাল ও গম আমদানির জন্য ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের জন্য ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং খাদ্য ভর্তুকির তিনটি কর্মসূচির জন্য ৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করা হচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস বলেন, পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় যৌক্তিক পরিমাণে কমানোর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য সার আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত চাষিদের কৃষিঋণ পাওয়া নিশ্চিতের পাশাপাশি ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। আর মার্কিন ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার কথাও বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিশ্ব ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাইকা থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেগাপ্রকল্পের নামে লুটপাট বন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ড. ইউনূস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে রাশিয়া এবং চীন থেকে প্রাপ্ত ঋণের সুদের হার কমানো এবং ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের অনুরোধের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিডিপি, মূল্যস্ফীতি ইত্যাদির সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ, প্রাক্কলন এবং প্রকাশের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অর্থ বিভাগের রাজস্ব আয় সম্পর্কিত উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য নিরসনে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। পুঁজি বাজারকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে সম্মানের সঙ্গে পরিচিত হবে। দেশের পরিকল্পনা যেন দেশের মানুষ কেন্দ্রিক হয়, কোনো নেতা বা দল কেন্দ্রিক নয়। আমরা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অহেতুক কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দেখেছি, যেগুলো কখনোই দেশের মানুষের জন্য ছিল না, বরং এতে ছিল বিশাল আকারের চুরি।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারের প্রতিষ্ঠিত গুম সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: ড. ইউনূস
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে দিনরাত পরিশ্রম করছি: প্রধান উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
গ্রামাঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী
নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে গ্রামাঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার কাজ করছে: গৃহায়ণমন্ত্রী
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন- দক্ষতা ও যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালনে আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।
তিনি আরও বলেন, নিজের বিচার বুদ্ধির পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের আলোকে আমি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব। সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রচলিত আইন ও জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চাই। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে যে কারও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কার্পণ্য করা হবে না।
পোড়ামাটির ইট ব্যবহারের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহারের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিবছর এদেশের এক শতাংশ হারে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইট তৈরিতে জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষিজমি রক্ষার স্বার্থে ব্লক ইটের ব্যবহার উৎসাহিত করা হবে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে সরকারি প্রকল্পে ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রথম অফিস করছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
১০ মাস আগে
ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি ইস্যুতে বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)।
তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে হয় তার পদত্যাগ করে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের পারমিশন নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি তা করেননি। তাই তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এটা দেখব।
এর আগে বিএফইউজের আলোচনা সভায় সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, কেবল সাইবার অপরাধ দমনের জন্যই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সরকারের লক্ষ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবে।
সাংবাদিক সমাজ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন, সেটা সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দূর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারা সংশোধনসহ তিন দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চার বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৮তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য জানান, ক্লাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে (সহপাঠীকে মারধর) বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. গুলশান আহমেদকে ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার আদেশ বহাল থাকা অবস্থায় হলে ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পাশাপাশি বাংলা বিভাগের একই বর্ষের সালমা আক্তার বিথী নামের আরেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় (লুজ পেপারে আগে লিখে নিয়ে এসে পরীক্ষায় জমা দেওয়া) অবলম্বনের জন্য ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের (স্নাতকোত্তর) ৫ জন, ২০২০-২১ সেশনের (প্রথম বর্ষ) ১ জন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ১ জন, রসায়ন বিভাগের ১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য একটা করে কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তী সেমিস্টারে তারা এ কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
শাবিপ্রবি থেকে প্রথমবার উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো ২০ জন শিক্ষার্থীকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এতে ৬ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি, ৯ জন শিক্ষার্থী এমফিল এবং ৫ জন শিক্ষার্থীকে এমএসএসি ইঞ্জনিয়ারিং ডিগ্রি প্রধান করা হবে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ তরান্বিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকে তরান্বিত করতে শিক্ষকদের জন্য নতুন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতে শিক্ষকদেরকে যথাসময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে জমা দিতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ২০ টাকা করে ‘বিলম্ব ফি’ ও একাডেমিক কাউন্সিলে তাদের নাম শোকজের সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে বিভিন্ন ঘটনায় ১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
১ বছর আগে
কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে: ফরিদ আহাম্মদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কাঁচা বাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ঢাকা সাউথ সিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ফুড সিস্টেম’ এর ১১তম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমরা একটা প্রবিধান করেছি। সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো যথাযথভাবে এড্রেস করব। আমরা আশাবাদী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত একটি প্রবিধান পেয়ে যাবো। এরপরে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা কাঁচা বাজারগুলোয় শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাঁচাবাজার ও সুপারশপ বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে: ডিএমপি
প্রবিধানের অভাবে এতদিন ঢাকা শহরের অধিকাংশ কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কষ্টসাধ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের তথ্য মতে, ঢাকা শহরে কাঁচা বাজারের সংখ্যা চার শতাধিক। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাজারের সংখ্যা খুবই কম। এটা পঞ্চাশেরও নিচে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী এটা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। এখানে বলা হয়েছে যে, প্রবিধান দ্বারা আমরা এই কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করব। এর আগে এই প্রবিধান করা হয়নি বলে বেসরকারি বাজারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা সহজ ছিল না। কিন্তু প্রবিধান চূড়ান্ত হলে এই কার্যক্রম সহজতর হবে।
করপোরেশন কেবল এককভাবে নয়, সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব উল্লেখ করে তিনি জানান, বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের একটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। কিন্তু এককভাবে এই কমিটি তা পারবে না। আমরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমাদের স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আমাদের স্যনিটারি পরিদর্শক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট এনজিগুলোর সমন্বয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা হবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আশা করি সকলে মিলে ঢাকার কাঁচা বাজারগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।
এছাড়াও বৈঠকে অঞ্চল-৩ এর বাবর আলী মীর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৯ নম্বর আসনের শেফালী আক্তার ও ২১ নম্বর আসনের সেলিনা খাঁন, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা ও ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনাল ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট (আইপিটিএম) এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
২ বছর আগে
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সাত হাজার ৮৪জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে ।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসনে ভূঁইয়া, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার বিষয়ে অবহিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
৩ বছর আগে