সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সহিংসতার ঘটনা নিয়ে মামলা করতে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বলে দিয়েছি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে প্রশাসন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
বৌদ্ধদের কঠিন চীবর দানোৎসব পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিহার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে সহিংসতায় আগুণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এসকে মার্কেট, বনরুপা কাটা পাহাড়, বনরুপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, এ এস ইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
২ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সবাই চিহ্নিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।
যে ধরনের প্ররোচনা এসেছে, মানুষকে আকৃষ্ট করে তাদের দাঙ্গার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে; যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে খুঁজে বের করা হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিউনিটি পুলিশিং এর গুরুত্ব উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আমরা জনগণের সহায়তায় প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। এ জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে আমাদের সমাজকে আরও সতর্ক হতে হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ঘরে ঘরে পুলিশ দেয়া সম্ভব না। যদি আমাদের ঘরে থাকা মানুষজন সতর্ক হন, যদি তারা সঠিক সময়ে পুলিশকে তথ্য দেয়, আমরা তাদের বিভিন্ন ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারব।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ, প্রধান বক্তা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ
বাংলাদেশে সম্প্রতি মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১০টি হিন্দু সংগঠনের শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী। শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইসকনের নেতৃত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় হিন্দু ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার বলেন, ‘হিন্দুদের আর দুর্বল মনে করবেন না। সকল হামলার জবাব আমরা রাস্তায় নেমে দেব।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস পাল বলেন, ‘সারাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, হত্যা এবং আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন প্রতিরোধের পরিবর্তে ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নিয়েছে।’
এ সময় তিনি শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাহবাগে অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মন্দিরে হামলার উস্কানির অভিযোগে ইসলামী বক্তা আটক
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: সারাদেশে ৭২ মামলা, গ্রেপ্তার ৪৫০
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সারাদেশে মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৭২টি মামলা হয়েছে এবং ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মোহাম্মদ শাহ জালাল জানিয়েছেন, আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
তিনি বলেন, ঘটনা, অপরাধের রহস্য উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে রহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তি নির্ভর তদন্ত কাজ চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও উসকানি রোধকল্পে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের সকল গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
যে কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য অথবা গুজব কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত বা উত্তেজিত না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য দেশের সকল নাগরিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন এআইজি।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গত ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে সাতটায় কুমিল্লার সদর থানাধীন নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে চলে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতিকারী উসকানিমূলক ও বিকৃত প্রচারণা চালায় এবং পরবর্তীতে আরও উচ্ছৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারী সংঘবদ্ধ হয়ে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা ও পূজামণ্ডপে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া দুষ্কৃতিকারীরা শহরের কাপড়িয়া পট্টি কলোনির চানমনি পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির, কালিতলাসহ আরও কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা চালায় এবং প্রতিমায় অগ্নিসংযোগ করে।
মোহাম্মদ শাহ জালাল জানান, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য সারাদেশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গত ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত সাড়ে আটটায় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভাস্থ শ্রী ত্রিনয়নী সংঘ রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া, মোকিমাবাদ পূজামণ্ডপে ৫০০ থেকে ৬০০ দুষ্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের উপর হামলা করে এবং পাঁচ থেকে ছয়টি পূজামণ্ডপ ভাংচুর করে। দুষ্কৃতিকারীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে ১৫ জন পুলিশ সদস্য মারাত্মক আহত হয়। জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজন প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
কুমিল্লার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গত ১৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন ছয়ানী ইউনিয়নের সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা মন্দিরের কাছে ৮০০ থেকে ১০০০ উচ্ছৃঙ্খল লোক জড়ো হয়ে উসকানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা অসংখ্য ইট, লাঠিসোটা নিয়ে মন্দিরের সামনে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি'র টহল দলের ওপর হামলা চালায়, মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করে এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় একজন প্রাণ হারায় এবং পরবর্তীতে পুকুর থেকে অপর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানাধীন বড় করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামের জনৈক পরিতোষ (১৯) তার ফেসবুক আইডিতে পবিত্র কাবা শরীফের অবমাননাকর ছবি আপলোড করে। পরবর্তীতে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে রাত প্রায় আটটার সময় এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ওই গ্রামের একটি মন্দিরসহ ১৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া ও চকরিয়া থানা, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানা, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ থানা, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানা এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কাশিমপুর থানাসহ দেশের আরও কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সকল ঘটনায় সারাদেশে সাত জন প্রাণ হারায়। তন্মধ্যে দু’জন হিন্দু সম্প্রদায়ের এবং পাঁচ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দায়িত্ব পালনকালে ৫০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক হামলা: ফখরুল
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে কবি, শিল্পী ও সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ
দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২০০ এর বেশি কবি, লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিক।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এছাড়া সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তারা।
আবৃত্তি শিল্পী শাহাদাত হোসাইন নিপু এ প্রতিবাদ কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন। লেখক আনিসুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা, কবি চঞ্চল আশরাফ, সাংবাদিক আহমেদ মোস্তফা কামাল, লেখক ঝরনা রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক, অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস, কবি তপন ঠাকুর ও লেখক-সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ডালি উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা দাবি করেন, সাম্প্রতিক হামলাগুলো ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এ হামলাগুলো করা হয়েছে।
পড়ুন: পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ১৯৭১ সালে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু গত ৫০ বছরে সব সরকার ক্ষমতায় যেতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বর্জন করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করেছে।’
এ সময় সংগঠকদের পক্ষে বিশিষ্ট লেখক স্বকৃত নোমান আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।
তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা, রামু, নাসিরনগর, শাল্লা, কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী ও রংপুরের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে এবং ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়াজ-মাহফিলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার বন্ধ করা এবং সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করা।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
৩ বছর আগে