বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা
শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাযজ্ঞে বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র ১০ বছর বয়সী শেখ রাসেলও। আজ ৫৮ বছর আগে ১৯৬৪ সালের এই দিনটিতে জন্ম গ্রহণ করে শেখ রাসেল।
যুদ্ধ, প্রতিহিংসা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। তাই স্বাধীনতার অর্ধশত বর্ষপূর্তির সান্নিধ্যে এসেও শেখ রাসেলের মৃত্যু বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার হাতছানি দিয়ে ডাকে। আজকের এই স্মৃতিচারণ ফিচারটি সেই নিষ্পাপ প্রাণকে উদ্দেশ্য করেই।
দেশে সংকটপূর্ণ মুহূর্তে শেখ রাসেল-এর বেড়ে ওঠা
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসার কোল জুড়ে শেখ রাসেলের আগমনের সময় বাবা স্বৈরাচারী শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কাজে চট্রগ্রামে ছিলেন।
সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু রাসেলকে বড় বোন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোলে তুলে দেয়া হয়। দেশের চরম দুরবস্থার মধ্যেও বড় চার ভাই-বোনসহ আত্মীয়দের মাঝে শিশু রাসেল যেন এক শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছিল।
১৯৬৬ সালের ৮ মে যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন শেখ রাসেলের সবে মাত্র দেড় বছর। মায়ের কোলে করে কেন্দ্রীয় কারাগারে বাবাকে দেখে আসার সময় বাবাকে নিয়ে আসার জন্য রাসেল কান্না জুড়ে দিতো। এক সময় তাকে বোঝানো হয়েছিল যে ওটাই বাবার বাড়ি। পুরো এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর রাসেল মাকেই আব্বা বলতে শুরু করে আর কারাগার থেকে আসার সময় বাবাকে নিয়ে আসার জন্য কাঁদে না। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় বঙ্গবন্ধু তাঁর ছোট্ট ছেলে রাসেলকে নিয়ে ঠিক এভাবেই লিখেছিলেন।
পড়ুন: শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ মুজিবুর রহমান যখন বঙ্গবন্ধুর উপাধি পান তখন রাসেলের বয়স সাড়ে চার বছর চলছিল।
৩ বছর আগে