সচেতন
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ডিসেম্বরেই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘শব্দদূষণ আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা দরকার।’
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের সামনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক এক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না, বরং প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
গাড়িচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাবুন আপনার গাড়ির হর্ন নষ্ট, বাজাবেন না। এছাড়া গাড়ির গতি কমালে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে।’
তিনি বলেন, ঢাকার ১০টি এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। সকলে সচেতন হলে শব্দদূষণমুক্ত একটি বাসযোগ্য শহর গড়া সম্ভব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার, ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
আরও উপস্থিত ছিলেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দা মাছুমা খানম, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব।
আরও পড়ুন: নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
১ সপ্তাহ আগে
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মুহাম্মদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও হিমবাহ গলার মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য অস্ত্বিত্বের সংকট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
এসব সিস্টেম দেশের দুর্যোগের প্রস্তুতি ও স্থিতিস্থাপকতাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে, যা অন্যান্য জাতির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব, চলমান সংঘাত ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন উপমহাসচিব ও পরিবেশমন্ত্রী। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
এই বাধা অতিক্রম করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবিলা এবং সবুজ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য কনফারেন্স অব পার্টিগুলোতে কীভাবে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করা যায় তাও তারা আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে আরও তহবিল সুরক্ষিত করার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
৫ মাস আগে
নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, বসত বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নিচে কিংবা বাসার ভেতর জমা পানি প্রতি তিনদিনে একবার পরিষ্কার করার উপর জোর দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আরও জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরানের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গতবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এবছর তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে যদি আমরা এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে না পারি।
এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানিকৃত কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ওষুধ কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী চলতি বছরে সারা দেশব্যাপী ডেংগু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন।
সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১১ মাস আগে
খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে তেজগাঁও সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৪ কোটি মেট্রিক টন ধান ক্রাসিং হয়। ৪ থেকে ৫ বার ক্রাসিং করে চাল চকচকে করা হয়। মিলারদের তথ্য মতে ৪ শতাংশ হাওয়া (অপচয়) হয়ে যায়। এই অপচয় বন্ধ করতে আইন পাস করা হয়েছে। অপচয় বন্ধ হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি প্রয়োজন হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা আভাস দিয়েছিল সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। দেশে একটি দলও তাতে সুর মিলিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে করোনাকালে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।
তিনি বলেন, যারা অবৈধ মজুত করে তারা দেশের শত্রু। তাদের শক্তভাবে দমন করতে হবে। এ সময় তিনি অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করতে সবার সহায়তা চান।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুত এখন গুদামে আছে। খাদ্যের কোনো সংকট নেই। এছাড়া নির্বাচনের আগে চাল ও গম নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে শ্রমিকদের কল্যাণও ধারাবাহিকতা থাকবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার পর জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে।
তিনি বলেন, 'গত ৮ জুলাই জাপান গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে ভবনের বেজমেন্টে প্রচুর লার্ভা পেয়েছি। এরপর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা ছিল। কিন্তু আজ এসে দেখলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এখন জাপান গার্ডেন সিটি হয়েছে রোজ গার্ডেন সিটি। এতে প্রমাণ হলো যে জনগণ যদি সম্পৃক্ত হয় মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে। আসলে জরিমানা করলে মানুষের টনক নড়ে।'
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটির ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম। মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালের বেশিরভাগ রোগীই ঢাকার বাইরের। অর্থাৎ, মানুষ সচেতন হয়েছে কারণ তারা জরিমানা দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারও চালাচ্ছি। গত দেড় মাসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারও রিভার্স ড্রাইভ চালানো হবে। দেড় মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সবটাই রাজস্ব বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা যদি সিটি করপোরেশন পেত, তাহলে এই অর্থ মশক নিধন ও জনসচেতনতায় ব্যয় করা যেত।
বিটিআই কীটনাশক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'বিটিআই আমদানির বিষয়ে আমরা উদ্ভিদ সুরক্ষা উইংকে চিঠি দিয়েছি। তারা বলেছে, আমরা বিটিআই আমদানি করতে পারি। ফলে পিপিআর অনুযায়ী টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ডিএনসিসি নগর ভবনে বিটআই টেস্ট করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার।
তিনি বলেন, 'এখন যে পরীক্ষা করা হয়েছে তার ফলাফল ছয় ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। এর আগে জাহাঙ্গীরনগরের ল্যাব পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকর ফলাফল পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
১ বছর আগে
জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, জনগণ সচেতন হলে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, একটি উৎস থেকেই কিন্তু পুরো এলাকার সবার জন্য জনস্বাস্থ্যের হুমকি তৈরি করতে পারে। একটি পাত্রে জমে থাকা পানির ভেতর প্রচুর পরিমাণে লার্ভা ও মশা হওয়া সম্ভব। তাই প্রথমত আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, পানি জমে লার্ভা বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয় এ ধরনের কোথাও কোনো পরিত্যক্ত পাত্র বা সামগ্রী রাখা যাবে না। নিজেদের আঙ্গিনা, নিজেদের স্থান, নিজেদের স্থাপণা আমরা যদি পরিষ্কার রাখতে পারি; তাহলে আমরা অবশ্যই এডিস মশা ও ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে পারব।
মেয়র বলেন, একশ’ শতাংশ নির্মূল করতে পারবো এটা আমরা বলি না, কিন্তু জনগণ সচেতন হলে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে গৃহিত ও চলমান কার্যক্রম উল্লেখ করে মেয়র বলেন, যেটি আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে তা হলো এডিস মশার বিস্তার।
তিনি বলেন, এ বিস্তাররোধ করার জন্য এ মৌসুমে আমাদের চলমান অভিযান, সেই অভিযানের কার্যক্রম আজ আমি নিজেই সশরীরে তদারকি করছি। আজকে মধুবাজার এলাকায় আমাদের মশককর্মীরা এবং আমাদের কর্মকর্তারা ২৬টি ভবন পরিদর্শন করেছেন। আমি নিজে গিয়েও কয়েকটি পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন, একটু উন্মুক্ত জমি, সেখানে ভাড়াটিয়া কিছু ব্যক্তি থাকেন। সে জায়গায় তাদের একটি মাটির পাত্রে আমরা পানি ও লার্ভা পেয়েছি। তাদের সচেতন করার জন্য আমরা কথা বলেছি এবং সেটা আমরা ধ্বংস করেছি, নির্মূল করেছি।
এভাবেই আমরা চেষ্টা করছি যেখানেই লার্ভা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, পানি জমে থাকার শঙ্কা রয়েছে, সেসব জায়গা আমরা ধ্বংস করছি, নির্মূল করছি। লার্ভিসাইডিং করছি এবং বিকালে আবার ফগিং করা হচ্ছে। যাতে করে উন্মুক্ত মশাগুলো নিধন করা যেতে পারে। এভাবেই ডিএসসিসি এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে।
শুধু চিরুনি অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে নয়, সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারে মন্তব্য করে তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি।
মেয়র বলেন, আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত (১৮ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত) দুই হাজার ১৩৩টি স্থাপনা, হোল্ডিং, বাসা-বাড়িতে আমাদের কর্মীরা গিয়েছেন (ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে)।
তিনি বলেন, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৮টি জায়গায় আমরা লার্ভা পেয়েছি। এ পরিসংখ্যান দিয়ে কোনোভাবেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নির্ণয় করা যাবে না। কারণ একটি জায়গায় যে পরিমাণ লার্ভা হতে পারে বা হওয়ার শঙ্কা থাকে সেটাই কিন্তু পুরো এলাকায় অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমরা চাইব, সবাই যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। আমাদের যেসব বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেসব বিদ্যালয় রয়েছে, স্থাপনা রয়েছে, তাদের স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ একটু দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে, আমরা সবাই মিলে এ ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে পারব।
ডিএসসিসি মেয়র শুধু বাড়িই নয় বাড়ির চারপাশে কোথাও পানি জমে লার্ভা সৃষ্টি হয় এমন কিছু না রাখতে এবং প্রতিদিনকার জমা পানি প্রতিদিন ফেলে দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত ঢাকা শহরের জন্য সবার দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা জরুরি।
তিনি বলেন, সেজন্য নীতি নির্ধারক ও নগর পরিকল্পনাবিদসহ সমাজের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। এছাড়া সবাইকে বসবাসযোগ্য ঢাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সোমবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ ‘ঢাকা নগরীর সবুজ এলাকা এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি’- শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো পরিকল্পনা বা জননীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে যখনই তা কারও স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় তখন সেই পরিকল্পনার বিপক্ষে তিনি অবস্থান নেন। এই ধরনের মানসিকতা কমিউনিটির সবার মঙ্গলের জন্য পরিহার করতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী ঢাকা ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দায়িত্ব পালন করেছেন সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে।
ড্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বসবাসের স্থান, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, সবুজ ও জলজ এলাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভালো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজসহ সবার এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভিতরে জনসংখ্যা কত হবে, তাদের জন্য কি কি নাগরিক সুবিধা প্রয়োজন তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যেখানে পাঁচ হাজার লোকের নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা আছে সেখানে যদি ২০ হাজার লোক বসবাস করে তাহলে কিভাবে বসবাসযোগ্যতা বজায় থাকবে। এই বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর হওয়ায় এই শহরের ওপর চাপ কমাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাকে পৃথিবীর আর কোনও শহরের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ নেই। প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ ঢাকায় ঢুকছে; তাতে খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বা সবুজ এলাকা রক্ষা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ সময় মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়ছে জানিয়ে বলেন, উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুত আর্থিক অনুদান ছাড় না করার কারণে বাংলাদেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় যেতে পারছে না।
মন্ত্রী রাজধানীর খালগুলো ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা প্রসঙ্গে বলেন, জলবদ্ধতা দূর জরার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে রাজধানীবাসী আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিতে আছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যার যার দায়িত্ব পালন করলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে।
নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করলে জাতির পিতার সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারব।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন, ইউএসএইড বাংলাদেশের অফিস অব ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মোহাম্মাদ এন. খান।
আরও পড়ুন: তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এতে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
১ বছর আগে
সাইবার অপরাধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম একটি বড় সমস্যা, এর কোনো শেষ নেই। সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত অনেক কিছু যেমন সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এখানে বিস্তার লাভ করে এবং অন্যান্য নানা বিষয়ও ঘটে। সেটা মাথায় রেখে, (সাইবার) নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করতে হবে যে সাইবার অপরাধ সমাজ, ব্যক্তিগত জীবন থেকে পারিবারিক জীবন ও দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বকে কাছাকাছি এনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ভালো ও মন্দ উভয় দিকই রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেন তাদের বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে হবে।
তিনি দেশের নিরাপত্তা ডিজিটালভাবে নিশ্চিত করার সর্বোত্তম সম্ভাব্য উপায়গুলো খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্ব একটি অত্যন্ত সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়ছে। তাই আপনারা সুচিন্তিত মতামত দিন, যাতে আমরা দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কী করতে পারে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।
বৈঠকে জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন: প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বক্তব্যে নদী রক্ষার কথা বলেন। এতে বুঝতে হবে বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় কতটা সচেতন। কেননা শরীরে রক্ত চলাচলে যেমন শিরা উপশিরা প্রয়োজন তেমনি নদী দেশের সকল ধরণের প্রবাহ রাখতে সহযোগিতা করে।’
রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত 'রাইটস অব রিভার্স' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠা স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি-এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি নদীকে আলোচনায় আনতে হবে, নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, নদীর সঙ্গে চলে এসেছে, এটা আমাদের সফলতা। বঙ্গবন্ধু জলাভূমি ও নদী নিয়ে কথা বলেছেন।
নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব্যতা রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যা এবং নেনরাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে-আজকে নদীর নাব্য তা ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতো না। এখন বাস্তবতা হলো-নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা কমে গেছে দূষণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে।
খালিম মাহমুদ বলেন, নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন, ঢাকার চারপাশে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা এবং ১৯৯৯ সালে দূষণরোধে প্রকল্প নেয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু সেগুলো হয়নি, আরও বেশি দূষণ হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় নদী তীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস নিয়ে কাজ করছি, তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ'র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই পানিবাহিত ডায়রিয়া ও কলেরা রোগের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে দেশের পানি, বায়ু ও মাটিকে ভালো রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে দেড় কোটিরও বেশি লোক বসবাস করে। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর পরিবেশে বসবাস করে থাকেন। যার ফলে বিভিন্ন ধরণের অসুখ-বিসুখ হচ্ছে। খাদ্যে ভেজালের কারণেও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে, প্রাণী ভালো থাকবে।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর জলবায়ু দূষিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গ্রীন হাউজ এফেক্ট। বায়ু দূষণ, যানবাহনে ধোঁয়া.. এসবের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বরফ গলে সমুদ্রের পানি বেড়ে যাচ্ছে, বন্যা হচ্ছে, টর্নেডো হচ্ছে। এগুলো প্রতিটিই মানুষের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিকর অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে