ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, দুই দেশের যৌথ যাত্রার পরবর্তী ৫০ বছর উভয় পক্ষের জন্য আরও বেশি সন্তুষ্টি নিয়ে আসবে। ‘মৈত্রী দিবস’ এর মানে 'বন্ধুত্ব দিবস'। কিন্তু ‘মৈত্রী’র অর্থ অনেক গভীর।
সোমবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী ‘মৈত্রী দিবস’ এর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটি এমন একটি সম্পর্ক যার গভীরতা রয়েছে এবং সাধারণের বাইরেও একটি তাৎপর্য বহন করে। এটি এমন একটি বন্ধন যা সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়েছে।
এ উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভারত-রাশিয়ার মধ্যে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ায় ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ ছিল। ভারত এটি করেছে। কারণ এটি বাংলাদেশিদের ন্যায়পরায়ণতার বিষয়ে নিশ্চিত ছিল এবং নিশ্চিত ছিল যে তারা বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর ও ৫৪টি নদী ভাগ করে নেয় এবং এগুলোকে জলপথ ও উপকূলীয় শিপিংয়ের মাধ্যমে কম কার্বন ফুটপ্রিন্ট সংযোগ তৈরি করতে কাজে লাগানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, কার্গো এখন কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আগরতলায় যেতে পারে।
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে যুক্ত এবং একটি অভিন্ন জ্বালানি বাজার গড়ে উঠছে।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত ভারত ও বাংলাদেশ, জলবায়ু কর্মসূচি ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে একটি সবুজ অর্থনীতি গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর