বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
ঢাকা, ২৬ জুন (ইউএনবি)- নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা যোগ দেন বলে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মিশন।
পদ্মা সেতুর সাফল্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বাংলাদেশকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অভিনন্দন
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। বাংলাদেশ সময় আজ (শনিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের বিস্ময়। আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, গৌরব, ও সক্ষমতার প্রতীক। কারণ এটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে। এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় এক অনন্য মাইলফলক। এ অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অগ্রযাত্রায় আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে।’
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
পদ্মা সেতু ঘিরে গড়ে ওঠা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগসহ এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারিসহ প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ভিডিও ক্লিপস প্রদর্শিত হয়।
২ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের প্রয়াত সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। মুজিবনগর সরকারের উপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে।
মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ও নামকরণের ইতিহাস তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে পরিচালিত করেছিল আর ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বাঙালি জাতি নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে শুরু করে। ঠিক সেসময়ে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পাকিস্তানী বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। পরবর্তীতে ২৬ মার্চে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিব নগর সরকার ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোন বিকল্প ছিলনা।’
পড়ুন: লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব, কৌশল ও সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনার ফলে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা যা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছিল। এই সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে বেশ কিছু সময়োযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাকিস্তানী দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা যেন দ্রুত পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন, সে উদ্যোগ গ্রহণ করে।’
প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো, মুজিবনগর দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত
২ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শেখ রাসেলের জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যত নাগরিকে পরিণত করবে।
পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন ‘ঘাতকেরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচার আওতায় আনতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
৩ বছর আগে