মৈত্রী দিবস
'মৈত্রী দিবস' একটি মাইলফলক, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস: প্রণয় ভার্মা
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা 'মৈত্রী দিবস' দিনটিকে একটি মাইলফলক এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দশ দিন আগে ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম জাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন ‘মৈত্রী দিবস‘। এই দিবসটির ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় হাই কমিশন ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, উভয় দেশই একে অপরের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে গভীর অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং তিনি জনগণকে এই সম্পর্কের ভিত্তি হিসাবে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যত রক্ষক হিসাবে যুবসমাজকে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে সে বিষয়ে তিনি বিশেষভাবে জোর দেন।
হাইকমিশনার যোগাযোগ, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও জোরালো সংযোগের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তঃনির্ভরশীলতা আরও জোরদার করার আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও যুবক-যুবতীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে।
যারা যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি বিদেশি মিশনের প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল।
অনেক তরুণ ও বিশিষ্ট শিল্পী ঐতিহ্যবাহী, লোক ও সমসাময়িক সংগীতে প্রাণবন্ত পরিবেশনা পরিবেশন করেন যা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে এবং সন্ধ্যাটিকে তারুণ্যের শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ কার্যকর বহুমুখী সংযোগে নিহিত: প্রণয় ভার্মা
২ সপ্তাহ আগে
মৈত্রী দিবস উদ্যাপন: লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে মৈত্রী দিবস উদ্যাপনের জন্য আয়োজিত লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার বিজয়ী আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিজয়ীদের হাতে সম্মানী ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রথিতযশা শিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যে মৈত্রী দিবস উদ্যাপনকে দুই দেশের সম্পর্কে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি উৎসাহী তরুণ প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল চিন্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ভারতীয় হাই কমিশনার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মৈত্রী দিবস উদ্যাপন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নিবিড় সম্পর্কের পরিচায়ক। পুরস্কার বিতরণ শেষে বিজয়ী প্রতিযোগীদের সঙ্গে ছবি তুলেন পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতীয় হাই কমিশনার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দিন হিসেবে ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এ ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৮টি দেশসহ বাংলাদেশ ও ভারতে যৌথভাবে মৈত্রী দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইতোমধ্যেই আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৈত্রী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
মৈত্রী দিবস উদ্যাপনের জন্য দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ওই প্রতিযোগিতা বিভিন্ন স্তরে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। নকশার নান্দনিকতা, শিল্পমান, মৈত্রী দিবসের ধারণার সঙ্গে একাত্মতা, নিজেদের নকশা সম্পর্কে প্রতিযোগী শিল্পীদের ব্যাখ্যা বিবেচনায় নিরপেক্ষতা ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশিকার ভিত্তিতে, সর্বোপরি দুই দেশের স্ব-স্ব আর্থিক নিয়মাবলি অনুসরণ করে সর্বসম্মতিক্রমে যৌথ নির্বাচক কমিটির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য পৃথকভাবে আটটি করে মোট ১৬টি আকর্ষণীয় সম্মানী পুরস্কার রয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগী মোট ৯টি পুরস্কার এবং সাতজন ভারতীয় প্রতিযোগী সাতটি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন। ভারতের নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শিগগিরই ভারতীয় প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ দেয়া থাকলে ভারতে যেতে লাগবে না করোনা টেস্টের সনদ
বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ক্যানবেরায় বাংলাদেশ-ভারত ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন।
৫০ বছর আগে এই দিনে, বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের ১০ দিন আগে ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ও ভারতীয় শিল্পীরা পৃথকভাবে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন।
এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, ভারতের হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হারিন্দার সিধু বক্তব্য দেন। এছাড়া রাশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ৩১টি দেশের মিশনপ্রধান, বাংলদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয়সহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা, স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সহায়তা এবং প্রধানমন্ত্রী মুজিব ও ইন্দ্রিরা কর্তৃক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের বিষয়কে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' পালিত
ভারতের হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে ভারতের জনগণ গর্বিত। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হারিন্দার সিধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করেন। ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন তিনি। শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে একযোগে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
৩ বছর আগে
ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' পালিত
বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে ২০২০ ও ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে তাদের সংবর্ধিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘মৈত্রী দিবস': হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন মোদি
পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের দশ দিন আগেই, ভারত ও ভুটান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী জনাব কৌশিক হোসেন তাপসের পরিচালনায় একটি জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও ঢাকায় এবং বিশ্বব্যাপী মৈত্রী দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ কর্তৃক যৌথভাবে নির্বাচিত লোগো ও ব্যাকড্রপ ঢাকায় এবং সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: ৬ ডিসেম্বর: ‘মৈত্রী দিবস’ ঢাকা-দিল্লির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হয়েছে।
৩ বছর আগে
ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা পাবে: শ্রিংলা
ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, দুই দেশের যৌথ যাত্রার পরবর্তী ৫০ বছর উভয় পক্ষের জন্য আরও বেশি সন্তুষ্টি নিয়ে আসবে। ‘মৈত্রী দিবস’ এর মানে 'বন্ধুত্ব দিবস'। কিন্তু ‘মৈত্রী’র অর্থ অনেক গভীর।
সোমবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী ‘মৈত্রী দিবস’ এর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটি এমন একটি সম্পর্ক যার গভীরতা রয়েছে এবং সাধারণের বাইরেও একটি তাৎপর্য বহন করে। এটি এমন একটি বন্ধন যা সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়েছে।
এ উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভারত-রাশিয়ার মধ্যে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ায় ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ ছিল। ভারত এটি করেছে। কারণ এটি বাংলাদেশিদের ন্যায়পরায়ণতার বিষয়ে নিশ্চিত ছিল এবং নিশ্চিত ছিল যে তারা বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর ও ৫৪টি নদী ভাগ করে নেয় এবং এগুলোকে জলপথ ও উপকূলীয় শিপিংয়ের মাধ্যমে কম কার্বন ফুটপ্রিন্ট সংযোগ তৈরি করতে কাজে লাগানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, কার্গো এখন কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আগরতলায় যেতে পারে।
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে যুক্ত এবং একটি অভিন্ন জ্বালানি বাজার গড়ে উঠছে।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত ভারত ও বাংলাদেশ, জলবায়ু কর্মসূচি ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে একটি সবুজ অর্থনীতি গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে নিহিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দু’দেশের এখন জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। কেননা এর গুরুত্ব দু’পক্ষের জন্যই বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূলে এখন জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা- বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর মনোযোগ দেয়া দরকার যা দু’পক্ষের জন্য ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
সোমবার মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ইতিহাস,সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম নিরপেক্ষতা,গণতন্ত্র ও অন্যান্য অগণিত অভিন্নতার মূল্যবোধে নিহিত। ‘নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মিথষ্ক্রিয়া ও মতবিনিময়ের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় ও প্রসারিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, কোভিড -১৯ এর কারণে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সব পর্যায়ে সম্পর্ক স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমাদের চমৎকার সহযোগিতায় এটি স্পষ্ট ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় যা আমাদের কাজের সম্পর্কের জন্য আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আজ আমাদের বিস্তৃত অংশীদারিত্ব পরিপক্ক হয়েছে; গতিশীল, ব্যাপক ও কৌশলগত আকার নিয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। ‘এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাত্রায় একটি মাইলফলক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্কের গুরুত্বে বিশ্বাস করি। এই বার্ষিকীটি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি এবং সামনের পথের প্রতিফলন করার একটি সুযোগ। দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করার জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য এটি উভয় দেশের জন্য একটি উপলক্ষ।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের সময় উভয় পক্ষই ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ ১৮টি নির্বাচিত শহরে যৌথভাবে এ দিনটি উদযাপন এবং ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়।
বঙ্গবন্ধুর বড় কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
১৯৭২ সালে বলা বঙ্গবন্ধুর কথা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রেক্ষিত পরিকল্পনা: সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ‘অগ্রসেনা’ হিসেবে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ও আইসিডব্লিউএ মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মোদির আশ্বাস
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও প্রসারিত ও গভীর করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন।
সোমবার দুই দেশের ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন নিয়ে এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন,‘আমাদের সম্পর্ককে আরও প্রসারিত ও গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি উন্মুখ।’
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ পাবে: প্রধানমন্ত্রী
মোদি বলেন,‘আজ ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস পালন করছে। আমরা যৌথভাবে আমাদের ৫০ বছরের বন্ধুত্বকে স্মরণ করি এবং উদযাপন করছি।’
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
৩ বছর আগে
‘মৈত্রী দিবস': হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন মোদি
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও প্রসারিত ও গভীর করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন।
সোমবার দুই দেশের 'মৈত্রী দিবস' উদযাপন নিয়ে এক টুইটে মোদি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ককে আরও প্রসারিত এবং গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি উন্মুখ।’
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
মোদি বলেন, ‘আজ ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস পালন করছে। আমরা যৌথভাবে আমাদের ৫০ বছরের বন্ধুত্বকে স্মরণ করি এবং উদযাপন করছি।’
আরও পড়ুন: ৬ ডিসেম্বর: ‘মৈত্রী দিবস’ ঢাকা-দিল্লির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হবে।
অন্যান্য দেশগুলো হল- বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) নয়াদিল্লিতে আজ বিকালে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এতে উভয় দেশের অংশগ্রহণ দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তা পাঠাবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
৬ ডিসেম্বর: ‘মৈত্রী দিবস’ ঢাকা-দিল্লির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী হিসেবে ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে উদযাপন করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার ও সাধারণ জনগণের অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই দিবসটি পালিত হবে।
এসময় তিনি শ্রদ্ধার সাথে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের স্মরণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে ভারতের ১৮ হাজারেরও বেশি শহীদের রক্ত মিশে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অর্জিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিশেষ বন্ধুত্ব সৃষ্টির ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হবে। অন্যান্য দেশগুলো হল- বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (এমইএ) অফিসিয়াল মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) নয়াদিল্লিতে ৬ ডিসেম্বর একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
এ বিষয়ে অরিন্দম বাগচি বলেছেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারতের জনগণ এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর এবং স্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন, যা রক্ত এবং ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ওই অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ভিডিও বার্তা পাঠাবেন।
মৈত্রী দিবস উপলক্ষে ঢাকায়ও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশ্লেষকদের মতে, অমীমাংসিত তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ ও ভারত গঙ্গা চুক্তি বাস্তবায়ন, স্থল সীমান্ত চুক্তি এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বেশ কিছু দুর্দান্ত অর্জন করেছে । এছাড়া দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যেরও আশানুরূপ বৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
৩ বছর আগে
৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ পালন করবে
বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে আগামী ৬ ডিসেম্বর ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস পালন করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উপলক্ষে এ দিবস পালন করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। শোষণ থেকে মুক্তি ও স্বাধীন জীবনযাপনের জন্য বাঙালি জাতির দীর্ঘ ৯ মাসের রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধের ফলে জন্ম হয় বাংলাদেশের।
ইতিহাসে এই দিনটিকে যত্ন করে আগলে রাখতে দুই বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র ‘মৈত্রী দিবস’ লগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।
এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করা যাবে। এ প্রতিযোগিতায় বিনামূল্যে অংশ নেয়া যাবে এবং কোনো বিশেষ যোগ্যতা লাগবে না বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতিযোগিতাটি দুইটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে; একটি লগো এবং অন্যটি ব্যাকড্রপ নকশা। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার এক হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭০০ মার্কিন ডলার ও তৃতীয় পুরস্কার ৫০০ মার্কিন ডলার। এছাড়া আরও পাঁচ জন বিজয়ী পাবেন ১০০ ডলার করে সান্ত্বনা পুরস্কার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশ্বের বুকে মডেল: সঞ্জিব ভাট্টি
‘ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো’
সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
৩ বছর আগে